![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক তো হল বোঝাবুঝি,
অহ নিশি ভোর সুখ খোঁজাখুঁজি-
দিগন্ত সূর্য মিশে,
খেরো খাতার হিসেব শেষে,
একঘেয়ে কবিতার প্রত্যাবর্তন,
মিছেমিছি কানামাছি,
হইহই হট্টগোল, বিরান জীবন।
এভাবেই বয়ে যত দিনরাত ক্ষণ,
উত্তাপ মুছে গিয়ে ক্লান্ত বদন,
একাকি অন্ধ ঘোর-
তবুও দেখেছি লাল দিগন্ত, রক্তজবা ভোর-
দেখেছি সুর্য, নাগরীর বাহুডোর।
ফুলশয্যা সেতো
কবিতার পাতায় এঁকেছিল কবি,
তুলতুলে পেলব মায়াবী,
লাল নীল জলরঙ ছবি।
জানি মিথ্যে নয় সবি-
ছুঁয়ে দেখি, শ্বাস নেই,
বুকের গহীনে জ্বালি ধিকিধিকি রবি।
তবুও বদ্ধ দেওয়ালে আঁকা মেকি সুখ যত,
শুকিয়ে ঝরে যায় ঝরাপাতা মত,
আনমনে রংতুলির কেটে যাওয়া দাগ,
আমাকে বলেছিল, শহর সে আমারি থাক।
আসল রঙের ঢং দেখবে যদি,
ঘুরে যাও সাগর চর বহতা নদী।
নগর জীবনে যত ফেরারীর গান,
সব ভুলে মেখে নাও সমুদ্রচারী স্নান।
কথা শুনে ভাবি-
জলছবি আঁকি,
প্রবালদ্বীপের তলে সমুদ্র অমরায়,
নোনা জলে ফিন ফিনে ফেনিল ধারায়,
চিকচিক করে ওঠা অভ্র নীল ঢেউ,
দেখেছে অনেকে আগে, আঁকেনি তো কেউ।
নিপাট ভদ্রবেশী ঝিনুকের খোলসে-
আহা! কি শ্লথ মাংসাশী সৌন্দর্য ঝলসে!
ইরাবতীর নরম পেলবতর কাঁধে
সমুদ্রের সুতীক্ষ্ণ চুম্বন ভর দুপুর সাঁঝে,
উড়ন্ত গাঙচিল ডানায় রোদেলা গন্ধ,
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মরি প্রানে একি ছন্দ!
সুখের ফুটন্ত জলদ, ছুঁয়ে দেখি ক্ষণ,
আহ! কি হিমেল পরশ, মুদি ক্লান্ত দু-নয়ন!
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।
কবিতা পাঠে ও প্রথম কমেন্টে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শেষটা খুব শক্তিশালী। +
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
শক্তি দিয়া লেখছি, শক্তিশালী তো হবেই। হা হা হা।তবে যে কোন কাজে শেষের দিকে শক্তি একটু বেশি খরচ করতে হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শেষটা খুব শক্তিশালী। +
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমার আগের কবিতার ব্যাপকতর ঘষামাজা হয়েছে। সময় হলে দেখে নিয়েন রাজপুত্র ভাই।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
অবনি মণি বলেছেন: এভাবেই বয়ে গেছে যত দিনরাত ক্ষণ,
উত্তাপ মুছে গিয়ে ক্লান্ত বদন,
একাকি অন্ধ ঘোর-
তবুও দেখেছি লাল দিগন্ত, ভোর-
দেখেছি সুর্য, নাগরীর ডোর।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ। আচ্ছা আপনি ১৮+ তো। নইলে কিন্তু বিপদ ঘটে যাইতে পারে। ভাগ্যিস নিচের লাইন গুলা তুলে দেন নাই। নাইলে তো গেছিল
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ!
