নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর একটি বাংলাদেশ চাই ,বাচার মত বাচতে চাই

স্বপ্নগুলো শুধু স্বপ্ন হিসেবে রেখে দিতে চাই না , বাস্তবতার আলোয় স্বপ্নগুলো আরো রঙ্গিন করতে চাই ।

রুদ্র মানব

মানুষের মত মানুষ হতে চাই , বাঁচার মত বাঁচতে চাই ।

রুদ্র মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই আনন্দ গুলোর অনূভুতি লিখে প্রকাশ করা যায় না

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫১







" এ ভাই দুইটা ট্যাকা দে না , বইনটারে লইয়া কিছু খাই নাই "

কোচিং থেকে বের হয়ে এ কি যন্ত্রনা ,এমনিতেই নম্বর কম পাইছি মডেল টেস্টে তাই মাথা গরম । ধমক দেবার জন্য মুখটা ঘুরালাম ,

কিন্তু ধমক দিতে পারলাম না । দেখলাম ছোট্ট দুই কিউট ভাইবোন জুল জুল করে আমার দিকে তাকাচ্ছে ( উপরে ছবি আছে)।মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল , এই বাবু দুইটির যেখানে আম্মু আব্বুর সাথে আনন্দে থাকার

কথা সেখানে এরা পথে পথে ঘুরে বেরাচ্ছে !

বাবু দুইটার হাত ধরে জিঞ্জেস করলাম , "

সকালে কিচ্ছু খাইছিলা " ।

দু'জনেই মাথা নারিয়ে বলল "না" । বাবু

দুইটারে নিয়ে গেলাম পাশের রেস্টুরেন্টে ,

কিন্তু মালিক এদেরকে ভিতরে বসতে দিতে নারাজ ।

-ভাই খাওয়ার টাকা আমি দিব , বসতে দিতে সমস্যা কোথায় ?

-আরে বাই ট্যাকা কুনু সমস্যা না , অন্য কাস্টমাররা দেখলে ঝামেলা করব । এর চে এক কাম করি এই দুইটারে বাইরে খাইতে দিয়া দেই , খাওনের কুনু দাম লাগব না ।

আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না । হঠাৎ

দেখি মালিক ভদ্রলোক নিজে প্লেটে করে ভাত

আর সবজি নিয়ে বাবু দু'জনকে খাবার জন্য

ডাকছে । আমি ভাবছিলাম ওদেরকে অন্য

রেস্টোরায় নিয়ে যাব কিন্তু দেখলাম ওরা খুবই

আগ্রহ নিয়ে খেতে বসে গেছে ।

আর মালিক ভদ্রলোক ওদের খাওয়া দেখছে । হঠাত্

লোকটা বলে উঠল

-দেখরানি ভাইসাব যে মায়া লাগের খার যে ।

( দেখছেন কি ভাই খুবই

মায়া লাগছে ওদেরকে খেতে দেখে)

ওই পিচ্চি কাইল থিকা ইনো খাইবে বুচ্ছত ?

বলে উনি একটু আরালে চলে গেলেন , উনার

চোখে পানি দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম ।

যে মানুষটা এই বাবু দুইটারে ভিতরেও

ঢুকে খেতে দেয় নি , সে ওদের খাওয়ের দায়িত্ব

নিয়ে নিল এখন আবার কাঁদছে । যাই হোক আমার

হৃদয়টা আনন্দে ভরে গেল বাবু দুইটার আনন্দদেখে ।

এরপর আবার দেখি একজন অন্যজনকে খাইয়ে দেবার চেষ্টা করছে ।

এটা দেখে আমার চোখটাও যেমন কেমন করতে লাগল ।

আর দাড়ালাম না, হেঁটে চলে এলাম আনন্দের জিনিস বেশি দেখতে নেই !!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

রুদ্র মানব বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত ভাই

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: শারীরিক ও মানষিক ও আর্থিক ৩ টা কষ্টই অল্প বয়সে পেয়েছি ।

তাই বুঝি । তাই খুব পিচ্চি কালের মত খাবার নিয়ে হেনতেন করি না, এইটা খাব না , ঐটা খাব না, আল্লাহ আমার জন্য যে জিরিক রেখেছে তা শুধু খাবার যোগ্য হলেই খেয়ে ফেলি, বাছ বিচার করি না । :)

আল্লাহ অসীম ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

রুদ্র মানব বলেছেন: সত্যিই আল্লাহর মহীমা অসীম । খাবারের জিনিস নিয়ে অবশ্য ঐটা খাব না , ঐটা খাব এটা অনেকেই করে । কিন্তু খাবারের জিনিস নিয়ে বেশি বাচবিছার করা উচিৎ না ।

ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

ডাব্বা বলেছেন: কাঁদতে ভাল লাগে না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২

রুদ্র মানব বলেছেন: আনন্দের জিনিসগুলো অনূভূতিকে ভোতা করা দিলে , সেটাকে কাঁদা বলে না । সেটাও একটা আনন্দের বহুরূপি হাসি ।

ভাল থাকবেন ডাব্বা ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২২

মনে নাই বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মানবতা বেচে থাক। সারাদিনের ঝামেলার পর এমন সুন্দর একটা ঘটনা দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

রুদ্র মানব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । শুনে খুশি হলাম ঘটনাটা ভাল লেগেছে জেনে ।

মানবতা বেচে আছে এবং বেচে থাকবে ।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক মন খারাপ হয়ে গেল ভাই :( :( :(

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

রুদ্র মানব বলেছেন: মন খারাপ করে আর কি হবে ভাই ,
দেশের এই অভাগা পোলাপাইন এখন যেখানে স্কুলে থাকার কথা সেখানে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষে করে ।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

এমএমজামান২ বলেছেন: এরকম যদি সবাই হতো তাহলে আমাদের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকত না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

রুদ্র মানব বলেছেন: সবার কথা চিন্তা করে কোন লাভ নেই । আগে নিজ থেকে অন্যের প্রতি বৈষম্য দূর করুন , তারপর সবার কথা চিন্তা করার অনেক সময় পাবেন ।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

ভিটামিন সি বলেছেন: আনন্দের জিনিস
বেশি দেখতে নেই !!

--- কাঁদিয়েই ছাড়লেন ভাই।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

রুদ্র মানব বলেছেন: কিছু কিছু আনন্দের জিনিস আমাদের অনূভুতিকে ভোতা করে দেয় , তাই এই উক্তি ।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

শায়মা বলেছেন: ছবিটা দেখে খারাপ লাগে! ভীষন খারাপ!

যখন দেখি ফুটফুটে সুন্দর পিচ্চিরা ঝকঝকে জামাকাপড় পরে কে এফ সি বা পিজ্জাহাট থেকে বাবা মায়ের সাথে বের হচ্ছে আর রাস্তার ধারে তাদের থেকেই টাকা বা খাবার চাইছে ধুলোয় মলিন ছেড়াখোড়া জামাকাপড় চেহারার একই বয়সী পিচ্চিরা।


তখন মনে হয় নরক বুঝি আসলেই পৃথিবীতেই বিরাজমান!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

রুদ্র মানব বলেছেন: আমাদের একে অপরের প্রতি বৈষম্যবোধ ই , পৃথীবীটাকে নরক বানিয়ে দিচ্ছে । আমরা বৈষম্য মুক্ত একটি সুন্দর সমাজ ব্যাবস্থা বাংলাদেশে দেখতে চাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.