![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গান্জ্যাখুরি বিষয় নিয়া তর্ক করার আগে বলে দিলে গাজা খেয়ে এসে গল্প করবো।যুক্তি হইল দুনিয়া চলে physics chemistry mathematics দিয়া। যদি এই যুক্তি না চলে তাহলে একটু বস আমি গাজা খেয়ে আসি খোলা বাতাসে।
ঐদিন এক আবালের সাথে কথা কইতাছিলাম। মানে আমি তারে আবাল ই ভাবি! বি.বি.এ পইরা বহুজাগতিক প্রতিস্ঠানে চাকুরী করে। তার এক কলিগ নাকি নিজে মুসলিম হইয়া বাচ্চার হিন্দু নাম রাখছে। যেহেতু আবালটা আমার দোস্ত তাই তারে জিগাইলাম রাখছে তো তোর সমস্যা কি!?
আবাল - সমস্যা কি মানে! ওয় মুসলমান, আমাগো একটা নিয়ম আছে না?
আমি - নিয়ম মানে কালচার এর কথা কস্।
আবাল - হ তাই। কিন্তু কালচার হিন্দু রা কয়। আমাগো হইলো কুরানের নিয়ম।
আমি - তোরে কে কইছে বি.বি.এ পড়তে? আল্লার লাইনে গেলি না কেন!
যাইহোক আবালরে জিগাইলাম যে তার নাম ইসলামিক কিনা? আবালটায় কইলো, 'হ'। তোরে কে কইলো তোর নাম ইসলামিক। ক্য় তার নানায় রাখছে কুরান ঘাইটা। আমি কইলাম তোর নাম তো ইসলামিক না তোর নাম আরবি। আমার নামও আরবি (তয় ডাক নাম বাংলাভাষার থেইকা নেওয়া )। কইলাম তোর বাপরে ইংলিশে ডাকলে কেমনে ডাকবি। ক্য় কেন ফাদার। আমি কই বাংলায় কি কইবি। কইলো আব্বা। কইলাম বাবা কইবি না। কয় কমুনা কেন? বাবাও তো ডাকি। হিন্দুরও তো বাবা ডাকে। বাবা ডাক তোর হিন্দু মনে হ্য় না। কয় নাতো মনে হ্য় না।
কইলাম তোর কলিগ যে হিন্দু নাম রাখছে তার অর্থো বুঝা গেছে। কইলো হ বুঝুম না কেন, বাংলা নাম ই তো। আবালটারে তখন কইলাম তোর হিন্দু নাম তাইলে বাংলা নাম। কইলো হ। তুই আমি যে কথা কইতাছি এইডা হিন্দু ভাষা হইতাছে না? ক্য় না তা কেন হইবো। আমার দোস্ত নিজের পোলার নাম রাখছে আরবি ভাষায় ইসলাম মনে কইরা।
কইলাম এই ভারতবর্ষে ইসলাম আসার আগে অন্য ধর্ম আছিলো জানোস তো না? ক্য় হ। আমি কই হিন্দু, বৌদ্ধ মুলত এই আছিলো। বাংলাভাষা যে সনকৃত থেইকা আইছে জানোস? কয় হ বাংলার বূৎপত্তি তো পড়ছি। এহন ক তোর কলিগ বাংলা নাম তোর কাছে হিন্দু লাগলো কেন আর কেন আরবি তোর কাছে মুসলমান মনে হ্য়?
আমি আরো কইলাম মধ্য-প্রাচ্যে যে আরবি ভাষা এইটা ইসলাম আসার আগেো আছিলো মানোস। কিছু কয় না আবালটায়। ঐদেশে মুসলমান বাদেও যে বাকি সব ধর্মের মানুস আল্লারে আল্লা কয় জানোস। বাংলায় যেমন ইশ্বর, ভগবান, সৃস্টিকর্তা ক্য় তেমনি মধ্য-প্রাচ্যে সব ধর্মের মানুষ আল্লারে আল্লা কয় কারন হিব্রু ইলাই টু আল্লা, যেমন সনকৃত টু বাংলা। আরও কইলাম হিন্দি উর্ডু আরবি এই ভাষা সব একটা আরেকটার লগে জড়িত। খালি আগে আর পড়ে এই যা। বাংলাদেশের মানুষ হইয়া তোর আরবি ভাষার জন্যে এত কইলজা পুরে কেন?