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাই জীবন আলেখ্য, বা এর কাছাকাছি কিছু
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জীবনের এত রঙ, এত সাতকাহন আসলেই বর্ণিল। তাকে উপভোগ করতে হয়, সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে হয়। বদ্ধ ঘরের মাঝে জীবনপথরেখার অবসান হোক তা চাই না। জীবন কিলবিল করে উঠুক পদ্মার পাড়ে, সাগরের তীরে, খালে বিলে সর্বত্র। জীবনের,ডানায় ভর করুক আরেক জীবন।
কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার!
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: দারুন একটা কবিতা!!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
শুকিয়ে যাওয়া মরা গাঙে জীবন ক্ষয়ে যাক তা চাইনা, জীবন সাতার কাটুক পুর্নিমার রাতে সুবিশাল সুমুদ্দুর বুকে, ঝিরঝির বাতাসে ভাসুক শিমুল তুলোর মত।
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ বিলি ভাই।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:২৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কবিতায় লাইক!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতায় ঠুকে লাইক মেরেছেন দেখে মনে হলি শুরু হয়ে গেল। সাথে একটা রাজস্থানি গানও হচ্ছে-
https://youtu.be/dGR2rA-engk
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮
নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগলো । ++
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
নাবিকের হিসেবের খাতা খুলে দেখেছি জীবনপথের বাঁকে অনেক সাধ অনেক গন্ধ নেওয়া বাকি রয়ে যায়। আতলান্তিকের নোনাপানির নেশা বুদ হয়ে থাকা গাঙচিল ডানায় উড়ন্ত জীবন শহরের ইটকাঠ পাথরের নিচে আর্তনাদ করছে। মুক্তি পাখির মত সমুদ্র অবগাহন, সেকি শুধুই কবিতায়?
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ নীলপরি। ভালবাসা জানবেন।
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
শরতের ছবি বলেছেন:
নিপাট ভদ্রবেশী ঝিনুকের খোলসে-
আহা! কি শ্লথ মাংসাশী সৌন্দর্য ঝলসে!
ইরাবতীর নরম পেলবতর কাঁধে
সমুদ্রের সুতীক্ষ্ণ চুম্বন ভর দুপুর সাঁঝে,
উড়ন্ত গাঙচিল ডানায় মাতাল মৃদু গন্ধ,
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মরি প্রানে একি ছন্দ।
সুখের ফুটন্ত জলদ, ছুঁয়ে দেখি ক্ষন,
আহ! কি হিমেল পরশ, মুদি ক্লান্ত দু-নয়ন।
আহ ! কী দারুন লেখনি । এ যাপত কালের সেরা কবিতা , অন্তত আমার কাছে । জীবনের সব কথা এখানে আছে । জীবনের সত্য কাহন । জীবনকে উপভোগের কথা এসেছে । প্রকৃত উপভোগ যে প্রকৃতিকে ভালবাসা ছাড়া সম্ভব না তাও দেখানো হয়েছে ।
ধন্যবাদ কবি ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আহ ! কী দারুন লেখনি । এ যাপত কালের সেরা কবিতা , অন্তত আমার কাছে ।
আমার সৌভাগ্য!
কবিতাকে আপনার এতকাছে নিতে পেরেছি দেখে তৃপ্ত হলাম সেই সাথে কবিতার প্রতি আপনার অনুরাগ দেখে আপ্লুত হলাম। ব্লগে আরো সুন্দর সুন্দর লেখা আছে। জী এস ভাইয়ের কবিতা, দিশেহারা রাজপুত্র ভাইএর কবিতা, এরপর সুমন ভাই, নীলপরি, বিলি ভাই, জনাব খায়রুল ইসলামের ব্লগ দেখতে পারেন। যাক গে বেশি কবিতা পড়ুন চর্চা করুন। জীবনের সুখ, দুঃখ, আনন্দ অনুভূতি তুলে ধরুন। জীবনকে উপভোগ্য করুন। অন্যের জীবনে রঙ ছড়িয়ে দিন।
শুভকামনা জানবেন। এভাবে দিল খোলা প্রশংসা করে যে সন্মান দিয়ে গেলেন তার যোগ্যতা আমার আছে কিনা জানি না। ধন্যবাদ!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: জনাব খায়রুল ইসলামের ব্লগ দেখতে পারেন।
আমি দুঃখিত শরতের ছবি। উক্ত ব্লগার, কবির নাম জনাব খায়রুল আহসান। আর উনি চমৎকার কবিতা লেখেন।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার এবং সুন্দর।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুপ্রিয় কবি ও গল্পকার,
কবিতা পাঠে ও আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি লাগছে। ভাল থাকুন সে কামনা নিরবধি!
