নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উযাইর

আবু উযাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ 'সীমান্ত ঈগল'-সত্য ইতিহাসের এক এপিক উপন্যাস

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৭

আমাদের প্রজন্ম পর্যন্ত ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ের বাইরের যে কোন উপন্যাস বা গল্পের বইকে 'আউট বই' হিসাবে বিবেচনা করা হতো। সারা জীবনে পড়া হাজারো আউট বইয়ের ভেতর হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের আবেদন ও প্রভাব ছিলো সবচেয়ে বেশী। তাঁর লেখনী, হিউমার, শিল্পিত অশ্লীলতা, সূক্ষ্ম ইসলাম বিদ্বেষ জীবনের একটা স্বর্ণালী সময়ে ঘোরের মতো বেঁধে রেখে নষ্ট করেছিল। আল্লাহ্‌র কৃপায় ইসলামকে যখন থেকে জানতে চেষ্টা করছি, তখন থেকে অবাক হয়ে ভেবেছি কি অবাস্তব অক্ষরগুলোর পেছনেই না ছুটে বেড়িয়েছি এতোদিন। ঘটনাক্রমে একদিন একটি বই হাতে এলো, নাম 'সীমান্ত ঈগল'। লেখক নসীম হিজাজী। বই ও লেখকের নামটা খুব একটা যে আকর্ষণ করলো তা নয়। জানলাম এটা একটা ইসলামী উপন্যাস যার পুরোটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। ছোটবেলায় ইসলামী গল্পের নামে 'নিকাব পরা সেই মেয়েটা' জাতীয় যে দু'একটা লেখা পড়েছি, সেগুলোর উদ্ভট কাহিনী, দুর্বল ভাষা আর ভুল বানানের জন্য কোনটাই বেশীদূর পড়া হয়নি। সেই থেকে যে ইসলামী গল্প-উপন্যাসের প্রতি একটা অনাগ্রহ জন্মেছিলো, তা তখন পর্যন্ত অটুট ছিলো। বইয়ের পেছনে দেখলাম স্পেনের ইসলামের পতনের দিনগুলোর ঘটনা নিয়ে এই বই। সেই আগ্রহেই পড়া শুরু করলাম আর শুরু হলো অবাক হবার পালা। জীবনে বহু থ্রিলার আর অ্যাডভেঞ্চারের বই পড়েছি, তবে সত্য যে তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে তা এই প্রথম উপলব্ধি করলাম। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হলো অসীম সাহসিকতা, ভয়ংকর বিশ্বাসঘাতকতা আর ট্র্যাজেডির এক মহাকাব্য।







মুসলিম স্পেন তখন আত্মকলহ আর ষড়যন্ত্র জর্জরিত এক জনপদ। দুর্ভাগা জাতির নেতারা এক না হয়ে বরং ফার্দিনান্দের কাছে অপরের পরাজয়ে উল্লসিত। এমন সময়ে একজন তাকওয়াবান মুসলিম গোত্রনেতা মুগীরা রুখে দাঁড়ান অটল হয়ে। এক সময় তার নেতৃত্ব আবারও স্পেনের মুসলিমদের আশার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। মুগীরাকে ধ্বংস করার আক্রমণে একের পর এক পরাভূত হয়ে হয়ে হতাশ ফার্দিনান্দ এবার জাল ফেলে এক মুসলিম নামধারী মুনাফিক আলিমের দ্বারা। আবু দাউদ নামের সেই আলিম কর্মীবাহিনী সংগঠিত করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মুগীরাকে একদিন সেভিল ডেকে নিয়ে যায়। নিজের উপরে উঠার পথের উপহার হিসাবে নিরস্ত্র মুগীরাকে তুলে দেয় ফার্দিনান্দের হাতে। একদিন শহরের চৌরাস্তায় ফাঁসী দেয়া হয় মুগীরাকে। নিভে যায় স্পেনের ইসলামকে জ্বালিয়ে দেয়ার একটি বারুদ। অসহায় জাতি মুগীরার জন্য অশ্রু বিসর্জন দিয়ে দিয়ে দেখতে থাকে একের পর এক পরাজয়।



