নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ন হি সর্ববিদ: সর্বে \"

খোলা মনের কথা

স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!

খোলা মনের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত ভাষা!!! বাংলা ভাষা কি দিন দিন বিলুপ্তর পথে যাচ্ছে???

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫



জীব মৃত হওয়ার কথা শুনেছেন কিন্তু ভাষা মৃত হয়ে যাওয়ার কথা শুনেছেন??? ভাষার আবার বাঁচা-মরা কিসের? হ্যাঁ, ভাষার মরা বাঁচা আছে। ভাষা বেঁচে থাকে আমার আপনার মুখে মুখে। দৈনন্দিন আমাদের ভাষা চর্চার মাধ্যমে। কোনো কারণে একটা ভাষা যদি আর কোনো দিনই কেউ না বলে তাহলে সে ভাষাটা মৃত বলা হয়। ভাষাটি বেঁচে থাকলে তার ব্যাকরণে যে পরিবর্তনটুকু হয় তাও বন্ধ হয়ে যায়। তখন তাকে বলা হয় বিলুপ্ত বা মৃত ভাষা।

যদি কোনো ভাষা কোন কারনে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায় এবং সে ভাষা বিকল্প ভাষা ব্যবহার শুরু হয় তাহলে সে ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এ ধরনের অনেক বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ভাষা আছে। যেমন: সংস্কৃত ভাষা,লাতিন ভাষা, হিব্রু, ওল্ড চার্চ স্যালভোনিক, পুরনো তিব্বতীয়, গিজ, ইত্যাদি। এছাড়াও অন্য অনেক ভাষা আছে যেগুলো ছোট ছোট জনগোষ্ঠী, উপজাতি, আঞ্চলিক ভাষা। সেগুলো চর্চা বা ব্যবহারের অভাবেও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

২০০৭ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে মোট ৬,৯১২টি জীবন্ত ভাষা আছে। আর এই ভাষায় পৃথিবীর ১৮৯টি স্বাধীন দেশের প্রায় ছয় বিলিয়নের মতো মানুষ কথা বলে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এ ভাষাগুলোই কোনো না কোনো দেশের মানুষ ব্যবহার করে। একটি দেশের অধিকাংশ লোক যে ভাষায় কথা বলে, যে ভাষা রাষ্ট্রীয় সব কাজে ব্যবহৃত হয় সেটিকে বলা হয় রাষ্ট্রভাষা। আমাদের রাষ্ট্রভাষা হলো বাংলা।

আমাদের প্রানের ভাষা বাংলা। কিন্তু আমরা কি বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার করছি? আমাদের বাংলা ভাষার সাথে এখন মিশে গেছে ইংরেজী, হিন্দি, ফারসী, পর্তুগীজ, উর্দূ সহ অনেক ভাষা। এমন এমন বাংলা শব্দ আছে যে গুলো আমরা কোনদিন জানিই না। অন্য ভাষার সাহায্য নিয়ে ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া আমাদের সমাজ বর্তমানে ইংরেজী ভাষাকে প্রাধন্য দিচ্ছে। আবার বাংলা ভাষা যেটুকু ব্যবহার করছি ততটুকু আবার ইংরেজী আদলে ব্যবহার করছি। আঞ্চলিক ভাষাতো এখন মোটামুটি অন্য চোখে দেখি। ভাষার শুধু সুষ্ঠ ব্যবহার না সেটি ব্যবহারে বাধাঁ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কালের বিবর্তনে আমাদের মনের ভাষা, প্রানের ভাষা এক সময় বিলুপ্ত হতে পারে এটা কি মনে হয় না।

আসুন দেখে নিই কিভাবে ভাষা মৃত হওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার কি হতে পারে।

ভাষা মৃত হওয়ার কারণ:

১. ভাষা সঠিকভাবে ব্যবহার না করা।
২. নতুন নতুন ভাষার বা শব্দ হালনাগাদ না করা।
৩. কোন ভাষা বা শব্দটি হারিয়ে যাচ্ছে সেটি শনাক্ত না করা।
৪. নিজেদের ভাষা বা শব্দ ব্যবহারে অন্য ভাষার প্রাধন্য বা বিকল্প ভাষা ব্যবহার করা।
৫. আঞ্চলিক ভাষা অবমূল্যয়ন বা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।
৬. নতুন নতুন শব্দ ও হারিয়ে যাওয়া ভাষা প্রচার প্রচারণা না করা।

