নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা সময় আমি ছিলাম বইয়ের পোকা, আর এখন ইন্টারনেটের!!স্বপ্ন থেকে বাস্তবকে বড্ড ভালোবাসি আমি।

আব্দুল্লাহ তুহিন

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ... একটু লিখতে ভালোবাসি.. এক কথায় হাতে কলম থাকলে পুরা পৃথিবীকে খাতা বানাই লিখতে পারবো! একটা সময় লিখার উপর অনেক সপ্ন ছিল,!!

আব্দুল্লাহ তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আস্তিক বনাম নাস্তিক.......

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

"একদা দুই জমজ শিশু মাতৃগর্ভে গল্প করিতেছিলো।
একে অপরকে সুধাইলো, " তুমি কি প্রসবের পরবর্তী
জীবনে বিশ্বাস কর?"
অপরজন উত্তর দিলো, "অবশ্যই করি। নিশ্চই প্রসবের
পরবর্তীকাল বলিয়া কিছুরহিয়াছে এবং সেই
পরবর্তীকালের প্রস্তুতিকরণের উদ্দেশ্যেই আজ আমরা এইখানে।"

-প্রথম জন কহিলেন "আহারে বেয়াকুফ, প্রসব- পরবর্তী
জীবন বলিয়া কিছু নাই। তোমার সেই প্রসব-পরবর্তী
কাল্পনিক জীবন কিরুপে সম্ভব???"
দ্বিতীয় জন উত্তর দিলেন, "আমি ঠিক জানি না। তবে
সেথায় এখান হইতে আলোক অনেক বেশি হইবে। হয়তো
সেথায় আমরা নিজ পায়ে হাটিয়া বেড়াইবো, মুখ
দিয়া আহার করিবো। হয়তো সেখানে আমাদের
ইন্দ্রিয়গুলো, অনুভুতিগুলো এখানকার চাইতে ভিন্ন
হইবে যাহা এখন আমরা বুঝিতে পারিতেছিনা।"

-প্রথম জন, "ইহা কল্পনাবিলাস ব্যতীত কিছুই নহে।
নিজের পায়ে চলাচল? অসম্ভব। আর মুখ দিয়ে খাদ্য
গ্রহন? অলিক কল্পনা আর কাহাকে বলে। আমাদের
শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ আসে এই নাড়ির
মাধ্যমে। কিন্তু নাড়ির এই স্বল্প-দৈর্ঘ্য আমাদের প্রসব-
পরবর্তী জীবনের জন্য কোনো যুক্তিতেই যথেষ্ট হইতে
পারে না।
সুতরাং প্রসব-পরবর্তী জীবন এক কথায় অসম্ভব।"
দ্বিতীয় জন, "আমি মনে করি জীবন এখানেই শেষ নহে।
হয়তোবা প্রসব-পরবর্তী জীবন অন্যরকম। হয়তো সেখানে
আমাদের এই নাড়ির প্রয়োজনই হইবে না।"

-প্রথম জন, "ফালতু চিন্তারও তো একটা সীমা থাকে। আর
যদি এমন হতোই, তাহলে কেন কেউ কখনো সেখান
হইতে ফিরিয়া আসেনি? প্রসব হইল জীবনের শেষ এবং
তাহার পর কেবলই অন্ধকার, নিরবতা আর শূন্যতা।"
দ্বিতীয় জন, "আমি ঠিক বলিতে পারি না। কিন্তু তখন
আমরা আমাদের মায়ের কাছে থাকিব আর সেই
আমাদের দেখাশোনা করিবে।"

-প্রথম জন, "মা ? ? ? ! ! ! তুমি সত্যিই মা বিশ্বাস কর??? মা
যদি সত্যিই থাকিয়া থাকে, তাহলে সে এখন কোথায়???"
দ্বিতীয় জন, "সে আমাদের চারদিকেই বিরাজমান।
সে আমাদের ঘিরিয়া রহিয়াছে। আমরা তাহার
মাঝেই বাঁচিয়া আছি। তাহাকে ছাড়া এই পৃথিবী
অসম্ভব। তাহাকে ছাড়া আমরা অসম্ভব।"

-প্রথম জন, " তাহলে আমরা তাহাকে দেখিনা কেন?
কেন তাহাকে অনুভব করি না? এর একমাত্র যুক্তিসংগত
কারন হইল, মা বলে কিছু নাই।"
দ্বিতীয় জন উত্তর দিলো, " মাঝে মাঝে, যদি তুমি
নিরব থাকিয়া মনোযোগ সহকারে খেয়াল করিয়া
থাক, তুমি তাহার অস্তিত্ব অনুভব করিবে, তুমি
তাহাকে শুনিতে পাইবে....
যে তাহার মায়াভরা কন্ঠে আমাদের উপর হইতে
ডাকিতেছে।".......
.
.
এখানেই কিন্তু লিখাটা শেষ নয়....
এ জগতের সবকিছুই কিন্তু বিশ্বাসের উপর দিয়ে চলতেছে....
যারা স্রস্টাকে বিশ্বাস করে না, তারা ও কিন্তু এ বিশ্বাসের বাহিরে যেতে পারছে নাহ। :-)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: জ্ঞান বৃদ্ধি পাইল

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি করার জন্য...অসংখ্য ধন্যবাদ।। ভালো থাকবেন। :-)