মুসলিম শাসিত স্পেনের ভূমি ততোদিনে সীমিত হয়ে এসেছে। সেভিল, টলেডো, কর্ডোভা হাতছাড়া হয়ে গেছে। পরাজিত সেসব জনপদে মুসলিমদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে আকাশ বাতাস। আশার প্রদীপ হয়ে টিকে আছে কেবল গ্রানাডা। গ্রানাডার স্থানীয় মুসলিমরা ছাড়াও হাজার হাজার মুহাজির মুসলিম জড়ো হয়েছে ইসলামের একমাত্র পতাকার নীচে। খৃস্টান রাজা ফার্দিনান্দ আর রানী ইসাবেলা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষায় ফার্দিনান্দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু উজিরে আজম বা প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশিম এবং তার সহযোগীদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের ফলে নস্যাত হয়ে যাচ্ছে তা। গ্রানাডার দুর্বল নেতৃত্ব সিদ্ধান্তহীনতা আর আপোষে আস্থা হারিয়েছে মুসলিমদের। সেই সময় সমগ্র স্পেনে ব্যতিক্রম হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল গ্রানাডার সীমান্তবর্তি একটি ক্ষুদ্র রাজ্য। জীবন বাজি রাখা কিছু অকুতোভয় মুজাহিদ আর কয়েক হাজার চরিত্রবান মুসলিমের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ফার্দিনান্দের জন্য ছিলো সবচেয়ে বেদনাদায়ক ফোঁড়ার মতো। গ্রানাডার সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল বটে, তবে সেখানকার নেতৃত্বের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে তারা গড়ে তুলেছিল স্বাধীন এক উপত্যকা- যারা ফার্দিনান্দের সাথে অন্যায় আপোষ আর ষড়যন্ত্রমূলক চুক্তিগুলো প্রত্যক্ষান করে নিজেরাই একা লড়তো সম্মিলিত খৃষ্টান শক্তির বিরুদ্ধে। সেই ক্ষুদ্র উপত্যকা আর জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলো এমন এক তরুণ মুসলিম বীর, যার নাম ধরে ধরে স্পেনের ইসলামের ইতিহাসের শেষদিকের সকল মুসলিম আল্লাহ্‌র কাছে কাঁদত। তার নাম ছিল বদর বিন মুগীরা। হ্যাঁ, সে হলো সেই মুগীরারই বীর সন্তান। তাঁর সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে স্পেনের এক কাউন্ট তাঁকে 'সীমান্ত ঈগল' হিসাবে উপাধি দেন। এরপর থেকে তাঁকে মানুষ সে নামেই ডাকতে থাকে আর তাঁর উপত্যকা পরিচিত হয় ঈগল উপত্যকা নামে। শুধু তাই নয়, বদর বিন মুগীরার সেই পতাকাতলে সমাবেত হয়েছিল মুসলিম স্পেনের মুক্তিকামী বিখ্যাত অনেক বীর ব্যক্তিত্ব। এদের ভেতর বদরের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন বশীর বিন আল হেলাল, যিনি ছিলেন তৎকালীন স্পেন শুধু নয়, সমস্ত ইউরোপেরই সেরা চিকিৎসক ও সার্জন।



গ্রানাডার সে সময়কার শাসক ছিল আবুল হাসান। জাতির দুঃসময়ে এই শাসক একদিন সকল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র তুচ্ছ করে ফার্দিনান্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেন। পিপাসার্ত জাতির জন্য এ ছিল শীতল প্রস্রবণের মতো সুখকর খবর। গ্রানাডার ও স্পেনের মুসলিম ইতিহাসের শেষ আল্লাহ্‌ ভীরু সেনাপতি মুসা বিন আবি গাসসান নেমে পড়েন সেনাদল গোছানোর কাজে। আবুল হাসানের যুদ্ধ ঘোষণার পর প্রথম তিনি কয়েকজন সঙ্গী সহ এসে দাঁড়ান এক তরুণের কাছে- বদর বিন মুগীরা, সীমান্ত ঈগল। বদর নিজের খ্যাতি বা নিজে রাজা হবার জন্য লড়তেন না। আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ছাড়া তাঁর আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে গ্রানাডার নেতৃত্বের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা বদর আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া করে নিজের বাহিনীকে যুক্ত করেন গ্রানাডার সঙ্গে। বদর আর গ্রানাডার মিলিত সেনাদল তাদের সামান্য ফৌজ নেমে পড়ল ফার্দিনান্দের বিশাল ফৌজের বিরুদ্ধে। আল্লাহর কৃপায় একের পর এক অসাধারণ জয় আসতে লাগল তাদের। ফার্দিনান্দ পিছু হঠতে বাধ্য হলো। সমরাঙ্গনের সব যায়গায় ব্যর্থ হয়ে ফার্দিনান্দ এবার নামালো তার বহু পুরোনো এক বিশ্বস্ত অস্ত্র যার নাম আবু দাউদ।



