![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি সাধারন একজন "জীবন একটাই , যদি হেরে যাই বাঁচব না , আর যদি বেঁচে থাকি কখনই হারব না "কবি বাংলার পান্থ
বাবা সরকারী চাকুরিজীবি হওয়ায় সুবাদে কয়েকটি জেলায় আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। সেই সাথে কয়েক বছর পর পরই পরিবর্তন হয়েছে আমার স্কুল।
১৯৯৮ সাল। তখন কিন্টারগার্ডেনের যুগ। আমরা থাকি মফস্বল এক শহরে। তখন সবাই প্লে,বেবি,নার্সারি পড়ায় ব্যস্ত। আমি তখনও স্কুলে ভর্তি হইনি। আমার সমবয়সীরা কোচিং করে আমি তখনো লাটিম, মারবেল খেলা আর ঘুড়ি উড়ানোতে ব্যস্ত।
~কি ব্যাপার আপা ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাবেন না?? আমার ছেলেতো নার্সারিতে পড়ে।
~হ্যা, এখনতো খেলার সময়। বয়স হলেই ভরতি করাব।
~কি বলেন আপনার ছেলের বয়সতো পাচ হয়ে গেছে।
আম্মু সেদিন আর কিছু বলেননি। সারাদিন দুরন্তপনা করে আমার সময় ভালোই কাটছিল। বছর শেষ হয়। ১৯৯৯ এর জানুয়ারি মাসে মা আমাকে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুলের প্রথম দিনের কথা আজো আমার স্পষ্ট মনে আছে।
স্যার আমাকে A,B,C,D লিখতে দিয়েছিলেন। আমি ভুল করেছিলাম
ভর্তি শেষ, ক্লাস শুরু হবে কয়েকদিন পর। স্কুল ড্রেস বানানো হল। ক্লাস শুরুর আগেরদিন রাতে বাবা নতুন কিনে আনলেন। নতুন বই পেয়ে আমার সে কি আনন্দ। সেদিন আমি আর কাওকে আমার সেই বই ধরতে দেইনি। নতুন বই এর ঘ্রাণ নিয়েছি। বইয়ের প্রতিটি পাতা উল্টে পাল্টে দেখেছি,,,,,,, সে সব স্মৃতি আজো ভুলবার নয়। তারপর প্রতিবছর আমি জানুয়ারি মাসের অপেক্ষায় থাকতাম নতুন বই পাব এই আশায়।
আজ নতুন বই পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের উৎসাস দেখে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ল।
আমরা যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম অনেক সময় পুরোনো বছরের ব্যবহার করা বইই নিতে হত শিক্ষার্থীদদের। যাদের সামর্থ্য ছিল তারাই শুধু দোকান থেকে নতুন বই কিনতে পেত। নতুন বই না পাওয়া ছেলেটির জলে ছলচ্ছল চোখের ভাষা বোঝার ক্ষমতা বা ইচ্ছে ছিলনা সেদিন কারোরই।।
#এবছর ৩১ কোটি এরও
বেশী বই সোয়া চার কোটিও এরও
বেশী শিক্ষার্থী এর মাঝে বিতরন সত্যিই প্রশংসনীয়
♦ভালো থাকুক আমার বাংলাদেশ। নতুন বই পাওয়ার পর হাসি ফুটুক সব ছেলেমেয়ের
©somewhere in net ltd.