নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা এবছর করলেও সুদান মারা গিয়েছে ২০১৮ সালে । জীবনের প্রায় সময়ই সে বন্দী অবস্থায় থেকেছে। তবে শেষ সময়ে সে বিস্তৃতি খোলা স্থানেই বসবাস করেছে। তাকে দেখা শোনার জন্য সর্বাক্ষিণ মানুষ নিয়োজিত ছিল। এই প্রজাতির গন্ডার পৃথিবীতে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন বছর ধরে টিকে ছিল । শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । আরো দুটো মেয়ে গন্ডার রয়েছে তবে তারা গর্ভধারণে সক্ষম নয় । তার মানে হচ্ছে এর কদিন পরেই এই প্রজাতির গন্ডার একেবারে পৃথিবী থেকে গায়েব হয়ে যাবে । ৫৫ মিলিয়ন বছর ধরে টিকে থাকা একটা প্রাণী একেবারে বিপুল্প হয়ে যাবে ।
বিবিসির পুরো সংবাদটা এখান থেকে পড়তে পারেন।
বার্বেরি সিংহ ! ১৯২৫ সালে একজন ফ্রেন্স মিলিটারি ফটোগ্রাফার প্লেন করে যাওয়ার সময় এটলাস পর্বতের আশেপাশ থেজে এই একা বার্বেরি সিংহটির ছবি তোলেন । এটাই মূলত এই প্রজাতির শেষ বন্য সিংহের ছবি। নিচের ছবিটা উইকি থেকে নেওয়া ।
ছবিটার দিকে তাকিয়ে কেমন যেন একটা বিষণ্ণতা এসে ভর করল । একা একটা প্রাণী বিচরণ করে বেড়াচ্ছে । নিজের প্রজাতির আর কেউ জীবিত নেই । এই মনভাব তার ভেতরে কেমন মনভাব জাগিয়ে তুলেছিল ! জানার কোন উপায় নেই ।
আমাদের মানুষ্য সমাজের এই রকম ভাবে বিলুপ্তির কি কোন সম্ভবনা রয়েছে ? একবার দৃশ্যটা কল্পনা করুন যে কোন এক ভবিষ্যতের সময়ে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন মহামারির কারণে পৃথিবীর সব মানুষ আস্তে আস্তে মারা গেল । তবে অন্য সব প্রাণীর কিছু হল না। তারা ঠিকই জীবিত রইল । কেবল মানুষ মারা যাচ্ছে । একেবারে সবার শেষে যে মারা যাবে, যে জানবে যে আর কোন মানুষ জীবিত নেই । সবাই মারা গেছে । কেবল সে বেঁচে রয়েছে ! তখন তার মনের ভাবটা কেমন হবে?
আমাদের গ্রামে একজন ছিল অনেক আগে । শুনেছি এক বাপের এক ছেলে ছিল । তার বাবা এবং দাদাও একই রকম । তাদের অন্য সন্তান বাঁচে নি। একজনই বেঁচে ছিল। উনার যখন ছেলে হল তখন সেই জন বাঁচলো না । তারপর কয়েকবার একই রকম । সময়ের সাথে তার স্ত্রী মারা গেল । তিনি একা বেঁচে ছিলেন । তার বংশের শেষ জীবিত মানুষ । তার মৃত্যুর সাথে সাথে তার বংশ বিলুপ্ত হয়ে গেল। এটা আমাদের মায়ের ছোট বেলার গল্প।
সেই সময়ে তার মনে ভাব কেমন ছিল ? কী নিঃসঙ্গ সময় কাটিয়েছেন শেষ বয়সে ! একদম একা ! ঐ সিংহ বা সাদা গন্ডারটির মত !
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম আরো কত প্রজাতি পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে।
২| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সাদা গন্ডার আর সিংহের ছবি দেখে মনটা কেমন বিষন্নতায় ভরে উঠলো। আমরা জানি মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ বন্ধভাবে বাস করতেই পছন্দ করে। কিন্তু কোন কারণে এর ব্যতিক্রম হলে সেই পরিবার বা ব্যক্তি কেমন করে বাঁচবে। শুধু দুটো ডাল ভাত খাওয়ার নামই কি বেঁচে থাকা বলে !!! এখন যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার গঠিত হয়েছে-তারপর ঐ পরিবারের ছেলেমেয়ে বড় হয়ে লেখাপড়ার জন্য বিদেশ চলে যায়, এক সময় সেখানেই তারা স্থায়ীভাবে বাস করে। আর মা বাবা একা রয়ে যায় এই দেশে-- কত একা !!! কত অসহায় !!!
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে জীবনের মানে একেক জনের কাছে একেক রকম । সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন আসবে । এটা হবে স্বইচ্ছেতে কিংবা সময়ের প্রয়োজনে। সময়ের সাথে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে পড়ই । এটাই স্বাভাবিক ।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
৫৫ মিলিয়ন বছর ধরে টিকে থাকা একটা প্রাণী একেবারে বিপুল্প হয়ে যাবে ।
- এই বিলুপ্তির পিছনে অতিবুদ্ধিমান মানব প্রজাতির অবদান অনেকটুকু।
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই গন্ডার এবং সিংহ বিলুপ্তির পেছনে রয়েছে এদের শিকার । নির্বিচারে শিকার না করলে হয়তো টিকে থাকতো । এছাড়া মানুষ্য সৃষ্টির কারণে প্রকৃতির পরিবর্তন হয় । সেই কারণেও অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যায়। বলা যায় পুরো অবদানই আমাদের !
