![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সোনার বাংলার ১৬ কোটি ভুদাইদের একজন
ট্রেনে যাচ্ছিলাম ঢাকা থেকে দিনাজপুর এক বিশেষ কাজে। দূরের কোথাও যেতে আমি সাধারনত ট্রেনটাকেই বেছে নিই যদি হাতে সময় থাকে। যাইহোক, আমার সামনের আসনে এক ভদ্রলোক বসেছিলেন। সাথে তার সহধর্মিনী। সুন্দর পোশাক আশাকে বেশ ধনীই মনে হচ্ছিলো। হবেও হয়তো। দেখলাম তাদের সাথে 25-30 ইন্চি এল সি ডি টিভি। সাথে ল্যপটপ। হয়তো বাড়িতে যাচ্ছে এসব নিয়ে। তাদের কথা বার্তায় এমনই মনে হলো। কাপলটাকে দেখতে বেশ সুইটই লাগছিলো।
তখন বিকাল গড়িয়ে গেছে। হঠাৎ এক হকার পত্রিকা নিয়ে আসলো। পত্রিকা পড়েন---------- মাত্র তিন টাকা-------------- চুপচাপ বসে না থেকে পত্রিকা পড়েন.......... ।
ভদ্রলোক হকারটাকে ডেকে একটা হাতে নিলেন আর বললেন “দুই টাকা দিবো দিবি?”
হকার জাবাবে বললো “স্যার আমরা গরিব মানুষ। পত্রিকা প্রতি আটআনা-এক টাকা করেই লাভ করি। এই দিয়েই সংসার চলে।”
তারপরে আমি অবাক হয়ে দেখলাম- ভদ্রলোকটি সত্যি সত্যিই দুইটাকা বের করে দিলেন।
হকার আবার বললো- ‘স্যার আমরা গরিব মানুষ। একটাকা কম দিলে তো আমাদের পেট চলবে না। একটা টাকা দেন স্যার”
জনাব ভদ্রলোক কিছু না বলে পত্রিকা পড়তে পড়তে শুধু হাত দিয়ে ইশারা করে চলে যেতে ইঙ্গিত দিলেন।
হকার কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে চলে গেলেন। ------ এই পত্রিকা লাগবে..... পত্রিকা।।।।।।।
হকার চলে যাবার পর ভদ্রলোকটি তার স্ত্রীকে বললেন - ’দেখলা পত্রিকাটা একটাকা কমেই কিনে নিলাম’
>> তিনি হয়তো বুঝতেই পারেন নাই যে একজন হকার তাকে একটাকা ছদকা দিয়ে গেলেন।
আমি নিজে নিজে ভাবলাম>>
আমাদের সমাজে আসলে এমন টাকার মালিক ভদ্রলোক অনেক আছে। কিন্তু দুইটাকার গরিব পত্রিকা ব্যবসায়ী অনেকটাই কম। পরক্ষনেই আল্লাহর কাজে পার্থনা করলাম যেন ধনী এল সি ডি টিভির মালিক না হয়ে পত্রিকার হকার হতে পারি।।
ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম মাত্র। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
ভুদাই আমি বলেছেন: ভাই, আপনাকে আঘাত করার জন্য বলি নাই। ওরা আসলে অভাবী মানুষ। তাই একটু কেচ কেট করে। আমারও মাঝে মাঝে প্রচন্ড রাগ হয়। ব্যটা বসে আছে কিন্তু যাবে না।
পরক্ষনেই মনে হয় ওরাও তো মানুষ। আমরা সারাদিন এসি রুমে বসে থেকে বাসায় এসে রেস্ট নিই আগে। আর ওরা সারাদিন রোদের মাঝে রাস্তায় রাস্তায়...............
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কয়েক দিন আগে আমি আমার ছোট্ট বাচাদে চুল কাটাতে সেলুনে যাই। শনির আখড়ায় চুল কাটাতে বড়দের ৪০ টাকা আর ছোটদের ৩৫ টাকা রাখার নিয়ম। কিন্তু সেলুনের নাপিত আমার কাছে ২ বাচ্ছার ৮০ টাকা রাখল। আমি কিছু বললাম না। এই জন্য যে কাজ করেই তো টাকা নিয়েছে। আমি হৈ চৈ করলে হয়তো ১০ টাকা ফেরত পেতাম। কিন্তু করিনি।
পর মুহূর্তে এক মহিলা তার ২ বাচ্চাকে নিয়ে এলেন চুল কাটাতে। তিনি প্রথমে জিজ্ঞেস করলেন- ২ জনের চুল রাহুল কাটিং করতে কত লাগবে। নাপিত বলল- ৭০ টাকা। শেষ পর্যন্ত মহিলা ৬০ টাকায় ফয়সালা করল।
ভেবে দেখুন, আমি ঠকলাম- ২০ টাকা!
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভুদাই আমি বলেছেন: ভেবে দেখলাম। তবে আমার মনে হলো আপনি ঠকেন নি। 10 টাকার জন্য 20 টা কথা বলার দরকার নাই।।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার দেখা ঘটনাটি মনে হয় বিকেলের দিকের। বিকেলের দিকে হয়তো পত্রিকা যা দাম পায় তাতেই ছেড়ে দিয়েছে। তবে পত্রিকা দরদাম করে কেনার কথা এই প্রথম শুনলাম।
আমি তো কখনো ইত্তেফাক/প্রথম আলো তো দরদাম করে কিনতে পারিনি।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ভুদাই আমি বলেছেন: ঘটনাটা আমারও প্রথম দেখা।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
একাকী বালক বলেছেন: ব্যাপারটা আসলে এমন না। কিছু লোক আছেন যারা সব জায়গায়ই দর দাম করে কিছু কম দেয় তা সেইটা ২ টাকার জিনিস হোক আর লাখ টাকার হোক। এবং আমাদের দেশে ব্যাপারটা ফিক্সড প্রাইস দোকানেও ঘটে। আমি নিজে ফিক্সড প্রাইস দেখে দরদাম না করে কিনার পর শুনছি আমার বন্ধু ৩০০ টাকা কমাইছে ওই দোকান থেকেই।
হকার ছদকা দেয় নাই। ওর লাভ না হইলে ও ফেরত নিয়া যাইত গিয়া।