নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

How the Universe formed

উপলব্দি প্রকাশ করি নির্ভয়ে

ড. মোস্তাফিজুর রহমান

I love to write. I like to enjoy fact and knowledge.

ড. মোস্তাফিজুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বছরে স্বাধীনতার প্রত্যাশা

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নতুন বছরঃ

মহাকালের পথ পরিক্রমায় আরো একটি বছর শেষ হতে চলল। আমরা আমাদের সুবিধামত সেকেন্ড মিনিট আর ঘন্টার বেড়ি দিয়ে সময়কে আবদ্ধ করার চেষ্টা করলে ও সময় এ সীমাবদ্ধতার উর্দ্ধে। দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৪২ বছর পূর্ণ হলো। ৯ মাস ব্যাপী জীবন-মৃত্যুর লুকোচুরিতে যুদ্ধ হয়। অগনিত জীবনের বিনিময়ে আর অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের মূল্যে কেনা বিজয়। একটি অসম যুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তির ছুঁড়ে দেওয়া চরম চ্যালেঞ্জকে ধারণ করে ছিনিয়ে আনা বিজয়। এজন্য বিজয়ের মধ্যদিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার কোন তুলনা হয় না।



আমাদের স্বাধীনতাঃ

যে জািতর স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বাধ বিজয়ের মাধ্যমে পূরণ হয় তাদের নিজেদের অনুকূলে কোন ইচ্ছা বাঁকি থাকে না। তারা নিজেদের গড়তে পারে নিজেদের মত। আমাদের স্বাধীনতা কারো দয়ার দান নয়, বা হঠাৎ এসে যাওয়া কোন সুযোগও নয়। একটি অসম যুদ্ধে একটি আধুনকি সেনাবাহিনীর িবরুদ্ধে প্রায় িনরস্ত্র জনতার িবজয়ের মধ্য িদয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আমাদের জািতসত্তার িবকাশ হয়েছিল একটি র্দীঘ প্রক্রয়িায় যার চূড়ান্ত র্পব িছল মুিক্তযুদ্ধ । এজন্য সাধারণ মানুষের মনে প্রত্যাশা জাগাতে হয়ছেলি, স্বপ্ন সৃষ্টি করতে হয়েছিল। যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশার উজ্জীবনী শক্তিতে মানুষ জীবন দিতে ও কুন্ঠাবোধ করেনি।

স্বাধীনতার চেতনাঃ

একটি সংঘবদ্ধ চেতনা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যে কারণে এ ভূখন্ড কোন বাইরের শাসকের অপশাসন মেনে নেয়নি, তাদের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়েছে বারবার, যে কারণে দেরিতে হলেও পরাক্রমশালী ব্রিটিশদের চলে যেতে হয়েছে একই কারণে পাকিস্তানীদেরও বিদায় জানিয়েছি আমরা।

আমাদের প্রাপ্তিঃ

স্বাধীনতা একটি অনন্য পাওনা। স্বাধীনতার দাবীতে যারা দীর্ঘ দিন সংগ্রাম করে যাচ্ছ, দমন-নিপীড়ণে যাদের জীবনী শক্তি তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে তারা জানে এর মূল্য কত। আমরা একটি নিজস্প পতাকা ও মানচিত্র পেয়েছি। নিজেদের সরকার নিজেরা পরচিালনা করার সুযোগ পেয়েছি। নিজস্ব সাহত্যি ও সাংস্কৃিতক পরিমন্ডল তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি হয়ছে। ১৯৯০ সাল র্পযন্ত মাথাপছিু বৈদেশিক সাহায্য যা ছিল পরবতী ২০ বছরে প্রায় অর্ধেকেরও কম হয়ছে। কিন্তু মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ডাবল হয়ছে।র্অথাৎ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া বরং দেশের উন্নতি সম্ভব। এ সত্যের গবষেনা উপলব্ধি ও বাস্তবতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তৈরী পোষাক শিল্পে আমরা বিশ্ব বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব র্অজন করেছি। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার মিশনে আমাদের অবদান প্রশংসনীয় হচ্ছে। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বওে আমরা একটি পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছি। পরিশ্রমী প্রবাসীদের প্রচেষ্টায় রেমিটেন্সে প্রবাহ র্অথনীিততে গুরুত্বর্পূন অবদান রেখে চলছে।