শাসকের পরিবারে দ্বন্দ্ব তৈরীর মিশনে আবু দাউদ রওয়ানা হলো গ্রানাডার শাসকের প্রাসাদ আল হামরার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় পড়ে তাকে ও তার স্ত্রী সহ দুই কন্যা বহনকারী টাঙ্গা এসে পড়ল অজানা এক এলাকায়। আহত আবু দাউদ ও তার পরিবার আবিষ্কার করল তারা আর কোথাও নয়, এসে পড়েছে সীমান্ত ঈগলের উপত্যকায়। চতুর আবু দাউদ খৃস্টানদের হাতে নির্যাতিত হবার মিথ্যা কাহিনী ফেঁদে সবাইকে তাদের প্রতি সহানুভূতুশীল বানিয়ে ফেলল। বদর আর বশীর নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি আর মেহমানদারী করল তাদের। বিশ্বাসঘাতক আবু দাউদের মুসলিম প্রথম স্ত্রী মারা গিয়েছিলো তার বড় কন্যা রাবিয়াকে রেখে। পরিবারে ছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী, যিনি ছিলেন খৃস্টান। এই স্ত্রীর ঘরে জন্মেছিল তার দ্বিতীয় কন্যা ইনজিলা যেও ছিল খৃস্টান, তবে বড় বোনের প্রতি গভীর মমতা থেকে সে ভালবাসত ইসলামকে। আবু দাউদের দুই কন্যা ছিল ইসলামের প্রতি একনিষ্ঠ ও বাবার কাজে বীতশ্রদ্ধ। সীমান্ত ঈগল ও বশীরের সঙ্গ একই সাথে তাদের মুগ্ধ করেছিল আর ভবিষ্যতের ব্যাপারে উৎকণ্ঠিত করে তুলেছিল। এক সময় ঈগল উপত্যকা থেকে ষড়যন্ত্রের নতুন জাল পেতে আল হামরার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ল আবু দাউদ।



অল্প সময়েই আল হামরায় আবুল হাসানের আতিথ্য আর রাজপরিবারের বিশ্বাস অর্জন করে নিল আবু দাউদ। আবুল হাসান একদিন বেরিয়ে পড়লেন ফার্দিনান্দের বাহিনীর সাথে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে। আবু দাউদের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন একমাত্র যুবক পুত্র আবু আবদুল্লাহর শিক্ষার ভার। ফার্দিনান্দের সাথে আবুল হাসানের সম্মিলিত বাহিনীর বড় যুদ্ধ সংগঠিত হলো লোশা'র ময়দানে। বদর বিন মুগীরার কৌশল আর মুসা বিন আবি গাসসানের নিপুণ নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী অসাধারণ বিজয় লাভ করে। দীর্ঘদিন পর স্পেনের কোন মুসলিম জনপদে যুদ্ধ জয়ের নাকাড়া বেজে উঠে। হাজার হাজার উল্লসিত মুসলিম নারী পুরুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে। লোশার মুসলিম ফৌজ বিজয় সমাবেশ করছে, এমন সময় একটি খবর আসে রাজধানীর আল হামরা প্রাসাদ থেকে। আবুল হাসানের পুত্র আবু আবদুল্লাহ বাবাকে ক্ষমতাচ্যুত ঘোষণা করে নিজেকে সুলতান হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে, তার প্রধান উপদেষ্টার পদ লাভ করেছে আবু দাউদ। স্তব্ধ হয়ে যায় রাজধানী। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে ময়দানের মুজাহিদদের। আবুল হাসান নির্বাক হয়ে গেলেন। যে ক্ষমতা আবু আবদুল্লাহ দখল করে নিয়েছিল, তা এমনিতেই তার হতো পিতার উত্তরসুরী হিসাবে। জাতির ক্রান্তিকালের বিশ্বাসঘাতক আবু আবদুল্লাহর হাতেই আল্লাহ্‌ শেষ লিখে দিয়েছিলেন স্পেনের মুসলিম জাতির তা টের পাচ্ছিল সবাই।



