নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারনের মাঝে অসাধারণ খুজেঁ বেড়াই। হেয়ালি একটা জিনিসের মাঝেও শিক্ষনীয় কিছু খোজার চেষ্টা থাকে । জানিনা কতটা পারি, তবে চেষ্টা করে যাই অবিরাম।

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার

শেরপুর নিউজ ২৪ নামক অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত

আসিফ শাহনেওয়াজ তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজহারীর নিন্দুকদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৯

প্রখ্যাত আলেম এবং বর্তমান তরুনসমাজের আইডল মিজানুর রহমান আজহারীর যারা বিরোধিতা করে তাদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য :

## তাদের বেশিরভাগই নামাজের ধারেকাছেও যায়না। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়া তো দুরের কথা ইসলামিক কোন বই পুস্তকও পড়তে চায়না। তবে ইসলামী আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে তাদের সকল পান্ডিত্য জাহির হয়।

## তাদের বেশিরভাগই মতের অমিল হলেই জামায়াত , বিএনপি , রাজাকার ইত্যাদি উপাধি দেওয়া পছন্দ করে।

## তারা মুফতি আমির হামজা কিংবা আজহারীর বিরুদ্ধে যতটা সোচ্চার , বিভিন্ন ভন্ডপীর কিংবা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করা বক্তাদের বিপক্ষে ততটাই নমনীয়। অর্থাৎ এদের মূল টার্গেট উপরোক্ত দুজনই।

## আজ বাংলা ট্রিবিউনে একটি রিপোর্ট দেখলাম :

"শীর্ষ তিন গ্রাহক খেলাপি হলে মূলধন হারাবে ২১ টি ব্যাংক। "

অর্থাৎ তিনজনের কাছেই দেশের পুরো ব্যাংকিং সেক্টর জিম্মি। এসব ব্যপারে সেইসব বুদ্ধিজীবী কিছুই বলেনা। দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে চলে গেলেও তাদের কলম চলেনা। বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্টে সমুদ্র চুরি হলে কলম চলেনা, দিনে দুপুরে ভোট চুরির ব্যপারে তাদের কলম চলেনা। তাদের কলম চলে শুধুমাত্র আজহারী গাড়ি চালালে। কোথায় লেখা আছে ওইটা আজহারীর গাড়ি? কোথায় লেখা আছে হুজুরদের শুধুমাত্র গরীবই হতে হবে এবং বাড়িবাড়ি মিলাদ পড়েই দিন চালাতে হবে? কোথায় লেখা আছে হুজুরেরা সম্পদশালী হতে পারবেনা? কোন সংবিধানে লেখা আছে হুজুরেরা গাড়ি চালাতে পারবেনা?

