নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" ন হি সর্ববিদ: সর্বে \"

খোলা মনের কথা

স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!

খোলা মনের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যায়ের বিচারের জন্য রাস্তায় নামতে হবে কেন?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬


খুন, ধর্ষন, দূর্নীতি অন্যয়ের বিচারের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা একটা নিয়মে পরিনত হয়েছে। ছাত্র, সাধারন জনগন রাস্তায় না নামলে যেন বিচার পাওয়া যাবে না এমন একটা অবস্থার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বাস থেকে নামার পরে ধর্ষন হয়েছে। সাধারন নিয়ম ছিল প্রশাসন ধর্ষকদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের ধরা এবং দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া। কিন্তু তা করতে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারীয় নেতারা ২৪ঘন্টা-৪৮ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়ে খালাস, তারপর ২৪-৪৮ মাসেও আর কোন খবর পাওয়া যায় না। সাগর-রুনি, তনু, বিশ্বজিৎ হত্যা থেকে সাধারন মানুষ শিক্ষা নিয়ে আজ বারবার রাস্তায় নেমে আসে। আস্থা হারিয়েছে প্রশাসন, রাজনীতি নেতাদের উপর।

একটু ঘুরে আসি বিচার ব্যাবস্থা বিবর্তন থেকে। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি গ্রাম মহল্লায় কেউ কোন অন্যয় করলে তাকে গ্রাম বা মহল্লার মাতবর বা মুরব্বিরা বিচার করতেন। তখন বিচারের জন্য থানা পুলিশ কোর্টে পর্যন্ত খুবই কমই যেত। মাতবর-মুরব্বিগন বংশ-দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে যে ব্যাক্তি অন্যয় করতো তাকে কঠিন শাস্তি দিতেন। মাঝে মাঝে তাকে একঘরে করে রাখা হতো। ফলে অন্যায়কারী ভবিষৎতে অন্যায় করার সাহস পেতেন না আর ঐ বিচারের ভয়ে অন্য কেউও এমন অন্যায় করার সাহস দেখাতো না। আস্তে আস্তে মাতবর-মুরব্বিগনের বিচারে শকুন পড়লো। বিচার ব্যাবস্থা চলে গেল গ্রাম বা মহল্লার অসৎ বড় ভাইদের হাতে। শুরু হলো বংশ-দল-মত-ধর্ম পক্ষপাতিত্ব। তাতে যারা ভুক্তভোগী তারা হতাশ হতে শুরু করলো আর অন্যায়করীও অন্যায়ে শাস্তি না পাওয়ায় কোন ভয় নেই ফলে অন্যায় বেড়ে গেল। সাধারন মানুষ থানা পুলিশ কোর্ট চিনতে শুরু করলো। এটি ছিল সাধারন মানুষের শেষ ভরসা। দিন দিন সেখানেও হতাশ হয়ে পড়েছে মানুষ। তাই সমস্যা তৈরি হলেই কোন উপায় না পেয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ছে।

খুবই হতভাগ হওয়ার মত ব্যাপার যে, একটা খুন, ধর্ষন, অন্যায় হলে প্রশাসন সাথে সাথে ব্যাবস্থা নিবে, আইন অনুযায়ী বিচার হবে কিন্তু তার জন্য প্রশাসন সরকার প্রধানের দিকে তাকিয়ে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে অন্যায় কখনোই কমানো যাবে না। অন্যায়ের উপযুক্ত শাস্তি না হলে অন্যায় দিন দিন বাড়বে। ভুক্তভোগী সহ সাধারন মানুষ ততই রাস্তায় আন্দোলনে নেমে আসবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেত্রী সকলেই নারী। এমন কোন গুরুপ্তপূর্ন জায়গায় বাকি নেই যেখানে উচ্চ পদে নরী কাজ করছেনা। তবু দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশে নারীরাই ধর্ষিত হচ্ছে। এসকল ধর্ষনকারীসহ সকল অন্যায় কারীকে দল-মত-ধর্ম ভুলে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এমন শাস্তি হবে যেটা দেখে অন্য কেউ এমন অন্যায় করার সাহস না পায়।

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

ইউসুফ হাওলাদার শাওন বলেছেন: যতদিন ভোগবাদী দর্শন থাকবে, প্রশাসন হুজুর হুজুর করবে,
রাজনৈতিক পা চাটা কুকুর থাকবে, সর্বত্র অনিয়ম চলবে, প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্থক্ষেপ থাকবে, রাজনীতির অপব্যবহার চলবে, ক্ষমতার দাপট চলবে ততদিন বিচার দাবিতে জনতার পথে জনতার নামতে হবে,

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: এই অবস্থার থেকে সরকার প্রশাসন সবাই বের হয়ে আসুক। সাধারন মানুষের পাশে থাকুক সরকার প্রশাসন। অন্যায়কারীরা ধ্বংস হোক... বিচার হোক সকল অন্যায়ের

