![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুভি দেখতে ভালোবাসি। থ্রিলার মুভি সব থেকে ভালো লাগে। সাউথ এবং কোরিয়ান মুভির পাগল ভক্ত বলতে পারেন। তবে সব ধরনের মুভি নিয়ে লিখবো আশা করি।
ট্যাক্সিডার্মি বিষয়টা আসলে কী? সেটাই খোলাসা হওয়া উচিত আগে। ধরুন, আপনাকে প্রশ্ন করা হলো - এক সময় পৃথিবী রাজত্ব করত যে প্রাণী, সেই ডাইনোসরদের কি পালক ছিল? মুশকিলে পড়লেন তো! আমি-আপনি-আমজনতার কথা বাদ দেন, বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীও ঠিক ঠাহর করতে পারছেন না আদৌ তাদের পালক ছিল কি-না। শত কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, ফসিলনির্ভর গবেষণার চৌহদ্দিতে ভিড় হাজারো বিজ্ঞানীর। তবু কিনারা মিলছে না উত্তরের। এবার ধরুন সুন্দরবনের বাঘের কথা, দিন দিন কমছে যার সংখ্যা। আজ থেকে ৫০০ বছর পর এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে কেমন হবে? তার উত্তরও হয়তো খুঁজে মরতে হবে একদিন। তো? মার্কিন অভিনেতা ডেভিড ক্যারাডাইনের কথামতো 'বিকল্প পথে হাঁটো'। হ্যাঁ, ট্যাক্সিডার্মিই সেই বিকল্প বিদ্যা। ধরুন, সুন্দরবনের একটি বাঘ কোনো কারণে মারা গেছে। তার চামড়াটা ঠিকঠাক সংগ্রহে রাখুন। এরপর অবিকল ওই বাঘের মতো কৃত্রিম একটা কঙ্কাল-বাঘ তৈরি করুন। পোশাক হিসেবে এবার সত্যিকারের চামড়াটা চড়িয়ে দিন তার গায়ে। মানে জাদুঘরে আমরা যা দেখি সব হল এই ট্যাক্সিডার্মির ফল।
------------- * কাহিনী সংক্ষেপ *--------------
মুভি শুরু হয় একজন নিঃসঙ্গ ট্যাক্সিডার্মিস্ট কে নিয়ে । তা এই ট্যাক্সিডার্মিস্ট এর ইচ্ছা হল একটি পারফেক্ট ক্রাইম করবে, কারণ সে বুঝতে পেরেছে পারফেক্ট ক্রাইম করলে কোন আইনের সাধ্য নেই তাকে ধরার।ব্যাংকে গিয়েও সে চিন্তা করে কিভাবে একটি ব্যাংক খুব তারাতারি লুট করা যায় এবং কত সময় লাগে। কিন্তু তার একটি রোগ আছে? যার নাম অউরা অর্থ হল একপ্রকার অনুভূতি। এটি অনেকটা মৃগী রোগের মত। আউরা আক্রান্ত হলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং এক সময় জেগে উঠে। যা তার ক্রাইমের বড় একটি বাধা। বন্ধুর আবদারে সাড়া দিয়ে তার সাথে চলে যায় শিকার করতে, সেখানে গিয়ে ভুল বসত হত্যা করে ফেলে এক হোটেলের মালিককে।
তার ঘরে ঢুকে সে জানতে পারে একটি পারফেক্ট ক্রাইমের প্ল্যান, যেখানে লুট করা হয়ে ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত প্রফিটের অর্থ। মনে ধরে যায় তার এই প্ল্যানটি। নিজের স্বপ্নের সাথে কাজটি মিলে যাবার জন্য সে শুরু করে প্ল্যানটি বাস্তবায়ণ করার। তারপর......... জানতে চাইলে দেখে ফেলুন রিকাডো দারিন অভিনীত এই আর্জেন্টাইন মুভিটি।
মুভির পরিচালক ফ্যাবিয়েন বেইলিন্সকির ব্যাপারে একটু বলে নেই । মারা যাওয়ার আগে তিনি মাত্র ২ টা মুভি নির্মাণ করতে পেরেছিলেন । তার পরিচালিত প্রথম মুভি হচ্ছে নাইন কুইন্স এবং ২য় তথা শেষ মুভি হচ্ছে El Aura । খুব ই দুঃখের বিষয় , তার ২য় মুভি মুক্তির ২ মাস আগে তিনি হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ করেন ।
অনলাইন ওয়াচঃ সাবটাইটেল সহ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬★স্পয়লার এলার্ট★▬▬▬▬▬▬▬▬▬
মুভির এন্ডিং নিয়ে বেশ ধোয়াশা আছে। আমি এখানে আমার নিজ থেকে দুটি এক্সপ্ল্যানেশন দিচ্ছি। মুভি দেখার পর আপনি চাইলে কমেন্ট করে আপনার মতামত ব্যাক্ত করতে পারেন।
★ এন্ডিং ১ঃ মুভির শেষে দেখা যাবে একটি ব্যাগ হাতে দারিন চলে আসে। ব্যাগে কি থাকতে পারে সেই হিসাব যদি করি তাহলে মনে আসবে টাকা থাকা স্বাভাবিক। তাহলে এতোগুলো টাকা কোথায় গেল? মুভির একেবারে শেষ দৃশ্যতে দেখা যায় কুকুতের চোখ। এর মানে হল পারফেক্ট ক্রাইম করার পর সমস্ত টাকা এবং খুনের প্রমাণ সে ট্যাক্সিডার্মি করা কুকুরেরে ডামির ভিতরে রেখে দেয়। যা কেউ সহজে বুঝবে না।
★ এন্ডিং ২ঃ পুরো মুভিটি ঘটেছে স্বপ্নে। কারণ মুভির শুরুতে দেখা যায় দারিন ঘরে বসে কাজ করে যাচ্ছে এবং শেষ দৃশ্যতেও সে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজের মাঝেই সে অউরাতে আক্রান্ত হয়েছে এবং অজ্ঞান হয়ে গেছে। অজ্ঞান থাকা অবস্থায় তার অবচেতন মনে সব কিছু হয়েছে।
এন্ডিং ১ টা আমার কাছে যুক্তি সংগত লেগেছে কারণ দারিনের স্ত্রী দারিনকে দরজা খুলতে বললে সে কাজ ফেলে দরজার কাছে যায় কিন্তু দরজা খুলে না। ব্যাংক থেকে এসে দেখে স্ত্রী রাগ করে চলে গেছে এবং চিঠি ও লিখেছে।
এন্ডি ২ টা হবার সম্ভবনা ২০% কারণ হল কুকুর। কুকুর প্রভু ভক্ত প্রাণী আমরা জানি। মুভির শেষ দৃশ্যতে কুকুরটি দারিনের সাথেই ছিলো এবং মুভিতে দেখা গেছে কুকুরটি জঙ্গলে দারিনের সাথেই থাকে এবং গন্ধ শুঁখে নেয়।
আপনার নিজ দায়িত্বে দেখে জানান ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই মুভিটি। শুরুতে স্লো হলেও মাথার তার ছেড়ার জন্য যথেষ্ট ৩ মাস আগে দেখা মুভি নিয়ে আজ লিখলাম কারণ একটাই উত্তর পাচ্ছি না।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:১০
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ পড়ে কাহিনী তো ভালোই মনে হচ্ছে। দেখা যাক, সময় করতে পারি কিনা !!