নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উযাইর

আবু উযাইর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবকিছুই স্বাগতম, শুধু ইসলাম ছাড়া (গত বছরের লেখা, প্রাসঙ্গিক বলে আবার দিলাম)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৪০

আমাদের সংস্কৃতি আমাদের নিজস্বতার পরিচয়। কোন অপসংস্কৃতি বা মৌলবাদী অপশক্তি একে বদলাতে পারবে না।

- হাজার বছরের বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালন করে মানুষ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর আস্ফালনের সমুচিত জবাব দিয়েছে।

- যতদিন এদেশে বাঙালী ঐতিহ্য পালিত হবে, ততদিন এদেশ নিয়ে কোন চিন্তা নেই।



হায় সেলুকাসঃ



* পহেলা বৈশাখে মেয়েরা সবাই বাঙ্গালীর ঐতিহ্য শাড়ী পরবে। কিন্তু অনেক মেয়েই যে পশ্চিমা বিজাতীয় সংস্কৃতির অশ্লীল শার্ট-প্যান্ট পরে সেদিন।

- এ তো নতুন যুগের নতুন প্রজন্মের পোশাক। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।



* মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে আসা উচিৎ।

- মৌলবাদীরা তাই চায়, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হোক, বন্দী হোক নারীরা।



* শাহাবাগের সবাই তো এবার মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে মঙ্গল চাইলো।

- তা তো চাইবেই। হাজার বছরের বাঙালী ঐতিহ্যতো তা-ই।



* মঙ্গল প্রদীপ হিন্দু সংস্কৃতির অংশ।

- প্রতিক্রিয়াশীলরা এমনই। সবকিছুতে ধর্মকে টেনে আনে।



* সবাই যদি মোনাজাত করে আল্লাহ্‌র কাছে দেশের মঙ্গল চাইতো?

- ধর্মান্ধ। দেশটাকে আফগানিস্তান বানাবার ষড়যন্ত্র চলছে।



* অনেক ছেলে আর অনেক শিশু ধুতি পরে এসেছে।

- আসতেই পারে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে না।



* ধুতি হলো হিন্দুদের ধর্মীয় পোষাক।

- উগ্রবাদী মোল্লাদের মতো কথা।



* কেউ যদি বলে আমরা এ বার পাঞ্জাবী-টুপি পরে দাড়ি রেখে মানুষকে বোঝাব?

- মৌলবাদ, মৌলবাদ। দেশ আজ ধ্বংসের পথে।



* অনেক যায়গায় বৈশাখে হিন্দী গান বাজিয়ে নাচানাচি করে। এটা কি বাঙালী সংস্কৃতি?

- এটা সংস্কৃতি বিনিময়। তরুণদেরতো আর বেঁধে রাখা যায় না।



* কিছু তরুণ যদি ইসলামী সংস্কৃতি মেনে কুরআন নিয়ে আলোচনায় বসে?

- মৌলবাদের টনিক দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করে আজ আমাদের তরুণদের ধ্বংস করা হচ্ছে।



* রবীন্দ্র সঙ্গীতের বয়স একশ বছরের বেশী নয়। এটাও হাজার বছরের সংস্কৃতি হয় কিভাবে?

- রবীন্দ্র সঙ্গীত পবিত্রতার প্রতীক ও বাঙ্গালীর প্রাণের সঙ্গীত। যারা বাঙালী সংস্কৃতিকে ধারণ করেনা তারাই এর বিপক্ষে যেতে পারে।



* পবিত্রতার সাথেই যদি শুরু করতে হয় তাহলে কুরআন দিয়ে শুরু করাই উচিৎ।

- এরাই মৌলবাদী। সবকিছুর মধ্যে ধর্মকে টেনে আনতে হবে কেন?



* পহেলা বৈশাখের আগে চৈত্র সংক্রান্তি এমন ঘটা করে পালন করা শুরু হয়েছে কেন?