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেয়ের পরিচিত কেহ নাকি?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: বিদেশ থাকলে সমস্থ বাংলাদেশের মানুষ পরিচিত, শুধু পরিচিত না আপন আত্নীয় হয়। ঢাকায় থাকলে নিজ জেলা লোক পরিচিত আর গ্রাম-মহল্লার হলে তো কথায় নেই। গ্রাম মহল্লায় থাকলে নিজ বংশ বা মতের লোক আত্নীয়..... এই ভাবে কোন কোন দিক দিয়ে পরিচিত।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খোলা মনের কথা,




অনুন্নত দেশগুলোতে আহাম্মক জনগণের নাকের সামনে "ভোট" নামের মূলো ঝুলিয়ে যখন গণতন্ত্রের নামে "নিজতন্ত্র" বা " বাই মি, ফর মি, অব মি"র তন্ত্র দেশটাকে লীজ নেয় তখন এমনই হবার কথা।
সীলছাপ্পা মেরে শাসন-শোষনের যাবতীয় সনদ যখন কোনও ব্যক্তি-দল তথা সরকারকে দিয়ে দেয়া হয় তখন আম পাবলিকের পাশে তো সরকারের আর থাকার কোনও দরকার করেনা, তা সেটা যে ধরনের সরকারই হোক।

আশা করা ভালো তবে যে আশা কখনও পূর্ণ হবার নয় সে আশা না করাই ভালো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমি সরকারের কাছে কিছু আশা করেনি। যারা মূলো ঝুলিয়ে গনতন্ত্র, চেতনা, স্বাধীনতা, দেশপ্রেমের কথা বলে দেশ চালাচ্ছে তারাও অন্যায়ের ভিতর পড়ে। তাদের আরও বেশি শাস্তি হওয়া উচিৎ। আপাতন্ত্র অবসান না হলে কোন অন্যায়ের অবসান তো দুরের কথা অন্যয় বেড়েই চলবে। আশা, অধিকার এখন আদায় করা সময়ের দাবী মাত্র। এগুলো আদায় করার সময় এসেছে..

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কেবল কিছু মানুষ নয় সম্ভব হলে 18 কোটি মানুষকে এখন রাস্তায় নেমে আসা উচিত ।
দেশের এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে এই জাতীয় অপরাধের কারণে বিদেশেমানুষের কাছে মুখ দেখানো যায় না।
অসভ্য মানুষদের কে ধরে ধরে ক্রসফায়ারে দেওয়া উচিত এবং সেটার জন্যই সবাইকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১১

খোলা মনের কথা বলেছেন: যারা দেশপ্রেম, চেতনা, গনতন্ত্র প্রোডাক্ট করে বিক্রি করে খাচ্ছে তারা আরও বড় অপরাধী। তাদের শাস্তি আরও বেশি কঠোর হওয়া উচিৎ। এরা দেশের ভিতর অন্যায়ের বীজ বপন করেই চলেছে। আগ্নেয়গিরির লাভা জমাট বেঁধে আছে। সঠিক পথে ফিরে না আসলে খুব দ্রুতই বিস্ফোরণ হবে....

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষন বন্ধ করার উপায় কি কি তা বলুন?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

খোলা মনের কথা বলেছেন: ধর্ষন বন্ধের সঠিক কোন উপায় নেই। তবে আমার কাছে একটি উপায় আছে... ধর্ষক ধরা পড়লে আর প্রমান পাওয়া গেলে তাকে নপুংসক করে দিতে হবে ধর্ষনকারীকে। এভাবে কয়েকটা করতে পারলে ধর্ষন করার সাহস পাবে না

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, ছেলেটা মেয়ের পরিচিত কেহ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০১

খোলা মনের কথা বলেছেন: ভিক্টিম বলেছে একজন তাকে ধর্ষন করেছে। পরিচিত হলে তার নাম বলতো মনে হয়। কুর্মিটোলা, বিশ্বরোড রোড টা খুবই নিরাপত্তাহীন নিরিবিলি এলাকা। অপরাধীরা সহজে অপরাধ করতে পারে এখানে। প্রায় ছিনতায় হয় এই রোডে

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ কেন, কোন অন্যায়ই বন্ধ হবে না। বরং দেখবেন, দিন দিন এগুলো বাড়তেই থাকবে। তাছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে দু/একটা অন্যায়ের বিচার হলেও যতোদিন সমস্যার মূলে না যাওয়া হবে, ততদিন এর থেকে নিস্কৃতি নাই।
সামনে হতাশা আরো বাড়বে! :(

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: বিচার যা হচ্ছে আন্দোলন সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে হচ্ছে এটা সত্য। আপরাধীরা আপরাধীর বিচার কেমন করে করবে??

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি বলছেন, অন্যায়ের বিচারের জন্য রাস্তায় নামতে হবে কেনো?

আরে ভাই, আগে তো তাও রাস্তায় নামলে বিচারের একটা সম্ভাবনা থাকতো, এখন সেটাও হয় না। উল্টো রাস্তায় নামার অপরাধে ঠ্যাং হারানোর সম্ভাবনা জাগে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: হেলমেট বাহিনী সামনে পড়লে ঠ্যাং হারানো সম্ভাবনা খুবই বেশি। সরকারী বাহিনী তো আছেই। যে যেমন চলতেছে তেমন চলুক। আন্দোলন টান্টোলন আবার কি??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.