নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ন হি সর্ববিদ: সর্বে \"

খোলা মনের কথা

স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!

খোলা মনের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবরী মসজিদের রায়ের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙ্গার বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮


আজ ভারতের বহুল আলোচিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের। মসজিদের জায়গায় মন্দির স্থপনা ও শহরের অন্য জায়গায় ৫ একর জমি মুসলিমদের দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মন্দির নির্মাণের জন্য তুলে দিতে হবে সরকারি ট্রাস্টের হাতে এবং শহরের ‘উপযুক্ত’ ৫ একর জমি মুসলিমদের দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এই রায় দানের মধ্য দিয়েই শেষ হলো দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি। সর্বসম্মত রায় দান করলো সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, বিতর্কিত মূল জমি পাবে ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস’। এই জমিতে মন্দির তৈরিতে কোনো বাধা নেই। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ওই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানেই থাকবে বিতর্কিত মূল জমি। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে মন্দির তৈরি হবে, তারও পরিকল্পনা করবে ট্রাস্ট।

অপরদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় ওই জমির বন্দোবস্ত করতে হবে সরকারকে।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবরের সেনাপতি মির বাকিই যে মসজিদ তৈরি করেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে। তবে সেটা কোন সালে, তা নির্ধারিত নয় এবং তারিখ গুরুত্বপূর্ণও নয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের খননে অন্য কাঠামোর প্রমাণ মিলেছে। তবে সেই কাঠামো থেকে এমনও দাবি করা যায় না যে সেগুলি মন্দিরেরই কাঠামো। আবার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে শীর্ষ আদালত বলেছে, শুধুমাত্র বিশ্বাসের ভিত্তিতে কোনো অধিকার দাবি করা যায় না। জমির মালিকানা আইনি ভিত্তিতেই ঠিক করা উচিত।

ভারতের রাজনীতিতে সব থেকে স্পর্শকাতর এ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গোটা উত্তরপ্রদেশকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে চার হাজার আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৭৮টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।আগামী সোমবার পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। লক্ষ্ণৌ এবং অযোধ্যায় দুটি হেলিকপ্টার মোতায়েন রাখা হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই গোটা উত্তর প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এর আগে, টানা ৪০ দিন শুনানির পর গত ১৬ অক্টোবর রায় স্থগিত করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
উল্লেখ্য, অযোধ্যায় ২ দশমিক ৭৭ একর বিতর্কিত জমির মালিকানা দাবি করে আসছিলো হিন্দু ও মুসলিম দুপক্ষই। ১৯৮০ সাল থেকে এই মামলাটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে। ওই জায়গায় রামমন্দির তৈরি করতে চায় হিন্দু সংগঠন। মুসলিমদের পক্ষে বলা হয়েছে, সেই জায়গায় মন্দির থাকার কোনো প্রমাণ নেই। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় দক্ষিণপন্থী আন্দোলনকারীরা। তাদের বিশ্বাস, পুরানো মন্দির ভেঙে দিয়ে সেই জায়গায় মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে, যে জায়গাটি ছিলো ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত জমিটিকে তিনভাগে ভাগ করে দেয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লালার মধ্যে। তবে এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় তিনপক্ষই।
(সংগ্রহিত)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

হাবিব ইমরান বলেছেন: এ রায়ে রাষ্ট্র বিচক্ষণতার প্রমাণ দিতে পারতো, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
আগে যা ছিলো তা আলাদা ব্যাপার। রাষ্ট্র বিতর্কিত এ জমিতে কাউকেই মসজিদ বা মন্দির স্থাপনের নির্দেশ না দিয়ে বাজেয়াপ্ত করতে পারতো। সেটাই হতো সবচেয়ে মানবিক। কিন্তু তারা না করে একপাক্ষিক রায় দিয়ে নিজেদের কলুষিত করেছে।
মানছি, রাষ্ট্রের জমি রাষ্ট্রের যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে ব্যবহার করার নৈতিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিচক্ষণতার প্রমাণ দিতে যৌক্তিকতার আশ্রয় নিতে পারতো। কারোপক্ষে রায় না দিয়ে জমিটি বাজেয়াপ্ত করলে কারোরই কিছু করার থাকতো না। এক্ষেত্রে উভয় গ্রুপই মানতে বাধ্য হতো। পাশাপাশি চিরস্থায়ী একটা সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব হতো।