আবু আবুদুল্লাহর আবুল হাসানের হাতে বন্দী সকল চিহ্নিত ফার্দিনান্দ দালালদের ছেড়ে দিলেন। তার ছোটবেলার বন্ধু ও মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি মুসা এলেন তার সাথে দেখা করে তাকে বোঝাতে। আল হামরা প্রাসাদে এসে আবু দাউদের নির্দেশে বন্দী হলেন মুসা। এরপর তার খবর জানলো না আর কেউই। আবু দাউদ কৌশলে বদর বিন মুগীরাকেও নিয়ে এলেন আল হামরায়। বন্দী করা হলো বদরকেও। মৃত্যু পরোয়ানা জারি হলো তার নামে। গ্রানাডাবাসী শুনলো বদরের মৃত্যুর খবর।



সময় পেরিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর অনুতপ্ত এক মুসলিমের প্রায়শ্চিত্তে অজ্ঞাত স্থান থেকে মুক্ত হলেন মুসা। কোথায় যাবেন তিনি? সারা দেশ আজ ছেয়ে গেছে আবু আবদুল্লাহ আর আবু দাউদের পোষা গাদ্দারে। এক বুক আশা নিয়ে তিনি আবার এসে দাঁড়ালেন ঈগল উপত্যকায়-যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন একদিন আবুল হাসানের পক্ষ থেকে বদরকে আমন্ত্রণ জানাতে............।



এভাবেই এগিয়ে যায় সত্যিকার ইতিহাস ভিত্তিক অনন্য এক উপাখ্যান। কখনও রুদ্ধশ্বাস, কখনও হৃদয় ভাঙ্গা ব্যথার আবহ। সীমান্ত ঈগল পড়া শেষ হয়, কিন্তু হয়না। বদর বিন মুগীরা, বশির বিন হেলাল, মুসা বিন আবি গাসসান, আল জগল, মনসুর, আবুল হাসান, রাবিয়া, ইনজিলা এমন বেশ কিছু নাম গেঁথে যায় হৃদয়ের গভীরে।







আসাদ বিন হাফিজের সম্পাদনা এবং প্রীতি প্রকাশনী প্রকাশিত সীমান্ত ঈগল বইটির বাংলা অনুবাদের ভাষা সর্বোচ্চ মানের না হলেও বেশ ঝরঝরে। বইটি পাওয়া যাবে কাঁটাবন, বায়তুল মোকাররম কিংবা বড় কোন লাইব্রেরীতে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। এই বইটি পড়ে আমি নসীম হিজাজির স্পেন নিয়ে লেখা বাকী তিনটি বইও একটানে পড়ে ফেলি। সংগ্রহ করি নসীম হিজাজির আরো বেশ ক'টি উপন্যাস। নিউমার্কেট গিয়ে খোঁজ নেই স্পেনের ইসলামের ইতিহাস নিয়ে লেখা ভালো কোন বাংলা বইয়ের, যদিও একটিও পাইনি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: শৈশবে পড়া আমার অনেক প্রিয় একটা বই।
আরেকবার পড়ার ইচ্ছা জাগলো। অনলাইনে কি পড়ার কোনো সুযোগ আছে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২

আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো লাগলো আবার আপনার কমেন্ট পেয়ে।

অনলাইনে যে দু'একটি লিঙ্ক আমি পেয়েছি তার একটিতেও আমার এখান থেকে কাজ হয়নি। জানিনা আপনার ওখান থেকে হবে কিনা।
http://www.priyoboi.com/2013/02/blog-post.html

যাযাকাল্লাহ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: এখন অফিসে আছি, একনজর লিংকটা দেখলাম, মনে হয় পড়তে পারবো।
বাসায় গিয়ে ডাউনলোড করবো।
আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

আবু উযাইর বলেছেন: এখানে যেতে পারলে একই সাইটের হোম পেজে নসীম হিজাজীর অন্য কয়েকটি বইও পাবেন।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমি অনেক আগেই উর্দু 'শাহীন' যা বাংলা সীমান্ত ঈগল পড়েছি...

