![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীন জীবনের সন্ধানে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি জন্মলগ্ন থেকে কিন্তু সে আমায় এতটায় অপছন্দ করে যে আমার থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকে। জানিনা তার সন্ধান পাবো কিনা। তবে আমি তার পিছু নিয়েছি, তাকে যে আমার পেতেই হবে!!!
অন্যর আনন্দে আনন্দিত হওয়ার মত ঘটনা অনেক দেখলেও এই ঘটনার থেকে বেশি আমি কখনো দেখিনি। একদমই সতেজ, নির্ভেজাল, আত্নার আত্নিক সুখের আমিষযুক্ত আনন্দ।
গ্রীষ্মের এক সন্ধ্যায় একা বসে আছি ঢাকা ভার্সিটির ভিতর এটি বেদির উপর, পাশে পানির ফোয়ারা থেকে অল্প অল্প পানি শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে। গরমে হালকা পানির ছাট শরীরে পড়লে দারুন লাগছে। পাশে ২৫-২৬ বছরের দু-তিন জন ছেলে কি যেন করছে। খেয়াল না করে সরে বসলাম। একটু পরে দেখলাম কেক, মোমবাতি, প্লাষ্টিক ছুরি, পানীয় ই্ত্যাদি নিয়ে বেদিটা সাজানো হচ্ছে। তাতে বুঝতে পারলাম কারোর জন্মদিন পালন করা হবে। কেক মোমবাতি ঠিকঠাক করে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে ১০-১২টা ছোট ছোট বাচ্চারা হ্যাপি বার্থডে বলতে বলতে দৌড়ে আসলো। প্রথম ভাবলাম এদের আগেই জানানো ছিল। কিছু সময় যেতে না যেতেই বুঝতে পারলাম তারা নিজের থেকেই এসেছে তাদের জানানো হয়নি।
প্রতিটা বাচ্চাদের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। তাদের আনন্দ দেখে আমারও একটু শেয়ার করতে ইচ্ছা হল। বাচ্চাদের মোমবাতি নেভানো, কেক খাওয়া, যদিও কেক নিজেরা খাওয়ার থেকে বেশি মুখে কেক মাখামাখি করেছে, হ্যাপি বার্থডে গান গাওয়া ইত্যাদি দেখতে ভাল লাগার মতই। আমি তাদের আনন্দ মুটোফোন বন্দি করতে লাগলাম।
আমার উৎসহ দেখে ছেলেগুলো আমাকেও ডেকে নিলো। এবার সরাসরি তাদের সদস্য হয়ে গেলাম। বাচ্চাদের মুখে তুলে কেক সহ এটা ওটা খাওয়ানোর সুযোগ হলো। তারা নিজেরা নিজেরা কেক মুখে মাখালো, আমাদের মুখে মাখায় দিলো, আমরাও তাদের মুখে মাখায় দিলাম ইত্যাদি সব মিলে এক অচেনা আনন্দভুবনে ডুব দেওয়া মত।
কয়েকটা বাচ্চাকে আইসক্রিম কিনে দিলাম। তাদের কাছে জানতে চাইলাম তারা কোথায় থাকে, কি করে, তাদের মা-বাবা কি করে ইত্যাদি। তারা আশেপাশের বস্তিতে থাকে, ভার্সিটির ভিতর বেলুন, ফুলের মালা ইত্যাদি বিক্রি করে, তাদের কারো কারো মা-বাবা নেই, কারো শুধু মা আছে এমন। তাদের কাছে জানতে চাইলাম লেখাপড়া করে কিনা, তারা একটি বাচ্চা সামনে এগিয়ে দিয়ে বললো এই ছেলে লেখাপড়া করে। সামনে এগিয়ে দেওয়ার অবস্থা দেখে বুঝতে পারলাম এরাও লেখাপড়াকে সহীহ করে, ভালবাসে। সবাইকে লেখাপড়ার গুরুত্ব বুঝানোর চেষ্টা করে বললাম তোমরাও লেখাপড়া করার চেষ্টা করো।
অবশেষে ফিরে আসার আগে কয়েকজনকে খেলনা কিনে দিলাম। তারা যে যার মত কাজে চলে গেল। তাদের নিত্যদিনের সীমিত প্রানবন্ত আনন্দ দেখে কিছুটা আনন্দ লাগলেও তাদের ভবিষ্যৎ ও আগামী দিনের পথ চলার কথা ভেবে কিছু ব্যাথা নিয়ে ফিরে আসলাম। তারা ছিল, তারা আছে, তারা হয়তো থাকবে এভাবেই.....
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
খোলা মনের কথা বলেছেন: শেষে ছেলেদের সাথে পরিচয় হয়েছিল নামগুলো মনে নেই, অপরিচিত কিছু ছেলে, তারা প্রাইভেট সেক্টরে জব করে। ৪ জনের ভিতর একটা ছেলের জন্মদিন ছিল সেই দিন। তারাই কেক, মোমবাতি ইত্যাদি নিয়ে এসেছিল।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
খোলা মনের কথা বলেছেন: ঐ বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ খারাপ। তাদের জন্য কিছু খারাপ লাগা।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোই
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
খোলা মনের কথা বলেছেন: বর্তমান সময়ে মানুষের আনন্দ দেখলে অন্যর খারাপ লাগে। এখানে অকৃত্রিম আনন্দ দেখে ভালই লেগেছিল।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৭
(লাইলাবানু) বলেছেন: ভালো কাজ করেছেন ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৯
খোলা মনের কথা বলেছেন: এটা তেমন ভাল কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎতের জন্য কিছু করতে পারলে বেশি ভাল হতো।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই বাচ্চাদের জন্য সরকার কিছু করেন না। আর আমরা ব্যক্তিগতভাবে তাদের জন্য খুব একটা বেশী কিছু করতেও পারবো না। তাছাড়া আছে নানা প্রতিকুলতা। ভাসমান নারী পুরুষ ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ করা সহজ নয়। সান্তনার বাণী ছেলেগুলো ফিলিস্তিন ইরাকী শিশুদের চেয়ে অনেকগুন ভালো আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কেক, মোমবাতি ও পানীয় ওখানে কে নিয়ে এসেছিলো, কার বার্থ-ডে ছিলো?