নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত
শিরোনামটি অনেকেরই বোধগম্য হবেনা। এটা বুঝতে হলে কষ্ট করে নিচের লেখাটি পড়তে থাকলে শেষের দিকে এর শানে নুযূল বুঝবেন বলে আশা রাখি।
প্রস্তাবিত বাজেট দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। অধিকাংশ মানুষই যেমন অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানোর জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, তেমনি ফেসবুকে সরকারের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতেও ছাড়েননি অনেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জনগণের উপর এতো করের বোঝা চাপানোর উদ্দেশ্য কি? সহজ উত্তর: দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তের সংযোগ স্থাপনের জন্য তৈরী হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক, ব্রীজ-কালভার্ট। এগুলোর খরচ মেটানোর জন্য টাকার যোগান জনগণের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছে।
একটু গভীরভাবে ভেবে দেখলে, বর্তমানে বাংলাদেশের বড়বড় কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক হলো আওয়ামীলীগ এবং সমমনা দলের নেতারা। এদের অনেকেই আবার মন্ত্রী এমপি (উদাহারণ: মগবাজার ফ্লাইওভার এর কাজ করছে তমা কনস্ট্রাকশন। যার মালিক খোদ যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের)। এখন দেশে যত অবকাঠামোগত উন্নয়নই হোকনা কেন, কনস্ট্রাকশন কোম্পানির দ্বারাই তা হতে হয়। এজন্য প্রায় সকল ওয়ার্ক অর্ডার লাভ করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গুলো। উন্নয়ন যতো, এদের লাভ ততো। একদিকে যেমন সরকার বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, তেমনি জোয়ারের ঢেওগুলো তলে তলে তাদের ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।
আশ্চর্য হই তখন, যখন শুনি: মহাসড়ক নির্মাণে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। ইউরোপে চার লেনের নতুন মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় পড়ছে ২৮ কোটি টাকা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ ব্যয় ১০ কোটি টাকা। আর চীনে তা গড়ে ১৩ কোটি টাকা। তবে বাংলাদেশের তিনটি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে ব্যয় ধরা হচ্ছে কিলোমিটারপ্রতি গড়ে ৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেন নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। ফলে মহাসড়ক নির্মাণ সবচেয়ে ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।
তাহলে ঘটনা কি দাড়ালো?? জনগণ ১০০ টাকার মোবাইল বিলে ২১ টাকা দিবে, এছাড়া অন্যান্য মোটা অঙ্কের কর দিবে। সেই টাকা দিয়ে দেশের যতটা না উন্নয়ন হবে, সেই উন্নয়নের সহযোগীদের উন্নয়ন হবে কয়েকগুণ বেশি। উন্নয়নের ফুলঝুড়িতে জনগনও যেমন খুশি, তেমনি মন্ত্রী এমপিদের পরিবারবর্গরাও খুশি। এভাবেই টাকার প্রবাহ আমার মতো সাধারণ জনগণের পকেট থেকে তাদের ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর হবে অবিরত।
যতই করি চিল্লাচিল্লি,
যতই করি ঘোলা জল
টাকা আমার যাবেই যাবে
ঘুরি ফিরি বটের তল।
(সবার উপরের টাইটেলটার শানে নুযূল এবার বোঝা গেছে?)
©somewhere in net ltd.