![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফার্মগেটের দিক থেকে মিন্টো রোড হয়ে সিএনজি করে যাচ্ছিলাম আজ বিকেলে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা পার হয়ে রাস্তার মোড় পার হবার সময় হঠাৎ দেখলাম করুন দৃশ্যটি। একজন মাঝ বয়সী ভদ্রলোক রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। এর পাশে একটি থেমে থাকা একটি সিএনজি দাঁড়ানো। সিএনজি থামিয়ে নেমে এলাম। ভদ্রলোক অজ্ঞান, থেমে থেমে কাঁপছেন। কপালের বাম পাশে চামড়া থেঁতলে গেছে। ভাবলাম এক্সিডেন্ট হয়েছে। লোকটির পাশে সিএনজি চালক ছাড়াও একটি লোক বসে আছে। জিজ্ঞেস করতেই সিএনজি চালক জানালেন-সিএনজি দরদাম করা অবস্থাতেই হঠাৎ করেই মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে যান তিনি। কেউ বুঝে উঠার আগেই কপাল সহ মুখ মাটিতে থেঁতলে যায়। এরপর মৃগী রোগীর মতো কাঁপতে থাকেন তিনি। এদের ভেতর একজন নিজের জুতা খুলে লোকটির নাকে শুঁকাচ্ছিলেন। জুতা সরিয়ে দিলাম আমি। এই কুসংস্কার আমাদের দেশ থেকে উঠে যাওয়া খুব মুশকিল হবে-আবার মনে হলো এ কথাটি। ইতিমধ্যেই তাঁর প্যান্ট ভিজে গিয়েছে স্টুল বের হয়ে।
কিছুক্ষণের ভেতরই খিঁচুনী বন্ধ হয়ে গেলো। আমরা ধরাধরি করে তাঁর মাথা তুলে উঠিয়ে একপাশ করে শুইয়ে দিলাম। মিনিট খানেকের মধ্যে চোখ খুলে এদিক অদিক তাকাতে লাগলেন তিনি। অনেকটা হতচকিত ও অপ্রস্তুত। উঠে বসলেন তিনি। ধন্যবাদ জানালেন আমাদের। নিজের প্যান্ট ভেজা সেটা টের পেয়ে লজ্জিত হলেন বলেও মনে হলো। জানালেন তিনি মৃগী রোগী, ঔষধের ডোজ মিস করেছেন কাল। বাসায় পৌঁছে দেয়ার অফার দিলাম। বললেন নিজেই যাবেন। ইতিমধ্যেই একজন রিক্সাওয়ালা কাছে এসে সাহায্য করছিলেন। তিনি নিজেই বললেন-চলেন, আমি পৌঁছে দেব। ধন্যবাদ দিয়ে হাত নাড়িয়ে বিদায় নিলেন লোকটি। বিষন্নতায় ছেয়ে গেলো মনটা। নিজেদের অজান্তেই কতটা ভাল যে আল্লাহ্ আমাদের রেখেছেন তা আমাদের কল্পনার অনেক বাইরে।
খিঁচুনী রোগীদের অ্যাটাকের সময় কেয়ারগিভারদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। নীচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনি অসহায় রোগীকে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্।
* স্যান্ডেল, চামড়া, হাড় ইত্যাদির গন্ধ শুঁকানোর কোন উপকার নেই বরং তাতে ক্ষতি হতে পারে।
* খিঁচুনী চলার সময় রোগীকে চেপে ধরা যাবে না বা বন্ধ করার চেষ্টা করা যাবে না, কিছুক্ষণ পর খিঁচুনী নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে।
* আশপাশে আগুন, পানি, ধারালো কোন বস্তু ইত্যাদি থাকলে তা থেকে আস্তে করে রোগীকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে।
* খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। এতে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে ও লালা বা জিহবা পিছনে পড়ে যাবে না।
* জিহবায় কামড় পড়লে খিঁচুনী চলার সময় দাঁত দরে টানাটানি করা যাবে না, সম্ভব হলে পরিস্কার রুমাল মুড়িয়ে দাঁতের ফাঁকে দেয়া যেতে পারে।
* রোগীর সাময়িক স্মৃতিভ্রম হওয়া স্বাভাবিক। তাই তাকে পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করা যেতে পারে। স্মৃতি না এলে হাসপাতালে নিতে হবে।
* একটি খিঁচুনীর পর কিছুক্ষণের ভেতরেই আরেকটি খিঁচুনী হলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
যাদের মৃগী রোগ আছে বা যারা আরো জানতে চান তারা নীচের লিংকের লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে বিপদমুক্ত রাখুন।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
আবু উযাইর বলেছেন: অবশ্যই।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
ক্লিকবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ. পোষ্টে ++++++++++++++
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
কামরুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: দরকারি পোস্ট ++++
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মদন বলেছেন: জাজাকাআল্লাহু খায়ের।
অনেক কিছু জানলাম।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
আবু উযাইর বলেছেন: বারাকাল্লাহ ফিকুম।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
পথহারা সৈকত বলেছেন: মদন বলেছেন: জাজাকাআল্লাহু খায়ের।
অনেক কিছু জানলাম।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: so caite important holo sathe thakar moto keu thakle obossoi emon patient k eka eka rastai cara jabe na
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
আবু উযাইর বলেছেন: সেটা খুবই দরকার। কিন্তু বাস্তবিক ভাবেই সবসময় তা সম্ভব হয়না।
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
সাদা রং- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
আবু উযাইর বলেছেন: আপনাকেও।
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: একজন অসহায় মানুষকে এভাবে সাহায্যে এগিয়ে গিয়েছেন, খুব মুগ্ধ হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
সজল৯৫ বলেছেন: খৃবই দরকারি পোষ্ট, আমিও মাঝে মাঝে পথে ঘাটে এমন রোগীর দেখা পাই কিন্তু করনীয় জানা না থাকায় অসহায়ের মত থাকি, এবার থেকে এগিয়ে যাব।
ধন্যবাদ ++...+
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
আবু উযাইর বলেছেন: সামান্য কিছু টেকনিক জানা থাকলে অনেক সময় মানুষের জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করা যেতে পারে।
আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন।
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
এই আমি রবীন বলেছেন: খুবই ভাল করেছেন! এখনকার বেশীর ভাগ মানুষই গা এড়িয়ে চলতে চায়!
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
আন্ধার রাত বলেছেন:
"কতটা ভাল যে আল্লাহ্ আমাদের রেখেছেন তা আমাদের কল্পনার অনেক বাইরে।" আমি নিজেও ভয়াবহ রোগের সাথে থাকি। এরপরও বলবো আমি অনেক অনেক বেশি ভাল আছি।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
আবু উযাইর বলেছেন: আল্লাহ্ আপনাকে শিফা দান করুন। আপনার উপর রহমত বর্ষন করুন।
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
এস এইচ খান বলেছেন: আল্লাহ কত ভাল রেখেছেন! পোস্টে +
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
আবু উযাইর বলেছেন: আল্লাহ্ সত্যিই অনেক ভালো রেখেছেন।
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাসেল ভাই বলেছেন: আমরা আজকাল ঝামেলা হবে বলে অনেক সামাজিক কাজে অংশ নিই না । এই দ্বারা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবু উযাইর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
মাহিরাহি বলেছেন: তটা ভাল যে আল্লাহ্ আমাদের রেখেছেন তা আমাদের কল্পনার অনেক বাইরে।
এই উপলব্দিটা খুবই দরকারী।