নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ : শেকড় অন্বেষণ এবং সিদ্ধান্ত

১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

সর্দি হয়েছে, ডাক্তার বললেন— হিসটাসিন খাও, রোগী মেনে নেয়। কিন্তু ডাক্তার যদি বলে, সর্দি কেন হল সেটা বের কর এবং ভবিষ্যতে যাতে আর না হয় সেই ব্যবস্থা নাও— তবে যে রোগীর কেন গা জ্বলে ওঠে বুঝি না।

ধর্ষণের ব্যাপারেও হয়েছে তাই।

ধর্ষণ হয়েছে, আমরা নাক সিটকাই, ভদ্রতার ব্যানার গলায় টাঙিয়ে ধর্ষকের বিচার চাই— এ পর্যন্ত ঠিক আছে; কিন্তু ধর্ষণের কারণ খুঁজতে গেলেই সমস্যা!

তবুও আমি মনে করি, কারণ খোঁজা আমাদের দরকার।



ধর্ষণের কারণ হিসেবে মেয়েদের পোশাকের প্রতি কটাক্ষ করা হয়। কতখানি যৌক্তিক এই দোষারোপ?



ভাবুন তো, আপনার সামনে দিয়ে একটি অর্ধনগ্ন পোশাক পরিহিতা যুবতি হেঁটে যাচ্ছে আর অমনি কি আপনি তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হবেন?

উত্তর অবশ্যই 'না'।



তবে প্রতিক্রিয়া একটা ঠিকই হবে আপনার মনে। ভদ্ররা কেউ নাক কুচকাবেন, বখাটেরা টিটকারি ছাড়বে, কেউ বা ভিড়ের মধ্য মেয়েটিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে— এও মিথ্যে নয়।

কিন্তু ধর্ষণ?

এটি আসলে অনেক বিরাট ব্যাপার।



একটি পুরুষ ধর্ষণের মানসিকতায় উপনীত হওয়া মানে সে আর মানুষ নেই। আর মনস্তত্বের এই ধাপে পৌছালে তা সংশোধনের সম্ভাবনাও অলীক। এক্ষেত্রে সে আসলেই পাগলা কুকুরের মত বিপজ্জনক। আর পাগলা কুকুরের প্রতিবিধান— ওটাকে গুলি করে হত্যা।



আসুন ধর্ষণের কারণ খুঁজে দেখি :



♣ ধর্ষণ কী?

— মানুষের যৌন উদ্দীপনার ভয়ানক বিকৃত এবং দুঃসাহসী রূপ এটি।



ভাবুন তো, এটিকে উস্কে দিতে কী কী নিয়ামক কাজ করে?



একজন নারী কামোদ্দীপক শরীর কিংবা পোশাকে সজ্জিত হলে তা পুরুষের বাসনাকে আলোড়িত করে, এটা সত্যি। পুরুষটি বড়জোর তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে, সখ্য স্থাপনে উত্‍সুক হতে পারে, তার প্রেমে পড়তে পারে; কিন্তু ঝাঁপিয়ে যদি পড়ে, তবে সেটা একান্তই ঐ পুরুষের মানসিকতার দোষ, মেয়েটির নয়।



যদি মেয়েটিরই দোষ হত, তবে তো সব পুরুষই ধর্ষণ করত, সেই পুরুষটি শুধু কেন?



অবাধ ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট, পর্নোগ্রাফি, চটিবই (চটিসাহিত্য নয়) ইত্যাদিকে ধর্ষণের কারণস্বরূপ দেখানো হলে একদল মানুষ ক্ষেপে ওঠে; তাদের যুক্তি, যখন স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, পর্নোগ্রাফি ছিলো না তখন কি ধর্ষণ সংঘটিত হয়নি?



আমিও বলি, হয়েছে।



অতএব, তারা চায়, তাদের নির্বিঘ্নে ওসব দেখতে, পড়তে দেয়া হোক।

নারীর অশালীন পোশাক নিয়ে কথা বললেও এরা প্রতিবাদ করে, কেননা ওসব বন্ধ হলে তো ফ্রিতে আর শরীর দেখা যাবে না!