আর প্রীতির প্রকাশনায় আব্দুল হকের অনুবাদটাও ভাল...

ধন্যবাদ...

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫

আবু উযাইর বলেছেন: ধন্যবাদ। মূল লেখার স্বাদটা তাহলে আপনি পেয়েছেন।

হ্যাঁ, অনুবাদটা খুব ভালো হয়েছে। নসীম হিজাজীর উপন্যাস অনুবাদ যতগুলো পড়েছি তার মধ্যে প্রীতিরগুলোই ভালো লেগেছে বেশী।

যাযাকাল্লাহ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

দিশার বলেছেন: মুসলিম আগ্রাসন এর এক পেশে কিছু তথ্য পেতে , হেজাজের কাফেলা পড়তে পারেন একই লেখক এর।

হুমায়ুন কে মুসলিম বিদেশ্হী কেন বললেন বুঝলাম না।

নাসিম সমসাময়িক , বা এই অঞ্চলের লেখক নয়। আপনি কি খালি "জেহাদী" জোস ওয়ালা ইসলামী বই পরবেন? নাকি বাংলার অপার সাহিত্য ভন্ডার থেকে ও কিছু পরবেন ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১

আবু উযাইর বলেছেন: হেজাজের কাফেলা পড়েছি। আগ্রাসন শব্দটিতে আমার আপত্তি আছে। খুব বড় আলোচনার ব্যাপার। ইসলামের এই অগ্রযাত্রাকে আপনি যদি তাই বলেন, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি জাতি এমন কোন আগ্রাসনের ভেতর দিয়ে যায়গায় যায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকের সুপার পাওয়ার আমেরিকা থেকে শুরু করে সবাই।

হুমায়ূনকে 'সূক্ষ্ম' ইসলাম বিদ্বেষী বলেছি। অনেক উদাহরণ আছে, কোনটা বলব? তার শেষদিককার লেখা থেকেই বলি। বড় মেয়ে নোভার হিজাব পরা নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি প্রথম আলোর কলামে লিখেছেন, পড়েছেন কিনা জানিনা।

নসীম এই অঞ্চলের লেখক নয়-তাকে না পড়ার এটা কোন কারণ হতে পারেনা, একইভাবে যেমনটা হতে পারেনা শেক্সপিয়রের ক্ষেত্রেও। বাংলার অপার ভান্ডার থেকে সবকিছু না পড়লেও আমার ক্ষুদ্র সামর্থ আর জীবনকাল হিসাবে কমও পড়িনি। হেয়ার আফটার বলে যে জীবনটা আছে সেখানে সেগুলো কোন কাজে আসবে না তা শতভাগ নিশ্চিত। তাই এখন সেভাবে চিন্তা করেই বই হাতে নেয়ার চেষ্টা করি। সাধারণত জেহাদী জোশওয়ালা বলে অবজ্ঞা করে কিছু এড়িয়ে চলে যাই না।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৫

আহসান২২ বলেছেন: altamash er boi porte paren.
Indian subcontient nie.

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩২

আবু উযাইর বলেছেন: আলতামাশ এর বই পড়েছি। ৩০ খন্ডের পুরো ক্রুসেড সিরিজ। অসাধারণ।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আলতামাশ- উনার বইয়ের লিংক দেয়া যাবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৫

আবু উযাইর বলেছেন: Click This Link

http://m.somewhereinblog.net/blog/trr/29575297

http://www.priyoboi.com/2012/04/blog-post.html

কয়েকটি পেলাম। কোনটা কাজ করে দেখেন।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:০৮

গ্রীনলাভার বলেছেন: mediafire link

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১১

গ্রীনলাভার বলেছেন: সোহেল রানা ভাইয়ের বিশাল সংগ্রহ থেকে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.