![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"হে আলেখ্য, অপচয় চিরকাল পৃথিবীতে আছে, এই যে অমেয় জল, মেঘে মেঘে তনুভুত জল এর আর কতটুকু ফসলের দেহে আসে বলো ফসলের ঋতুতে ও অধিকাংশ শুষে নেয় মাটি"
যত্ন করে তুলে রাখা চাদরে ও ধূলোর ঘ্রাণ জমে। নেপথলিন, শুকনো নিমপাতা আরো কতোকিছু দিয়ে ও থামানো যায় না পোকার এ ফোঁড়- ও ফোঁড়। তবুও পুজা করে তুলে রাখি স্মৃতির চাদর।
নিমিষে জীবনের জল বাষ্প হয়ে যায়, ঝড়-বৃষ্টি, প্রবল শৈত্যে,তীব্র দাহে বেঁচে যাই চাদরকে আশ্রয় করে।মাঝে মাঝে ডিঙ্গোতে ইচ্ছে করে এভারেষ্ট। কিন্তু সে কি করে সম্ভব! মজ্জায় যে ধূলো জমে গেছে, ঘূণে ধরে সব যেনো ভেঙ্গে পরে। সব ইচ্ছেকে চাদরে পুঁটলি বেঁধে ঘুমিয়ে থাকি মাথার বালিশ করে। বর্ষণে চুল ভিজে গেলে চাদরটা একটা মুখোশ বানিয়ে ময়ুর হয়ে নাচি। তবু, আমি মানুষই থেকে যাই, কেউ এসে আঙ্গুল চিরে দেখে রক্ত ঝরছে কিনা। মানুষের মতো দেখতে কি নই? চাদরটা যেদিন পোকারা সম্পূর্ণ নষ্ট করে ফেলবে, কেটে কেটে যখন একটা সুতো ও বাকি থাকবে না, মানুষের সব আড়াল খসে পরবে।সেদিন কেমন করে একে অন্যের মুখ চেয়ে বলবে - "আমিই তোমার শরীর কেটে দেখতে চেয়েছি মানুষ কিনা" ?
©somewhere in net ltd.