প্রত্যাশা ও বাস্তবতার যন্ত্রনাঃ

স্বাধীনতার প্রত্যাশা ছিল এমন একটি দেশ গড়া যেখানে গনতন্ত্র নির্বিঘ্ন থাকব। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধকিার প্রয়োগ করবে।ক্ষমতা হস্তান্তর গ্রহনযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হবে। যেখানে শান্তি নিরাপত্তা ও স্থিতি থাকবে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ছিল আমাদের স্বপ্ন। অথচ বিজয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর অনকে চেষ্টা চলেছে। গনতন্ত্র বারবার হোচট খেয়েছে। মুক্ত জীবনের অনাস্বাধিত স্বাধ নেয়ার যে বিজয়, স্বাধীনতার অহম নিয়ে মাথা তোলে দাঁড়ানোর যে বিজয়, গৌরব গাঁথা নিয়ে অংিকত গান ও কবিতায় স্বপ্নময় যে বিজয়,ব্যিাক্তি র্পযায়ে প্রতটি মানুষের সম্মান রক্ষার যে বিজয় সেটি আমরা আজো পাইন। বিভেদ সৃষ্টির পুরনো রাজনীতি এখনো সক্রিয়, প্রতহিংিসার র্চচা আরো বেড়ে িগয়েছেিকবচার বহির্ভুত প্রকাশ্য ও গুপ্ত হত্যা আনুষ্ঠানকিতা পেয়েছে। । রাজনৈতিক হয়রান, মামলা, িনরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু ইত্যাদি রুটিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।সীমান্তে হত্যা আর রাহাজানির কোন প্রতিকার নেই। গোটা দুনয়িায় শান্তি ও নিরাপত্তার খাদতরে আমরা শতশত সৈন্য পাঠাচ্ছি। নিজ দেশের মানুষ যে চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে আছে সে বিষয়ে আমরা গাফেল।

নতুন বছরের স্বপ্নঃ

আমাদের আশা ও স্বপ্ন গুলো পাখা মেলে উড়তে দেয়া হয়না। প্রত্যাশা বারবার স্বপ্ন ভঙ্গের কারন হয়। নতুন বছরেরস্বপ্ন হওয়া উচিৎ পেচনের সকল জড়তা ও হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সামনে আগানো। অতীতে যা কখনো হয়নি তা যে হবে তার কোন লক্ষণ ও নই। তাই নতুন বছররে স্বপ্ন হতে হবে এমন একটি শক্তির উত্থান ঘটানো যা দিয়ে প্রত্যাশার নাগাল পাওয়া যায়। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জাতিকে বিভক্ত করা যাবনো। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এ বিচার হোক। তাতে একটি অব্যাহত ও নবায়নযোগ্য সমস্যা হতে জাতি মুক্তি পাবে।

অতএব

আমাদেরকে সজাগ হতে হবে। পরস্থিতির সামগ্রীক মূল্যায়ন করতে হবে। এখন চলছে শুধু স্মৃতি চারণ আিকিাল্পনিক বয়ান। সময় এসেছে স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার। তরুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার পথে হাঁটতে হবে। স্বাধীনতার এজেন্ডা বাস্তবায়নে যদি চরম মূল্য দিতে হয় তাও দিতে হবে।তাহলেই আসবে কাঙ্খিত স্বাধীনতা।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

লেখোয়াড় বলেছেন:
খুব সুন্দর লেখা।
++++++++++++++
এটিই আপনার প্রথম লেখা।
এখানে মন্তব্য করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

শুভকামনা, ভাল থাকুন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৫

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার নামটি আমি নিরু উপন্যাসে( আপনার কবিতা আপনার নামসহ) ব্যবহার করেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.