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিদ্যুত, বাতাস কোন কিছুই চোখে দেখা যায় না। কিন্তু একমাত্র গবেটরাই বলবে এগুলি নেই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: জ্বী আপনি ঠিক ই বলেছেন, এ পৃথিবীটাই বিশ্বাসের উপর দিয়ে চলতেছে...
খুব খেয়াল করে দেখবেন...
যারা স্রস্টাকে বিশ্বাস করে না, তারা ও কিন্তু এ বিশ্বাসের বাহিরে যেতে পারছে নাহ। :-)

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: "কৌতুক" টি মজার ছিল।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: কার ও কাছে এটা একটা শিক্ষা, আর কার ও কাছে এটা কৌতুক হতেই পারে।
সেটা তার দৃষ্টিভঙ্গি আর বিশ্বাসের উপর ই নির্ভর করবে!! :-)

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

মু. ইশরাত হোসেন লিপটন বলেছেন: উত্তম। লেখাটা আরেকটু প্রলম্বিত হওয়ার দাবি রাখে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: সেটা ঠিক.....
লিখতে গেলে, অনেক কিছুই লিখা যায়....

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মায়ের পেটের শিশু কি কি বিষয়ে ভাবতে পারে, কি বিষয়ে কথা বলা সম্ভব? বেকুবদের উদাহরণও বেকুবী মাত্র।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: উদাহরণ কিসের ছিল সেটা বড় কথা নয়,
বড় কথা হইলে, আপনি এখান থেকে কিছু শিখতে বা বুঝতে পারছেন কিনা।

এটা কাল্পনিক পোস্ট হতেই পারে, তবে এটার বাস্তবতা অবশ্যই আছে,,
এ পৃথিবীর কোন কিছুই কিন্তু বিশ্বাসের বাহিরে যাচ্ছে নাহ।
যে শিশুদের কথা বলছি, তারা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর, তাদের মা যদি তাদেরকে একটা লোক দেখিয়ে বলে যে, এটাই তোমাদের বাবা। তখন কিন্তু তারা তা বিশ্বাস করছে,
এভাবে সব কিছুই..... :-)

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

ইমদাদ নারায়ণগঞ্জ বলেছেন: এরপরও অনেকে বিষয়টাকে এড়িয়ে যাবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন আপনি।
তবে সব দিকে না তাকানোই ভালো। :-)

৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

প্রথম বাংলা বলেছেন: ভালো একটি লিখা, পড়ে ভালো লাগলো। স্রষ্টাকে?, সেকি প্রকৃতি? নাকি সময়, আল্লা, নাকি ঈশ্বর, এটা যদিও একটি বিতর্কের বিষয়, তবে স্রষ্টা ছাড়াযে সৃষ্টি সম্ভবনা এটা বোঝা যায় সৃষ্টি শব্দটা থেকেই। কারণ প্রত্যেকটা উপদানের আগে এবং পাছে
“ স্রষ্টা এবং সৃষ্টি ” এই দুটি শব্দ শক্তির নিত্যতার সুত্রের মত স্থির। স্রষ্টা এবং ‍সৃষ্টি মিলেই একটা অস্তিত্ব হয়। একটি না থাকলে আরেকটি বিলীন।
তবে জগৎ যে পর্যায়ক্রমিক এটি কিন্তু বিজ্ঞান সম্মত। অর্থাত সৃষ্টিটা বিভিন্ন জাগতিক বিন্যাসে বিন্যস্ত। আমরা আসলে মাত্র তিনটা মাত্রা বুঝি, দৈর্ঘ প্রস্থ এবং উচ্চতা। মাত্রাগুলি বস্তুকে আকৃতি দেয়। কিন্তু একে জীবনের ব্যপ্তি দেয়ার জন্য দরকার সময়। যাকে আমরা বলি চতুর্থ মাত্রা। বিজ্ঞান বলে জগৎ তৈরিতে প্রকৃতি মোট ১১ টি মাত্রার বিন্যস্ত হয়েছে। এর চার মাত্রা ব্যবহার করছি আমরা মানব জাতি। স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন প্রাণীরা বুঝে দুই অথবা তিন মাত্রা বড়জোর। সময়ের মাত্রাবোধ অনেক ইতর প্রাণীর নেই। যে কারণে মরণ সম্পর্কে অনেক প্রাণীই অবগত নয় । আমরা যেহেতু মাত্র চারটি মাত্রা বুঝি কী করে আমরা আগেই পরকাল ইহকাল বুঝবো। তবে এই বিশ্বজগৎ যে মহাশক্তি সৃষ্টি করেছে সেটি যে অন্য সকল মাত্রার সৃষ্টা ইহা এক কথায় বলাযায়। হতে পারে এটি প্রকৃতি হতে পারে সময় । যেহেতু সু নিয়ন্ত্রীত ভাবে জগৎ চলছে যেন কারো ঐচ্ছিক পরিকল্পনার মতো, তাই বলাযায় যে মহা শক্তি আমাদের সৃষ্টি করেছে সেটি চেতনাময়। মানে এর একটি চেতনা রয়েছে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার। এটি অচেতন ক্ষমতা নয়। একেইতো আমরা বলি স্রষ্টা। বলি ঈশ্বর বলি আল্লাহ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মূল্যবান মন্তব্যটা করার জন্য।।
আপনার কথা গুলা সত্যি ই আমার অনেক ভালো লাগছে।
এটা অবশ্যই ঠিক যে, প্রতিটা সৃস্টির পিছনে, কার ও না কার ও হাত অবশ্যই আছে...!!

স্রস্টা ছাড়া, সৃষ্টি অসম্ভব।। :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.