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুগভীর জীবনদর্শন! ভালো লেগেছে খুব!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জীবনের গভীরতায় দর্শন খুঁজতে গিয়ে চাষাভূসাদের দেখেছি, মাটি ও কাদার মত কিছু মন আছে। জীবনের উত্তাপ উপভোগ করার মত স্বল্প পয়সার কিছু সিজনাল ফসল আছে। তারাই জীবনকে উপভোগ করছে। শহরের মধ্যে সবি আছে। কিন্তু উপভোগ্য নয়। সবকিছুতেই কেমন একঘেয়েমি, বিরক্তিভাব, নীরসতা। সবুজের হাহাকারে চোখের সুখ চুরি করে নিয়েছে হলুদ ল্যাম্পপোস্ট।
আজ সময় হয়েছে উলটোরথ বসে সমুদ্রচারী হবার।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৪
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রতিটি শব্দ চয়ন এবং বাক্যমালা সুন্দর হতে আরো সুন্দর ----- শুধুই মুগ্ধতা
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতাকে এভাবে অনুভব করার জন্য ধন্যবাদ!
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ।
১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বরাবরের মত অনুপ্রাণিত হামা ভাই। মানব জীবনের বিশ্লেষণ উপভোগ করছি নিজের মত।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,
এবার জলকাব্যের মতোই বয়ে গেছে অভ্র নীল ঢেউ তুলে । অনেক ছন্দময় ।
আসলেই জীবনের খেরো খাতার হিসেব শেষে দেখা যায় নিপাট ভদ্রবেশী ঝিনুকের খোলসে আমরা শুধু "কানামাছি" ই খেলে গেছি !
একটি দু'টি জায়গাতে একটি ভাবতে বলি --- বুকের গহীনে জ্বালি ধিকিধিকি রবি।
এখানে জ্বলেধিকিধিকি রবি হতে পারে কিনা !
আর এখানে ---উড়ন্ত গাঙচিল ডানায় রোদেলার গন্ধ ।
এখানে শুধু রোদেলা হলে মানানসই হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুপ্রিয় জী এস ভাই, আপনার কমেন্টে লেখা দ্বিতীয় বানানটি শুধরে নিলাম। প্রথম বানানটি এমনি হবে মনে হয়। কারন এখানে প্রযোজক ক্রিয়ার আমি রয়েছি।
জানি মিথ্যে নয় সবি-
ছুঁয়ে দেখি, শ্বাস নেই,
বুকের গহীনে জ্বালি ধিকিধিকি রবি।
নিজেই জ্বালি রবি। সে রবি হতে পারে ভালবাসার, মুক্তির, আনন্দের আরো অনেক কিছুই। এ রবি নিজের শক্তিতে জাগ্রত করে তবেই তো সব কিছু ভুলে চলতে হয় বহুপথ দূর। জীবনের পাতায় যে রঙ তা কানামাছি বা লুকোচুরি নয়, বরং প্রকৃতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রানে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুতে সঞ্চিত। তাকে খুঁজে নিতে হয়। তার সৌন্দর্যময় রূপ দেখার জন্য আত্মনিষ্ঠ হয়ে মনের রবি জ্বালিয়ে খুঁজে নেওয়ার মাঝেই জীবনের স্বার্থকতা।
আপনার সাথে মত বিনিময়হার, এই ক্ষুদ্র লেখকের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। অনেক অনেক শুভকামনা!
