নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ন হি সর্ববিদ: সর্বে \"

খোলা মনের কথা

স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!

খোলা মনের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিটলারের আত্মহত্যা ছিল সাজানো নাটক!!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২১



হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন বুঝতে পারেন পরাজয় নিশ্চিত তখন বার্লিনের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে এতদিন যা জেনে এসেছি, তাহলে তা মিথ্যে? এমনকি হিটলারের যৌথবাহিনীর কাছে ধরা দেবেন না বলে সায়ানাইড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন হিটলারের স্ত্রী ইভা ব্রাউন- এটাও মিথ্যে???

যখন সবাই ভেবেছে তারা মৃত, তখন এই যুগল ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে! এমন পিলে চমকে দেওয়ার মতো খবরটার দাবী করেন আবেল বাস্তি নামের একজন ইতিহাসবিদ। হিটলারের নির্বাসন নিয়ে তার বইয়ে লিখেছেন “Hitler in Exile” (“El exilio de Hitler”)-এর নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে আর্জেন্টিনায়। সেখানেই রয়েছে বিস্ফোরক অনেক তথ্য।

‘হিটলার কিছুতেই সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ধরা দেবেন না, পালিয়ে যাবেন- এই মর্মে চুক্তি হয়েছিল আমেরিকার সাথে। একই ব্যাপার প্রযোজ্য ছিল কয়েকজন বিজ্ঞানী, আর্মি এবং গুপ্তচরদের জন্যও। রাশিয়ারস্পুটনিক নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন কথা বলেছেন।

ব্রিটেনের বিখ্যাত নিউজপোর্টাল হাফিংটন পোস্ট এই ইতিহাসবিদকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, সেই বাংকার থেকে সুড়ঙ্গপথে গোপনে হিটলার পৌঁছে যান টেম্পেলহফ বিমানবন্দরে। সেখানে তার জন্য আগেই প্রস্তুত করা ছিল একটি হেলিকপ্টার। সেটিতে চড়ে তিনি যান স্পেনে। তারপর সেখান থেকে হিটলার ক্যানারী আইল্যান্ডে পৌঁছান, সেখান থেকে একটি সাবমেরিন তাকে নিয়ে যায় আর্জেন্টিনায়। প্রায় এক যুগ ধরে আর্জেন্টিনায় থাকার পর প্যারাগুয়েতে যান হিটলার। প্যারাগুয়েতে তখন ক্ষমতায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট আলফ্রেডো স্ট্রোয়েসনার, যার ছিল জার্মান শেকড়! বাস্তির মতে, প্যারাগুয়েতে হিটলার মারা যান ১৯৭১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি।

বাস্তি তার বইয়ে প্রাসঙ্গিক এফবিআইয়ের নথিপত্রও লিপিবদ্ধ করেছেন বেশ কয়েকটি। যেমন একটিতে লেখা আছে, ‘আর্জেন্টিনা যে হিটলারের গন্তব্যে পরিণত হয়েছিল, এই ব্যাপারে আর্জেন্টিনা বরাবরই নিশ্চুপ ছিল। হয় হিটলার বার্লিন থেকে আর্জেন্টিনার ৭৩৭৫ মাইল দূরত্ব আকাশপথে পাড়ি দিয়েছিলেন, যেটা বানানোই হয়েছিল এই উদ্দেশ্যে, কিংবা একটি বিশেষ সাবমেরিনের একজন যাত্রী হয়ে।’

এদিকে সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা বব বিয়ারও বলছেন একই কথা। এই জানুয়ারিতেই History চ্যানেলের একটি সিরিজ প্রচারিত হয় ‘Hunting Hitler’ নামে। বিয়ার এবং তার টিম ৭০০ পৃষ্ঠার একটি গোপন নথিপত্র নিয়ে এনালাইসিস করেন, যেখান থেকে একটি উদ্ধৃতি উদ্ধৃত করেছিলেন, ‘জার্মানিতে আমেরিকান আর্মি হিটলারের দেহাবশেষ চিহ্নিত করতে পারেনি, এমনকি কোনো নিশ্চিত তথ্য পায়নি যে হিটলার মারা গেছেন।’ স্পুটনিক নিউজ লিখেছে, বিয়ারের টিম এই নথিপত্রের উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান চালিয়ে বাংকার থেকে টেম্পেলহফ বিমানবন্দর পর্যন্ত টানেলের সন্ধান পেয়েছে!

এছাড়া হিস্টরি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘হান্টিং হিটলার’-এ দাবি করা হয়, হিটলার আত্মহত্যা করেছেন এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদকদের ধারণা, হিটলার আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়ে বিমানে পালিয়ে যেতে পারেন। যৌথ বাহিনী জার্মানি দখলের প্রাক্কালে অনেক বিমান বার্লিন ছেড়ে যায়। এমনই কোনো বিমানে হিটলারের মালপত্র পার করে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া কিছু নথির তথ্য অনুযায়ী, হিটলারের মৃতদেহও পাওয়া যায়নি।

হিটলারের মৃত্যু নিয়ে বরাবরই ধোঁয়াশা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে। রাশিয়া ২০০০ সালে হিটলারের আত্মহত্যার প্রমাণস্বরূপ গুলিবিদ্ধ যে করোটি মস্কোতে জনসমক্ষে প্রদর্শন করে, আমেরিকান গবেষকরা সেটির ডিএনএ পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন এটি একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার, হিটলারের নয়!

