নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানিজ্য যুদ্ধ- চীন আমেরিকা আর কে কে? বাংলাদেশের কি হবে?

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৪



ইশ্বর কি চাহেন জানি না। শুধু দেখি রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে, উলুখাগড়ায়য় প্রানে মরে। এই আধুনিক যুগের এই যুদ্ধের দামামা বিশেষ করে বাণিজ্যপথের যুদ্ধে কেউ মরুক আর বাচুক তৃতীয় বিশ্বের উপর দিয়ে আসল খড়গটা যাবে বলে দিলুম। চীন আআমেরিকা পারমানবিক যুদ্ধ লাগলে আমি ভাবতাম না তবে বানিজ্য যুদ্ধ তাই ভাবছি। অনেকেই ভাবছেন চীন, আম্রিকা, কানাডা ইইউ লড়ছে আমাদের কি! ভায়া যত জাঁতাকল সব তার এই তৃতীয় বিশ্বের উপর। বানিজ্য যুদ্ধের প্রভাব পারমানবিকের থেকেও কঠিন ভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে পড়বে। বিশ্ব ব্যাংক আই এম এফ সকলের ধারক বাহক ইউরোপীয় আর আমেরিকানরা। ইহারা নিজের স্বার্থ দেখবে। আর তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন ঋণে সুদের হার ও চাপ বাড়বে।

ঘটনার সূত্রপাত হল তখন যখনি আমেরিকা ইস্পাতের উপর ২৫ পারসেন্ট আর অ্যালুমিনিয়াম এর উপর ১৫পার্সেন্ট ট্যাক্স বসিয়েছে। জবাবে চীন ৩০০ কোটি ডলারের আমেরিকান পন্যের উপর ট্যাক্স বসিয়েছে। ইইউ আমেরিকার হার্লি ডেভিসন মটরবাইক, হুইস্কি, কমলার রসের উপর ট্যাক্স ২৫ পার্সেন্ট থেকে শতভাগ করেছে। এতে আপাতত ৩ বিলিয়ন খসবে। ভবিষ্যতে সেটা আরো বাড়বে।

কানাডাও জি-৭ সম্মেলনের পর আর বসে নেই। বসিয়ে দিয়েছে ট্যাক্স। ফলে আমেরিকার হাসফাস অবস্থা শুরু হতে দেরি নেই। সেন্টার ফর পলিসির প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমানের মতে এতে বাংলাদেশ শুরুর দিকে বেশ লাভবান হবে। বানিজ্য যুদ্ধের ফলে চীন থেকে পোষাক আমদানি কমাতে পারে ইউ এস এ আর সাথে সাথে খুলে যাবে বাংলাদেশের ভাগ্য। কেননা চীনের পোষাক শিল্প ধাক্কা খেলে বাংলাদেশের জন্যে তা সুবর্ন সুযোগ। অপরদিকে ভিয়েতনাম টিপিপি সদস্য ফলে আমেরিকার পোষাক ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করতেও প্রচুর খরচ হবে। ফলে আমেরিকায় বাংলাদেশের পোষাক শিল্প একচেটিয়া বানিজ্য করতে পারবে বলে আশা করা যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন সন্দেহ নেই। কেননা আমেরিকায় মন্দা হলে তা দেশের পোষাক শিল্পের বাজারে ধাক্কা দেবেই। আর এটাই আমাদের বিকল্প বাজারের গুরুত্ব আরো স্পষ্ট করে তোলে।