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২১
শরতের ছবি বলেছেন:
জী এস ভাইয়ের কবিতা, দিশেহারা রাজপুত্র ভাইএর কবিতা, এরপর সুমন ভাই, নীলপরি, বিলি ভাই, জনাব খায়রুল ইসলামের ব্লগ দেখতে পারেন । -------উপদেশটা ভাল লেগেছে ।
আমি অবশ্য ব্লগে এসেই তাদের কবিতার সাথে পরিচিত হই। আপনিও সেই মাপেরই কবি । কারো চেয়ে কম নন । কিছু কিছু কবিতা কবির চেয়েও বড় হয়ে যায় । সৃষ্টির মাধ্যমেই মানুষ বড় হয় ।কবিরাও তাই ।
কিছু কিছু কবিতা মনে গেঁথে যায় ,চিরকাল তাই থাকে..................
যেমন--
আমার আসিব ফিরে .............
তুমি যাবে ভাই..................
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ................
হাজার বছর পথ হাঁটিতেছি আমি পৃথিবীর পথে ............
ঐখানে তোর দাদীর কবর .................
আমি জন্মেছি বাংলায়.........।
স্বাধীনতা তুমি .........
আম্মা বলে পড়রে সোনা .................
আমার মায়ের সোনার নোলক ........
ইত্যাদি ।
আরো আছে আমার প্রিয় । সব এখানে বলছি না ।
এই কবিতা মানুষের হৃদয় দখল করে নিয়েছে । এই সৃষ্টি গুলোই তাদের বড় করেছে । তাই কবির নাম বড় নয় তাদের সৃষ্টিই তাদের সামনে এগিয়ে নেবে ।এই কবিতা গুলো সবারই প্রিয় ।সাধারণ মানুষও জানে । ভাষাও মধুর ,যার ফলে এগুলো সাধারন্যেও সমাদৃত । অনেক সময় দেখা যায় তারা কবির নাম ভুলে গেছে বা জানে না ।
কবিতা এমনই হওয়া চাই যা কাল কালান্ত বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুপ্রিয় শরতের ছবি, অনুরোধ আমলে নিয়েছেন দেখে খুবই ভাল লাগছে। কবিতাদের তুলনা নেই। হয়ত ভাষা ভাব, সুর, মনে টংকার, ব্যাকরণ ইত্যাদি বিষয়ের উঠা নামার মাপকাঠিতে বিচার করা যায়। কিন্তু আমার মতে প্রতিটি কবিতার একটি বলয় থাকে। সেখানে কবিতার একটি নিজস্ব জগৎ থাকে। সেটি পাঠকের নিকট কতটুকু অনুভূত হল সেটাই আসল বিষয়।
আপনি যে কবিতা গুলোর কথা বলেছেন সেগুলো কালজয়ী। পাঠকের কাছে সেই কবিতার বলয় স্পষ্ট, হৃদয়স্পর্শ করা মনোহর।
আপনি ঠিক বলেছেন। এই কবিতাগুলো আমাদের হৃদয় দখল করে রেখেছে। বর্তমান কালেও এসব কবিতার আবেদন কমেনি। কমবে না কোন কালেই।
যে প্রশংসা করে গেলেন তার মর্যাদা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব। শুভকামনা শরতের ছবি। ভাল থাকুন।
১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুন বলেছেন: কবিতায় কি লিখেছেন জানি না ভ্রমরের ডানা, তবে ইরাবতী নামটি আমাকে টেনে নিয়ে গেল অনেক সুদুরে। বড় প্রিয়নাম ছেলেবেলা থেকেই যখন আমি এটলাস খুলে পৃথিবীর সব নদীর নাম পড়তাম তখন থেকেই ইরাবতী ছিল প্রথম ভালোলাগা, তারপর বিপাশা, তারপর দানিয়ুব।
কবিতায় প্লাস।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতায় কিছুই নেই আপু। হিসেবে সব শুন্য। সে কথা থাক। ইরাবতী এক নদীর নাম তবে ইরাবতী নামের ডলফিনও আছে। এই ডলফিন গুলো আমাদের সমুদ্রে দেখা যায়। দানিয়ুব, বিপাশা নাম গুলো খুব সুন্দর। তবে রাশিয়ার ভলগা আর অস্ট্রেলিয়ার মারে ডার্লিং নাম গুলোও কম নয়। আপনার জন্য একদল ইরাবতী ডলফিনের ছবি-
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
অদৃশ্য বলেছেন:
কি মুশকিল! ... খুব বেশি মন ছোঁয়া টাইপের হয়ে গেলো...
