নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথে নেমেছি; পথই আমায় পথ দেখাবে

পথে নেমেছি; পথই আমায় পথ দেখাবে।

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর

[email protected]

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরবনে একদিন (একটি পুরনো লেখা)

২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:০৩





সুন্দরবনে একদিন

মো. আবুল হোসেন



সুন্দরবন নাম অতীব সুন্দর। এই সুন্দর অভিনব দেশের কাহিনী বিস্ময়কর, আর এর ইতিকথা রহস্যে ঘেরা। সুতরাং এই সুন্দরবনকে দেখার এক বাসনার বীজ বুনেছিলাম মনের গভীরে; সে অনেকদিন আগেই। জানতাম না কবে হবে সে বীজের অঙ্কুরোদ্গম।

দেখতে দেখতে সত্যিই দিন এল একদিন। মনের গভীর আঁধার থেকে সুপ্ত বীজ হল অঙ্কুরিত- আর অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলাম সুন্দরবনের সুন্দর রূপ।

সালটা ১৯৮৬। ডিসেম্বর মাস। সরকারি চাকুরিসূত্রে আব্বা বদলি হলেন পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানি রিভার পুলিশ ক্যাম্পে। তিনি ও তার কয়েক জন সহকর্মী যাবেন সুন্দরবন ভ্রমণে। দলে তারা দশজন। এক সুন্দর সকালে তারা প্রস্তুত হলেন; আর যাত্রার প্রাক্কালেই আমি হাজির হলাম আব্বার কর্মস্থলে। আমি যাব কি-না আব্বা জিজ্ঞাসা করতেই আমি সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম।

সকাল দশটায় আমাদের লঞ্চ ছেড়ে দিল। নদীর পানি শান্ত। আমাদের যেতে হবে হরিণঘাটা নদী দিয়ে। দ্রুত গতিতে লঞ্চ চলছে। আমাদের দলের মধ্যে রূপচাঁদ সাহা নামে এক মাঝি যাত্রী হিসেবে ছিল। তার সাথে আমার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাব হয়ে গেল। গল্প করতে করতে সময় কাটছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে গভীর জঙ্গলাকীর্ণ স্থানকে সুন্দরবন বলা হয়। গঙ্গানদীর পলি জমে প্রথমে চরভূমি ও ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়। গঙ্গানদীর দ্বারা সৃষ্ট বলে এ ব-দ্বীপকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ বলা হয়। সাগর থেকে উত্থিত চরসমূহ যথাসময়ে জঙ্গলে পরিণত হয়। জঙ্গল কেটে বসতি গড়ে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকায়। অবশিষ্ট জঙ্গলাকীর্ণ স্থান দক্ষিণ দিকে থেকে যায়- এটাই সুন্দরবন বলে পরিচিত।

সুন্দরবনের কথা বললে সবার আগে এখানকার হিংস্র বাঘের কথা মনে পড়ে যায়। বিদেশিরা এই বাঘকে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছে। এর মত হিংস্র প্রাণি বিশ্বের আর কোথাও নেই। ‘ডাঙ্গায় বাঘ, জলে কুমির’ এই জঙ্গলকে ভয়াবহ অরণ্যে পরিণত করেছে। ভীমমূর্তি ভয়াল বাঘ ছাড়া শূকর, সুদর্শন চিত্রল হরিণ, বানর, নানা প্রকার সাপ, ভীষণকায় অজগর প্রভৃতি নানা জগতের জীবজন্তু এ বনে পাশাপাশি বাস করে।

সুন্দরবনের জঙ্গলে শুধু সবুজের মেলা। গাছপালার সবুজ শোভা বারমাস একই রকম সতেজ ও সজীব থাকে। নামকরা গাছের মধ্যে সুন্দরী, পশুর, কেওড়া, কাকরা, গেউয়া, গরান ও বাইন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এসব গাছ সুন্দরবনের অমূল্য সম্পদ এবং বনস্থলীর প্রাণস্বরূপ। সব গাছই কমবেশি মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়।

সুন্দরী গাছ বিশ্ববিশ্র“ত। এই গাছ খুব দীর্ঘ ও মজবুত এবং সুন্দরবনের সব জায়গায় পাওয়া যায়। সুন্দরী-ই বনভূমির কাঠের রাজা। সুন্দরী গাছের নামেই এ বনের নাম হয়েছে ‘সুন্দরবন’। আরও আছে আমুর, বলা সুন্দরী, গর্জন, ধোন্দল, হেন্তাল, গোলগাছ, হোগলা ও মালিয়া। মাঝে মাঝে উলুখড় ও কাশবন বনের শোভা বৃদ্ধি করে।