যাকগে, আসল কথায় আসি। ট্রাম্প সাহেব আগে বিজনেসম্যান পরে প্রেসিডেন্ট। আর তিনিই কিনা এমন এক বানিজ্য যুদ্ধ শুরু করলেন যাতে ভেঙে পরতে পারে আমেরিকার বানিজ্য। ইতোমধ্যে মার্কিন শেয়ার বাজারে আগুন লেগেছে। আর সেটা ইউরোপ থেকে ছড়িয়েছে এশিয়া অব্দি। অর্থনীতির মূলে যে বিষবৃক্ষ গজিয়ে উঠছে তাতে ২০০৮ এর পর আরেকটি বিশ্বমন্দা শুরু হলে অবাক হবার কিছুই নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এই বানিজ্য যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন সন্দেহ নেই। আমেরিকার ইস্পাত শিল্প ও কিছু মানুষের চাকুরী বাঁচাতে যে প্রয়াস ট্রাম নিয়েছেন তাতে বলা যায় তিনি খাল কেটে কুমির এনেছেন। কেননা বহুদিনের মিত্র কানাডা ও ইইউ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি। আর এতে চীনের সাথে তার যে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য ঘাটতি তা কমার সম্ভবনা খুবই কম। কেননা আমদানি রপ্তানির এই যুগে চীনাদের বানিজ্য দাপটের বিরুদ্ধে তার উৎপাদন খাত বড়ই নাজুক।


কেননা, চীন থেকে প্রতি বছর আমেরিকার আমদানির পরিমান প্রায় ৫০৬ বিলিয়ন ডলার আর রপ্তানির পরিমান প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার।এই আমদানি বানিজ্যের ৬০ বিলিয়ন ডলারের পন্যের উপর আমেরিকা শুল্ক আরোপ করেছে।এতে হয়ত আমেরিকার স্টিল এবং এলুমিনিয়াম শিল্পের উপকার হতে পারে কিন্তু আদতে আমেরিকা ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।কারন চীনের পক্ষ থেকেও পাল্টা শুল্ক আরোপের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন যে দুই দেশের বানিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি স্বরূপ।দুনিয়ার দুই বৃহত অর্থনীতির এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারগুলু তাদের মুল্য হারাতে শুরু করেছে।এই বানিজ্য যুদ্ধে চীনের তেমন ক্ষতি হবে তেমন কেউ আশা করে না।কারন আমেরিকার সাথে বানিজ্যে চীনের জিডিপির ৩% জড়িত।আর আফ্রিকামুখী চীনের নির্মাণ শিল্পের কারনে সে তার স্টিলের বাজার খুঁজে নিতে পারবে।কিন্তু চীন যদি পাল্টা শুল্ক আরোপ করে তাহলে আমেরিকার ক্ষতিটা হবে মারাত্মক।কারন আমেরিকার সয়াবিনের বিশাল মার্কেট হল চীন।আছে ওয়াইন এবং স্ক্র্যাপ।

আমেরিকাকে চড়া মুল্য দিতে হতে পারে সয়াবিন এবং স্ক্রাপের ক্ষেত্রে।আমেরিকায় সয়াবিন শিল্পের সাথে জড়িত ৩ লক্ষ্য লোকের চাকরি এবং স্যািকা প শিল্পে জড়িত দেড় লক্ষ চাকরি।চীন প্রতি বছর ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের স্ক্র্যাপ আমদানি করে আমেরিকা থেকে।স্ক্র্যাপ ম্যানেজমেন্টে চীনের ধারে কাছেও দুনিয়ার কেউ নেই।চীন এটার আমদানি বন্ধ করলে এই বিশাল স্ক্র্যাপ ম্যানেজমেন্টে আমেরিকা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।চীন যদি এই দুই পন্যেও শুল্ক আরোপ করে তাহলে এই দুই শিল্প চরম পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।এছাড়াও চীনের বিমান সংস্থাগুলু আমেরিকান বোয়িং এর সাথে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিও বাতিল করতে পারে।যদি তাই হয় তাহলে বলা যায় দুনিয়া নতুন এক অর্থ যুদ্ধের মুখোমুখি।

