![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১০ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় আদেশে বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর সিনেমা বানানো, ছয় বছরের কারাদণ্ড,২০ বছরের জন্য চিত্রনাট্য লেখা, চলচ্চিত্র-নির্মাণ, সাক্ষাৎকার দেওয়া ও দেশত্যাগ নিষিদ্ধ। তিনি গৃহবন্দি, যদিও দেশের ভিতর তাকে স্বল্পমাত্রায় চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতো কিছু করার পরেও জাফরের চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করতে পারেনি ইরান সরকার। সরকারী নিষেধাজ্ঞার পরেও জাফর চলচ্চিত্র নির্মাণ করেই যাচ্ছেন। বন্দী থাকা অবস্থায় উনি ৩ টি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছেন। ২০১১ সালে দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম ২০১৩ সালে ক্লোজড কার্টেন এবং ২০১৫ সালে ট্যাক্সি তেহরান।
ইরানের কঠোর ইসলামি আইন ও শাসনব্যবস্থার একজন কড়া সমালোচক জাফর পানাহি। ২০০৯ সালের ৩০ শে জুলাই জাফর পানাহিকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। পরে মুক্তি পেলেও তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। অনেক অপেক্ষার শেষে পানাহি জামিন পান ২৫ মে, জামিন দেয়া হয় ২ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে। ২০ ডিসেম্বর ২০১০ তাঁর আইনজীবী ফরিদা ঘিরাত এর সত্যতা স্বীকার করেন। আহমাদিনেজাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রচারণার অভিযোগে এই শাস্তি দেয়া হয়। মূল অভিযোগে বলা হয়- পানাহি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তিনি ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার সাথে জড়িত।
শেষ পর্যন্ত ইরান সরকারের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। ২০১০ সালের ১ মার্চ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হলো।এবার তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার স্ত্রী তাহেরা সাইদি,মেয়ে সলমাজ পানাহি ও তার আরো ১৫ জন বন্ধুকে যাদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ রাসুলভ । পানাহী এবং রাসুলভ বাদে সবাইকে কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হলেও,পানাহি থেকে গেলেন এভিন প্রিজনের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডে।
কিন্তু এত বাধা,নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি একের পর এক ফিল্ম বানায় ফেললেন ঘটনাটা বেশ মজার সেটা হইলো ২০ বছর চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, বিদেশে যাওয়া, সাক্ষাৎকার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু অভিনয় করা বা চিত্রনাট্য পড়ার কথা কোথাও কথাও নিষেধ করা হয়নি আর এই আইনের ফাঁকটুকুই তিনি কাজে লাগিয়েছেন। দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম এ তিনি তার এক ফিল্মের চিত্রনাট্য বলে দিয়েছেন।
দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম ২০১১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ১০ দিন আগে প্রদর্শনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেটি একটি কেকের ভিতরে পেন-ড্রাইভে করে ইরানের বাইরে ‘পাচার’ করা হয়েছিলো। জাফরের স্ত্রী ও মেয়ে সেই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। আর ৮৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে চলচ্চিত্রটি সেরা ১৫ প্রামাণ্যচিত্রের তালিকায় স্থান করে নেয়।
