নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের খেলাঘরে পাশাঘর পাশে রেখে। ভাঙ্গা টেবিলে বসেছি খাতা কলম নিয়েকিছু লিখব বলে।গল্প বা কবিতার ছলে।

আবদুল্লাহ আফফান

খুব সাধারণ একজন, ভালবাসি ঘুরতে আর পড়তে। মানুষ হতে চাই।

আবদুল্লাহ আফফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাল সোয়েটারের গল্প

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৭



(চতুর্থ পর্ব)

আজ সামিয়া অন্য দিনের চেয়ে আগে ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে গেল। তার গায়ে পুরোনো সোয়েটার। সামিয়া আগে লিমার বাড়ি যাবে তাই দ্রুত বের হয়েছে। সামিয়া লিমার বাড়ির এসে ডাকল, লিমা!
লিমার আম্মু বের হয়ে বলে, ক্যাডা গো তুমি?
আসসালামু ওয়ালাইকুম, আন্টি আমি সামিয়া। লিমার সাথে পড়ি।
ওয়ালাইকুম! ও, ভিতরে আহো।

সামিয়া তার পেছনে পেছনে ঘরে যায়।

সামিয়া বসে বসে ঘরের চারদিক তাকিয়ে দেখছে। ঘরে তেমন আসবাপত্র না থাকলেও সবকিছু পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা। একটু পর লিমা পুরাতন জামাটি পরেই তার সামনে আসে।
কেমন আছো?
সামিয়ার দৃষ্টি তখন ঘরের আসবাপত্রের দিকে। লিমা কখন এসেছে তা খেয়ালই করেনি। লিমার কন্ঠ শুনে চমকে তাকায় সে।
ভাল। তুমি কেমন আছ?
ভাল।
সামিয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না। কিভাবে কথাটা বলবে বুঝতে পারছে না। অবশেষে কিছু না পেয়ে বলল, আংকেল কোথায়?
আব্বু কামে (কাজ) গেছে।
ও। তোমাদের ঘরটা অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছো।
লিমা এমনিতেই কথা কম বলে। তেমন কারো সাথে মিশে না। এখন আরো কথা বলছে না। তার মনে মনে রাগও হচ্ছে। তার হাতে অনেক কাজ পরে আছে। সেগুলো করে স্কুলে যেতে হবে। কিন্তু এখন সামিয়া এসে সব ভন্ডুল করে দিল। হয়তো আজ তার স্কুলে যাওয়া হবে না। আবার সামিয়াকেও কিছু বলতে পারছে না। বললে কি না কি মনে করে।

সামিয়া ব্যাগ থেকে সোয়েটার বের করে বলল, লিমা এটা আব্বু তোমার জন্য কিনেছে।

লিমা সোয়েটার হাতে দাড়িয়ে রইল। সে বুঝতে পারছেনা কী করবে! নিবে না দিয়ে দিবে। এসময় লিমার আম্মু একটি প্লেটে কয়েকটা পিঠা নিয়ে রুমে ঢুকল। লিমার হাতে সোয়েটার দেখে বলল, এইডা কী মা?
সামিয়া বলল, আন্টি! আব্বু এটা লিমার জন্য কিনেছে।
লিমার আম্মু বলল, এগুলা আনতে গেলা কিসের জন্য।
পরে লিমাকে বলল, নাও। কেউ কিছু দিলে নিতে হয়। সামিয়াকে বলল, তুমি পিঠা খাও।
সামিয়া পিঠা নিল। অল্প অল্প করে খাচ্ছে সে। সামিয়া হাতের পিঠাটা খেয়ে বলল, আন্টি আমি এখন তাহলে স্কুলে যাই।
ইস্কুলে যাইবা? আইচ্ছা। লিমা একটু পরে আসবো।
জি, আন্টি।

সামিয়া স্কুলের পথে হাটতে লাগলো। সামিয়ার খুব ভালো লাগছে এখন। স্কুলের বন্ধুকে সোয়েটারটা দিতে পেরে অনেক আনন্দ হচ্ছে তার। আর যাই হোক কমপক্ষে লিমার আর শীতে কষ্ট হবে না। (সমাপ্ত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.