![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উড়ব আমি বিশাল নিলাকাশে, জ্বালিয়ে দিবো ঐ সূর্যটাকে, লামিয়ে আনব সেই চাঁদটাকে!
২০০২ সালে আমি যখন সুড়িগাওঁ মুহাম্মদ পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস টু-তে পড়তাম। [আগেই বলে রাখি, আমার ছোটবেলা কেটেছে নানার বাড়িতে। চিরচেনা, চির সবুজের দেশ, সিলাম পশ্চিম পাড়া আমার ভূমিগর্ভ] এবার আগের প্রসঙ্গতে ফিরে আসি- হঠাৎ একদিন কোন এক ক্লাসের সময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। যেন জীবন্ত প্রাণীর মতো আকাশ নড়ছে। একটু পর পর বজ্রপাতের গুরুগম্ভীর আওয়াজ। আমি পিছনের ব্রেঞ্চে বসে আছি এবং পিছনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছি সবুজ ধান ক্ষেত বাতাসে কেমন যেন মাটির সাথে একেবারে মিশে গেছে আর যে কয়টা সুপারি গাছ দেখছি প্রত্যেকটির মাথা বাকা হয়ে পড়ে যাচ্ছে। তখন গাছ থেকে একঝাক পাখি অন্য এক স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিল। ক্লাসে কি পড়ানো হচ্ছে কি না তার দিকে আমার মনোয়োগ নেই। শুধু বাইরের দিকে চেয়ে আছি। দেখতে দেখতে একঠু আগে যে স্থানটিতে পানিশুন্যতা ছিল, এখন দেখছি এই উচুঁ স্থানটি আর দেখা যাচ্ছেনা। বাইরের দিকে যতঠুকু চোখ যায় আমার কেবলই মায়া মায়া লাগে। এক সময় আমার কেমন যেন এই দিন মনের মাজে এক ধরনের চাপা দুখ্য ভাব চলে এল। দু-চুখ দিয়ে কান্নার ঝড় নেমে আসল। হয়তো আমার পাশের কেউ এই কান্না দেখে নাই। বৃষ্টির ফোটা ফোটা জল এসে আমার চোখের সমস্থ্য পানি মুছে দিয়ে তাদের সঙ্গী করে নিল। আজ জীবনের দুই যুগ পেরি যাচ্ছে। এখনো বৃষ্টি সেই আগের ধারায় হয়। কিন্তু আমার ছেলেবেলার দিনের বৃষ্টির কথা সারা জীবন মনে থাকবে। আজ অনেক সময় ধরে অনিচ্চায় বৃষ্টিতে ভিজতে হল। যদিও কান্না আসে নাই। বুকের বাম পাশে কীসের যেন মায়া ভাব বয়ে গেল।০০০ : # কালো_মানব !
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
আহমেদ উজ্জ্বল বলেছেন: ধন্যবাদ #বিজন দা আপনাকে।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লেখা।
// আজ অনেক সময় ধরে অনিচ্চায় বৃষ্টিতে ভিজতে হল। যদিও কান্না আসে নাই। বুকের বাম পাশে কীসের যেন মায়া ভাব বয়ে গেল।// --- অনুভূতিরা কখনো মরে না, রূপ বদলায়।
ভাল থাকুন। সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর লেখা।