রূপচাঁদ সাহার সাথে গল্প করতে করতে এর মধ্যে এসে গেছি। হরিণঘাটা নদীর ওপারেই সুন্দরবন। উপভোগ করেছি এর অপরূপ সবুজ শোভা- যার মাঝে লুকিয়ে আছে বিশ্ব বিশ্র“ত রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর সোনার হরিণ।

দূর থেকে মনে হচ্ছে সাজানো মনোরম বাগিচা। গাছের ডালপালা কোথাও উঁচু-নিচু নেই; উপরিভাগ সমান। এমন সবুজের মেলা দু’'চোখ জুড়িয়ে দেয়। রূপচাঁদ মাঝিকে জিজ্ঞেস করলাম এই জায়গার নাম কি? উত্তর পেলাম- টাইগার পয়েন্ট মানে বাঘের কোণা। ইংরেজি নামটি শ্বেতাঙ্গদের দেওয়া। এ জঙ্গল খুব ঘন। এককালে এখানে বাঘের আনাগোনা ছিল খুব বেশি। সে জন্য মানুষ ভয়ে এ জঙ্গলে প্রবেশ করত না।

দূর থেকে খালের কিনারে একটি হরিণ দেখা গেল। আমরাতো আনন্দে নেচে উঠলাম। গাছে না উঠতেই এক কাদি। কপাল গুণে একটা ভাল শিকার জুটে গেছে। সুযোগ ছাড়া যাবে না। এটাকে মারতেই হবে। সুন্দরবনে হরিণ শিকার এক ভয়ঙ্কর নেশা।

বন্দুক হাতে আব্বা ও সারেং সাথে দু’জন লোক চলল হরিণ শিকারে। আমরা দেখতে পাচ্ছি খালের কিনারে হরিণ দাঁড়িয়ে। সবাই উৎসুক। শিকারিরা ক্রমেই হরিণের নিকটবর্তী হচ্ছে, আর তাদেরকে দেখে হরিণ আর হরিণ নেই, সে পাখি হয়ে উড়তে লাগল। আমরা বুঝতে পারলাম আসলে এটা হরিণ নয়, পাখি। বিরাটকায় পাখি। প্রায় উট পাখির মত বড়। হরিণের মত মাথা নিচু করে আহার গ্রহণ করছিল। আমরা ভুল দেখেছিলাম।

ভুলটা আমাদের জন্য প্রচুর হাসির খোরাক জোগাল। অবশ্যি সুন্দরবনে এরকম ভুল হওয়াটা নতুন কিছু নয়। বনের ভেতর সামান্য নড়াচড়ার, পাতা ঝরার শব্দ হলেই মনে হয় হরিণ বা বাঘ। কিছু দেখলে সে যাই হোক না কেন চোখ সেই বাঘ বা হরিণই দেখে। তাই অনেক সময় যা ভাবা যায় চোখ দিয়ে মন তাকেই দেখে নেয়। রূপচাঁদ মাঝি বলল, মদনটাক। এ আবার কেমন নাম! পাখির নাম মদনটাক! সুন্দরবনের লোকে বলে মদন।

এবার আমরা গেলাম খলশিরচর। সুন্দরবনের মধ্যে এমন বনভূমি আর আছে কিনা তাই সন্দেহ। নদী বেষ্টিত এই চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভুলবার নয়। এখানে অসংখ্য নতুন গাছ জন্মেছে। একটি সুন্দর খোলা ময়দান দেখা গেল। ময়দানের চারপাশে গাছের সারি এর শোভা বর্ধন করেছে।

খলশিরচরে দলে দলে হরিণ চরে বেড়ায়। আমরা বহু বাচ্চা-হরিণ দেখেছি। এখানে বুনো মুরগিও রয়েছে প্রচুর। এ চরে বাঘের আনাগোনা খুবই কম। বলতে গেলে নাই-ই।

খলশিরচরে আপনা আপনি এক প্রকার ধান হয়। সুন্দরবনের লোকে একে ধানি বলে। খরচে পোষায় না বলে কেউ কেটে নেয় না। ধানি গাছের মধ্যে নানা রকম হাজারো পাখি মনের আনন্দে আহার সংগ্রহ করে। পাখিদের মধ্যে অধিকাংশ মাছরাঙা, কমরকুলি, বাটাং, ভীমরাজ, টিয়ে ও গগনভীর।

