![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের ডান পকেট থেকে টাকা গুলো বারবার বের করে গুনছে ছোটন,বাম পকেটটা ছেড়া।তাই সে ডান পকেটে রেখেছিল।গুনে গুনে বারো টাকা,আর মাত্র তিন টাকা লাগবে।নিজেকেই শুনায় ছোটন।পাশে একটা নেড়ি কুকুর,অনবরত লেজ নাড়ছে।সেদিন পার্কে দেখেছে বড় লোকেরা প্রায়ই আইসক্রিম নামক ঐ জিনিসটা কিনে খায়,দেখতে খুব সুন্দর।না জানি খেতে কত্ত মজা!দোকানিকে জিগ্যেস করেছে সে।দাম বলেছে পনের টাকা।আরোও তিন টাকা লাগবে।পাশের কুকুরটাকে আভয় দেয় সে,আসবেন উনি।আজ তিন টাকা ইচ্ছে করেই চাইবে সে।
শরাফ উদ্দিন প্রতিদিন এই রাস্তা ধরে হেটে বাসস্ট্যান্ড এ যান।প্রতিদিন ছোটনকে যেতে যেতে নামতা শিখান।প্রতিদিনই এক টাকা করে দিয়ে যান।নামতা শিখার আগ্রহ স্বরুপ।আসলে টাকাটা ছোটন কে দিতে ভাল লাগে ওনার।তিনি একা মানুষ,অবিবাহিত।বয়ষ প্রায় ৪৫ ছুই ছুই।হয়্ত সন্তানের স্নেহ জেগে উঠে ছোটনকে দেখলে।একটি সরকারি অফিসে চাকুরি করেন তিনি। আজ ঘুম থেকে উঠে দেখেন গায়ে জ্বর জ্বর ভাব।তাই অফিসে যাবেননা বলে ঠিক করেছেন।
গত কয়েকদিন থেকেই ছোটন ৯ এর ঘরের নামতাটা বলতে পারছেনা।গতকাল রাত অনেক কষ্টে সে মুখস্ত করেছে।আজ বলে খুশি করতে হবে ওনাকে।তারপর সে টাকা চাইবে।জানে ছোটন উনি না করবেননা।কিন্তু তবুও লজ্জা লাগছে।কুকুরটার গায়ে হাত বুলাতে বুলাতে আপন মনেই গান গাইছে সে।মাত্র ৯ বছর বয়স তার,কিন্তু সে এখনই বুঝে গেছে উনি লোকটা ভিষন ভালো।কিন্ত এখনও আসছেনা দেখে ভয়ও লাগছে তার.........
চলবে...............
aarif chanchal
©somewhere in net ltd.