শুভকামনা...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আহা! কি মুস্কিল। কবিতা কি কাশফুলের নরম ছোঁয়া টাইপের হল নাকি! ঠিক আছে ভাই এরপর একটু বালু আর পানি মেশায় দিব।
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
অদৃশ্য বলেছেন:
যখন সমুদ্র বিলাস করছি তখন তা বালি আর জল ছাড়া সেটা আপনি ভাবলেন কি করে!... বালি, জল, ঢেউ, রৌদ্র, ঝিনুক খোসা, তাতে কাটা পা, প্রবাল, তার গায়ে লেগে থাকা রক্ত, মহনীয় শব্দ আর সাথে দিগন্ত... এই সব মিলিয়েই মন ছোঁয়া টাইপের হয়ে গেলো... আর হ্যাঁ, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আপনি মিশ্রণের পরিবর্তন আনতেই পারেন...
শুভকামনা...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার, কবিতায় জলছাপ আকারে জীবনের গান গেয়ে যেতেই এই জলকাব্য। হয়ত তেষ্টার সম্পূর্ণতা আসবে হয়ত আসবে না। হাজারো সমুদ্র বিলাসী মনের হাজারো আবেদন, হাজারো প্রকাশ অনুভূতি। এটাই জীবন। মিশ্রনের পরিবর্তন জীবনেও আছে, কবিতায়ও থাকবে। কবিতায় এসে এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন সে জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। মৃদু ঠাট্টা ছলে বলেছিলাম জল বালুকার কথা। যাক গে, কবিতা আপনার মন ছুঁয়ে দিতে পেরেছে এটাই সৌভাগ্য।
শুভকামনা! ভাল থাকুন নিরবধি!
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪২
নিতান্ত অদ্ভুত বলেছেন: "চিকচিক করে ওঠা অভ্র নীল ঢেউ,
দেখেছে অনেকে আগে, আঁকেনি তো কেউ।"
অসাধারণ লিখেছেন। মুগ্ধ করার মত কবিতা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এত সুন্দর করে কবিতাকে উপলব্ধি করার জন্য কবিতার অবয়ব বলয়ে পোঁছে যেতে হয়। সে জন্য শক্তিধর হতে হয় না, হতে হয় বালুকণার মন নরম মনের। আর সে মনের থাকতে হয় সমুদ্রজলে আবগাহনের প্রচন্ড ইচ্ছে শক্তি। সেটি আপনার কমেন্টেই বলে দিলেন।
কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ।
২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার শিরোনামে একটি চমৎকার কবিতা!
সুখের ফুটন্ত জলদ, ছুঁয়ে দেখি ক্ষন -- এখানে ক্ষন কথাটা কি ক্ষণ হবে?