দেখা যাক সামনে কি হয়!
দাঙ্গা-হাঙ্গামা ইন্ডিয়ানদের জন্য একেবারে পান্তাভাত।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: মোদি সরকারের কাছ থেকে এটি মোটেই অস্বাভাবিক না। অধিকাংশ এমনই রায় হবে আগেই বুঝতে পেরেছিল। মাঝখানে কিছুদিন নাটক ছিল। সমস্ত ভারত মুসলিমদের কোনঠাসা করে ফেলা হচ্ছে দমন নিপীড়ন দাঙ্গা হাঙ্গামার ভিতর দিয়ে। ভবিষৎতে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীনে হতে পারে মোদী সরকারের। বাবরি মসজিদের কথা কেউ ভুলে যাবে মনে করলে সেটি ভুল হবে....

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

নুরহোসেন নুর বলেছেন: অবশ্যই এটি আশাজনক,
যদি হিন্দু মুসলিম উভয়ে তা সঠিক বলে গ্রহন করেন।
-তবে রায়টি যেমনি হোক অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাই কামনা করি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: এটি কেমন করে আশা করলেন???
হিন্দুরা তো আজ আর একটি দূর্গাপূজা আদায় করবে, মুসলিমরা কোন যুক্তিতে সঠিক বলে গ্রহন করবে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন??

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

মেমননীয় বলেছেন: বাদশা আবরাহাকে মনে পড়ছে!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

খোলা মনের কথা বলেছেন: হস্তিবাহীনির পতন চিরকাল.....

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: ভারতীয় হিন্দুরা যে চরম মুসলিম বিদ্বেসী এই রায়ের মাধ্যমে সেটা আবার প্রমাণ হলো। ভারতীয় আদালতের উপর আমার যে শ্রদ্ধা ছিল সেটা আজ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেল। এরা মানূষ হতে পারে নি।
এই রায় এখন জোর করে হজম করাবে মোদী সরকার।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: বাবরী মসজিদ ভারতীয় মুসলিমদের একটি পুরাতন ঐতিহ্য, নানা ইতিহাস কথা বলে বাবরী মসজিককে কেন্দ্র করে। ভারতীয় আদালত চরম অন্যয় করেছে এই রায়ের মাধ্যমে। ভারতীয় হিন্দুরা আগাগোড়াই মুসলিম বিদ্ধেসী আর মোদী সরকার স্বয়ং বাবরী মসজিদ ভাঙার কট্টর হিন্দুদের দলে। বিচার এটাই হবে সবাই ধারণা করেছিল.....

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: অযোধ্যার ভূমি বিবাদ নিয়ে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোটেই খুশি নয় মামলার অন্যতম আবেদনকারী সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের আইনজীবী জাফারিয়াব জিলানি বলেছেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করছি, কিন্তু আমরা মোটেই খুশি নই। এইা রায়ে অসংখ্য পরস্পরবিরোধীতা রয়েছে। আমরা এই রায়ের রিভিউ আবেদন জানাব। তবে জিলানি জাতির কাছে শান্ত এবং শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। এই মামলায় সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড ছাড়াও মুসলিমদের তরফে ছিলেন জনৈক মহম্মদ ইকবাল আনসারি, এম সিদ্দিকি (বর্তমানে মৃত) এবং কেন্দ্রীয় শিয়া ওয়াকফ বোর্ড।

মামলায় সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডের যুক্তি ছিল, বিতর্কিত স্থানে কোনও মন্দির বা কাঠামো ভেঙ্গে মসজিদ করা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে আর্কিলজিক্যাল ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এআইসি) রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। রিপোর্টে কারও স্বাক্ষর ছিল না। ফলে কে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন তা অজানা।

তবে ১৯৪৯ সালে প্রথম মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজের নীচে রামলালার মূর্তি রাখা হয়েছিল।