পরুক আর দেখুক তারা।



ব্যাপার অত্যন্ত জটিল।



ধর্ষণ হয় দুর্বলের ওপর সবলের।



পর্ন দেখে উত্তেজিত হয়ে কেউ পর্ন্স্টারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে না, রাস্তার তীব্র যৌন আবেদনময়ী তন্বীটিকে দেখে নারী পিপাসু বিকৃত লোকটি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার সুযোগ পায়না, তবে ভেতরে ভেতরে তাতায়, অঙ্গার জ্বলতে থাকে। আর তা এসে অগ্নি বর্ষায় ঘরের অসহায় কাজের মেয়ের ওপর, কিংবা তারই অনুগ্রাহী কোন নারীর ওপর।



অতএব এসব নিঃসন্দেহে ধর্ষণের পশ্চাত্‍ কারণ। অপনারা না মানলে সেটা আপনাদের অতিবিচক্ষণতা।



আর সব অপরাধীর মতই একটি মানুষ ধর্ষক হয়ে জন্ম গ্রহণ করে না। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার যৌন আবেদন ধীরে ধীরে তীব্র হয় এবং বিকৃত হয়ে ওঠে, আর তারই দুঃসাহসিক বহিঃপ্রকাশ হল ধর্ষণ। আপনারা যদি ভুলে গিয়ে বিরক্ত হয়ে থাকেন, তবে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিই, প্রথমেই আমি বলে রেখেছিলাম, একজন লোক ধর্ষণে আগ্রহী হয়েছে মানেই হল সে বাঁচার অধিকার হারিয়েছে। ধর্ষকের সমাজে বাঁচার অধিকার নেই।



মানুষে মানুষে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ চিরন্তন। ইন্টারনেট, পর্নোগ্রাফি যখন ছিল না তখনও ধর্ষণ হয়েছিল, তখনও মানুষের এই যৌন বাসনা ছিল, তখনও দুর্বল সবলের তারতম্য ছিল।

যৌন বাসনা সবারই থাকে, আর তা চরিতার্থ করতে প্রেম নামক একটি নাটক আছে, বিয়ে নামক একটি সমাজস্বীকৃত বন্ধন আছে, আর সেসবে না গিয়ে সরাসরি বলাত্‍কার করতে যাওয়ার মত বাসনা নিঃসন্দেহে পাশবিক বৃত্তি।



আমি ধর্ষণের দুইটি দিক বলছি :



১. মানুষ যখন সৌন্দর্য চর্চা সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে, আর সেই সঙ্গে সে বঞ্চিত, তিরস্কৃত হয়, তখন সে তার গ্লানির দরুণ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয়। ভালোবাসা না পেয়ে না পেয়ে তার মধ্যে এই ধারণা জাগে যে, সে ভালোবাসার নেহায়েত্‍ই অযোগ্য; সুতরাং তাকে দস্যু হয়েই ভালোবাসা আদায় করতে হবে।



২. মানুষ যখন হাতে ব্যাপক ক্ষমতা পায়, তখন তার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা জন্ম নেয় এবং সে বহুগামিতা এমনকি ধর্ষণের দুঃসাহস করে। এই ক্ষমতা আর্থিক, রাজনৈতি, সামাজিক কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিকও হতে পারে।



প্রতিকার:

¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯¯

১. ইদানিং মানুষকে ধর্মের বাণী শোনালে বিরক্ত হয়। তবুও বলি, ধর্মের চেয়ে আত্মশুদ্ধির আর কোন ভালো উপায় নেই।



২. যাবতীয় কুচিন্তা জন্ম নেয় অলস মস্তিষ্কে। একজন কর্মব্যস্ত মানুষ এই দিক দিয়ে কম মানসিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিগ্রস্ত থাকে।



৩. নির্জনতা যৌনতার মহোদ্দীপক। তাই মানুষের মধ্যে থাকতে চেষ্টা করুন।



৪. পর্নোগ্রাফির শীত্‍কার এবং চটি নামক অশ্লীল গল্পের বই মানুষকে সর্বাধিক বিকৃতির দিকে ধাবিত করে। চটিতে দেখানো হয় নারী মাত্রই যৌন পিয়াসী, কেবল একটু ছুঁয়ে দিলেই যেন এরা নিজেকে খুলে দিতে রাজী হয়ে যাবে! অত্যন্ত ভ্রান্ত উপাত্ত এটি। এর দ্বারা যুবকগণ ভীষণভাবে বিপথগ্রস্ত হতে পারে। সরকার কেন যে ফুটপাথ হতে এই বইগুলো উঠিয়ে নিচ্ছে না আজো জানা যায়নি।

আসুন আমরা অন্তত ব্যক্তিগতভাবে এসব বর্জন করি।



আপনি এখন ধর্ষক নন, কিন্তু এসবে যে আপনার মাথা বিগড়াবে না— সে অনিশ্চয়তার কথা আপনিও জানেন।