আর ইভা ব্রাউনের শেষ পরিণতি? বাস্তি জানাচ্ছেন, ইভা ব্রাউন বেঁচে ছিলেন আরও অনেক দিন। হিটলারের মৃত্যুর পর প্যারাগুয়ে থেকে আর্জেন্টিনায় চলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ইভা ব্রাউনের বয়স ৯০ বছর হওয়ার পর তার গতিবিধি হারিয়ে ফেলেন বাস্তি!

সংগ্রহিত

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৭

অনন্যা ইসলাম বলেছেন: হিটলারের জীবনীটা আসলেই কিন্তু মিস্টিরিয়াস।

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: মাইন ক্যাম্ফ পড়েছিলাম অদ্ভুদ কিছু জানা হয়েছিল। তার সম্পর্কে জানার খোরাক ভিতর থেকে বের করতে পারেনি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

কোলড বলেছেন: It has become an industry to promote this kind of conspiracy theory and make money. There was no underground passage between Bunker and Tempelhof airfield which would have been a 7 KM long tunnel.

There was no helicopter during WWII and I personally talked to Rochus Misch, the last person to leave the bunker and who saw hitler/Eva's bodies carried over for burning.

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: হয়তো, তখন এতো কিছু ছিল না আবার হতে পারে এমন একটাও হতে পারে এতো বড় যুদ্ধের ঝুকি নেওয়ার আগে অনেক কিছু পূর্ব প্রস্তুতি করেছিল। হিটলারের মাথা বলে কথা।

আর হা ২য় বিশ্বযুদ্ধর সময় বিমান ছিল হেলিকপ্টার না থাকলেও।

আবার ইতিহাসবিদ তার লেখা আলোচনায় আনার জন্য অন্যরকম মাধ্যম তৈরি করে থাকতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১

ইকরাম উল হক বলেছেন: এরকম আরো অনেক সত্য
একদিন মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: আবার অনেক সত্য মিথ্যা বলে প্রমান হতে পারে....... ধন্যবাদ ইকরাম ভাই

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: অনন্যা ইসলাম বলেছেন: হিটলারের জীবনীটা আসলেই কিন্তু মিস্টিরিয়াস। -- হুম !

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: অগ্রাহ্য করার কোন উপায় নেই। তা না হলে তাকে নিয়ে এখনো এনালাসিস হতো না

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মিথ্যা। মনস্তত্ব ও সকল বিষয় বিবেচনায় আপনার বিশ্লেষণ ভূল।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

খোলা মনের কথা বলেছেন: এটি আমার মনস্তত্ব বিষয় আপনাকে কে বললো??? হতে পারে মিথ্যা এবং তার প্রতিউত্তর ২ নং কমেন্ট দেখতে পারেন।

আর হা বিশ্লেষণ ভুল হতেই পারে, আপনি সঠিক বিশ্লেষণটি দিবেন আশায় থাকলাম........ ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১

কল্লোল পথিক বলেছেন:








চমকে উঠার মতো তথ্য!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: অনেকটাই। অনেক সত্য দিন দিন মিথ্যা আবার অনেক মিথ্যা দিন দিন সত্য হয়ে যাচ্ছে। আসল সত্য মিথ্যার রহস্য খুজে পাওয়া মুশকিল হয়ে ওঠছে।

ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই। ভাল থাকবেন সবসময়

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মেহেদী রবিন বলেছেন: হিটলারকে পালাতে সাহায্য করায় কার কি লাভ ! আমেরিকা বা ব্রিটিশদের দেয়ার মত কিই বা ছিলো তার ! আর যদি থেকেও থাকতো তারপরও। আমেরিকান ও ব্রিটশদেরকে বাঙ্গালিদের কাতারে দাড়া না করানোই ভালো। ওদের কাছে অন্যের স্বার্থের চেয়ে জাতিগত স্বার্থটাই বড়। আর যাই করুক ওরা হিওটলারকে যুদ্ধ পরবর্তী হানিমুনের সুযোগ দেয় নি এটা শিওর। এই সংক্রান্ত নিউজগুলো সবই টাকা ও নাম কামানোর ধান্ধা।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২১

খোলা মনের কথা বলেছেন: খারাপ বলেননি। ভাল একটা আইডিয়া মাথায় আসলো। টাকা কামনো দরজা হয়তো সামনে খোলা থাকতে পারে। মোটামুটি চোখকান খোলা রেখে এমন একটা ধান্ধায় দান মেরে দিতে পারলে একদম ষোলকলা পূর্ন হয়ে যাবে। ;)

কার কি স্বার্থ আছে জানি না। তবে সত্য মিথ্যার মাঝে অবস্থান করানো ঘটনাটি খুব কৌতুহল মনে হল তাই শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ মেহেদী রবিন ভাই

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৯

মেহেদী রবিন বলেছেন: আপনি কতটা পারবেন জানি না তবে ইতিহাসবিদ আবেল বাস্তি যে বেশ কিছু অর্থ অবশ্যই উপার্জন করেছেন এবং আলোচনায় এসেছেন তাতে কিন্তু কোন সন্দেহ নেই। ;) শুধু আপনারই নয়, সত্য মিথ্যার মাঝে অবস্থান করানো ঘটনাগুলি প্রায় সবারই আগ্রহ কাড়ে। আমারও কেড়েছে বলেই তো আপনার পোষ্টটি পড়েছি। :)

ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: খারাপ বলেননি। যাই বলেন আবেল বাস্তির মাথায় হিটলারের মাথায় যা ছিল তার কিছু অংশ আছে। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.