এর বাইরে আমেরিকার অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখা ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বন্ডের মালিক হল চীন।যেটা আমেরিকাতে সুদের হার কম রেখে আমেরিকাকে গতিশীল রেখেছে।চীন যদি এটা ফেরত চায় সেক্ষেত্রে আমেরিকাকে চরম এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করাবে। কিন্তু এই দুই দেশের আসল সমস্যা হল ভিন্ন জায়গায়।আমেরিকা চায় চীন আমেরিকার সাথে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সেটা ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে আসুক।কিন্তু সেটা আসলেই সম্ভব নয়,প্রচলিত উপায়ে।তবে আমেরিকার কমার্স সেক্রেটারি আমেরিকার চাওয়া সত্যি কথাটি বলে ফেলেছেন।সেটা হল এই বানিজ্য ঘাটতি কমানো যায় যদি চীন আমেরিকা থেলে এলএনজি(গ্যাস) আমদানি করে।আমেরিকার এই বানিজ্য যুদ্ধের উদ্ধেশ্য পরিস্কার।চীন এই মাস থেকেই তার জ্বালানী মুল্য পরিশোধ শুরু করে ইউয়ানে।সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শুরু হবে পেট্রো ইউয়ানের ব্যাবসা। যেটা আমেরিকান ডলারের জন্য একটা চরম হুমকি বা আমেরিকার অস্তিত্বের জন্য হুমকি।আমেরিকা বানিজ্য ঘাটতির কারন দেখিয়ে চীন এই কর্ম থেকে বিরত রাখতে চায়। এখন দেখার বিষয় এই যুদ্ধ কোন দিকে যায়।কে জিতে এই যুদ্ধে,চীন নাকি আমেরিকা। তবে ট্রাম্প সাহেব গোঁয়ার্তুমি করে আরো ৫০ বিলিয়ন ট্যারিফ আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন তাতে চীনারা সয়াবিনের উপর শুল্ক বসিয়ে ঝালটা ঝাড়বে এটা নিশ্চিত। এই যুদ্ধে কে যে জিতবে আর কে যে হারবে সেটা বলা মুশকিল।

যেই জিতুক কিংবা হারুক না কেন এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে গোটা আমেরিকা ইউরোপ জুড়ে। আর সেই অবস্থার বলি হবে সেদেশের জনগন। কেননা তাদের উচ্চ মূল্যে অনেক জিনিস কিনতে হবে। এর প্রভাব পড়বে বাজার জুড়ে। পণ্য বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে বিভিন্ন দেশের শিল্পগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। ফলে বিভিন্ন দেশের কর্মসংস্থান, বানিজ্য, উন্নয়ন, অবকাঠামো, অগ্রগতি ব্যাহত হবে।

অনেকেই মনে করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে যদি বানিজ্য যুদ্ধ হয় সে ক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হবার সম্ভবনা রয়েছে। তাতে করে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলো এক ধরনের চাপে পড়বে। যা কিনা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ক্ষতি তো করবে তার সাথে সমাজ ব্যবস্থার উপর এক ধরনের খারাপ প্রভাব পড়বে। আর এতে করে বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো বানিজ্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির শিকার হবে এটা নিশ্চিত।


প্রতিকারের উপায়ঃ

১। ব্যবসার উদ্দেশ্য লাভ করা। আর সে জন্যেই সবাই বানিজ্য করে। আমেরিকা-চীন বানিজ্য ঘাটতি মেটাতে আমেরিকাকে নিজের উৎপাদন উন্নত করতে হবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

২। বিশ্ব জুড়ে যে বানিজ্য যুদ্ধ জুজু ছড়িয়ে পড়েছে তার সমাধান করতে বিশ্বব্যাংক ও আই এম এফ কে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

৩। ডাব্লিউ টি ও এর সকল নিয়মকানুন মেনে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য নিশ্চিত করতে হবে।

৪। পাল্টাপাল্টি বানিজ্য শুল্ক আরোপ অতিসত্বর বন্ধ করে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।

৫। বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন ইইউ, নাফটা, এপেক, আসিয়ান পর্যায়ে বানিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ও তার থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে বৈঠকে বসতে হবে।

৬। চীন ও রাশিয়াকে বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে এই বানিজ্য যুদ্ধের অবসানে ছাড় দিতে হবে।

৭। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মধ্যস্থতাকারী রূপে চীন-আমেরিকার বানিজ্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।