বোর্ডের আরও যুক্তি ছিল, বিতর্কিত জায়গাটি রামের জন্মস্থান নয়। আর সেখানে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে। বোর্ড জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গম্বুজে রাখা রামলালার মুর্তিতে পূজার কোনও প্রমাণ নেই। বরং পূজা হত মসজিদের বাইরে রাম চবুতরায়। হিন্দুদের পক্ষ থেকে ভ্রমণকারীদের সুত্র এবং গেজেটিয়ারের যে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ এবং কারোর সঙ্গে কারোর মিল নেই। তবে সব গেজেটিয়ারেই বিতর্কিত স্থানে মসজিদের কথাই বলা হয়েছে। কোথাও রামের জন্মস্থানের কথা বলা হয়নি।

সুত্র আজকের মানবজমিন পত্রিকা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: রিভিউ করলেও ফলাফল পরির্তন হবে না। আপনার হাত কেঁটে গেছে তার বিচার চাইতে গেলেন উলটো বিচার কাঁটা জায়গায় লবন দিয়ে দিলো। এই বিচার ঠিক তেমনই হয়েছে। মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ভেঙে মন্দির তোলা। ভারতের বিচার বিভাগ থেকে মানুষ সম্পূর্ন আস্থা হারিয়েছে এই রায়ে। মুসলিমদের পক্ষে না হলেও নিরেপেক্ষ বিচার করতে পারতো.... যদিও মোদি সরকারের আমলে তা সম্ভব না.....

