নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতে মাতাল তালে ঠিক

খাদিজা আক্তার

খাদিজা আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৯ সালে রোজা কোন মাসে এবং কবে থেকে শুরু - ডাউনলোড করে নিন রমজানের ইফতার ও সেহরীর সময়সুচি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

রমজান বা রোজা হলো আরবি মাসের নবম মাস। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়ে থাকে যা নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। রমজান আসার আগেই আমাদের মধ্যে শুরু হয় কবে থেকে শুরু হবে রোজা কিংবা রোজার ইফতার ও সেহরীর সময়সুচী।

Iftar and Sehri Time Table For Dhaka Bangladesh - ramadan 2019

এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, ডায়বেটিক রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা। এ মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকেন। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাস আরম্ভ হয়, তখন রহমতের দ্বারগুলো খুলে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দ্বারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের বন্দি করে রাখা হয়। (সহিহ আল-বুখারি, হাদিস : ৩২৭৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৭৯, মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদিস : ১১০১, মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৩৮৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৭৬৭) মাহে রমজানের ফজিলত বর্ণনায় হজরত সালমান ফারসি (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার শাবান মাসের শেষ দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের সম্মোধন করে একটি খুতবা দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের ওপর একটি মহান মাস ছায়া বিস্তার করতে চলেছে, একটি বরকতময় মাস। মাসটির মধ্যে এমন একটি রাত রয়েছে, যার মর্যাদা এক হাজার মাস অপেক্ষা অধিক। আল্লাহতায়ালা এ মাসে দিনে রোজা রাখাকে ফরজ করেছেন আর রাতে কিয়াম করাকে, অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করাকে করেছেন ঐচ্ছিক। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, এর দ্বারা তার পাপ মার্জনা করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর রোজাদারের সমপরিমাণ নেকি তাকে দান করা হবে অথচ রোজাদারের প্রাপ্য নেকি একটুও কমানো হবে না। সাহাবাগণ আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে সকলের তো রোজাদারকে ইফতার করানোর মতো সংগতি নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি মাত্র খেজুর দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই নেকি দান করবেন। আর যে কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস থেকে এমন শরবত পান করাবেন যে জান্নাতে প্রবেশের আগে তার আর পিপাসা লাগবেনা। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১৮৮৭, বায়হাকী, শুআবুল ইমান, হাদিস : ৩৩৩৬, আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হাদিস : ১৭৫৩)

হজরত সালমান ফারসি (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসকে মুমিনের জন্য ছায়া ও বরকত বলে উল্লেখ করেছেন। ছায়া বলতে আশ্রয়স্থল উদ্দেশ্য করা হয়েছে। একজন পথিক যেমন পথ চলতে চলতে ক্লান্ত-শ্রান্ত-দুর্বল হয়ে পড়লে কোনো গাছের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ সেখানে বিশ্রাম নিয়ে সে তার হারানো শক্তি ফিরে পায়। আবার পথ চলতে শুরু করে এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। তেমনি মুমিন বান্দা এগারো মাস নিজের প্রবৃত্তির তাড়নায়, শয়তানের প্রতারণায় এবং পার্থিব মোহে পাপাচার করে নিজের ইমানি শক্তিকে দুর্বল করে ফেলে। মাহে রমজানে মুমিন তার অতীতের সমুদয় গুনাহের জন্য মহান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা আদায় করে নেবে এবং নিবিড়ভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার মাধ্যমে হারানো ইমানি শক্তি ফিরে পেয়ে মহান আল্লাহর প্রিয় হয়ে উঠবে। আলোচ্য উপমার মাধ্যমে মহানবী (সা.) সে কথাটাই বোঝাতে চেয়েছেন। মহান আল্লাহ সকল মুসলমানকে সে উদ্দেশ্যে কবুল করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো কাজ করেছেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬

খাদিজা আক্তার বলেছেন: চেষ্টা করতেছি ভালো কাজ করার

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.