![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনের মধ্যে পড়ন্ত বিকাল। খরগোশ ও সজাঁরু, দুই বন্ধু, গল্প করতে করতে বাড়ি ফিরছিল।
এই সময় কিছু একটাতে হোঁচট খেয়ে খরগোশ মহা বিরক্ত হয়ে এক লাথিতে তা পথ থেকে সরিয়ে দিল। সজাঁরু তা লক্ষ্য করছিল, দৌড়ে গিয়ে তা কুড়িয়ে এনে বলল, “বাহ, কি সুন্দর একটা লাঠি পেলাম, খুব তো উড়িয়ে দিচ্ছিলে, দেখো, এটা কত কাজে লাগে।” খরগোশ কিছু না বলে মুচকি হাসল। তারা আবার পথ চলা শুরু করল।
কিছুদূর পরে হঠাৎ দেখা গেল পথ শেষ, সামনে একটা উঁচু ধাপ। খরগোশ এক লাফে উপরে উঠে টিটকারির সুরে বলল, “সঁজারু ভায়া, তুমি তো আবার লাফাতে পার না। কি করবে? কোনও ঘুর পথ ধরে না হয় এসো, আমি বসি।” সজাঁরু কিছুই না বলে একটু ভাবল, তারপর লাঠিটির উপর ভর করে পোল-ভল্টের কায়দায় লাফ দিয়ে উপরে উঠে এল। খরগোশ অবাক।
“দেখলে ফেলনা জিনিস কি কাজ লাগে। চল, সময় হলে আরও কাজ দেখবে।” সঁজারু বলল।
একটু পরে চলার পথে কিছু ফলের গাছের দেখা মিলল। খুব সুন্দর সুন্দর পাকা ফল হযেছে, ঘ্রাণে মৌ মৌ, খরগোশ অনেক লাফ-ঝাঁপ করল, কিন্তু নাগাল পেল না। এদিকে সজাঁরু তার লাঠিটিকেই ছুঁড়ে মারল ও এতে ঝরঝর করে অনেক ফল পড়ল। লাঠিটি লগির কায়দায় ব্যবহার করেও কিছু ফল পাড়ল। পেট ভরে খেয়ে তারা আবার এগুল। কিন্তু, একটু পর একটা পনির নালা তাদের পথ আঁটকাল। খরগোশও তা লাফিয়ে পার হতে পারবে না বলে জানাল। কিন্তু সজাঁরু লাঠিটি সাঁকোর মতো করে পাতালো ও দুজনে তার উপর দিয়ে হেঁটে পার হল।
এদিকে অন্ধকার হয়ে এলে কয়েকটি শেয়াল এসে খরগোশের উপর হামলা করল। কাঁটার ভয়ে সজাঁরুর দিকে তারা এগুল না, কিন্তু তাই বলে সজাঁরু বসে রইল না। সে লাঠিটি নিয়ে দমাদম শেয়ালগুলিকে পেটাতে লাগল। এই অদ্ভুত অস্ত্রের আঘাতে বাবারে মারে বলে শেয়ালগুলি পালাল। খরগোশ বসে বসে হাঁপাচ্ছিল, কোথায়ও তেমন না লাগলেও ভয়েই সে আধমরা, ভাল করে হাঁটতে পারছিল না। সঁজারু তাকে লাঠিটি দিল, তা নিয়ে সে ঠুক ঠুক করে এগুল।
একটু পরে তারা খরগোশের বাড়ি পৌঁছুলো, খরগোশের বউ বাচ্চারা খুব চিন্তা করছিল। খরগোশ তার বৌকে বলল, “এই দেখো, এই বন্ধু আমার জীবন বাঁচিয়েছে।” “আমি না, এই লাঠি।” সঁজারুর এই কথা শুনে খরগোশ পরিবারের সবাই হাসল ও এরপর খুব সমীহ সহকারে লাঠিটিতে হাতে নিল। “এবং আপনাদের এই লাঠিটি আমি উপহার দিলাম” সঁজারুর এই কথা শুনে তারা যে কি খুশী হল। খরগোশের বৌ বলল, “ভাইয়া, তবে একটা শর্তে, আপনাকে আজ খেয়ে যেতে হবে।” খরগোশ বলল, “না, আজ তুমি মেহমান, রাতটা থেকেই যাও।” সঁজারু মুচকি হেসে রাজী হয়ে গেল।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পরলাম, তাই কিছু বলতে হয়, জীবনটা রূপকথা নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
হাবিব শুভ বলেছেন: কোন তুচ্ছ জিনিশ কে অবহেলা করতে নেই.। গল্প টি শিক্ষণীয়.। ভালো লাগলো ।।