- এটা তো বাঙালী ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ।



* কিন্তু এটাতো হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয়ের অংশ।

- নিজেদের শেকড়ের এসব বিষয়ে ধর্মকে টেনে আনা ধর্মান্ধদের কাজ।



* সংস্কৃতির নামে এদেশে ভারতীয় অবাঙ্গালী কত্থক নাচের শিল্পী, যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী এরাতো হরহামেশাই আসছে।

- এটা আমাদের হাজার বছরের উপমহাদেশীয় সংস্কৃতির জয়গান।



হাজার বছর শব্দটি মাথার ভেতর কেমন একটা বিস্তৃত মায়াজাল তৈরী করে। গড়পড়তা ষাট বছর আয়ুপ্রাপ্ত আমাদের এই মানব সমাজে মাত্র এক দেড়শো বছর আগের জীবনাচরণই যেমন অনেক পুরনো মনে হয় সেখানে হাজার বছর এমন আবেদন সৃষ্টি করা খুবই স্বাভাবিক। হাজার বছরের সংস্কৃতির নামে সাতচল্লিশ বছর আগে শুরু হওয়া রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান চালিয়ে দেয়া যায়, চালিয়ে দেয়া যায় ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মীয় অনেক আচার অনুষ্ঠান, শুধু ইসলামের স্থান সংস্কৃতিতে নেই।



আজ থেকে তেরশ বছর আগে সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণ মুহাম্মাদ বিন কাশিম এই উপমহাদেশে নিয়ে এসেছিল অনন্য এক সংস্কৃতি। নানা কুসংস্কার আর শোষণে জর্জরিত এ অঞ্চলের মানুষ সেই তরুণের চরিত্র আর সত্যের উপর দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়ে দেবতা হিসাবে তাকে পূজা শুরু করেছিল। দেবলের সেরা ভাস্কর বানিয়েছিল তার বিশাল মূর্তি। দেবতা নিজের হাতেই তার উদবোধন করবেন এই ভেবে মুহাম্মাদ বিন কাশিমকেই আনা হলো অনুরোধ করে। তিনি এসে বললেন, "আমি কোন দেবতা নই, আল্লাহ্‌র নগন্য একজন ভৃত্য এবং রাসুল সাঃ এর একজন সামান্য অনুসারী, যার চরিত্র আর ইনসাফের ধারে কাছে যাবার সৌভাগ্য হলেই আমি ধন্য হব। ইসলামে ব্যক্তি আর মূর্তি পূজার স্থান নেই। এ মূর্তি তুমি নিজ হাতে ভেঙে ফেল"। ভাস্কর ভেঙে ফেলল সেটা। লোকজন বুঝে নিল সত্য এসে দাঁড়িয়েছে তাদের দরজায়। এ আলো মুহাম্মাদ বিন কাশিমের নয়, এ আলো সবার জন্যই এসেছে।



বাংলা ভাষায় এ যাবত প্রাপ্ত সবচেয়ে পুরানো গ্রন্থটির নাম চর্যাপদ যার বয়স হাজার বছর। এর পরের শতাব্দীগুলোর অনেক সাহিত্য ও লেখনিও সংরক্ষিত আছে। এসব লেখনির রাক্ষস-খোক্কসের গাল গল্প আর ভাষার সাথে চর্যাপদেরও সাড়ে চারশ বছর আগে পৃথিবীতে আসা গ্রন্থ কুরআনকে মেলালে অবাক না হয়ে পারা যায় না। কত জীবন্ত ও কত বাস্তব এই গ্রন্থ। আজ এই সময়ে এটা খুলে বসলেও সেরকমই আবেদন রাখে যা রেখেছিল হাজার বছরেরও বেশী আগে। শেকড়ে ফিরে যাবার আওয়াজ অনেক জোরেশোরে শোনা যায় আজকাল। মুসলিমদের ফিরে যেতে হবে চৌদ্দশ বছর আগের শেকড়ে.

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭

মেলবোর্ন বলেছেন: সত্য কথা অনেকেরই হজম হয় না , সত্য গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:০৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ইসলাম এই দেশে বিদেশ থেকে আসা একটা সংস্কৃতি। এর সাথে এই দেশের চিরায়ত কোন কিছুরই মিল নাই। ইসলাম যেমন এই দেশে এসেছে, ধরে নেই এই বাঙালী সংস্কৃত কোন ভাবে আরব দেশে চলে গেল, কোন না কোন অজুহাতে। সেখানে কি এই সংস্কৃতি কোন শেকড় গড়তে পারবে?