ভাষা রক্ষায় করণীয়:

১. ভাষা বা শব্দ হালনাগাদ: নতুন নতুন ভাষা বা শব্দ হালনাগাদ করা যেটি আমাদের বাংলা একডেমী করতে পারে। প্রতিনিয়ত যে সমস্ত নতুন নতুন শব্দ উৎপত্তি হচ্ছে তার হালনাগাদ করা।
২. ভাষা বা শব্দের সহজ রুপদান: নতুন ভাষা বা শব্দের সহজ রুপদান। নতুন শব্দ উৎপত্তি হচ্ছে সেগুলোর এমন বাংলা অর্থ রুপদান করতে হবে যেন সকলে সেটি সহজভাবে ব্যবহার করতে পারে। যেমন: মোবাইল অর্থ মুঠোফোন সেটি কিছু দিন ব্যবহার হলেও এখন আর তেমন ব্যবহার হয়না। তাছাড়া কম্পিউটার, টর্চ লাইট, মেমোরি কার্ড, লিফট ইত্যাদি নতুন শব্দের নতুন রুপ তেমন দেখা যায় না। তাই ইচ্ছা অনিচ্ছায় অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হয়।
৩. প্রচার ও প্রচারণা: নতুন ভাষা বা শব্দ হালনাগাদ বা সহজ রুপদান করলেই হবে না সেগুলো সাধারন মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য ভাল ভাবে প্রচার প্রচারণা করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাছাড়া যে সমস্ত শব্দ আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সেগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর ও সঠিক প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ভাষার প্রাধন্য: দেশের ভিতর সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার প্রধান্য দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ভাষা শক্তিশালী করতে পারি।
৫. আঞ্চলিক ভাষা মূল্যয়ন: দেশের ভিতর বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার এক এক ধরনের আঞ্চলিকতা আছে সে সমস্ত আঞ্চলিক ভাষার প্রাধন্য দেওয়া। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবে সে সমস্ত ভাষার প্রচার কার যেতে পারে। যেমন এখন দেখা যায় আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা নিয়ে নাটক বা সিনেমা তৈরী হচ্ছে। এটা নি:সন্দহে ভাল উদ্ধ্যোগ।

এছাড়া আরো অনেক উপায়ে আমরা আমাদের ভাষা সুসজ্জিত করতে পারি। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রাণের ভাষা রক্ষার জন্য একে একে এগিয়ে আসি। যে ভাষায় আমাদের পিপাসা নিবারণ হয় সে ভাষা জীবিত রাখার প্রয়স করি।

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: দু:খ পেয়ে লাভ নাই পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষাই আজ বিলুপ্তির পথে।
আগামী একশ বছর পর পুরো পৃথিবীতে ৩/৪ টার বেশি ভাষা থাকবে বলে মনে হয় না।
পুর্ব এশিয়ার দিকে যত ভাষা আছে সব চাইনিজ মেন্ডালিনের মধ্যে হারিয়ে যাবে
মধ্য এশিয়ার সব ভাষা মিলে আরবী টিকে থাকতে পারে
আর বাকি সব ভাষা হয়ে যাবে ইংরেজী প্রধান।
দক্ষিন আমেরিকায় স্প্যানিশ থাকতে পারে যদিও তার মধ্যে ইংরেজির প্রভাব থাকবে খুবই বেশী॥

এটা ঘটবে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতির ফলে। মানুষের মাঝে যোগাযোগ যত বাড়বে আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব ততই কমতে থাকবে।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত। তারপরও আমাদের ভাষা আমাদের ভাল করে চর্চা করা উচিৎ

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাষার উপরে সুন্দর একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাষার কারণে ভাষার মৃত হয় না । ভাষা টিকে থাকে জীবিকার উপর । উচ্চ পদের জীবিকায় বাংলা ভাষার কোন গুরুত্ব নেই বলেই বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ দোদুল্যমান । আর এই কারণে ইংরাজি ভাষা বাঙালীদের মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে । উন্নত দেশে তাদের মাতৃভাষার উপর উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে । কেননা তারা মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করে ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার কথা গুলো অনেক ভাল লাগলো। আসলে আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ রক্ষায় খুব বেশি সচেষ্ট না। ধন্যবাদ দেবজ্যোতিকাজল দাঁ। ভাল থাকবেন সবসময়