৫. যারা পঁচে গেছে তারা মরবেই। এই পঁচন নিজ থেকে গন্ধ না ছড়ালে তা আমাদের জানার উপায় নেই। আমরা গন্ধের প্রতীক্ষায় রইলাম, গন্ধ পাওয়া মাত্রই উপড়ে ফেলব ঐসব বিষবৃক্ষ। যে বৃক্ষ নষ্ট হয়েছে সে তো গেলই, তবে যে চারাটি আমাদের সম্মুখে আছে আসুন আমরা সেই শিশুগুলোকে সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করে ফলদায়ক বৃক্ষে পরিণত করে তুলি। শিশুর প্রতিপালন ও মনন নিয়ে অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত বলব।



৬. সর্বশেষ যে প্রতিবিধান, তা হল প্রকাশ্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যা দেখে ভদ্রবেশী ধর্ষকেরা আতঙ্কিত হবে, নিভৃতে ঠকঠক করে কাঁপবে এই ভেবে যে, ওহ খোদা, এই ভুল যেন আমার কোনদিন না হয়।



ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আইনের কঠোরতার প্রয়োজন আবশ্যক।

২| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

তীর্থ ৫২ বলেছেন: ধর্ষণের কারণ হিসেবে মেয়েদের পোশাকের প্রতি কটাক্ষ করা হয়। কতখানি যৌক্তিক এই দোষারোপ?

৩| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন একটি কঠিন সামাজিক ব্যাধি নিয়ে এতো চমৎকারভাবে সমাধান দিয়েছেন। আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে আপনার লিখার প্রতিটি শব্দ বড়ছিলাম আর আপনার সাথে একাত্ব হচ্ছিলাম।

আমার ও বিশ্বাস আপনার দেয়া সমাধানই একমাত্র পথ।

১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১২তে । এবার ব্লগে প্রকাশ করলাম কেননা এর উপযোগিতা এখনও সম্যক গুরুত্বপূর্ণ ।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

আপেক্ষিক বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট।এক পক্ষেই দোষ চাপানোর কোন মানে হয় না।আমরা পুরুষ রাও নির্দোষ নই। সেদিন আমাদের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট এ একটা ছোট ১০ ১২ বছরের মেয়ে এসেছে ধর্ষিতা হয়ে । তার জামা কাপড়ের এমন কি অবস্থা ছিল যে তাকে এরকম অবস্থায় পড়তে হয়েছে??? আবার মেয়েদেরও কিছু ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। চলাফেরায় একা একা রাতে কোথাও যাওয়া এরকম বিষয় গুলো। সবাই একরকম না। খারাপ মানসিকতার মানুষের অভাব নেই। এজন্যই দু পক্ষের মধ্যেই এই ব্যাপারটায় সচেতনতা তৈরী করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলাটা অনেক বেশি ফলপ্রসূ যদিও তাও কাজে দেয় না সবসময়। আপনার বলা পয়েন্টগুলোর সাথে আমি একমত। খুব ভাল একটা পোস্ট। ধন্যবাদ এরকম লেখার জন্য।ভাল থাকবেন।

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: নিরন্তর শুভকামনা ।
আমি মোবাইলে লিখতে অভ্যস্ত । একারণে স্পেইসের সংকীর্ণতার সম্মুখীন হতে হয় প্রত্যেকবার । ফলে যতটুকু বলতে চাই, যতটুকু বলা প্রয়োজন, তার সবটা বলা হয়ে ওঠে না । আরো কিছু কথা ছিল এ প্রসঙ্গে । হয়ত আবার লিখব । শিশু ধর্ষণ প্রসঙ্গেও অল্প করে লিখেছিলাম । দেখি সেটাকে পূর্ণাঙ্গ করে পোস্ট করা যায় কি না ।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: পর্নোগ্রাফি, চটি বই এসবে নারী এবং পুরুষ দুটাকেই শুধুমাত্র যৌন সত্ত্বা হিসেবে দেখানো হয় এবং উঠতি বয়সী দর্শক এবং পাঠক তাতে ভয়াবহ রকম বিভ্রান্ত হয়। সেখানে যৌন ক্ষমতার যে স্ট্যান্ডার্ড দেখানো হয় সেটা অস্বাভাবিক এবং এটা অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে। সেই হীনমন্যতাকে পুঁজি করে আরেক শ্রেণী আবার ব্যাবসা করে( বোর্ড বসাইয়া চিকিৎসা করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি!)। আমার মনে হয় বিজ্ঞান সন্মত যৌন শিক্ষা কৈশোরেই দেয়া দরকার। সঠিক শিক্ষা পেলে এমন 'ভ্রান্ত পুরুষ স্বত্বা' তৈরি নাও হতে পারে যেটাকে তৃপ্ত করার জন্য ধর্ষনের মত অস্বাভাবিক উপায় বেছে নিতে হয়।

