![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে ড্রাইভিং জানা যেমন জরুরী তেমনি ছোট-খাট কিছু বিষয় সম্পর্কে সচ্ছ ধারণা থাকলে নানা অনাকাংখিত বিপদ এড়িয়ে চলা যায়। এই ছোটখাট বিষয়গুলি নিয়ে লিখা যদি কারো সামান্যতম উপকারে লাগে তবেই আমার লিখা সার্থক হবে। লাইসেন্স পাওয়ার লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব লিখতে লিখতে ছয়টি পর্ব করে আজকের টি হলো শেষ পর্ব। সব শেষে আগের ছয়টি পর্বের লিংক দিয়ে দেবো। তারপর কিছু মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর নিয়ে দুইটা পোষ্ট করবো, পরবর্তী পোষ্ট টি দেবো নিয়ম না মেনে গাড়ি চালালে কি কি শাস্তি হতে পারে। সব শেষটি দেবো বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ড্রাভিং স্কুল আছে তা নিয়ে। তো চলেন শুরু করি আজকের পর্ব (শেষপর্ব)।
প্রশ্ন ১০১: পেট্রোল ও ডিজেল ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ ক) পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার করা হয় আর ডিজেল ইঞ্জিনে ডিজেল।
খ) পেট্রোল ইঞ্জিনে স্পার্ক করে ইগনিশন করা হয় আর ডিজেল ইঞ্জিনে কম্পেশন করে ইগনিশন করা হয়।
গ) পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বোরেটর থাকে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনে কার্বুরেটরের স্থলে ইনজেক্টর থাকে।
ঘ) পেট্রোল ইঞ্জিন অটো সাইকেলে কাজ করে কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলে কাজ করে।
প্রশ্ন নং ১০১: কী কী লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ওভার হলিং করার প্রয়োজন হয়?
উত্তর: ক) ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুব অয়েল বেশী খরচ হলে,
খ) ইঞ্জিন থেকে অত্যাধিক কালো ধোয়া বের হলে,
গ) বোঝা বহন করার ক্ষমতা কমে গেলে।
প্রশ্ন নং ১০২: ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেমের কাজ কী?
উত্তরঃ ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা হ্রাস করে ইঞ্জিনকে কার্যকরী তাপমাত্রায় রাখাই কুলিং সিস্টিমের কাজ।
প্রশ্ন নং ১০৩: রেডিয়েটরের কাজ কী?
উত্তর: রেডিয়েটরের কাজ পানি ঠান্ডা করা। রেডিয়েটর হতে ঠান্ডা পানি পাসম্পর সাহায্যে ওয়াটার জ্যাকেটের মাধ্যমে ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশে পেীঁছে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা করে এবং গরম অবস্থায় পুনরায় রেডিয়েটরে ফিরে আসে। রেডিয়েটরে এই গরম পানি ঠান্ডা হয়ে পুনরায় ইঞ্জিনে যায়।
প্রশ্ন নং ১০৪: কুলিং ফ্যানের কাজ কী?
উত্তরঃ রেডিয়েটরের ভিতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করা এবং গরম পানিকে ঠান্ডা করা।
প্রশ্ন নং ১০৫: এয়ার কুলিং সিস্টেমে ইঞ্জিন কিভাবে ঠান্ডা হয়?
উত্তরঃ ইঞ্জিন সিলিন্ডার এবং হেডের চর্তুদিকে কিছু পাতলা লোহার পাত বা ফিন থাকে। বাতাসের সংস্পর্শে এই পাতলা লোহার পাত ঠান্ডা হয়ে ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখে।
প্রশ্ন নং ১০৬: ওয়াটার কুলিং সিস্টেমে কী ধরনের পানি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ ডিস্টিল ওয়াটারের ন্যায় পরিস্কার পানি, যেমন পরিস্কার পুকুর, নদী ও বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা উচিত। সমুদ্রের লবনাক্ত পানি এবং আয়রন পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রশ্ন নং ১০৭: ফ্যান বেল্ট কোথায় থাকে?
উত্তর: ইঞ্জিনের পুলি, ফ্যান পুলি ও ডায়নামো পুলির উপর পরানো থাকে।
প্রশ্ন নং ১০৮: একটি ইঞ্জিন অত্যাধিক গরম অবস্থায় চলছে তা কিভাবে বোঝা যাবে?
উত্তরঃ ক) ড্যাশ বোর্ডে টেম্পারেচার মিটারের কাটা লাল দাগে চলে যাবে।
খ) ইঞ্জিনে খট খট শব্দ (নকিং) হবে।
গ) বেশি পানি বাষ্পায়িত হয়ে ওভারফ্লো পাইপ দিয়ে প্রবাহিত হবে।
ঘ) ক্রমান্বয়ে ইঞ্জিনের শক্তি কমতে থাকবে।
প্রশ্ন নং ১০৯: ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে করনীয় কী এবয় এ অবস্থায় গাড়ি চালালে কী অসুবিধা হবে?
উত্তরঃ প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধ করে সুবিধামতো স্থানে পার্ক করতে হবে। বনেট খুলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে। পরে ইঞ্জিন গরম হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে যে কোন মুহুর্ত্বে পিষ্টন ও বেয়ারিং গলে গিয়ে ইঞ্জিন জ্যাম বা সিজড হতে পারে। এর ফরে পুনরায় ইঞ্জিন ওবারহেলিং করতে হবে যা অত্যন্ত ব্যায়বহুল।
প্রশ্ন নং ১১০: এয়া ক্লীনারের কাজ কী?