৪| ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি একা থাকলে ভয়েই মারা যাবো
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে ওস্তাদ । অন্য প্রাণী এই ব্যাপারটা খুব বেশি পারে না । তাই তাদের আশে পাশের প্রক্বতি বদলে গেলেই মারা যায় । যেমন আপনি যদি এখানকার কোন প্রাণী কানাডাতে নিয়ে ছাড়েন খুব সম্ভবনা আছে সে টিকবে না । আবার সেখানকার কোন প্রাণী এখানে আনলে সেটাও না বাঁচার সম্ভবনা বেশি । কিন্তু মানুষ টিকে যাবে !
৫| ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় কত কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনেক কিছু বিলুপ্ত হতে শুনেছি কিন্তু নতুন কোনো প্রজাতি গড়ে উঠেছে এরকমটি শোনা যায় না কেনো?
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: নতুন ভাবে তৈরি হতে বা বিবর্তিত হয়ে হাজার হাজার বছর লেগে যায় । এই জন্য আমাদের ক্ষুদ্র জীবন পরিসরে আমরা নতুন প্রাণীর খোজ পাই না।
৬| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঠিক এমন বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় আমার মন যখন পুরানো স্থাপনায় যাই, ছুঁয়ে দেখি স্পর্শে অনুভব করার চেষ্টা করি সময়/কাল। কতকত সুদৃশ্য জনপদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: একটা সময়ে কী প্রতাপ নিয়েই না সেই সব স্থাপনা তৈরি হয়েছি অথচ দেখেন আজকে সেগুলোর কী অবস্থা । ঠিক একই ব্যাপার হবে আমাদের নিজেদের বর্তমান বাসস্থান গুলোর সাথেও । আজ থেকে ২০০ বছর পরে সেগুলো যে সেখানে থাকবে তার কোন নিশ্চয়তাই নেই ।
৭| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনাম, শ্বেত গণ্ডার এবং বার্বেরি সিংহের বিলুপ্ত হবার ঘটনা দুটি এবং গভীর উপলব্ধিপূর্ণ প্রশ্নটি খুবই কৌতুহলোদ্দীপক।
নেতনিয়াহুর মত ইসরাইলি নেতা আর বোমা সাপ্লাই দেবার মত জো বাইডেনরা থাকলে পৃথিবী থেকে মানুষ অচিরেই সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে। তার সাথে আমরা যেভাবে প্রকৃতি পরিবেশের ক্ষতি করে চলেছি, তাতে পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষের অস্তিত্ব যে প্রচণ্ড হুমকির মুখে তাতে কোন সন্দেহই নেই।
এখন আশাবাদী কথাটা বলি। আমার ধারণা প্রকৃতি নতুন ধরনের মানুষ সৃষ্টি করছে। এরা একই সাথে যুদ্ধবিরোধী এবং পরিবেশবাদী। আসলে দুটোই একই মনোবৃত্তির ভিন্ন রূপ মাত্র। ভবিষ্যতের গ্রেটা থনবার্গেরা বাইডেন বা নেতনিয়াহুর মত প্রাণীদের তৈরি মানববিধ্বংসী মারণাস্ত্র থেকে যুক্তি-বুদ্ধির শাণিত অস্ত্র দিয়ে পৃথিবী এবং এর প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষা করবে।
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ বিলুপ্তির সম্ভবনা আসলে নেই । মানুষ বিলুপ্তি মানে হচ্ছে কেয়ামত হওয়া বা পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া । মানুষ্য সৃষ্ট কারণে অন্য প্রাণী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু মানুষ মরবে না । কিংবা আরো ভাল করে বললে যতটা মরবে তার থেকেও বেশি জন্মাবে। দুটো বিশ্বযুদ্ধে যে মানুষ মরেছে তা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার কত টুকু? খুবই অল্প। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধার সম্ভবনা নেই খুব একটা । আর বাঁধলেও দেখবেন সেখানে যত লোক মারা যাবে তা মোট জনসংখ্যার তুলনাতে অনেক কম । মানুষ ধ্বংস হবে প্রকৃতিক কারণেই ।
৮| ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সুন্দরবনে ১৫০ থেকে ২০০ বছর আগে গণ্ডার ছিল। এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গাজীপুর, ভাওয়াল এলাকার জঙ্গলে বাঘ ছিল। এখন নাই।
১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের চারপাশ থেকে কত প্রাণী গায়েব হয়ে গেছে ।
আগে আমাদের বাড়ির আশে পাশে বনবিড়াল বা খাটাস থাকত। একটু বৃষ্টি হলেই সেগুলো বের হয়ে এসে বাড়ির মুরগি ধরে নিয়ে যেত । সেই বিড়াল গুলো দেখতে বেশ চমৎকার ছিল । আমি স্কুলের পরে আর সেগুলো দেখি নি । এখনও হয়তো আছে তবে সংখ্যায় কমে গেছে অনেক । আর ৫০ বছর পরে দেখা যাবে একটাও বেঁচে নেই।
৯| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সমস্যা নেই আবার নতুন কোন প্রাণীর হয়তো আবির্ভাব ঘটবে, প্রকৃতি হচ্ছে বিশাল এক প্রাণের খেলা।
১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: তা হয়তো ঘটতে পারে কিন্তু যারা হারিয়ে গেল তারা তো আর ফিরলো না !
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