ইয়ো ইয়ো দিলিম ঝাপ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

আমি তখন সবে মাত্র হাঁটা শিখেছি আর তখন খুবি চাচা ভক্ত ছিলাম।সারাক্ষণ শুধু চাচা আর চাচা।খুব একটা ভাল ভাবে কথা বলতেও পারতাম না,ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে কথা বলা শিখেছি আর কি।চাচাকে দেখলেই ঐ দিকে দে দৌড়,হোক না চাচা কোন কাজে ব্যাস্ত,হু কেয়ারস।খুবি চঞ্চল ছিলাম ঐ সময়টায়।নতুন হাঁটা শিখেছি বলেই হয় তো নতুন কিছু দেখলেই কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতাম।আর এই জন্য আমায় খুবি চোখে চোখে রাখা হত।এক দিন কেমন করে যেন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছিলাম।আর বের হয়েই চাচাকে দেখতে পাই,আর তখন আমায় পায় কে।চাচার কাছে যেতে হলে দুটো পুকুরের মাঝের রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।আমি জোরে জোরে “টাতা টাতা”(চাচা) বলে চিৎকার করছিলাম আর আর চাচার দিকে যাচ্ছিলাম।পতি মধ্যে কি যে হল আমার,হুট করে বলা নেই কওয়া নেই পুকুরে মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লাম।এতক্ষণ চাচা আর আমার এক কাজিন সব ঘটনা দূর থেকে দেখছিলেন কিন্তু পুকুরে লাফ দেয়ার পর তারা নড়ে চড়ে বসলেন।ঘটনার আকস্মিকতায় চাচা পুরো হতবাক হয়ে পড়লেন।চাচা কখনই কল্পনাও করেননি আমি এমন একটা কাজ করে বসব।চাচা অসাড় হয়ে বসেই আছেন তখনও,আর আমি পানির মধ্যে চার হাত-পা ছোড়া ছুড়ি করছি।তখন আমার কাজিন টা দৌড়ে এসে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমায় পানি থেকে পাড়ে তুললেন।চাচা তখনও হা করে বসে সব দেখছিলেন।তাকে মনে হয় ভালই সক দিতে পেরেছিলাম।এর পরের ঘটনাটা আমার কাছে এপিক এপিক লাগে।আমার কাজিন আমার পশ্চাৎ দেশে কষে একটা চড় দিয়ে বলেছিলেন,ঐ কি করলি এটা?আমি তখন ফোকলা দাঁত গুলো বের করে ফিক করে হেসে বলেছিলাম,ইয়ো ইয়ো দিলিম ঝাপ।



ছোট বেলার সব ঘটনার মধ্যে এই ঘটনাটা আমার কাছে একটু বিশেষ লাগে।কারণটা খুবি সাধারণ,আব্বু –আম্মু আর চাচার কাছ থেকে এতবার এই গল্প শুনেছি যে ছোট বেলার কিছু ভাবতে গেলেই আমার এই ঘটনাটা সবার আগে মনের মধ্যে চলে আসে

০ টি +০/-০