![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“আমাকে কোন হাফেযে দাওয়াত দেয় নাই, আলেমে দাওয়াত দেয় নাই। আমাকে তাবলীগের দাওয়াত দিছে এক শসা-বিক্রেতা, যে বিসমিল্লাহ ঠিকভাবে পড়তে পাড়ত না। এর কারনেই আমি হুযুর, মুখে দাড়ি-টুপি। কাজেই ৫০০ মাইল দূর থেকে কে কি বলল (দেওবন্দের ফতোয়া দিকে ইঙ্গিত করে), তার দিকে আমাদের তাকানোর দরকার নেই। আমরা আমাদের কাজ করব”। সম্প্রতি একজন সাধারন (দ্বীনী এলেমবিহীন) সাথির এই বয়ান আমার নিজ কানে শুনা। এভাবেই ওলামা হযরতদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে তাবলীগি ভাইয়েরা।
যত বিদ’আতি পীর আছে, তাদের বড় শত্রু হচ্ছে মাদরাসা। কোন বিদ’আতি পীর তার এরিয়াতে মাদরাসা করতে দেয় না। তার এরিয়াতে কোন মাদরাসা হতে দেখলে নানান গন্ডগোল পাকায়। কারণ, মাদরাসা যদি হয়ে যায়, আর মানুষজন যদি ইলম পেয়ে যায়, তাহলে ওর ব্যবসা চলবে না, মানুষ ওকে গরু-ছাগল দেবে না। যদি ইলম না থাকে, তাহলে দিবে।
সেজন্য বিদ'আতি পীরেরা তার অনুসারীদেরকে বোকা বানায়, যাতে তাদের কোন বুদ্ধি কাজ না করে, মাসলা-মাসায়েল কাজ না করে। আমাদের দেশে অসংখ্য পীর আছে যাদেরকে তার মুরিদরা সিজদাহ করে। সেই মুরিদ যদি একটু ইলম পেয়ে যায়, তাহলে আর সিজদা করবে না। আর সিজদা যদি না করে, তাহলে পরে আর টাকাও দিবে না। এজন্য তাকে জেহালতের মধ্যে রাখতে চায়, আর বুঝায় যে, ‘এগুলো তোমরা বুঝবে না, বুঝার কাজ এগুলো আমার, তোমার জান্নাতে যাওয়া- এটা আমার দায়িত্ব’।
একই ভাবে তাবলীগের মোবারক দ্বীনী মেহনতের মুবাল্লিগ সাথীদেরকেও 'আহলে ইলম' থেকে বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত চলছে। এই বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে উম্মতের বড় একটি অংশকে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের প্রতি অন্ধ এতা'আতের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 'আহলে ইলম' থেকে বিচ্ছিন্ন করাতে পারলে ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব মতাদর্শ উম্মতের মাঝে চালিয়ে দেয়াও সহজ। এর পরিণতিতে উম্মত বাহ্যিকভাবে সেই ব্যক্তি বিশেষকে 'সিজদাহ' না করলেও, আক্বীদাগতভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে, এবং হচ্ছে। এই মহাসংকটের হাত থেকে তাবলীগকে হেফাযতের ব্যাপারে সবাই ফিকিরবান হই।
তাবলীগ আমাদের দরকারী কাজ। কিন্তু ওলামা হযরত ব্যতীত দ্বীনের সঠিক নির্দেশনা সম্বব না। এজন্য ওলামাদের বিচ্ছিন্ন করা হলে এই দ্বীনী কাজে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
আবু সায়েদ বলেছেন: তাবলীগী ভাইটার কথা আংশিক ঠিক। তবে তা কৌশলে ওলামাদের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যা ঠিক না। আমরা যতই তাবলীগ করি, গভীর এলেম না থাকার কারনে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। দ্বীন টিকে থাকবে কোরান-হাদীস টিকে থাকার উপরে, আর ওলামার কোরান-হাদীস চর্চার মধ্যে, তালীম-তাদরীসে ব্যস্ত বেশি। তাই তারা প্রচলিত তাবলীগে সময় কম দিতে পারেন। এতে অসুবিধা কোথায়?
আলেমদের জমাত না থাকলে দ্বীন থাকবে না। তাদের কাজ আরো বেশি দরকারী।
২| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অবশ্যই দরকার। আলেম উলামাদের উচিত কোরান হাদিসের আলোকে নম্র ভাষায় তাবলীগ নিয়ে সমালোচনা করা। ভুলত্রুটি ব্যাখ্যা করা- যাতে সাধারণ মুসলমান বিভ্রান্ত না হয়। মানুষকে সঠিক পথ দেখানো হককানী আলেম উলামাদের কর্তব্য।
তাবলীগি ভাইদের ভুল ত্রুটি বা ভণ্ড পীরদের ভণ্ডামি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি কাম্য নয়।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
কাওছার আজাদ বলেছেন: ভণ্ডপীরের ব্যবসায় আগুন লাগাবেন তো দেখছি।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২০
আবু আফিয়া বলেছেন: যুগোপযোগী একটি লেখা। লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
জ্ঞান হারানো সম্পদ তা যেখান থেকেই লাভ করা যায় তা অর্জন করতে হবে।
একজন নিরক্ষর থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়, তাই বলে তাকে অবহেলার অবকাশ নেই।
২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
আবু সায়েদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১১
টাকাওয়ালা বলেছেন: "এভাবেই ওলামা হযরতদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলছে তাবলীগি ভাইয়েরা"
১. এটা শুধু একজনের বক্তব্য। এটার মাধ্যমে তাবলীগি সব ভাইদের দোষারোপ করা কি যুক্তিসঙ্গত হল?
২. বিদাতী পীরের অনুসারীদের মত মুবাল্লীগ সাথীদের কিভাবে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে? ভাসা ভাসা মনে হল
১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
আবু সায়েদ বলেছেন: এটা তাবলীগী ভাইদের কমোন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে
৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
ঢাকার লোক বলেছেন: শুধু ফিতনার ভয়ে যা সত্য তা বলতে অনেকে কাচুমাচু করেন!
স্পষ্ট বলার লোকের বড় অভাব!! ইসলাম শুধু নামাজ দাঁড়ি পাঞ্জাবি টুপিতে সীমাবদ্ধ নয়.
একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা (এবং অন্য সকল মাবুদকে পরিত্যাগ করা ), সকল ভালো মন্দ করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর , তথা আল্লাহর একত্তবাদে দৃঢ় বিশ্বাস নামাজ দাঁড়ি পাঞ্জাবি টুপির চেয়ে বেশি জরুরি ।
সাহসী লেখা, জাজাকাল্লাহু খাইরান !!
২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
আবু সায়েদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তাবলীগি ভাইদের বয়াননের শ্রোতা সাধারণ মুসলিমগণ- যারা ইসলাম সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। আমাদের জ্ঞানী হুজুর'রা শসা -আলু বিক্রেতা বা রিক্সা চালকদের দ্বীন সম্পর্কে জানবার দাওয়াত দেন, দিচ্ছেন- কখনো শুনিনি, দেখিনি। তাবলীগের ভাইয়েরা দাওয়াত দিচ্ছে। রিক্সা ড্রাইভার বা পটল বিক্রেতাশ্রেণী নামাজ কালাম পড়ছে- এটাকে পজেটিভ ভাবে নেওয়া উচিত। তাবলীগি ভাইয়ের উল্লিখিত বক্তব্য তো মিথ্যেও না।