নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনাচক্রে বিশ্ব এজতেমা’র দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন উত্তরা যেতে হয়েছিল। একে কাছেই এজতেমার ময়দান, তাতে শুক্রবার। যোহ্রের নামাযের প্রাক্কালে এজতেমা প্রাঙ্গনের দিকে হাজারো মানুষের মিছিল। দেশি বিদেশি নানা বর্ণের মানুষ দেখতে বেশ ভাল লাগছিল। যতদূর শুনেছি, এটি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত। বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে এ এক অভাবনীয় সৌভাগ্যের বিষয়।
কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল করে বেশ খারাপ লাগল। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ওযু এবং অন্যান্য শৌচাদি কাজের জন্য যে বিপুল পরিসরের ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন তার অভাব মনে হল। পথের পাশে এখানে সেখানে দেখলাম ওযু এবং পয়নিষ্কাশনের অস্থায়ী ব্যবস্থা করে অনেকেই সাময়িক একটা রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। প্রচুর মানুষকে দেখলাম পথের পাশের সেইসব সাময়িক ব্যবস্থায় নিজেদেরকে আসন্ন প্রার্থনার জন্য প্রস্তুত করছে। ব্যবস্থাটা অত্যন্ত অরুচিকর। ময়দানের ভেতরে খুব বেশিদূরে দৃষ্টি যায় না। তবে যতদূর যায় সেখানেও প্রায় একই দৃশ্য। এখানে সেখানে সাময়িক ব্যবস্থা এবং ব্যবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। মনে হল, আসলে জমায়েতের ময়দান এমন এক অবস্থানে রয়েছে যে এখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কঠিন।
পুরো এজতেমা ময়দানের আশে পাশে কারখানা, ঘনবসতি আর যানবাহনের কোলাহল। ময়দানের ভেতরে বয়ে চলা ছোট ছোট জলধারাগুলো রাসায়নিক বর্জ্যে কালচে হয়ে আছে। এই পরিবেশ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যকে নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্ত করে। এত বড় সমাবেশের মূল উদ্দেশ্যের অনুকূল পরিবেশ এই স্থান ছাড়া আর কোথাও কি সম্ভব নয় ? আমার জানা নেই এই পর্বটির সঙ্গে তুরাগ নদীর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য কিনা। যদি তা হয়েও থাকে, তুরাগ তীরেই অন্য কোথাও কি এই আয়োজন হতে পারে না যেখানে যানবাহনের তীব্র শব্দদূষণ বা রাসায়নিক বর্জ্য নেই; যেখানে ওযু এবং পয়নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব ?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
অচিন্ত্য বলেছেন: বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১
জনতার সেবক বলেছেন: সরকার ইজতেমার জন্য এ জায়গাটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এর সাথে তুরাগ তীরের কি সম্পর্ক খুজে পান?