একটি ঝগড়া

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২

-এই শোন না, আমি না আমার ফোন নাম্বার একটা ফ্রেন্ডকে দিয়েছি।

-ছেলে না মেয়ে?

-ছেলে।ঐ খুব ভাল বুঝলা,হুজুর টাইপের আর অন্য ছেলেগুলার ছেয়ে অনেক ভাল।যদি প্রাইভেট মিস করে তাইলে আমার কাছ থেকে জেনে নেয়ার জন্য নাম্বারটা চাইছিল।

-ওয়াও!খুব ভাল তো।দিছ অনেক ভাল করছ কিন্তু এত প্রশাংসার কি দরকার।

- আর এ ভাল মনে হল জন্যই তো দিছি।আর ঐ এমন ছেলা না।

-এর আগেও এমন করেছ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হইছে তা তো দেখেছি,তাই না?

-না দেখিও এবার এমন হবে না।

-প্রতিবারই এমন কথা বলেছ।

-না,এবার দেখিও কিছুই হবে না।

-ওকে, পড়তে বস।আমার এখন আর কথা বলতে ইসছা করছে না।

-ওকে,বাই।

-বাই।

বলে আদনান ফোনটা রেখে দেয়।ওর খুব মন হয়ে যায়।আদনান ঊর্মিকে লক্ষ বার আননোন কোন ছেলেকে ফোন নাম্বার দিতে বারন করেছে কিন্তু ঊর্মি তার কথা কখনও রাখেনি।ঊর্মি এর আগেও এমনটা করেছে কিন্তু শেষে পর্যন্ত আদনান এরই কথাই ঠিক হয়েছে।কিন্তু আবারও।অনেক অনেক রাগ অনুভব করে আদনান।ফোন দেয় ঊর্মিকে এবং গম্ভীর কণ্ঠে বলে

-হ্যালো,আমি এখন ঘুমাব।তাড়াতাড়ি গুমাইও।

-রাগ করছ।

-এখানে রাগের কি আছে,তোমার যা ভাল লাগছে তুমি তাই করছ।এতে আমার কি।

-ওকে।

-আল্লাহ্‌ হাফেয।

-নিশ্চুপ।

-কথা বল না কেন?

-তোমায় কিছু বলতে হবে না।তুমি ফোন রাখ।

আদনান আর কিছু না বলে ফোন রেখে দেয়।মেজাজটা আরও গরম হয়ে ওঠে আদনানের।“দোষ করছে আবার উল্টা রাগ দেখায়।”বিড়বিড় করে আবনান।

আদনান খুবি হতাশ।যাকে সে এত কেয়ার করে আর সেই তার হাজার মানা উপেক্ষা করে এমন করল।আদনান খুব ভাল করেই জানে এই ছেলেটা ঝামেলা করবেই ঠিক আগের ঘটনা গুলোর মত।শুধু এই বিষয়ই না সব বিষয়ই ঊর্মি এমনটা করে।আদনান যেটাই নিষেধ করে ঊর্মিকে সেটা সে করবেই আর যখন ভুল ভাঙ্গে ঊর্মির তখন আবারও হাজার বার প্রমিস করবে আদনানের কথা শুনবে বলে।কিন্তু ঊর্মি তার কথা কখনই রাখে না।



মরালঃযে মানুষ তার নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়না,তাকে কখনই শিক্ষা দেয়া যায় না।সে ভুল করবেই।তাকে কখনও বাধা দেয়া ঠিক না,কারণ সে তা গ্রাহ্যই করবে না।তাকে আগলে না রেখে বরং তাকে ভুল গুলোকে ফেস করতে দেয়া উচিত।

০ টি +০/-০