কবিতার প্রতিটি স্তবকই খুব সুন্দর, যেন একেকটি আলাদা কবিতা। তবে প্রথম, তৃতীয় আর শেষ স্তবক তিনটে অসাধারণ হয়েছে।
পুরো কবিতা জুড়ে 'অভ্র নীল ঢেউ' এর জলছবি আঁকা। ফেনিল ঢেউ এর হিমেল পরশ মনের দেয়াল ছুঁয়ে যায়।
তবে যে কোন কাজে শেষের দিকে শক্তি একটু বেশি খরচ করতে হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম। - চমৎকার বলেছেন (২ নং প্রতিমন্তব্যে)।
জনাব খায়রুল ইসলামের ব্লগ দেখতে পারেন (৯ নং প্রতিমন্তব্যে)-- নিশ্চিত নই, আমার কথাই বলেছেন কিনা। যদি তাই বলে থাকেন, তবে নামটা সংশোধনের প্রয়োজন আছে।
বুকের গহীনে জ্বালি ধিকিধিকি রবি (১৪ নং মন্তব্য) -- চরণটি ঠিকই আছে বলে আমার মনে হয়েছে।
কিন্তু আমার মতে প্রতিটি কবিতার একটি বলয় থাকে। সেখানে কবিতার একটি নিজস্ব জগৎ থাকে। সেটি পাঠকের নিকট কতটুকু অনুভূত হল সেটাই আসল বিষয়। (১৫ নং প্রতিমন্তব্য) -- চমৎকার বলেছেন।
ছেলেবেলা থেকেই যখন আমি এটলাস খুলে পৃথিবীর সব নদীর নাম পড়তাম তখন থেকেই ইরাবতী ছিল প্রথম ভালোলাগা, তারপর বিপাশা, তারপর দানিয়ুব (১৬ নং মন্তব্য) -- ব্লগার জুন এর এ তালিকাটা আমারও প্রিয়। ভূগোল আমারও প্রিয় বিষয় ছিল। তবে এর সাথে আরো দুটো নাম যোগ করতে পারি, ভলগা আর লীনা (অথবা লেনা)।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এ পুরোনো কবিতায় এসে আপনার মুগ্ধকর মন্তব্য পেয়ে মন ভরে গেল। কবিতার বানান গুলোতে কিছু ভুল ছিল। সাথে আপনার নামের বিবরণে ভুল, সে জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি!
কবিতার প্রতি স্তবকে স্তবকে ভ্রমরের মত গন্ধ শুঁকে যে ভাললাগা প্রকাশ তাতে আমি উচ্ছাসিত! সেই সাথে মন্তব্য ব্যবচ্ছেদ দেখে দারুণ বিস্মিত! এমন করে কেউ ব্লগ পড়ে না, যদি পড়ে তো মন্তব্য করে না।
যাকগে ভুগোল আমারো প্রিয়। তবে দ্রাঘিমা আর অক্ষরেখার যাবতীয় বিভ্রাটে সে মনে ঠায় নিয়ে দেরি করেছে। তবে আল্পস থেকে হিমালয়ের জগৎ মন কেড়েছিল। আক্ষেপ শুধু ঘুরা হল না। নদ নদী সবার প্রিয়। ভলগা আর লীনা বেশ সুন্দর নাম। রাশিয়ার বক্ষদেশে ভলগার নাভিকূপ, এটাই জানি আর কিছু নয়। তবে গঙ্গা থেকে কুলিকের জলে গাহন করেছি। স্বচ্ছতা নয়, তার হিম হিম ছোঁয়ার পরশে ভুগোল আজ আমার অনেক প্রিয়।
কবিতা পাঠে ও অনুভবে আপ্লুত সুপ্রিয় লেখক!
২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
লাবণ্য ২ বলেছেন: অসাধারন! ক্যামনে লিখেন এমন হৃদয়ছোঁয়া কাব্য!
২৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
শুভ্র অনুভবে অনুপ্রাণিত করেছেন ভীষণভাবে! কবিতার নিমন্ত্রণে পাওয়া দুটি মন্তব্য কাব্যপ্রেরনা হয়ে রইল!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
পথহারা মানব বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে ++++