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খোলা মনের কথা ,





আপনার আশংকা অমূলক নয় । কথন ও চর্চার জল সিঞ্চন না থাকলে ভাষা শুকিয়ে যায় । ভাষাকে ফলনশীল করতে হলে শব্দের কর্ষন চাই । চাই নিত্য নতুন বা পুরাতন ( যে শব্দগুলো হারানোর পথে ) শব্দের বর্ষন ।এই ব্লগেই আমরা কিছুটা পারি তার । শুধু পোস্ট দেয়ার জন্যেই পোস্ট নয় বরং শব্দের পর শব্দ বুনে বুনে নান্দনিক পোস্ট ( তা সেটা যে বিষয়ের উপরেই হোক না কেন ) তো আমরা ইচ্ছে করলেই পারি । একটু হয়তো কষ্ট হবে প্রথম প্রথম , ঠিক হয়ে যাবে একদিন । তখন ভাষার মাধুর্য্য দিগন্ত ছেয়ে দিলে তাকে হারায় , সাধ্যি কার !!!!

এমন লেখায় বাহবা ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩২

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার কথা গুলো অনেক ভাল লাগলো। মনে হচ্ছে আমার লেখার সাথে যোগ করে দেয়। ভাষাকে ফলনশীল করতে হলে কর্ষন চাই সাথে নতুন পুরাতন শব্দের বর্ষন কথাটি দারুণ। আর এ কর্ষন বর্ষন সব কিছুই আমাদের করতে হবে।

ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ভাই। শুভ কামনা রইল

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
দেবজ্যোতিকাজলের সাথে একমত।
আমরা গলা ফাটানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমাদের পূর্ব পুরুষেরা, আমরা এ প্রর্যন্ত হাঁক ছেড়ে স্লোগান ছাড়া আর কি করতে পেরেছি? তারাও কখনো বুঝতে পারেনি এটা করে আমাদের কি লাভ হয়েছে আর আমাদেরও শেখাতে পারেনি। আমরাও কি একই ভুল করবো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য???

সমস্যা গোড়ায় তাই মাথাই পানি ঢাললে কাজ হবে না। আমাদের ভাষার ব্যবহারের পাশাপাশি ভাষার সাথে জীবিকার পদ্ধতিও রাখতে হবে। যত দিন না আমরা অন্যর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ন হবো তত দিন এ সমস্যা আমাদের থেকেই যাবে।

নিজেদের বিশ্বের বুকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই অন্যরা আমাদের অনুসরন করবে এবং আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি মনোযোগী হবো। যেটি বিশ্বের অনেক দেশ অনেক আগের করে ফেলেছে।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অনেক শুভ কমনা রইল

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

নতুন বলেছেন: দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাষার কারণে ভাষার মৃত হয় না । ভাষা টিকে থাকে জীবিকার উপর । উচ্চ পদের জীবিকায় বাংলা ভাষার কোন গুরুত্ব নেই বলেই বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ দোদুল্যমান । ++

সহমত

কেন মানুষ ইংরেজী, চাইনিজ, ফ্রেন্চ, আরবী শেখে??

কারন এই ভাষাতে আয় বেশি হবে...

তেমনি যদি বাংলাভাষাতে আয় কমে যায় তবে এটাও মারা যাবে এক সময়...

তাই আমাদের দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার নিশ্চত করতে হবে।

ইউরোপের অনেক দেশে ইংরেজী ব্যবহার হয়না। তাদের ভাষা শেখে... কোরিয়ান, জাপানিজ, চাইনিজ ভাষা মানুষ শেখে....

তাই ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে...

