নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবটুক আশা সফল হয় কি

মালেক বিশ্বাস

জীবনের সন্ধানে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে চলো

মালেক বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরী স্থায়ীকরণের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমীরা

২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০১

স্টাফ রিপোর্ট : ইনকিলাব ১৭.০৭.২০১৪ তারিখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ২০ হাজার মিটার রিডার ও মাসেঞ্জারের চাকরি ৩১ আগস্টের মধ্যে নিয়মিতকরণের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার ও মাসেঞ্জার ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান এবং জিএমদের অফস ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। গত বৃধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, বাংলাদেশের ৭৩ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে প্রায় ২০ হাজারের বেশি মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিভিত্তিক পদে কর্মরত আছেন। কিন্তু তাদের ন্যায্য পাওনা দেওয়অ হয় না। পল্লী বিদ্যুৎ কাগজ-কলমে তাদের বেতন দেখায় ৭০০০ টাকা, কিন্তু তাদের দেওয়া হয় মাত্র ৫০০০ টাকা। জিয়া উদ্দিন বাবলু অভিযোগ করে বলেন, তাদরে ওপর অমানবিক আচরণ করা হয়। দিন রাত পরিশ্রমের পরও তাদের চাকরি তেকে হঠাৎ করেই বাদ দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে একজন স্থায়ী ম্যাসেঞ্জারের বেতন চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের বেতনের চেয়ে দ্বিগুণ হলেও কাজের পরিমাণ একই। কর্মরত অবস্থায় মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জার নিহত বা আহত হলেও তাদের কোন পকার আর্থিক সহায়তা করা হয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলঅম বলেন, একজন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারের প্রয়োজনীয় ছুটি মঞ্জুর করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দেতে হয় । না দিলে ছুটি মঞ্জুর হয় না। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মচারী হলো, মিটার রিডার ওম্যাসেঞ্জার । চাকরির শুরুতে ২ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। চাকরির মেয়াদ ৩ বছর পার হলে আরও ৩০০০ টাকা রাকা হয়। যদি কোন রাণে চাকরিচ্যুত করা হয় তবে জামানতের টাকা ফেরত দৌয়া হয় না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে আরো কঠোর কমৃসূচি ঘোষণা করা হবে।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টানা ৯ বছর চাকরি করার পরও তাদের চাকরি স্থায়ী হয় না। পূনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে হলে জনপ্রতি ১ লাখ টাকা করে ঘুষ দিতে হয় । আর এ ঘুষের টাকা পাচ্ছে ৭৩ জন জিএম এবং ২৫০ জন ডিজিএম মহোদয়গণ।এছাড়া ২ থেকে ৪ দিনের ছুটি নিতে হলে ঐ কর্মকর্তাদের মোবাইলে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টকা ফ্লিক্সিলোড দিতে হয়। তাদের নির্ধারিত ৭ হাজার টাকা ঈদ বোনাস ও মূল বেতন উল্লেখ থাকলেও দেয়া হয় মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় , চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের মিটার রিডিং ও বিল বিতরণের কথা থাকলেও তাদের দিয়ে রাস্তার গাছ কাটানো হয়। আর এ গাছ কাটানো নামে লাখ লাখ টাকার াবল ভাউচার করে আত্নসাৎ করেন জিএম ও ডিজিএমরা। শুধু তাই নয় বিদ্যুতের খুঁটি ও ওভার কানেকশন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তারা।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ সালা উদ্দিন লাভলু, মোঃ পলাশ, নওশিন, আজাদ, মোঃ ওবায়দুল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম শুভ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংঘঠনের আহবায়ক জয়া উদ্দিন বাবলু , ওবায়য়দুর রহমান.সালাউদ্দিন লাভলু, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকারী সব জায়গাতেই এরকম অনিয়ম সুতরাং প.বি.স. এটার বাইরে থাকতে পারবেনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.