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

বুবলা বলেছেন: অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। বিতর্কিত জমির মালিকানা পেল রাম জন্মভূমি ন্যাস। কিন্তু, আপাতত বিতর্কিত ওই জমির তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি ট্রাস্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রায়দানের সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) রিপোর্টের উপর। যারা প্রমাণ দেখিয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে দেবদেবীর অস্তিত্ব ছিল।
১৯৭৬-৭৭ সালে এএসআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল বিবি লালের সঙ্গে প্রথমবার এই জমির খননে অংশ নিয়েছিলেন এএসআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর কেকে মহম্মদ। সেই দলে একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন মহম্মদই। তিনিই জানান, এই জমিতে মন্দির ছিল, তা প্রমাণিত। এরপর ২০০৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চের নির্দেশে দ্বিতীয়বার খননকার্য হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তীকালে সেই সময় রাডার (গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার) ব্যবহার করে চলে গবেষণা। সেখান থেকে আবিষ্কৃত সব জিনিসের ভিডিও করে রাখা হয়। প্রথম খননের মতো এবারও এই জমিতে মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণ হয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত মোট সাতটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন কেকে মহম্মদ। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সাতটি প্রমাণ।
১. স্তম্ভ, ভীত এবং কলসি:
আমরা ভিতরে ঢুকে দেখি মসজিদের ১২টি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকেই তৈরি করা হয়েছিল। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতকের মন্দিরগুলির ভীতে পূর্ণ কলস বা কলসি দেখা যেত। এগুলি আসলে ‘ঘড়া’র স্থাপত্য। যেখান থেকে গাছপালা বেরিয়ে থাকত। হিন্দু মতে সেটি ছিল সম্বৃদ্ধির প্রতীক। এটি অষ্ট মঙ্গল চিহ্ন হিসেবেও পরিচিত ছিল। বাবরি মসজিদের ভিতরও এই ধরনের বস্তু দেখা গিয়েছিল। দেবদেবীর খুঁজে না পাওয়া গেলেও অষ্ট মঙ্গল চিহ্ন ছিল। অর্থাৎ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকেই যে স্তম্ভ তৈরি, তা প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।
২. টেরাকোটা ভাস্কর্য:
একাধিক টেরাকোটা ভাস্কর্য সেখানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যদি এটি শুধুই মসজিদ হত, সেক্ষেত্রে কখনওই মানুষ বা জন্তুর বর্ণনা সেখানে থাকত না। কারণ ইসলাম মতে তা ‘হারাম’। অর্থাৎ সেখানে মন্দির ছিল। কিন্তু বিবি লাল এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরেননি। কারণ আমাদের খননের লক্ষ্য ছিল সেই এলাকার সংস্কৃতিক ক্রম বোঝা।
৩. আরও স্তম্ভের সন্ধান:
দ্বিতীয় খননে পঞ্চাশটিরও বেশি স্তম্ভের ভীত পাওয়া গিয়েছিল। মোট ১৭টি সারিতে এই স্তম্ভ পাওয়া গিয়েছিল। এই কাঠামোই প্রমাণ করে দ্বাদশ শতকে বাবরি মসজিদের নিচে মন্দির ছিল।
৪. মন্দির প্রণালী:
মন্দির প্রণালীও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। দেবদেবীর স্নানের জন্য যে জল ব্যবহৃত হয় তা এই প্রণালীর মধ্যে দিয়েই বয়ে যায়। কুমিরের মুখের মতো এই প্রণালী মকর প্রণালী হিসেবেও পরিচিত। কুমির হল গঙ্গার প্রতীক। গর্ভ গৃহে প্রবেশের আগে একপ্রান্তে এক মহিলা কুমিরের উপর দাঁড়িয়ে থাকে এবং অন্যদিকে আরেক মহিলাকে কচ্ছপের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। অর্থাৎ গঙ্গা-যমুনা বা সরস্বতীতে স্নান করে তবেই ঈশ্বরের গৃহে আপনি প্রবেশ করেন। হিন্দু মতে এই স্নানেই পাপ ধুয়ে যায়। এই মকর প্রণালীও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
৫. মন্দির কলস ও শিখারা:
মন্দিরের উপর কলসের ঠিক নিচে যে স্থাপত্য থাকে, তা অমলকা নামে পরিচিত। উত্তর ভারতের মন্দিরে এর নিচে গ্রীবা ও শিখারার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই স্থান থেকেও তেমনই শিখারা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
৬. আরও টেরাকোটার জিনিস:
২৬৩টি টেরাকোটা দেবদেবীর পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলার শরীরের কাঠামোও পাওয়া গিয়েছে। এটি শুধু মসজিদ হলে এসমস্ত বস্তু পাওয়া সম্ভব হত না।
৭. বিষ্ণু হরি শীলা ফলক:
এসব ছাড়াও বিষ্ণু হরি শীলা ফলক লিপিও জমির দুই জায়গা থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। মসজিদ ধ্বংসের পর খননকাজে তা উঠে আসে। এখান থেকে পাওয়া তথ্যদিতে প্রমাণিত এখানে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির ছিল। যিনি বালিকে বধ করেছিলেন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: ঘরে বসে ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন তো মশাই???
১৫ শতকে বাবরি মসজিদ ভারতের প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয় এবং তার নাম অনুসারে নামাঙ্কিত হয়। মুঘলদের স্থাপত্য মুহাম্মাদ বিন তুঘলক রাজবংশের স্থাপত্যের প্রভাব বহন করে যার একটি স্বতন্ত্র গঠনশৈলী আছে। ভারতের সর্বত্র, মসজিদসমূহের ভিন্ন ভিন্ন গঠনশৈলী আছে যা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছিল তার ‍ভিতর বাবরি মসজিদ অন্যতম। এমনকি মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেকদিক ভেবেচিন্তে এই রায়টি দিতে একপ্রকার বাধ্যই হয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। :| :-&

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

খোলা মনের কথা বলেছেন: মোদি সরকার না ভাবলেও এমন বিচার আশা করা যায়। উগ্রবাদী হিন্দুদের ভিতর মোদি সরকার অন্যতম। তারা তো আর বাবরি মসজিদের রায় মুসলিমদের পক্ষে দিতো না

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

খোলা মনের কথা বলেছেন: চোখ বন্ধ রাখলে প্রলয় থেমে যায় না....

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সবগুলো ধর্মীয় উপাসনালয়কে মানসিক হাসপাতাল করা হোক।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: এটার পক্ষে আমিও। ভাল কোন উদ্ধ্যেগ নিয়ে তিনটি সংগঠনকে আলাদা তিন স্থানে জায়গা বরাদ্দ দিলে এমন অনাস্থা তৈরি হতো না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.