![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের দিকে তাকিয়ে ভিষন চিন্তায় পরে গেছে অয়ন।সুর্যটা পুরাই মেঘের কোলে লুকিয়ে গিয়েছে।ভয় লাগছে অয়নের।সুর্যের উত্তাপে যদি মেঘেরা গলতে শুরু করে! তাহলেই হয়েছে।পার্কে বসে আছে সে।গত কয়েকদিন থেকেই আকাশটা ভিষন পরিস্কার।কিন্তু আজ কিযে হলো?
ইরিনা আসবে,কথা দিয়েছে।আজই প্রথম দেখা হবে দুজনার।কেও কাওকে এর আগে দেখেনি।কিন্তু বৃস্টি শুরু হলে!!!ভয়্টা কাটছে না কিছুতেই।
মোবাইল ফোনে অনেকদিন কথা হয়েছে ইরিনার সাথে,দেখা হয়নি।মেয়েটা তার বাসার ফোন দিয়ে কথা বলতো।নিজের মোবাইলটাও নেই, যে একটা ফোন করে খবর নেবে অয়ন।
বার বার সেলফোনটার দিকে তাকাচ্ছে সে।মাথার ভিতর শুধু মনে হচ্ছে সেলফোনের রিং বাজে।কোনো টেক্স্ট বা কোনো মিসড কল নেই,তবুও।আচ্ছা ফোনটা ঠিক আছেতো?বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওটা হাত থেকে পড়ে কয়েকবার ডিগবাজি দিয়েছে। ইশ যদি সেলফোনটা কাজ না করে?কই এতক্ষনেতো একটা ফোন ও আসলোনা??
মাথায় আরেকটা চিন্তা ঢুকেছে।এর সমাধান বের করতে হবেই।অয়্নের এই আরেক সমস্যা।কিছু মাথায় ঢুকলে তা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিস্তার নেই।
কি করবে ভাবছে।দুইটা কলেজ গার্ল সবে মাত্র পার্কে ঢুকেছে।তাদের কাছেই সাহায্য চাইবে বলে ঠিক করলো অয়ন।কাছে গিয়েই বললো অয়ন
আপু আপনার ফোন থেকে একটা রিং দেবেন আমার ফোনে প্লিজ।আমার ফোনটা কাজ করছে কিনা বুঝতে পারছিনা….
মেয়ে দুটো এমনভাবে তাকালো অয়নের দিকে।যেন মনে হচ্ছে অয়ন ওনাদের দুটো কিডনি চেয়ে ফেলেছে।
ইশ কেনোযে চাইতে গিয়েছিলো!কত্তগুলো বাজে কথা শুনতে হলো।
একটি মেয়ে যদি একই ব্যাপার ঘ্ঠাত?তাহলে ছেলেরা নিশ্চই এমন করতে পারতনা।নিশ্চই সে অথবা অন্য ছেলে হোক, মেয়েটিকে সাহায্য করতই। নিজেকেই শুনায় অয়্ন।
ইরিনা বলেছিল কাছাকাছি এসে ফোন দিবে,কই তাহলে সে?
আকাশ এতক্ষনে ডাকতে শুরু করেছে,ইশ বৃস্টি যেন না হয়।প্রার্থনা করছে অয়ন……………
চলবে………..
aarif chanchal
©somewhere in net ltd.