খলশিরচরে সুন্দরবনের বিরক্তিকর শুলো ও হদোবন নেই। চরের মাটিও বেশ শক্ত। জুতা পড়ে শীত- গ্রীষ্মকালে এখানে চলাফেরা করা যায়। গাছের নিচে পথগুলি খুব পরিষ্কার।

এরপর চলে আসি দুবলার দ্বীপে। দুবলার দ্বীপ হরিণের জন্য বিখ্যাত। এক সময় এখানে একসাথে সহস্রাধিক হরিণ দেখা যেত বলে শুনলাম। জনমানবশূন্য নির্জন স্থানে বিশাল সমুদ্রের জলরাশি ও ঢেউয়ের তর্জন গর্জন এবং গভীর বনানীর ভেতর জেলেদের বসতি ও চলাফেরা দেখলে হৃদয়ে বিচিত্র অনুভূতি জাগে। এ দৃশ্য যারা চোখে দেখেছেন তারা এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করেছেন।

সূর্য ডুবি ডুবি। আমাদের ডান দিকে অকুল সমুদ্র। শুধু জলে জলময়। লঞ্চের ছাদে বসে সূর্যাস্ত দেখতে থাকি। সূর্য বিদায়ের পালা গ্রামাঞ্চলে যত তাড়াতাড়ি শেষ হয় এখানে তেমন হয় না। এখানে সূর্যাস্ত হয় দীর্ঘলয়ে, অনেক ক্ষণ ধরে। প্রথমে রক্তিম পূর্ণ লাল স্থির গোলক বেশ কিছুক্ষণ থাকে। পরে ক্রমে ক্রমে ছোট হতে থাকে। শেষে ক্ষীণ, ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর তারপর অদৃশ্য।

এখান থেকে নীল আকাশ স্বচ্ছ দেখাচ্ছিল। আকাশের নয়নলোভন মনোহর শোভাও প্রাণ ভরে দেখে নিচ্ছিলাম। নিচে সমুদ্র উপরে আকাশ। আবহাওয়া একেবারেই শান্ত স্নিগ্ধ।

চন্দ্র গ্রহণের মত সূর্য যেন ক্রমাগত ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়ে মিলিয়ে গেল। আমাদের সামনে ও পিছনে অনন্ত সাগর। একটু উত্তরে বিশাল বনানীর শ্যামল দৃশ্য আর এই সূর্যাস্তের ছবি আকাশের সুদূর প্রান্তে এক চির পুরাতন নাটকের নতুন ব্যঞ্জনা; একমাত্র সমুদ্র বক্ষেই যা প্রত্যক্ষ করা সম্ভব।

সন্ধ্যে হলে আকাশে উঠে প্রায় পূর্ণ গোলাকার চাঁদ আর রূপচাঁদ মাঝির সাথে চলে আমার গল্প। বাঘ, কুমির, হাঙ্গর, হরিণ, বানর ইত্যাদি। নানা রকমের হিংস্র জন্তুর আস্তাবল এ সুন্দরবন। বাঘের ভয়ঙ্করী রূপ, অতিকায় অজগর ভীষণাকায় মূর্তি, বুনো শুকরের তীক্ষ্ণ দন্ত, কেউটের ফোঁস-ফোঁসানি মনোরম সুন্দরবনকে ভীষণতায় পরিণত করেছে। আর সুন্দর যখন ভয়ঙ্কর হয় তখন তার সে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের উপমা মেলে না।

সুন্দরবন বললেই সঙ্গে সঙ্গে বাঘের কথা এসে পড়ে। বনের লোকেরা ভয়ে বাঘ নাম উচ্চারণ করে না। সাধারণেরা একে বড় শিয়াল বা বড়মিয়া বলে থাকে। হিন্দুরা বাঘকে বড় মামা, বড় দাদা এবং কেউ কেউ গাজি ঠাকুর বলে।

রয়েল বাঘ অতিমাত্রায় রক্ত পিপাসু এবং শিকারের সময় ভয়াবহ মূর্তি ধারণ করে। জীবজন্তু শিকারের পর বাঘ ঘাড় ভেঙে রক্ত পান করে থাকে। বাঘে মানুষ নেয় ঘাড় কামড়ে ধরে। নররক্ত বাঘের প্রিয় পানীয়।

