নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলাদেশী এবং এটায় আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়

বিবর্ণ অনুভুতি

জাহিদ খাঁন

বিবর্ণ অনুভুতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানী

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

আমি আমার আশে পাশের এমন অনেক পরিবারকে বলতে দেখেছি যারা এক কুরবানীর পর আর এর কুরবানী পর্যন্ত এককেজি গরুর মাংস কিনে না। এইসব পরিবারের অধিকাংশ অভাবের সংসার, চারশত থেকে পাঁচশত টাকা দিয়ে এককেজি মাংস কিনার দুঃসাহস এদের নেই। আর কিছু পরিবারকে দেখেছি যারা কুরবানীর দিনে জবাইকৃত পশুর মাংস (দুঃখিত তাদের কুরবানী কে কুরবানী বলতে পারছি না তাই জবাইকৃত পশু উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি) সারা বৎসরের জন্য মওজুত রাখে যার কারণে তাদের আর টাকা খরচ করে মাংস কিনতে হয় না।

আর মাত্র কয়েক দিন বাকী আমরা সবাই আমাদের সাধ্যমতে কুরবান করবো, আত্নীয়/বেয়াই কুরবানী করার পর ও লোক দেখানোর জন্য আমরা বেশী করে তাদের বাসায় মাংস পাঠাবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেই সব পরিবারের এই একটি দিন ভরসা আমরা যেনো তাদেরকে ভুলে না যায়। আমরা কেউ যেনো আমাদের চারপাশের এই সব অসহায় গরীব দুঃখী পরিবারকে না ভুলি। আমরা যেনো আমাদের গরীব দুঃখীদের ন্যায্য পাওনা প্রদান করি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: (দুঃখিত তাদের কুরবানী কে কুরবানী বলতে পারছি তাই জবাইকৃত পশু উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি)

এ লাইনটা কি এরকম হবে? (দুঃখিত তাদের কুরবানী কে কুরবানী বলতে পারছি না তাই জবাইকৃত পশু উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি)।

সবাই কুরবানীর মহত্ত্ব উপলব্ধি করুক, এই দোয়াই করি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

বিবর্ণ অনুভুতি বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাবন ভাই, আসলে টাইপিং এ মিসটেক, আবার ও ধন্যবাদ

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

বিপরীত বাক বলেছেন: কিন্তু যেই সব
পরিবারের এই একটি দিন ভরসা আমরা
যেনো তাদেরকে ভুলে না যায়।
আমরা কেউ যেনো আমাদের
চারপাশের এই সব অসহায় গরীব দুঃখী
পরিবারকে না ভুলি।


এইসব গুলোরে কোরবানি র দিন আমি বহুৎ খুজি।। বাট কোনদিন পাইনা।।।। সব মাংসব্যবসাী।।।।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

বিবর্ণ অনুভুতি বলেছেন: বপরীত বাক, গত বছরের ঘটনা বলছি আমি আমার বাসা হতে যখন মাংস নিয়ে বের হচ্ছি আত্নীয় ও বন্ধুদের দেওয়ার জন্য যাওয়ার সময় মহিলাকে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম, শুধু নিরব চোখে সবার পানে তাকিয়ে রয়েছে কিন্তু কাউকে কিছু বলছে না, আমি সব বিতরন করার পর আবার যখন বাসায় আসতেছি রাস্তার মোড়ে তাকে আবার দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম আমি তাকে জিজ্ঞেস করার পর সে বলল তার স্বামী দুর্ঘটনায় অসুস্থ এবং তাদের কোন আত্নীয় ও নেই যে তার বাসা থেকে মাংস আসবে। তার আশে পাশে কোন পরিবার থেকে সে কোন মাংস পায় নাই বলে সে এই বিকেল বেলা মানুষ থেকে খুজার জন্য বের হয়েছে কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারছে না।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০

বিপরীত বাক বলেছেন: এইসব নীরব মানুুষ দের আমিও খুজি বাট সবসবময় পাইনা।। এদের সমস্যা হলো এরা কামড়াকামড়ি, ধাক্কাধাক্কি করতে পারে না।।। আমাদের কাছাকাছি টিনসেড চালার ৫০/৬০ টা ঘর আছে।। নিম্নবিত্ত রা বাস করে।।এদের পোলাপান রা সারাবছর ডুড্ডামি করে,, রাস্তার পাশে খারায় বিড়ি ফোঁকে,,, খিস্তিখেউড় করে নিজেদের ভেতর,
আর কোরবানি র সময় আসলে সিন্ডিকেট হয়ে এলাকার সমস্ত বাড়ির গোস্ত নিয়ে নেয়।।। বাইরের কোন গরিব রা ঢুকতে পারে না।।।
আমি ২০০৭ র দি কে একবার চেতেমেতে বিতরণের গোস্ত গুলো ২ দিন রেখে দিয়েছিলাম যে আসল দরিদ্র অভাবি দের খুজে বের করবো।।। তারপর মাংস দেবো।।। উল্টাপাল্টা বালছাল লোকজন যেন গোস্ত না পায়।।

গতবার চামড়াও কোন ব্যবসায়ী মস্তান কে দেয়নি।।। দুপুর ৩ টায় রাস্তায় আঞ্জুমানে গাড়ি পাইতেই ওদের কে দাড় করিয়ে নিজে হোন্ডা চালিয়ে বাসা থেকে চামড়া এনে আঞ্জুমানের মাইক্রো তে চামড়া তুলে দিছি।।।

এবারও চিন্তা করছি ১ দিন গোস্ত গুলো রেখে দেব আসল অভাবি মানুুষ যদি পাই সেই ধান্ধায়।।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

বিবর্ণ অনুভুতি বলেছেন: ভাই হয়তো আপনার এলাকায় এই সব লোক খুব কম, কিন্তু আমি সব সময় এই সব লোককে পায় তাছাড়া মাঝে মাঝে আমি রান্না করে বের হয় এবং পথশিশুদেরকে নিয়ে খাইতে বসি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.