তার জন্য বিদেশী ভাষার অনুবাদ করে আমাদের বাংলাতে নিয়ে আসতে হবে... এবং দেশে সব খানে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমাদের জীবনযাত্রা আর ইউরোপের জীবনযাত্রা এক করলে হবে না। তারা অন্যর ভাষা শেখে না বরং অন্যরা তাদের ভাষা শেখে তার কারণ তারা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ন তাই অন্যদের হিসাব না করলেও তাদের চলে যাবে। আর আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশায়, তাদের সাথে যোগসুত্র রাখতে, তাদের তাবেদারী করতে তাদের ভাষা শিখি।

সমস্যা গোড়ায় তাই মাথাই পানি ঢাললে কাজ হবে না। আমাদের ভাষার ব্যবহারের পাশাপাশি ভাষার সাথে জীবিকার পদ্ধতিও রাখতে হবে। যত দিন না আমরা অন্যর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ন হবো তত দিন এ সমস্যা আমাদের থেকেই যাবে।

নিজেদের বিশ্বের বুকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই অন্যরা আমাদের অনুসরন করবে এবং আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি মনোযোগী হবো। যেটি বিশ্বের অনেক দেশ অনেক আগের করে ফেলেছে।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৯

বিজন রয় বলেছেন: ইদানিং আপনার পোস্টের বিষয়গুলো ভাল।
অনেক গুরুত্ব বহন করে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার উৎসহমুলক মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

পবন সরকার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলা ভাষা দিনদিন বিকৃত হচ্ছে!! আরো হবে। আর যে ইংরেজিকে আমরা সমৃদ্ধ ভাষা বলে জানি এটাও আসলে অনেক ভাষার একটা মিশ্রণ!! একটু খোঁজ নিলেই এটা জানা যাবে!
যাক, আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু খুব ভাল। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধির জন্য বাংলা ভাষার গবেষকরা এটার বিজ্ঞান ও গবেষণাকর্মে আরো বেশি সমৃদ্ধকরণকল্পে কাজ করতে পারে!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: ইংরেজী ভাষা অন্য ভাষার মিশ্রণ হলেও তারা সেটাকে নিয়মিত আপডেট করছে ও এমন ভাবে প্রচার করছে যেন সেটি ইংরেজী ভাষাই। আমরাও সেটিকে সহজে গ্রহন করছি কারণ ইংরেজী ভাষা সমস্ত ভাষার ভিতর মডেল ভাষা বলা যায়। সবার নজরে আসতে হলে নিজেকে সমৃদ্ধশালী হিসেবে রুপান্তর করতে হয় যেটা তারা করে ফেলেছে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

শামচুল হক বলেছেন: অনেক ভালো একটি লেখা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: নতুন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আশা করি সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

খোলা মনের কথা বলেছেন: অসংখ্যা ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন সবসময়।

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সরকারী অফিস আদালতগুলোতে বাংলা ব্যবহার নাই বললেই হয়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

খোলা মনের কথা বলেছেন: এটা শুধু আমাদের ব্যর্থতাই না আমাদের লজ্জা।

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল ও সময়োপযোগী একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । এর বর্তমান সমস্যা , ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও এর উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে সুন্দর দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । এগুলির সাথে সহমত ।

একথা সত্য যে বাংলা ভাষা বিশ্বে আজ একটি সুপরিচিত ভাষা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ৬৯০৯টি ভাষার মধ্যে এর অবস্থান পঞ্চম স্থানে। কেননা, জনসংখ্যা রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে বাঙালি জনসংখ্যা এখন প্রায় ২৭ কোটির কাছাকাছি। বাংলা বাংলাদেশের প্রধানতম ভাষা। এশিয়া মহাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ভাষা। পশ্চিম বাংলা, আসাম, ত্রিপুরা রাজ্যের বেশির ভাগই বাঙালি। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি দেশের জাতীয় সংগীত, ভারতের জাতীয় স্তোত্রও বাঙালি কবির বাংলা ভাষায় রচিত। কোটি কোটি মানুষের কণ্ঠে আবেগে ভালোবাসায় যা উচ্চারিত হয় প্রতিদিন।