৮। আমেরিকাকে বানিজ্য যুদ্ধ নিরসনে অহেতুক শুল্কহার বাড়ানো বন্ধ করতে হবে।

কৃতজ্ঞতাঃ

মোস্তাক রিপন
কালের কন্ঠ
সমকাল
যুগান্তর
জনকণ্ঠ

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: আমি জানি না ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেস্টারা কারা!!!! কোন ডিসিশানের ভবিষ্যত কনসিকোয়েন্স কি হবে পারে তা মনে হয় তাদের জানা নেই। খুব সোজা একটা হিসেব, চীন তাদেরকে গোনায় ধরবে কিনা?? কেন ধরবে? মাত্র ৩% জিডিপি নিয়ে চীনের মাথা ব্যাথা কি আদৈা আছে???? না নেই কারন সারা বিশ্ব চীন বানিজ্যের উপর নির্ভরশীল তাই এক ট্রাম্পের ডিসিশানকে তারা থোরাই কেয়ার করে.......!!!!!!!!!!!!! মাঝখান থেকে উলুখড়গার জীবন যায় :((

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ট্রাম্পের উপদেষ্টারা ঝানু মাল। ইহারা কিছু একটা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ইহারা আমেরিকার জনগনকে গিনিপিগ মনে করে। না হলে এমন ভয়াবহ যুদ্ধ বাধিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারত না। এই যুদ্ধ কয়েকটা পারমানবিক বোমার থেকেও কম কিছু নয়। চীন অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী আর তাই তো আমেরিকার এতো ছিঁচকাঁদুনী। ট্রাম্পের মাথার ঘিলু দেখে আমি অবাক হই। চীনের সাথে বানিজ্য যুদ্ধ মানে পারমানবিক যুদ্ধ্বের থেকে কম কিছু না। বরং এটা আমাদের জন্যে আরো বিশাল আঘাত। পারমানবিক যুদ্ধ লাগলে আমাদের গায়ে তা লাগত না কিন্তু বানিজ্য যুদ্ধ লাগবে, ভাল করেই লাগবে।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্পের তেজ বেশি।
এই তেজের কারনেই তার পতন হবে।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

শুধু তার না রাজীব ভাই, আমেরিকার ওর্থনীতির আরো পতন হবে। ওটা একটা স্টুপিড।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

সিগন্যাস বলেছেন: জার্মানির কি অবস্থা?

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কি অবস্থা?

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

নতুন বলেছেন: এখন আমেরিকান সম্রাজ্য চলছে..... চীন যথেস্ঠ শক্তিশালী...তাই আমেরিকাকে অথ`নৈতিক ভাবে পরাস্থ করলেই চীনা সম্রাজ্য শুরু হবে....

এটার অপেক্ষায় আছি....

কিন্তু চাইনিজ সম্রাজ্য আমেরিকান সম্রাজ্যের চেয়ে খারাপ হবে বলে আমার মনে হয়।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
চীনা পলিসি নিষ্ঠুর মনে হলেও বিশ্ব শক্তি ভারসাম্য তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখবে। যুদ্ধবাজ আমেরিকা থেকে চিনারা ভাল হবে এটা নিশ্চিত।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮

শামচুল হক বলেছেন: দেখা যাক কার কি হয়।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমিও দেখি!

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: মূল ঘটনা চীনের ইউয়ানে মূল্য পরিশোধ।
ঠিক এই কারনে, ইরাক, আফগানিস্থান, ইরান, উত্তর কোরিয়া তাদের শত্রু।
চীন যদি এটা বহাল রাখতে পারে তবে যে কোন যুদ্ধ লাগা শুধু সময়ের হিসাব মাত্র।
ট্রাম্প একটা পুতুল।
আমেরিকার যে কোন প্রেসিডেন্টই পুতুল।
যাদের পৌরুষ ছিল তাদেরকে অপঘাতে মরতে হয়েছে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আসল কথাই বলেছেন! ধন্যবাদ!

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: মুল ঘটনা চীনের ডলারের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
খাটি কথা খাজা বাবা! ধন্যবাদ!

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০২

গরল বলেছেন: বাংলাদেশের হবে collateral damage।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: হতে পারে! কেউই বাদ যাবে না।

৯| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: জাপান, জার্মানী আর ইউকের কি অবস্হা?