ফিল্মের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই যে,নাস্তার টেবিলে এসে বসেন জাফর পানাহি। রুটি মুখে দিয়ে চিবুতে চিবুতে ফোন করেন সহকারী মোজতাবা মিরতাহমাস’কে। মোজতাবা কে বাসায় আসতে বলেন কারন তার মাথায় নতুন আইডিয়া ঘোরাঘুরি করছে এটা তিনি শেয়ার করতে চান কিন্তু মোজতাবা কে নিষেধ করে দেন কেউ যেন না জানে।
তারপরের দৃশ্যই দেখা যায়,জাফর ওয়াশরুমে বিছানার এক কোণে টেলিফোন সেট রাখা আনসারিং মেশিনে তার স্ত্রী তাহেরে সাইদি’র বার্তা রেকর্ড হতে থাকে। তার স্ত্রী এবং তার ছেলে পানাহ দুইজন যাচ্ছে জাফরের মায়ের কাছে নববর্ষের উপহার দিতে বাসায় আসতে লেট হবে ইগি’কে (পোষা সরীসৃপ) খাওয়াতে আর ফুল গাছে পানি দেয়ার কথা মনে করায় দেয় তার স্ত্রী । (সব চেয়ে এপিক জিনিস হইলো “ইগি” এইরকম একটা জীব জাফর সাহেব ক্যাম্নে পোষে? একটা গোসাপ গায়ের মধ্যে হাটাহাটি করে..ক্যাম্নে এইটারে সহ্য করে তারা? কি ঘিনঘিনে ব্যাপার) এর পরেই দেখি জাফর সাহেব ইগিরে তুলে তুলে খাওয়াইতেছে..ইগি আবার জেদ করে তবুও জাফর সাহেব তারে সাধে কিন্তু ইগি খায় না,মাথা নাড়ায়! :p
এরপর আইনজীবী ঘেইরাতকে ফোন করেন জাফর,আমরা জানলাম একমাত্র আন্তর্জাতিক চাপেই তাকে মুক্তি দিতে পারে এই বন্দীদশা থেকে। কিন্তু সেরকম কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আর ইরান সরকার তাকে সহজে ছাড়ছে না।
কথা শেষ করে মাথা চুলকিয়ে সামনে ক্যামেরা ধরা মোজতাবা মিরতাহমাস’কে লক্ষ্য করে বলেন,
জাফর : যে চিত্রনাট্যটা হাতে নিয়েছি, তুমি মনে করতে পারছো কি না জানি না—সর্বশেষ আমি এই চলচ্চিত্রটা বানাতে চেয়েছিলাম। এটাকে অনুমতির জন্য জমাও দিয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যবশত তা অনুমোদন পায়নি। তাদের কথা মতো চিত্রনাট্যটা আরেকটু পরিমার্জনও করি। কিন্তু তারপরও আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে না পারলেও এটা আমি পড়তে তো পারি। চিত্রনাট্য পড়ে, ব্যাখ্যা করে এর একটা প্রতিচ্ছবি তো তৈরি করতে পারি। এতে দর্শক অন্তত দেখতে পাবে, এই চলচ্চিত্রটা বানানো হয়নি।
চলচ্চিত্রটা এক মেয়েকে নিয়ে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদে ভর্তি হতে চাচ্ছে। কিন্তু তার পরিবার তাকে কলা পড়তে অনুমতি দেয় না। পরিবারের বিনা অনুমতিতেই সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং পত্রিকায় তার নামও আসে। এটা দেখে মেয়েটির বাবা তার বাড়ির বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দেয়। তার বাবা-মা ছুটি কাটাতে বাইরে যাওয়ার সময় তাকে বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। এ অবস্থায় সে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে থাকে। কারণ, সময় মতো তেহরান যেতে না পারলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না।গোটা চলচ্চিত্রটাই একটি বাড়ির ভিতর ধারণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা তো আর করতে পারলাম না। তাই চিত্রনাট্যটা বর্ণনা করতে সাহায্য করার জন্য তোমাকে এখানে ডেকেছি।
মোজতাবা : ও, তাহলে আপনি আপনার শেষ চিত্রনাট্য পড়ে শোনাতে চাচ্ছেন, যেটা নিয়ে আপনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেননি?
জাফর : হ্যাঁ, সেটাই। কিন্তু এটা আমি বসে বসে পড়ে শোনালে সবাই বিরক্ত হবে। তাই আমি এটা করে দেখাতে চাই, যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে। এজন্য ভিতরে (বড়ো ঘরে) যেতে হবে, যাতে সেই পরিবেশটা তৈরি করা যায়। (তুড়ি মেরে) কাট্, কাট্...।
মোজতাবা : কাট্ বলে লাভ নেই। আপনি আর পরিচালক নন। এটা এখন অপরাধ! আপনি শুধু চিত্রনাট্য পড়ে শোনাতে পারেন মাত্র!
