নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতপরঃ তারকাটি জোনাকী হইল...

আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।

আবদুল ওয়াহিদ

দুনিয়ার সকল গো-বেচারা এক হ!!!

আবদুল ওয়াহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি, মিশু এবং সমুদ্দুরের গল্প অথবা রুপালী জোছনা

১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:১১

আমার পুত্র মিশুকে নিয়ে সমুদ্র দর্শনের ইচ্ছে ছিলো। মাফ করিস বাপ। আগের জম্মে না হয় বন্ধু ছিলি, তার আগের জম্মে ভাই। আগামী জম্মে না হয় আমিই তোর পুত্র হবো। তো এক বৃষ্টির দিনে দুজনে সমুদ্র দেখতে গেলাম। কিন্তু কি আর দেখব! একমাত্র যে বস্তুটা মোটামুটি দেখা যাচ্ছিল সে হলি তুই। এর মধ্যে সন্ধ্যা নেমে এলো। এই হলো তোর আমার সমুদ্র দর্শন।



সমুদ্র দর্শনে অদ্ভুত আবেগে আক্রান্ত হই। ইচ্ছে করে মনের সাধ মিটিয়ে কাঁদি। মনে আছে, রাতের আকাশটা অনেকসময় সমুদ্রের বালুকাবেলার মতো খাঁচ কাটা মনে হয়। আমরা সারাটা রাত সে জোছনা মাখা আকাশের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতাম। মনে হতো অন্য কোন পৃথিবীর সমুদ্র তীরে হাঁটছি, যেখানে আমাদের জগতের লজিক খাটে না।



পাগলা, তুই সব কিছুতেই এতো মজা করতি আমি আর নিলু হেসে খুন হতাম। এখনো সে মাঝে মাঝে এসব কথা বলে। যদিও বলা না বলায় তার কিছুই আসে না। নিলুকে মাঝে মাঝে সমুদ্র বলে ভুল হয়। তুই নিশ্চয় হাসছিস। এটাই তোর মুল কাজ, আমার কথায় এমনভাবে হাসতে থাকিস যেনো পাগলের প্রলাপ।



হুঁ আমরা ভালো আছি। আমি আর নিলু প্রায়ই নৌকায় ঘুরে বেড়াই। আমি নৌকার পাঠাতনে শুয়ে চশমাটা খুলে ফেলি। চারদিকটা ঝাপসা হয়ে আসে। নদীর পাড়টা অনন্ত দূরে সরে যায়। মনে হয় সমুদ্রে ভেসে চলেছি। এ অবস্থায় নিলু ধাক্কা দিয়ে নদীতে ডুবালো একদিন। একে তো চশমা ছাড়া কিছু দেখি না, তার উপর ভাটার নোংরা পানি। বকতে গিয়েও বকতে পারি নাই, মোটের ওপর ওর কান্ডটা আমার নিজেই ভালো লাগছিল।



আমার চোখের অবস্থা খারাপ। অনেক বেশী। ভাবছি নিলুকে নিয়ে একবার সমুদ্র দেখতে যাবো। বেচারী কখনো সমুদ্র দেখেনি। এই আমার শেষ সমুদ্র দেখা। কোন ভরা পূর্ণিমায় যাবো। নিলুর হাত ধরে থাকব। তারপর চোখের পর্দা খুলে পড়বে। জোছনার বিভ্রমে ঢাকা পড়বো আমি। হয়ত আমার জগত চির জোছনাময় উঠবে। নিলুই তো আমার সমুদ্র। জোছনা আর সমুদ্র চিরকাল আমার পাশে রবে।



আর তোকে সে আকাশে উড়তে দেবো। হু তোকে দেখতে যেকোন একদিন চলে আসব।



মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২০

রিফাত হাসান বলেছেন: নিলুকে মাঝে মাঝে সমুদ্র বলে ভুল হয়। তুই নিশ্চয় হাসছিস। ... হাহাহাঃ।

১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৩০

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন: ... হাহাহাঃ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:


জোছনার ভিতরে চাঁদেরও মৃত্যু আছে জেনো
কতোকাল চাঁদ নিভে গেলে আমরা ভাবি নি কখনো
ডানে বাঁধা আঁধারে রাতপরী নেমে এলে নিরন্তর
একটি পরমায়ু গোপন রেখেছি একটি ছায়ার ভিতর

১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২৯

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
ছায়ারা খেলা করে জোসনার চোখে,
আধাঁরে সে জোনাকী হয়ে ডাকে।।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:

রিফাত ভাই,
রানু আপা কই?
মনে আছে একসাথে চাঁদের পিছনে দৌড়ানোর কথা,
এমনই এক রাশপূর্ণিমায় হয়তো বা?
তখন আপনি নিতান্তই বালক
আর রানু আপার বয়স ওই চাঁদের সমান

১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৩১

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
আসলে উনি কোথায়?
রিফাত কি বালক বেলায় ফিরে গেলেন? রানু আপার খোঁজে।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

রিফাত হাসান বলেছেন: কী ব্যাপার নির্ঝর-আব্দুল ওয়াহেদ এণ্ড কোম্পানী, রানুটা কে?

৫| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

পরিমল কায়সার বলেছেন: সুমন রহমান ভাইয়া আমাকে বললেন,

১০ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

লেখক বলেছেন: বিব্রত হওয়ার কি আছে? নিকবালক হিসেবে খাড়া করানোই তো আপনার কাজ, নাকি?


আমি তাকে বললাম,

ভাইয়া এ কথা সত্য যে আমি আপনার মত নিক নিয়ে দীর্ঘদিন লিখালিখি করিনা। আপনি বাপজানের দেয়া দীন মোহাম্মদ নামখানা শোকেসে তুলে রেখে সুমন রহমান নিকে সর্বত্র গত কয়েকশত বৎসর যাবত লিখালিখি করছেন। আমি আপনার তুলনায় নবীন। আমি নিকবালক হলে আপনি নিকবৃদ্ধ। আপনার মত নিকপাকনা হতে আমার আরো কয়েকশত বৎসর লাগবে। কিন্তু আপনি অন্যের খাড়া করা জিনিস কিভাবে ও কেন কাজে লাগাতে চান ভাইয়া?



এরপর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াকু সৈনিক দীন মোহাম্মদ ওরফে সুমন রহমান ভাইয়া আমার কথাটি মুছে দিলেন। আমাকে তার ব্লগে ব্লক করলেন।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: রানু হচ্ছে পথের পাঁচালির দূর্গা। মাসুদ জানে।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:১৫

একজন_১ বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনে হল বুঝেছি কিছু কিন্তু কমেন্ট পড়ার পর দেকছি কিছু বুঝিনাই। মানে কি ?

১২ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:২৯

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার বুঝা ঠিক আছে। আর কমেন্টগুলো নিজেদের শাশ্বত অনুভূতি হতে এসেছে।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৫৯

মাসুদ জাকারিয়া বলেছেন:
..মোটের ওপর ওর কান্ডটা আমার নিজেই ভালো লাগছিল।..

--বেটা! হুমায়ুন আহমেদ ভর করেছে এ লাইনে। বাকিটা ইর্ষনীয় পর্যায়ের ভালো গদ্য।

ও কে, র্স্টাট এ গুড লেখালেখি!start some thing

১০ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৭

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
ধন্যবাদ ব্যাটা..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.