উত্তরঃ বাতাসে যে সমস্ত ধুলি-কণা থাকে তা পরিস্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনে সরবরাহ করা। পরিস্কার বাতাস কার্বুরেটরে প্রবেশ না করলে ধুলিকণা পেট্রোলের সাথে মিশ্রিত হয়ে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার, পিস্টন এবং পিস্টনের রিং এর অতি দ্রুত ক্ষয় সাধন করে থাকে।
প্রশ্ন নং ১১১. কার্বুরেটরের অবস্থান কোথায় এবং এর কাজ কী?
উত্তরঃ কার্বুরেটরের অবস্থান ইঞ্জিনের ইনটেক ম্যানিফোল্ডের উপরে ও এয়ার ক্লিনারের নিচে। ফুয়েল ও বাতাসকে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে ইঞ্জিনে সরবরাহ করাই কার্বুরেটরের কাজ।
প্রশ্ন নং ১১২: ডিষ্ট্রিবিউটরের কাজ কী?
উত্তরঃ প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগে হাই ভোল্টেজ কারেন্ট পেীঁছে দেয়া।
প্রশ্ন নং ১১৩: কনডেনসারের কাজ কী?
উত্তরঃ ডিষ্ট্রিবিউটরের কনট্যাক্ট ব্রেকার পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা।
প্রশ্ন নং ১১৪: এয়ার লক এবং ভেপার লক এর অর্থ কী?
উত্তরঃ ফুয়েল লাইনে বাতাস প্রবেশের কারণে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলে এয়ার লক। ফুয়েল লাইনে অত্যাধিক তাপের কারণে লাইনের ভেতরে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্পের চাপে লাইনে ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ হয়াকেই ভেপার লক বলে।
প্রশ্ন নং ১১৫: কোন কোন ক্রুটির কারণে সাধারণত ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না?
উত্তরঃ জ্বালানি না থাকলে, ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে বা দূর্বল হয়ে গেলে, সেল্ফ স্টার্টার ঠিকমতো কাজ না করলে, কার্বুরেটর ঠিকমতো কাজ না করলে, ইগনিশন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করলে, ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে।
প্রশ্ন নং ১১৬: কী কী কারণে ইঞ্জিন চালু অবস্থায় বন্ধ হতে পারে?
উত্তরঃ জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে, ডিজলে ইঞ্জিনরে জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে, স্পার্ক প্লাকে অতিরিক্ত তোল (মবিল) বা কার্বন জমা হলে, কার্বুরেটরে ফ্লাডিং হলে অর্থাৎ কার্বুরেটরে অতিরিক্ত জ্বালানি সরবরাহ হলে, এক্সিলারেটর প্রয়োজনমতো না চেপে ক্লচ প্যাডেল ছেড়ে দিলে, অতিরিক্ত বোঝা বহন করলে।
প্রশ্ন নং ১১৭: ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি ঠান্ডা ইঞ্জিন স্টার্ট না হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ মিকচার আরো রিচ করতে হবে (এক্সিলারেটর দাবায়ে কার্বুরেটর ফ্লাডিং দ্বারা অথবা এয়ার ইনটেক সম্পূর্ণ বন্ধ করে।)
প্রশ্ন নং ১১৮: ইগনিশন সিস্টেম ঠিক থাকা সত্ত্বেও একটি গরম ইঞ্জিন স্টার্ট না হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ মিকচার খুব বেশী রিচ হলে এমন হয়। ইগনিশন সুইচ অফ করে এবং থ্রটলভালব সম্পূর্ণ খুলে ইঞ্জিনকে কয়েকবার ঘুরাতে হবে। তারপর থ্রটলভালব বন্ধ করে ইগনিশন সুইচ অন করতে হবে।
প্রশ্ন নং ১১৯: ডিজেল ইঞ্জিনে গভর্নরের কাজ কী?
উত্তরঃ গভর্নর ডিজেল ইঞ্জিনের ফুয়েল সরবরাহকে নিয়ন্ত্রন করে ইণ্জিনের স্পিড বা গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
১ম পর্বের লিংকঃ ১ম পর্ব
২য় পর্বের লিংকঃ ২য় পর্ব
৩য় পর্বের লিংকঃ ৩য় পর্ব
৪র্থ পর্বের লিংকঃ ৪র্থ পর্ব
৫ম পর্বের লিংকঃ ৫ম পর্ব
৬স্ঠ পর্বের লিংকঃ ৬ষ্ঠ পর্ব
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি। ভালো থাকবেন।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: অনেক দিন পর আসলেন, পুনরায় স্বাগতম।
ভাল পোষ্টে +++
সবাই ভাল আছে তো ??
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ প্রচন্ড কাজের চাপ। কোম্পানীর ফাইনান্স অডিট চলছে। এক সেন্টের হিসাব ও ওদেরকে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। আমার সাইট "সিঙ্গাপুর টেকনোলজিস মেরিন লিমিটেড" এর পাইপিং এর ইনভয়েচ এর হিসাব। কোটি কোটি ডলারের কারবার। দৌঁড়ের উপর আছি।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোস্ট অনেকের কাজে লাগবে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১০
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১
বটের ফল বলেছেন: অনেক উপকারে আসবে। এমন কিছুই খুজছিলাম আমি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ++++++++++++++++++++++
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ। নিয়ে নিন, সেভ করে রাখুন।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো একটা সিরিজ
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
ভিটামিন সি বলেছেন: প্রায় শেষ করে এনেছি। লিখিত শেষ, এইবার ভাইবা আর জরিমানা।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৪
একলা ফড়িং বলেছেন: বাহ! চমৎকার একটা সিরিজ। অনেকদিন পরে দেখলাম!
প্রিয়তে এবং প্লাস!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
ভিটামিন সি বলেছেন: ধনবাদ আপনাকে। আপনি কি ব্লগে বাইচ্চ্যা আছেন? এখনো একলা কেরে? দোকলা কই?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল পোস্ট
শুভ কামনা