তাই ইসলাম যে দেশেই গিয়েছে, সেই দেশেই সংস্কৃতির সাথে মিশেছে, তারপরে ইসলাম আরো সমৃদ্ধ হয়েছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০০

আবু উযাইর বলেছেন: সমস্যাটাতো ওখানেই ভাই। ইসলাম আমাদের মানতেই হবে এমন নয়। মানা আর না মানার স্বাধীনতা আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। আমি ইসলাম মানিনা তাই মঙ্গল প্রদ্বীপ জ্বালাই, চৈত্র সংক্রান্তি পালন করি, ধুতি পরি তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ইসলামেও আছি আবার ধুতিতেও আছি এর স্থান ইসলামে নেই।

ঈসলাম অন্য সংস্কৃতি থেকে নিয়ে নিজে সমৃদ্ধ হয়েছে এটা বলা মানে ইসলামের বেসিক না বুঝা। এমন কোনো কাজ বা পোষাক যা ইসলামকে অবিশ্বাস করা কোনো ধর্মমতের প্রতীক, সেটা পালন করা বা পরার কোনো সুযোগ মুসলিমদের নেই। ঠিক যে কারণে পর্দামতো পরা হলে শাড়ী বা লুঙ্গি নিয়ে ইসলামের কোনো আপত্তি নেই, আপত্তি আছে সিঁদুর, ধুতি, ক্রুশ বা গেরুয়া নিয়ে। যারা ইসলামে থেকেও অন্য ধর্মের কোন আচার অনুষ্ঠান বা সংস্কৃতির অনুসরণ করে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন তারা কিয়ামাতের দিন অদের সাথেই দাঁড়াবে।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

নবীউল করিম বলেছেন: নিষ্কর্মা বলেছেন: তাই ইসলাম যে দেশেই গিয়েছে, সেই দেশেই সংস্কৃতির সাথে মিশেছে, তারপরে ইসলাম আরো সমৃদ্ধ হয়েছে।

কোথায় পান এই সব গাঁজাখুরি ঠাকুরমার ইতিহাস? এমন একটা দেশের উদাহরণ দিতে পারবেন, যেটা আপনার কথার সাথে মিলে?

ইসলাম যেই দেশে গিয়েছে সেই দেশের মানুষ ইসলামের চেতনা ও সংস্কৃতিকে তাঁদের চেতনা ও সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহন করেছে। যেমন, ইয়েমেন, ইরান,ইরাক,মিশর,ইথিয়পিয়া,তিউনিশিয়া,মরক্কো,তুরস্ক ইত্যাদি। আর যারা ইসলামকে তাঁদের চেতনা ও সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহন করে নাই,সেই দেশে ইসলাম নাই,মুসলমান আছে। যেমন ব্রাজিল,মেক্সিক,রাশিয়া সহ প্রায় সম্পূর্ণ পূর্ব ইউরোপ।

এছাড়া কিছু দেশের কিছু অঞ্চল বা জায়গা বা বেশ কিছু অংশের মানুষ যারাই মুসলমানের ছাতায় মাথা ঢুকিয়েছে তাঁরাই তাঁদের চেতনা ও সংস্কৃতি ইসলামের চেতনা ও সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে দিয়েছে।যেমন,সোভিয়েত রাশিয়ার আজারবাইজান,তাজাকিস্তান,উজবেকিস্তান ইত্যাদি সহ বসনিয়া ও এর আশ পাশের অনেক অঞ্চল এবং মানুষ।

এমনকি রাশিয়ার অনেক মানুষ ইসলামি চেতনা ও সংস্কৃতি নিজের হিসাবে গ্রহন করেছে।

পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে,কিন্তু অধিকাংশ যায়গার অধিকাংশ মানুষ ইসলামী চেতনা ও সংস্কৃতিকে নিজের হিসাবে গ্রহন করে নাই! আর তাই এই উপমহাদেশে মুসলমানের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামের অভাব প্রচণ্ড রকমের বেশী!

কনও মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে না,যতক্ষন না সে ইসলামকে তাঁর চেতনা ও সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহন করবে ও চর্চা করবে। ইসলাম সব ধর্ম, চেতনা, সংস্কৃতিকে স্বীকার করে। তবে সেটা শুধুই স্বীকার করা পর্যন্ত। ধারন, পালন, লালন অবশ্যই ইসলামী চেতনা ও সংস্কৃতিকে,যদি মুসলমান হতে চায় তবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.