১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: পর্নোগ্রাফি চটি ইত্যাদি সম্পর্কেও লিখেছি আমি । নামে খ্যাতি নেই বলেই হয়ত লেখাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে ।

যাইহোক, আমি সমস্যার সমাধান খুঁজেছি সবসময় এবং চেষ্টা করেছি তা আমার স্বল্প পরিসরে ছড়িয়ে দিতে । চেষ্টা অব্যাহত আছে ।
আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি সবসময় ।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: পর্নোগ্রাফি, চটি বই এসবে নারী এবং পুরুষ দুটাকেই শুধুমাত্র যৌন সত্ত্বা হিসেবে দেখানো হয় এবং উঠতি বয়সী দর্শক এবং পাঠক তাতে ভয়াবহ রকম বিভ্রান্ত হয়। সেখানে যৌন ক্ষমতার যে স্ট্যান্ডার্ড দেখানো হয় সেটা অস্বাভাবিক এবং এটা অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে। সেই হীনমন্যতাকে পুঁজি করে আরেক শ্রেণী আবার ব্যাবসা করে( বোর্ড বসাইয়া চিকিৎসা করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি!)। আমার মনে হয় বিজ্ঞান সন্মত যৌন শিক্ষা কৈশোরেই দেয়া দরকার। সঠিক শিক্ষা পেলে এমন 'ভ্রান্ত পুরুষ স্বত্বা' তৈরি নাও হতে পারে যেটাকে তৃপ্ত করার জন্য ধর্ষনের মত অস্বাভাবিক উপায় বেছে নিতে হয়।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: পর্নোগ্রাফি, চটি বই এসবে নারী এবং পুরুষ দুটাকেই শুধুমাত্র যৌন সত্ত্বা হিসেবে দেখানো হয় এবং উঠতি বয়সী দর্শক এবং পাঠক তাতে ভয়াবহ রকম বিভ্রান্ত হয়। সেখানে যৌন ক্ষমতার যে স্ট্যান্ডার্ড দেখানো হয় সেটা অস্বাভাবিক এবং এটা অনেকের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে। সেই হীনমন্যতাকে পুঁজি করে আরেক শ্রেণী আবার ব্যাবসা করে( বোর্ড বসাইয়া চিকিৎসা করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি!)। আমার মনে হয় বিজ্ঞান সন্মত যৌন শিক্ষা কৈশোরেই দেয়া দরকার। সঠিক শিক্ষা পেলে এমন 'ভ্রান্ত পুরুষ স্বত্বা' তৈরি নাও হতে পারে যেটাকে তৃপ্ত করার জন্য ধর্ষনের মত অস্বাভাবিক উপায় বেছে নিতে হয়।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

is not available বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট!এতদিন আমি শুধু এক্ষেত্রে মেয়েদের দোষ দেখে এসেছিলাম,পুরুষদের দোষের কথা কেন যে মাথায় আসেনি বুঝতে পারছি না|অথচ নিজে সতর্ক ছিলাম|

৯| ১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

তাসজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

আসলে সমাজে যৌনতার আগুন সব সময়েই জ্বলে। মিডিয়ার কাজ হচ্ছে তাকে উস্কে দেয়া। আগুনে ঘি দেয়া


এই যে ভারতে যৌন নির্যাতন এত বেড়ে গেয়েছে কেন? এখন আমি যদি বলি যে আপনারা সানি শইতান কে দিয়ে ধর্ষণের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন তাহলে কি ভুল বলা হবে?

সানি, পুনম এদের দেখে সমাজ উত্তেজিত হচ্ছে। কিন্তু সমাজের পক্ষে সানি বা পুনম কে স্পর্শ করা সম্ভব নয়।


কিন্তু যখন কোন সুযোগ তারা পেয়ে যায় তখনই তারা সে পাপাচারে লিপ্ত হয়।
এখন সুশীল রা বলবে তাহলে ত সবাই ধর্ষণে লিপ্ত হত।
সমাজে সবাই যেমন সাধু হয় না, সবাই চোর হয় না। তেমনি সবাই ধর্ষক হয় না

১০| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ দেয়া দ্বীনকে জীবনে বাস্তবায়ন করুন, ইনশাল্লাহ এই সমস্যা অনেক অনেক কমে যাবে...

০১ লা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধর্মের কথা শুনলে মানুষ ইদানিং বিরক্ত হয় । চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.