সাধারণ বাঘ অপেক্ষা নরখাদক অত্যাধিক ক্ষিপ্র এবং এদের ভয়ে ঝানু শিকারি পর্যন্ত শিউরে উঠে। সুন্দরবনের হদো, হেন্তাল ও বলা সুন্দরী গাছের নিচে বাঘ লুকিয়ে থাকে। শিকারের সুযোগ পাওয়ামাত্র সে ভীম বিক্রমে লাফিয়ে পড়ে।

বাঘিনী দুটি থেকে পাঁচটি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে। প্রসবের পর বাঘের ভয়ে বাঘিনী বাচ্চাদের লুকিয়ে রাখে। বাঘ এতো বড় হিংস্র জন্তু বাচ্চাকে দেখলে নিঃশঙ্কচিত্তে উদরস্থ করে। বাঘিনী কিছুতেই তার বাচ্চা অন্যকে খেতে দেয় না। বাঘিনীর বাচ্চার প্রতি দরদ মায়ের মত।

বাঘের চেয়ে বঘিনী বেশি চালাক। বাঘ বাচ্চা খেয়ে ফেলবে সে ভয়ে বাঘিনী বাঘকে ভুলিয়ে নিয়ে ভিন্নপথে চালিত করে। বাচ্চাকে গুপ্তস্থানে রেখে অনেক সময় বাঘ-বাঘিনী ঘুরে বেড়ায়। বাঘিনী কৌশলে বাচ্চা বড় না হওয়া পর্যন্ত বাঘকে দেখতে দেয় না।

বাঘ যেমন দুঃসাহসী তেমনি কাপুরুষ। এ জন্তু সাধারণত গোপনে শিকার করে থাকে। সে যে পথ দিয়ে একবার যাবে, সেই একই পথ বেয়ে আবার ফিরে আসবে। শিকারি বাঘ এত ধূর্ত যে চলার পথে গাছের পাতার খশ্ খশ্ শব্দ হলে রাগে নিজের পা কামড়িয়ে দেয়। সুন্দরবনের কর্দমাক্ত শুলোর ভেতর মানুষ চললে চটপট শব্দ হয়, কিন্তু ঝানু বাঘের চলাচলে কোনো প্রকার শব্দ শোনা যায় না।

কোনো কোনো বাঘ মানুষের আভাস পাওয়ামাত্র পালিয়ে যায়। সুন্দরবনের লোকে জঙ্গলে নেমে বলে- হে খোদা, আমার যেন আজ বাঘের সঙ্গে দেখা না হয়। আর বাঘ ভোরবেলা উঠে বলে- তার সঙ্গে যেন ক্ষুদে পীরের (মানুষের) দেখা না হয়। কিন্তু ব্যাঘ্র শিকারি বলে- আল্লাহ আজ যেন বাঘের দেখা পাই।

সাম্প্রতিককালে সুন্দরবনে বাঘ শিকার নিষেধ হয়ে গেছে। তবুও মানুষের উপর আঘাত আসলে শিকারি চুপ করে থাকতে পারে না। বাঘ মেরে জঙ্গলের ত্রাস বন্ধ করতে হয়।

রূপচাঁদ সাহার মুখে গল্প শুনতে শুনতে নৈশ-ভোজের ডাক পড়ে। গিয়ে দেখি প্রচুর ইলিশমাছ ভাজা হয়েছে। আমরা সবাই মাছ দিয়ে ভাত নয়; ভাত দিয়ে মাছ খেলাম।

সারা দিনের ক্লান্তি; নৈশ আহার শেষে ঘুমিয়ে পড়লাম অঘোরে। ভোর হতেই দেখি চরদুয়ারি রিভার পুলিশ ক্যাম্পের ঘাটে লঞ্চ ভিড়ছে।



ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৭

সুব্রত কুমার সরকার বলেছেন: ভালো লাগল। +

২| ২৭ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৩৩

সেতূ বলেছেন: সুন্দরবন সন্পর্কে জানলাম.........
+++

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রেনেসা বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক। তাই সরি্।


যশোর কেশবপুর থাকাকালীন এই আবুল ভাইেযর সােথ পরিচ
য় হয়েছিল যার বাড়ি ফরিদপুর। আপনাকে দেখতে কিছুটা তার মত লাগে।

কেশবপুর পাবলিক মাঠের দক্ষিণপাশে আমরা ভাড়াবাসায় ছিলাম, আর উনি উনার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন্।

আপনি কি সেই, যে আবুল হোসনকে আমরা চিনি?

০৬ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন: @ রেনেসা, না।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৩

শাফি উদ্দীন বলেছেন: সুন্দর লিখা। ধন্যবাদ। কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.