নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারনের মাঝে অসাধারণ খুজেঁ বেড়াই। হেয়ালি একটা জিনিসের মাঝেও শিক্ষনীয় কিছু খোজার চেষ্টা থাকে । জানিনা কতটা পারি, তবে চেষ্টা করে যাই অবিরাম।

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার

শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেকার থেকে কর্মজীবী ; কিছু অতৃপ্তবোধ

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চাকরী জীবনের ১ বছর পার হয়ে গেল দেখতে দেখতেই। আজ প্রচুর মনে পড়ছে সেই প্রথমদিনের কথা।

প্রথম যখন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলাম, একজন মানুষ ছাড়া আর কেওই জানতোনা। ইন্টারভিউতে কি প্রশ্ন করতে পারে, এ ব্যপারে অতটা ধারণা না থাকাতেও দুরুদুরু বুকে হাজির হয়েছিলাম সাউথটেক লিমিটেড এর অফিসে। এরপরও কনফিডেন্ট ছিলাম, আর যাই হোক, আউট নলেজের জোরে হয়তো পার পেয়ে যাবো। জীবনের সবচাইতে কঠিন লিখিত পরীক্ষা হলো, পরেরদিন ঝাড়া ১ ঘন্টা চললো সাক্ষাৎকার পর্ব। সব দিক দিয়েই বাজিয়ে দেখে শ্রদ্ধেয় ইকবাল ভাই চাকরি কনফার্ম করলেন। যখন কনফার্মেশন লেটার হাতে পেয়ে বাহিরে এলাম, তখন আমি ঘোরের মধ্যে ছিলাম। উত্তরা আযমপুরের রাজউকের মার্কেটে সবার সামনে একজনের হাত ধরে বাচ্চা ছেলের মতো কেঁদেছিলাম। যখন একটু ধাতস্ত হই, নিজেকে হঠাৎ করেই পরিনত অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। অন্য এক অনুভূতি ভেতরে কাজ করতেছিল তখন। প্রথমদিন অফিসে যাওয়ার আগের রাতে উত্তেজনায় ঘুম হলোনা। সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সম্ভবত আধাঘন্টা আয়নার সামনে দাড়িয়ে সর্বশেষ বেকার তুষারকে দেখেছিলাম। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, আমার কর্মক্ষেত্রকে অন্তরথেকে ভালোবাসবো।
ট্রেনিং শুরু হলো। ১ মাস কঠোর প্রশিক্ষণের পর শুরু হলো যাত্রা। ১ মাস পর প্রথম যখন বেতন পেলাম, হঠাৎ করেই যেন বয়স ১০ বছর বেড়ে গেল। যে তুষারের মাসিক হাতখরচ ছিলো দেড় হাজার টাকা, তার হাতে এতগুলো টাকা আসার পর সম্পুর্নই অপ্রস্তুত হয়ে গেছিলাম। টাকাগুলো নিয়ে বাসায় আসার পথে ভাবতেছি, কি করবো এতো টাকা দিয়ে!! মজার ব্যপার, খরচের জায়গা না পেয়ে একসঙ্গে ৫ পিস চিকেন ফ্রাই খেয়ে ফেলেছিলাম। :D অথচ যার দুই পিস খেতে গেলে অন্তত তিনবার ভাবতে হতো।

যাই হোক, এই চাকরিতে আসার পর আজ পর্যন্ত ছুটছি তো ছুটছিই। সারাদেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি ঘুরে ফেললাম। প্রতিনিয়ত প্রচুর অভিজ্ঞতা, প্রচুর পরিশ্রম, প্রচুর আনন্দের সাথে কাজ করতে করতে কিভাবে যে ১ টা বছর পার হয়ে গেল তা বুঝতেই পারিনাই। প্রথমদিনের সেই তুষারের সাথে আজকের তুষারের আকাশপাতাল পার্থক্য। এই চাকরি আমাকে অনেক অনেক দিয়েছে। সেই তুলনায় আমি সাউথটেক গ্রুপ কে তেমন আহামরি কিছু দিতে পেরেছি কিনা সেই ব্যপারে যথেষ্ট সন্দিহান। তবে কিছু দিতে পারার চেষ্টাটা প্রতিনিয়ত বাড়বে এইটা হলফ করে বলতে পারি।

আমি আজ ভালো আছি। তবে গত ১ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেও এই গানটা গাইতে পারিনা,
"চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
এখন আর কেও আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পারো,
মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছোনা। "

এই অতৃপ্ত বোধটা সারাজীবন থাকবে। কারণ সবার হাত পা ছাড়া অবস্থায় জন্মেনা। অনেকেই জন্ম থেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে জন্মে। এই পঙ্গুত্ব অদৃশ্যমান। অদৃশ্য সুতো দিয়ে এদের হাত-পা বাধা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো থাকুন, চাকুরীতে ভালো করুন; চাকুরী পাবার আগে, কত সময় বেকার ছিলেন?

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০

কালীদাস বলেছেন: শুভকামনা। ফকির মিসকিন আর আমাকে খাওয়ান, অনেক ফায়দা হবে B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.