ওইসব মহাজ্ঞানী ভাইদের বলিঃ মুফতি আমির হামজা কিংবা মিজানুর রহমান আজহারী এদেশের তরুনদের মনে ইসলামিক চিন্তাধারা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। দেশে ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নতুন রেভল্যুশন সৃষ্টি করেছেন। এখন মানুষ খেজুর পাতার ওয়াজ শুনতে যায়না বরং কিছুনা কিছু শিখতেই যায়। যেই শিক্ষা পেয়ে আমার মতো হাজারো পাপিস্ট বান্দাও অন্তত এক দুইবার জায়নামাজে যেতে বাধ্য হয়েছে। ভুলগুলো শুধরানোর মতো সামান্য হলেও বিবেক জাগ্রত করেছে। আর এটা থামানোর সাধ্য একমাত্র আল্লাহর ইশারা ছাড়া কারোরই নেই। অতএব আজহারীর পেছনে লেগে লাভ নাই। যতো হিংসাই করেননা কেনো, উনার জনপ্রিয়তার সিকিভাগও আপনাদের নেতা-নেত্রীর নাই। আজহারীর বিরুদ্ধে বলার আগে নিজেদের চেহারাটা আয়নায় না হোক, স্মার্টফোনের সেলফি ক্যামেরা চালু করেই দেইখেন। আর ভাইবেন, আজহারীর ব্যপারে কথা বলার মতো যোগ্যতা রাখেন কিনা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াজ মাহফিল যদি সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সমর্থ হত, তাহলে এর পক্ষে থাকতে আমার আপত্তি ছিলো না। কিন্ত বাস্তবেতো এইসব ওয়াজের ইতিবাচক কোন প্রভাব চোখে পড়ে না। আমাদের বিনোদনের অনেক অভাব। তাই বহু লোক বিনোদন হিসেবে মাহফিলে বা ইউটিউবে ওয়াজ শুনে। আমি নিজেও শুনি।
আমরা মহানবীর উম্মত, যিনি ক্ষুধায় পেটে পাথর বেধে রাখতেন, অথচ আল্লাহর কাছে চাইলে পাহাড় সমান স্বর্ন পেতে পারতেন, কিন্তু ছেড়া চাদরে আর শোয়ার অযোগ্য জায়গায় ঘুমাতেন। মওলানারা এক খতম কোরান পড়াতে আগে থেকেই অনেক টাকা দাবী করে বসেন? যদিও কাউকে দিয়ে কুরআন খতম করানোর নিয়মটাই ইসলামে নেই। ওটা আমাদের বাংলাদেশী মুসলিমদের মূর্খতা।
যেমন দেশ তেমন ওয়াজ, লক্ষ লোকের সামনে তাই 'বেল গেড, আইফোনের মালিকের সাথে সাক্ষাতের গল্প' আয়েশ করে বলা যায়, তারপর জোর করে জোর গলায় 'সোবহান আল্লাহ' আদায় করা যায়। হারাম টাকা নেয়ার ব্যপারে আমাদের হুজুরদের খুব আগ্রহ দেখা যায়। আসল কথা, হুজুরেরা টাকা দিয়ে মার্সিডিজ চালান নাকি রকেটে করে চাঁদে যান, সেটা মোটেও বিবেচ্য না। তাদেরকে টাকা দিয়ে আমরা কি পেলাম, সেটাই বিবেচ্য।
হযর‌ত আব্দুর রাহমান ইবন আওফ রাঃ ধন-সম্পদে অনেক ধনী ছিলেন। উনারা ঐ সময়ের জন্য বিলগেটসের চেয়েও কম ছিলেন না। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি আয় স্বচ্ছ ছিলো। ভালো মানুষের কাছে যদি অর্থ থাকে, ধন-সম্পদ থাকে, ক্ষমতা থাকে -সেটা সবার জন্য মঙ্গল। তবে, হ্যাঁ। সেই ধনী হওয়াটা একেবারে ক্লিন হতে হবে।
বাংলাদেশে ওয়াজ নতুন কিছু না।
দেশে ডজন ডজন শত শত ওয়াজি মওলানা। এরা গ্রামে গঞ্জে ওয়াজ করতো, যাচ্ছেতাই ভাষায় সত্য মিথ্যা মুখে যা আসে তাই বলতো। এখনো বলে। ওয়াজের নামে অত্যাচার ও দান খয়রাতের নামে অর্থের লোপাট বন্দ হোক।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লিখনী। শুভেচ্ছা ।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

রাশিয়া বলেছেন: আজহারী এদেশে তরুণ সমাজের মধ্যে কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন রেখে গেছেন। আগে রাস্তাঘাটে অহরহ সিগারেট খোর তরুণ চোখে পড়ত। আজহারীর ওয়াজের কল্যাণে প্রকাশ্যে সিগারেট খোর তরুণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে পরিবারে স্বামী স্ত্রীতে বোঝাপড়া বেড়েছে। মানুষের মধ্যে কোরআনের চর্চা বেড়েছে। এগুলোর ফলাফল অবশ্যই ইতিবাচক।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২১

একাল-সেকাল বলেছেন:
সহমত।

এদেশে জাকির নায়েক নিষিদ্ধ, সানি লিওন নয়
আযহারি মাঠে নিষিদ্ধ হলেও, মমতাজ সংসদে সচল
হুমায়ুন আহমেদ মেয়েদেরকে গাভীর সাথে তুলনা করেও নন্দিত কথা সাহিত্যিক, শফি সাহেব অভ্যাস কে তেঁতুল বলায় নিন্দিত তেঁতুল হুজুর।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালের সামনে মেয়ের উলঙ্গ মূর্তি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

আমরা ৯০% + মুসলিমের দেশ, গর্ধবের গর্ববোধ।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২

সাইন বোর্ড বলেছেন: দেশে কারোর ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার উপর নিষেধাক্কা আছে, যারা মানুষের সমর্থন ছাড়াই দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছেন তাদের কথা না বলে কোথাকার কোন হুজুরের পিছনে দৌড়াবেন - তা হবে না । ডঃ ইউনুস হলেও না । জামাতী খেতাবের স্টক এখনো ফুরিয়ে যায় নি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.