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ঘুমে। ইউরোপ কিছুটা ঘোর কেটে ঘুম থেকে উঠল বলে!

১০| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: :( :(

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কি কমু আর..

|-) |-)
|-) |-)

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৩

রাকু হাসান বলেছেন: ভ্রমরের ডানা !
আপনার তথ্যবহুল পোস্ট অনেক কিছু জানলাম. :-B ..ট্রাম্প যা শুরু করছে ..উদ্ভট উদ্ভট সিদ্ধান্ত । প্রশ্ন হলো বাণিজ্য যুদ্ধে চীন কি পারবে যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের সাথে !

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলতে এখন শুধুই ইসরাইল। চীনের সাথে আমেরিকা যুদ্ধে যাবে না। গেলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:০৭

রাকু হাসান বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ের কিছু কাজ সত্যিই দীর্ঘ দিনের মিত্ররা ইতিবাচক হিসাবে নিতে পারে নাই । ওরা পল্টি নিতে সময় নেয় না । পরিক্ষিত মিত্র...বলা যায় না । মিত্রদের ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না । এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মিত্র নিবে বলেও মনে হয় না । কিচু দিন গেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ইইউ আমেরিকা বানিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। হা হা হা!

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

সিগন্যাস বলেছেন: ডানা ভাই চীনের অর্থনীতি যদি আমেরিকার দ্বিগুণ ও হয়ে যায় তবুও আমেরিকা সুপার পাওয়ার থাকবে।প্রতিবছর সারা বিশ্বে যে পরিমাণ প্যাটেন্ট হয় তার ৯০% আমেরিকার।আর বাকি ৯% ইউরোপের।শুধু ১% এশিয়ার।চীন কখনোই জ্ঞানেবিজ্ঞানে আমেরিকাকে ছাড়াতে পারবে না।কারণ চীনের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীরাই আমেরিকাতে কাজ করে।চীন বহু প্রযুক্তি আমেরিকা থেকে চুরি করেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



চীন কি জিনিস এমেরিকা এখন বুঝতে পারছে।চীনা প্রযুক্তি দুর্বল হলে ক্ষেপণাস্ত্র আর জংগী বিমান তৈরী করতে পারত না। হ্যা এটা ঠিক যে ওদের কিছু কপিরাইট ব্লেম আছে!



ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ট্রাম্প ব্যাবসায়ী ! ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত ! আমেরিকার পররাষ্ট্র আর বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত দীর্ঘ গবেষণা ছাড়া নেওয়া হয় না ! তাহারা নিশ্চয়ই ব্যাপক হিসাব নিকাশ করিয়া এই যুদ্ধে নামিয়াছে ! আমরা পপকর্ন লইয়া গ্যালারিতে বসিতে পারিলে ভালো হইত। তাহা বুঝি সম্ভব হইবে না !

২২ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


এবার পার পাবে না। কেননা চীন আর রাশিয়া একই পাতে ভাত খাচ্ছে। আর আমেরিকা বেছে নিয়েছে আইসোলেটেড নীতি! ইউরোপও তাদের সাথে নেই! বুঝুন অবস্থা!




মন্তব্যে শুভেচ্ছা!

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমেরিকার পাশে ভবিষ্যতের পরাশক্তি ভারত থাকবে।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আমেরিকার পাশে ভারত থাকলে চীনের পাশে পাকিস্তান ও ইরান থাকবে। ইরান থেকে ভারত তেল আনে। হিসাব আছে অনেক। ভারতকেও আমেরিকা চাপে রেখেছে ইরান থেকে তেল আনার জন্যে। এতো সহজে ভারত আমেরিকারর পাশে থাকবেনা। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্বার্থই আসল।

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই বানিজ্য যুদ্ধে আমেরিকার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। চীনের কিছুই হবে না। ট্রাম্পের মতো একশোটা বেকুব লোককে চোখে শর্ষে ফুল দেখানোর ক্ষমতা রাখে শি জিন পিং।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


এক্কেবারে খাটি কথা উস্তাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.