জাফর : (হাসতে হাসতে) তাহলে আমি আর পরিচালক নই! যতোদূর শুনেছি, ২০ বছর চলচ্চিত্র-নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, বিদেশে যাওয়া, সাক্ষাৎকার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাক বাবা, অভিনয় করা বা চিত্রনাট্য পড়ার কথা কোথাও বলা হয়নি! (চিত্রনাট্য হাতে নিয়ে উঠে যান জাফর)
(বড় ঘরে গিয়ে) হ্যাঁ, এই জায়গাটা আমাদের কাজের জন্য উপযুক্ত হবে। যদিও এটা আমাদের প্রধান চরিত্র মরিয়মের সঙ্গে মিলে না, কারণ সে গরিব ঘরের মেয়ে। আমরা এখানে শুধু সেই আবহটা তৈরি করবো যাতে তার অবস্থাটা বোঝা যায়। একটু দাঁড়াও। (দ্রুত পাশের ঘরে যান জাফর। সেখান থেকে স্কচটেপ নিয়ে আসেন। টেপ এনে মেঝেতে দাগ টেনে ঘর বানিয়ে, বালিশ রেখে মরিয়মের শোওয়ার জায়গা দেখিয়ে এবং চেয়ার এনে জানালা হিসেবে দেখিয়ে) (চেয়ারের সামনে বসে) প্রথম শটে দেখা যাবে মেয়েটি জানালা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে। এটা মোটামুটি ছয় সেকেন্ড ধরে দেখানো হবে। আমরা শুধু গলিটা দেখতে পাবো।
(স্কচটেপ দিয়ে মেয়েটির ঘরে প্রবেশের পথ ও বাড়িতে প্রবেশের দরজা দেখিয়ে) বাড়িতে ঢুকেই প্রথমে এটা হল রুম। আর সিঁড়ি দিয়ে কয়েক ধাপ উঠে মেয়েটির ঘরে ঢুকতে হবে। (স্কচটেপ দিয়ে সিঁড়ির জায়গা চিহ্নিত করে দেখান জাফর।
এভাবে জাফর তার চিত্রনাট্যের ধারনা দেন এর মধ্যে রাকশান এর ফোন আসে ( রাকশান ইরানের প্রথম নারী চলচ্চিত্রকার, যিনি ইরানি চলচ্চিত্রের ‘ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে পরিচিত) এয়াকশান জানায় তারা কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না কারন সবাই কে চাপে রাখা হয়েছে এদিকে জাফর ও চান না তার জন্য ইরানি নির্মাতারা সমস্যায় পড়ুক।
জাফর আবার চিত্রনাট্য পড়া শুরু করলেন। চলচ্চিত্রে মেয়েটি গলির শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটির সঙ্গে একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলবে (জাফর আবারো টেপ দিয়ে চিহ্নিত ঘরের জানালা হিসেবে রাখা চেয়ারটিতে গিয়ে বসেন)। মেয়েটি চার—পাঁচ দিনের মধ্যেই বুঝতে পারবে, সে ছেলেটির প্রেমে পড়ে গেছে। তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে, আর মেয়েটি তেহরান যাওয়ার আগ্রহ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলবে। চলচ্চিত্রের শেষে আমরা জানতে পারবো, ছেলেটি আসলে মেয়েটির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো না বরং তার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য ছিলো। সে ছিলো মূলত গুপ্তচর! (জাফর চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে) যাহোক, আমার পছন্দের একটা দৃশ্য হচ্ছে, মেয়েটির বোন তাকে দেখতে আসে। (ভুল করে স্কচটেপ দিয়ে দেখানো দাগ পার করে জাফর) আহা, আমি এই দাগ পার হচ্ছি কেনো, অভ্যাস! আগের বার আমি দাগের বাইরে টেলিফোন সেট দেখিয়েছি। তো ওর বোন দরজার কাছে আসে; আমরা জানি, সে রাগ করে স্বামীকে ছেড়ে এসেছে, এখন তার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এদিকে দরজায় তালা দেওয়া, চাবি আছে দাদির কাছে। তখন মেয়েটি জানালা দিয়ে তার বোনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না। তাই সে সিঁড়ি দিয়ে নেমে (জাফর নিজেও স্কচটেপ দিয়ে আঁকানো ঘরে ঢোকার সিঁড়ি দিয়ে নেমে দরজার কাছে যান, বসে পড়েন) বাড়ির দরজার কাছে চলে আসে। যেহেতু আগে সে