খোদাহাফেজ না কইয়া আল্লাহাফেজ কইলে নেকি বাড়ে আর হি্ন্দুরা নাকি খোদাহাফেজ কয় বইলা একটা চল উঠছিলো। এই কথোপকথন অনেক আগের। আইজ কাইলের মধ্যে হইলে কল্লা ফালাইয়া দিতো মুমিনরা।
বাংলাদেশের মানুষ। নাম হইবো বাংলায়। নাম রাখে আরবি, চলন বলন আরবি করবার চায়, মাথায় পাগড়ি, মাইয়াগো বুড়কা এমনে আবার বাংলাদেশ লইয়াও চিন্তা করে। সারাক্ষন একটা চারটানার মধ্যে থাকে। নিজের হাজার বছরের কৃস্টি কালচার রাইখা আরবি কালচার লইয়া টেনশনে থাকে। এর মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী, আহমদিয়া, শিয়া, কাদিয়ানী দেখলে মাথা গরম হইয়া যায়।
আবালগুলা বুঝে না যে নিজে আসলে চৌদ্দ জায়গা থেইকা মারা খাইয়া আজকের এই জা্যগা্য আইছে। আইজ ধর্মের উছিলা দিয়া যখন ভেজাল করে তখন ভুইলা যায় তার পূর্বপুরুষের কেউ ঐ ধর্মের আছিলো। যুদ্ধের উছিলায় গলায় ছুরি ধইরা কনভার্ট করছে।
মুমিনগো হাজারটা সমস্যা.....
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৭
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: অনুকরন না হনুকরন
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:২৮
বাবাজান বলেছেন: ঐ স্ব-বাল মুখ সামলে কথা বল....!
নয়তো তুই হবি বড় আবাল
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৯
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: তোমার মত নেড়ি ছাগুগো জোকের মুখে লবণ পড়ার মত মোছড়াইতে দেখলে মনে হ্য়, না: লেখা ঠিক আছে।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
সজীব মোহন্ত বলেছেন: ধার্মিকরা সব সময় বিনোদনের উৎস, তা সে যে ধর্মের হোক।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৩
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: বিশ্বাস যখন বুদ্ধি-বৃত্তির জায়গা নেয় তখন সাময়িক বিনোদন হয়, কিন্তু পরিশেষে তা অত্যাচার এই পর্যবেশিত হ্য়
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
আশাবাদী অধম বলেছেন: ভাষার শ্রী ই বলে দিচ্ছে কে আবাল। কে ব্লগে না এসে হালচাষ করতে গেলে ভালো করত।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৪
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: আরবি ভাষাটা তাইলে খুব ঠিক আছে?
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
আশাবাদী অধম বলেছেন: ভাষার শ্রী ই বলে দিচ্ছে কে আবাল। কে ব্লগে না এসে হালচাষ করতে গেলে ভালো করত।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৬
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: আরবি ভাষাটা তাইলে খুব ঠিক আছে? আর হালচাষ ও করছি। যেই ভাত খাও তা হালচাষ করার পরই আসে, বুঝলা মুর্খ।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
শিরোনামেই তো সমস্যা।
মুমিনদের ঝামেলা হাজারটা থাকে না। অন্ধদের হাজারটা ঝামেলা থাকে। অন্ধ আস্তিক বা অন্ধ নাস্তিক - এই দুই দলের হাজারটা সমস্যা থাকবেই।
যারা একটু বিচার-বুদ্ধি করে চলতে পারে - তারা ধর্মভীরু বা ধর্মবিদ্বেষী যাই হোক না কেন - তাদের কোন সমস্যা হবে না কাউকে নিয়ে।
আর, আপনার পোস্টের লেখা পড়ে আমার আপনাকেও আবালের থেকে কম মনে হচ্ছে না। আপনি জানার ভাব করেন অনেক কিন্তু আসলে কোন দিক সম্পর্কেই অতটা জানেন না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাস ব্যাক্তিগত বেপার, যতদিন মুমিনরা নিজের ব্যাক্তিগত বেপার নিয়া আরও দশজনের লগে আলাপ করব ততদিন মুমিনগো হাজারটা সমস্যা থাকবে। চারদিকের এত মুমিনের মাঝখানে মানুষ হইয়া অত্যাচারিত হওয়ার থেইকা আবাল হওয়াটাই মুক্তির পথ মনে হয় আজকাল, কিন্তু এখনও মানুষ আছি এইটাই ভরসা।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আজকে খুবই দরকারী ও ভালো কমেন্ঠ করেছেন।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৩০
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনারে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীদের বিরাট অংশ এখনো বানর, যা দেখে অনুকরণ করতে চায়।