নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাটির দিকে তাকিয়ে পাশা বুঝতে চাইল চারদিকে কি হচ্ছে। কিন্তু এত অল্প নিরীখে তা বুঝা সম্ভব নয় বুঝা যাচ্ছে। রাস্তায় নেমে এল পাশা। মানুষের জটলার দিকে তাকিয়ে পাঠ করার চেষ্টা করল কোলাহলের ভাষা। কিন্তু ভীষন দুর্বোধ্য কোলাহলের ব্যাকরণ।
পৃথিবীকে শেষবারের মত পাঠ করার ইচ্ছা খতম করা বেশ কঠিন। ডিজিটাল বিলবোর্ডের ঝলকানো নীলচে আলোতে লোকেদের চোখগুলো কেমন ক্ষুধার্ত বাঘিনীর চোখের রুপ নিয়েছে। পাশা মনে প্রাণে চাচ্ছে লোকেদের চোখ হইতে বিস্ফোরিত রশ্নি তাকে ভস্মীভূত করে দিক।
কিন্তু সে তার মাথা নাড়তে পারছে না। পাঞ্জাবীর জমিনে লালরঙ তরলের দাপট । ''একেবারে পিষে দিয়েছে !'' পাশ দিয়ে ত্রস্তপদে যেতে যেতে একজন তার সহচরকে বলল। 'কিছুই অবশিষ্ট নাই। বাসঅলারা ডাকাইত একেকজন!'
একটুপরে পাশার সাথে মোলাকাত করতে এগিয়ে এল নির্জনতার ফেরিওয়ালা জীবনানন্দ দাশ। আহা জীবনানন্দ!
পাশা জীবনব্যাপী জীবনানন্দের মত শুদ্ধতম কবি হওয়ার তপস্যা করেছে। তা আর হল কই ! "ছুঁয়েও দেখিনা " ট্যাগকৃত কবি পাশা এবং জীবনানন্দের দুনিয়া হইতে প্রস্থানের ভঙ্গি একই এটাই দুনিয়ায় অথর্ব বেচে থাকার চেয়ে দামি লাগল পাশার কাছে । অফ হোয়াইট টার্নড ছোপ ছোপ রক্তলাল পাঞ্জাবি পরিহিত পাশা জীবনানন্দের পিছু পিছু হাটতে লাগল অন্যভুবনের অন্তঃপুরে ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
শুন্য বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা, কিংবা দুর্ঘটনা পরবর্তী চিত্রপট কাব্যিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভালো হয়েছে।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আহারে--- !!!
আল্লাহ মাফ করুক।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০
মা.হাসান বলেছেন: এত অল্প কথায় এত সুন্দর ভাবের প্রকাশ কম দেখি।