![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটার জিনিসপত্র ট্রাকে তোলা প্রায় শেষ । স্ব-পরিবারে চলে যাচ্ছে আফগানিস্তানে। যাওয়ার আগে হঠাৎ করে তার জুতা আটকে যায় কাদায়। ছেলেটা জুতাটা কাদা থেকে তুলে মেয়েটার পায়ে পরায় দেয় । মেয়েটা ছোট্ট ট্রাকে উঠে চলে যায়। ছেলেটা দেখল কাদায় মেয়েটার জুতার ছাপ এখনো আছে কিন্ত মানুষটা নাই। এটা ছিল সিনেমাটির শেষ দৃশ্য । এই শেষ দৃশ্যের মত পুরা সিনেমাটাই মনের মধ্যে ছাপ ফেলে দেয় আর এই ছাপ ফেলানোর মহান দায়িত্বটা পালন করেছেন ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদি।
সিনেমাটির নাম “বারান” যার অর্থ বৃষ্টি। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০১ সালে। বারান সিনেমার কাহিনী প্রেক্ষাপট ১৯৭৯ সালের ইরানের অবস্থা কে কেন্দ্র করে। যখন তালেবানরা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে ফেলেছে তখন প্রায় ১৫ লাখ আফগান ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিল পাশের দেশ ইরানে। আশ্রয়হীন সেই মানুষদের গল্প নয় বারান, বরং অসাধারণ প্রেমের গল্প হল বারান।
১৭ বছর বয়সী লতিফ ইরানের এক কন্সট্রাকশন সাইটে কাজ করে। চা বানানো, ফুট-ফরমাস খাটাই তার কাজ। এই লতিফ একদিন বারান নামে এক মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলো । বারান আফগান শরণার্থী, যাদের ইরানে কাজের অনুমতি নেই। তার উপর পরিবারে সে-ই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার আগেই, বারানের সাথে লতিফের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বারানের সন্ধানে নামলো লতিফ। ভাগ্যচক্রে একসময় বারানকে খুঁজেও পেলো। জানতে পারলো, অভাবের কারনে বারানের পরিবার আফগানিস্তানে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্ত পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে ছিলো না। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলো লতিফ।
লতিফের সহায়-সম্পত্তি বলতে তেমন কিছু ছিলো না । জমানো বেতন,সামান্য কিছু সঞ্চয় আর একটা আই ডি কার্ড । যে কার্ডটি না থাকলে সে কোথাও কাজ করার অনুমতি পাবে না সেটাও শেষ পর্যন্ত বিক্রি করে দেয় বারানের জন্য। বিনিময়ে সে বারানের কাছ থেকে তেমন কিছু পেল না শুধু পেল নিরব ১০ সেকেন্ড। এই ১০ সেকেন্ড হয়তোবা তার কাছে অনেক মুল্যবান কারন এই ১০ সেকেন্ড তো টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যাবে না।
মাজিদ মাজিদ’র আরেকটা মাস্টার পিস হইলো গিয়া বারান । মেঘলা দিনে “বারান” দেখতে খারাপ লাগবে না। আর এই প্রথম সাহস করে রিভিউ লিখতে বসলাম জানি কিছুই হয় নাই তবুও লিখলাম এখন থেকে লেখার ট্রাই করে যাবো লিখতে লিখতে হয়তোবা এক সময় হাত তৈরী হয়ে যাবে! আর লেখার অনুপ্রেরনা পেয়েছি স্নিগ্ধ রহমান এর কাছ থেকে
©somewhere in net ltd.