একবার চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারেনি, তাই এবার দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়ে (জাফর দরজায় হেলান দেওয়ার ভঙ্গি করেন)। আমরা (দর্শক) অবশ্য দরজার বাইরে দাঁড়ানো বোনকে দেখতে পারবো না। কারণ আমাদের ফ্রেম কেবল ঘরের ভিতরেই থাকবে। দর্শক শুধু বোনের কথা শুনতে পাবে। দুই বোন নিজেদের সমস্যার কথা একে অন্যকে বলবে; বোঝা যাবে, তারা দুজনেই কঠিন সমস্যায় আছে। বোন কিন্তু ওই ছেলেটিকে লক্ষ করে। বোন মরিয়মকে বলে, ‘শোন, তুই ওর সঙ্গে চলে যা’—এটা কিন্তু আমার প্রিয় একটা সংলাপ।
এর মধ্যে প্রতিবেশী শিমা আসে তার কুকুর মিকিকে রাখার জন্য কিন্তু “ইগি” কে দেখে মিকি চিল্লানো শুরু করলে জাফর শিমা কে তার কুকুর কে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। :p জাফরের কাছে ফোন আসে। তাকে বাহিরে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু জাফর আপত্তি জানায় এর মধ্যেই ফোন কেটে যায় পরে জানা যায় যে তাকে চেকপোস্টে পুলিশ চেক করছিলো সিনেমার এই দৃশ্য দেখিয়ে তিনি আমাদের বোঝান দৃশ্যের সাথে তার বর্তমান অবস্থার মিল কোথায়। বাইরে আতশবাজির শব্দ পাওয়া যায়। ক্যামেরা আবারো বাইরে ফোকাস করে রাতের শহর দেখায়। কিছুক্ষণ পর ক্যামেরা পিছনে সরে আসলে জাফরকে মুঠোফোনে বাইরের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। এই পর্যায়ে এসে জাফর বিরক্ত প্রকাশ করে মোজতাবা আজকের এই কাজ গুলো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে যে আদৌ এতা চলচ্চিত্র হয়ে উঠবে কিনা এটাকে ডকুমেন্টারি করার জন্য জাফর কে সাজেশন দেন। মোজতাবা চলে যেতে চায় জাফর তাকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গিয়ে “হাসান” এর সাথে পরিচয় যে ভারপ্রাপ্ত কেয়ারটেকার ময়লা নিতে এসেছে সে আর্টস ইউনিভার্সিটি তে পড়ে তার পড়াশুনার বিষয় হল শিল্পকলা গবেষণা। হাসানের সাথে জাফরের অনেক কথা হয়, জাফর জিজ্ঞাসা করে হাসান কে পড়াশুনা শেষ হলে কি করবে? হাসান বলে,”একটা জায়গা খুঁজে বের করবো যেখানে শুধু শান্তি আর শান্তি! প্রকৃতির কাছে চলে যাবো কয়েক মাসের জন্য। এই ময়লা-আবর্জনা, দূষণ, গাড়ি-ঘোড়া সব থেকে দূরে পালাবো; (হাসতে হাসতে) মিকির কাছ থেকেও”। হাসানের শেষের কথাগুলো শুনে মনে হল এগুলো আসলে জাফরের মনের কথা কারন ৬৪ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পানাহির শেষ খোলা চিঠি পাঠ করে শোনানো হয় চিঠিতে পানাহির কথাগুলোর সাথে ঐ কথা গুলো মিলে যায়!
৭৪ মিনিট দৈঘ্যের দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম মুলত একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সিনেমা যা ডিজিটাল ফরম্যাটে মাত্র ৩২০০ ইউরো খরচ করে নির্মিত হয়েছে! আসলে জাফর পানাহিকে বন্দী করে রাখা অসম্ভব,তাঁকে যেখানে রাখা হয় সেখানেই তিনি স্টুডিও বানিয়ে ফেলেন যার কারনে দিস ইজ নট অ্যা ফিল্ম শেষ পর্যন্ত দিস ইজ অ্যা ফিল্ম হয়ে উঠে..!
ফিল্মটি জাফর পানাহি সকল ইরানি পরিচালকদের উৎসর্গ করেন আর ক্রেডিট লাইন পুরাটাই ফাঁকা থাকে কারন উনি চাননা তার কারনে কেউ ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ুক।
তথ্যসূত্র :
সাজেদুল আউয়াল (২০১১ : ২৭); চলচ্চিত্রকলার রূপ-রূপান্তর; দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা।
মাহামুদ সেতু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
©somewhere in net ltd.