বিশ্বায়নের কারণে অন্য সব সভ্যজাতির মাতৃভাষার মতো বাঙালির মাতৃভাষাতেও বিভিন্ন ভাষার সংযোজন ঘটে চলেছে নিরন্তর। এটাকে অস্বিকার করার কোন উপাই নাই । যে জাতি বহির্বিশ্বে যত বেশি কর্মতৎপর, যত বেশি অন্যান্য জাতির সঙ্গে তার সংযোগ সাধন ও ভাবের আদান-প্রদান, তার মাতৃভাষার সঙ্গে, কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে অন্যের ভাষার, অন্যের সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটে যাওয়া তত বেশি স্বাভাবিক। বাংলা ভাষার একটি বিশেষ গুণ হলো এটা বিদেশী শব্দকে নীজ ভাষায় ধারণ করতে পারে সুন্দরভাবে । জাতীয় কবি নজরুলের লিখনী এর সর্বোতকৃস্ট উদাহরন ।

তবে নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার আবেগ যাতে কখনো ব্যাহত না হয় সে দিকে দৃস্টি রাখতে হবে সকলের। মানুষের চেতনায় জননীর পরেই জন্মভূমি ও মাতৃভাষার অবস্থান। ফিজিক্যাল ফর্ম যেমন কোনো বস্তু কিংবা ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট অস্তিত্বকে প্রতীয়মান করে, তেমনি ভাষার মাধ্যমেই মানুষ নির্দিষ্ট জাতি আর তার সংস্কৃতির ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। যতকাল একটি জাতির মাতৃভাষা তার স্বকীয়তা নিয়ে অস্তিত্বমান থাকে, ততকাল বেঁচে থাকে তার নিজস্ব সংস্কৃতি। যতকাল সেই সংস্কৃতিকে জাতি ধারণ করে থাকে, মাতৃসমা মাতৃভূমির অস্তিত্বও মানুষ টিকিয়ে রাখে ততকাল। এ প্রেক্ষাপটে আপনার লিখাটিকে খুবই ভাল লাগল ।

একটি কথা সবিনয়ে বলতে চাই এই ডিজিটাল যুগে এখন হাতে কলম ধরে লিখতে প্রায় হয়না বললেই চলে । অফিস অাদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ও ছাত্র সমাজে ডিজিটাল বাংলা লিখন এখন ব্যপকভাবে চালু হয়েছে । কিন্তু এখানে প্রধান একটি সমস্যা হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলা লিখন । ইংরেজীর তুলনায় বাংলা লিখনে সময় প্রায় দ্বিগুন লেগে যায় শুধু বর্ণমালার কারনে । কোন কোন বাংলা বর্ণ লিখতে কি বোর্ডে তিন হতে চারটা কি চাপতে হয় । উদাহরণ ক্ষ বর্ণটি লিখাার জন্য J +G +N + একই সময়ে Shift key মোট কথা চারটি কি চাপতে হয় ।

বাংলা ভাষায় সমউচ্চারণ বর্ণাধিকের জন্য টাইপিং এ বেশী সময় লাগা সহ বানান প্রমাদটিও উল্লেখ যোগ্য । তাই বাংলা ভাষায় শব্দের উন্নয়ন ও প্রয়োগের সাথে বাংলা ভাষার বর্ণ সংখ্যা কমানোর বিষয়টিও ভেবে দেখার অবকাশ রাখে বলে মনে করি ।
এ বিষযটি কারো কাছে এখনো গুরুত্ব তেমন পায়না শুধু সংরক্ষনশীলতার কারণে । বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কমানোর বিষয়ে এ ব্লগেও আমার দুটো এলো মেলো কথার পোস্ট আছে , প্রাথমিক অবস্থায় বর্ণ সংখ্যা নিয়ে রক্ণশীলদের ভয়ে বলা হয়েছে এগুলি রম্য কথা । লিখা দুটোর লিংক দেয়া হল, ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন তথায় । বাংলা ভাষায় বর্ণ কমানোর বিষয়ে ভাবনা
বাংলা বানান নিয়ে টানাটানি : বর্ণ সংখ্যা কমানো যায়কি?( একটি রম্য কাব্য)

যাহোক, আপনার মুল্যবান লিখাটির জন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনি বিস্তারিত লিখে বাংলা ভাষা সম্পর্কে আরও ভাল জ্ঞান দান করলেন। মূল্যবান আলোচনার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কবিতা পড়ে যথেষ্ট ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন সব সময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.