নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

How the Universe formed

উপলব্দি প্রকাশ করি নির্ভয়ে

ড. মোস্তাফিজুর রহমান

I love to write. I like to enjoy fact and knowledge.

ড. মোস্তাফিজুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

দেশ এখন চরম অস্থির একটি সময় অতিক্রম করছে। অল্প সময়ে দেশে এত বেশি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, এখন যে কেউ বলতে পারে বাংলাদেশ বুঝি একটি পরিস্থিতি তাড়িত দেশ। এ দেশের রাজনিতি যেন পরিস্থিতি তাড়িত। রাজনীতি যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে দেশকে উন্নতির দিকে নিতে না পারে, তবে পরিস্থিতি রাজনীতিকে তাড়িয়ে ফিরবে এটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক সময়ে সাভার ট্র্যাজেডির দুঃসহ যাতনা আমাদের বিবেক কে স্পর্শ করেছে। কিছুদিন আগে তাজ্রীন গার্মেন্টস এ আগুনের ট্র্যাজেডি আমরা খুব দ্রুত ভুলে গেছি। সাভার ট্র্যাজেডি ও হয়তো অন্য কোন পরিস্থিতি এসে ঢেকে ফেলবে। যাক আমি আমার মুল আলোচনাতে আসি। বর্তমান সরকারের মেয়াদ কাল প্রায় শেষের পথে। সরকার তার সুবিধামত সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে, পরবর্তীতে যেকোনো ফরমুল্যাতে হোক নির্বাচন কালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সরকার প্রথমে বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান বহির্ভূত কথা। তাই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা দরকার। মাঝে মাঝে সংলাপের কথা বলা হলেও সংলাপের বিরুপ পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তবের প্রেক্ষিতে আবার সংলাপের কথা জোরে শোরে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংলাপকে অর্থবহ করতে হলে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তৃতীয় কোন পক্ষ বা দেশ সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করুক বা সংলাপের আয়োজন করুক তা মোটেই কাম্য হতে পারেনা। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব সবার। ওয়ান এলেভেন পরবর্তী সরকারকে অনেকেই বলেছেন তারা রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন কারী সরকার। কিন্তু বেপার যদি এমন হয়, রাজনীতিবিদদের চরিত্র নষ্ট হয়ে যায় কিংবা এত নিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় যে যার নিচে আর নামা সম্ভব নয়। তবে চরিত্র হননের প্রশ্ন আসবে কিভাবে? জনগন এখন তেমনটি বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। খুব সম্ভবত জরিপ করলে ফলাফল এমনি আসবে যে জনগন রাজনীতিবিদদের প্রত্যাখ্যান করছে। তাহলে অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে? আপনি নির্বাচিত সরকার বলে গলা ফাটাচ্ছেন, কিন্তু জনগন বলছে আপনি ভণ্ড। শেষে ফলাফলটা কি হবে? ফলাফল হয়ত এমন হবে জনগন আরেকটি ওয়ান এলিভেন কে স্বাগত জানাবে। নিশ্চয়ই এটি সমাধান নয়, কিন্তু পরিস্থিতির তাড়না। বাংলাদেশের জনগন খুবই নরম মনের। তারা সহজেই অনেক কিছু ভুলে যায়, ক্ষমা করে দেয়। আবার পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে সিদ্ধান্ত নিতেও দেরি করেনা। এখানকার মানুষ খুব দ্রুত হতাশ যেমন হয় তেমনি খুব দ্রুত আশাবাদিও হয়। এদেশের জনগন মৌলিক ভাবে শান্তিপ্রিয়। কিন্তু কোন কারনে ক্ষেপে গেলে ব্যাপারটি অন্য রকমও হতে পারে। এক্ষেত্রে মব সাইকলজি কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। এগুলো কলেবরে বাড়তে থাকলে বর্তমান সরকারের জন্য তা মোটেই সুসংবাদ নয়। সরকার কিছুটা টের পেয়েছে মনে হচ্ছে। তবে সন্দেহপ্রবন এদেশের রাজনীতি। প্যাঁচটা ভালভাবে কষার আগে, পানি খুব বেশি ঘোলাটে হওয়ার আগে সরকারের উচিৎ ছিল নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে ফর্মুলা খোঁজা। না হয় ব্যাপারটা “সেই তো নথ খসালি তবে কেন লোক হাসালি” হবে। যাই হোক অন্তর্বর্তী কালীন সরকার নিয়ে টি আই বি সহ বেশ কিছু ফর্মুলা এসেছে। অনেকেরমত আমার মাথায় কয়েকটি ফর্মুলা ঘুরছে। আজকে একটি ফরমুলা োষ্ট করলাম।

প্রথমে ঠিক করতে হবে প্রধান কে হবেনঃ

যে কয়জন সাবেক প্রেসিডেন্ট, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর সাবেক প্রধান, সাবেক প্রধান বিচারপতি জীবিত আছেন তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। সকলের পৃথক পৃথক লিখিত সম্মতি নিতে হবে, নির্বাচন কালীন সরকারের প্রধান হতে তারা রাজি আছেন কিনা। যারা রাজি থাকবেন তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। অর্থাৎ তালিকার সবাই হবেন নির্বাচন কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা / প্রধান মন্ত্রী প্রাথী। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল সমুহ ১ টি করে ভোট প্রদান করবেন। সরবছছ ভোট প্রাপ্ত বেক্তি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচিত বাক্তি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হলে পদত্যাগ করবেন এবং পরবরতী সরকারের কোন দায়িত্তে যেতে পারবেন না।

১৫ সদস্যর উপদেষ্টা / মন্ত্রী পরিষদ

এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ বছর পূর্বের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের অবসর প্রাপ্ত সকল বিচারপতি, কমপক্ষে ১০ বছর পূর্বের সকল পূর্ণ মন্ত্রী, সকল জাতিয় অধ্যাপক বৃন্দ, কমপক্ষে ৭ বছর পূর্বে অবসর প্রাপ্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল উপাচার্য বৃন্দ, কমপক্ষে ৫ বছর পূর্বের অবসর প্রাপ্ত ৩ বাহিনীর প্রধান বৃন্দ, কমপক্ষে ৫ বছর পূর্বের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ বাহিনীর প্রধান বৃন্দ যারা জীবিত আছেন সকলের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। সকলের পৃথক পৃথক লিখিত সম্মতি নিতে হবে, নির্বাচন কালীন সরকারের উপদেষ্টা / মন্ত্রী হতে তারা রাজি আছেন কিনা। যারা রাজি থাকবেন তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। অর্থাৎ তালিকার সবাই হবেন নির্বাচন কালীন সরকারের উপদেষ্টা / মন্ত্রী প্রাথী। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল সমুহ ৫ টি করে ভোট প্রদান করবেন। সরবছ ভোট প্রাপ্ত ১৫ জন নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। নির্বাচিত বাক্তিগন কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হলে পদত্যাগ করবেন এবং পরবরতী সরকারের কোন দায়িত্তে যেতে পারবেন না।

সরকারের মেয়াদ হবে ৩ মাস। রুটিন কাজ ছাড়া অন্য কাজ তারা করতে পারবেন না। ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.