![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদনান সৈয়দ। জন্ম : ঢাকা। পেশাঃ ফাইনানসিয়াল এনালিষ্ট এবং প্রফেশনাল বিজনেস প্লানার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমবিএ। নেশা: লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। মেইল: [email protected]
বাংলা নিউজে খবরটি প্রথম ছাপার সাথে সাথেই দাবানলের তা সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। গড়ি পুড়ালে ১৫ হাজার আর ভাঙলে ৫ হাজার!! আমি যখন খবটা প্রথম পড়ি সত্যি বলতে নিজের চোখে বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এমনটাও ঘটতে পারে?? এও সম্ভব? তবে গতকাল হাতিরঝিলে বৈকালিক পাতভ্রমনের সময় খবরটির সত্যতা আবারো যেন টের পেলাম। ভাবলাম হরতাল শেষ হয়ে গেল। হাতিরঝিলে যেয়ে একটা বৈকালিক সময় পার করলে মন্দ কি? হাতির ঝিলের ঠিক পূর্ব কোনায় একটা বেঞ্চে চুপ করে বসে আমি আর আমার স্ত্রী নিশু শহরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করিছলাম। হঠাৎ দেখি আমার কাছ থেকে হাত পাচেক দুরেই কিছু ছেলেপুলেদের জটলা। আমি সাধারনত এই সব উটকো জটলা সব সময় এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি। কিন্তু মনে হলে কোন একটা বিষয় নিয়ে ওদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। কোন একটা ভাগাভাগি হয়তো তাদের ঠিকমত হচ্ছে না। কানটা খাড়া করে রাখলাম যদি ওদের কোন কথা শুনতে পাই? বলাই বাহুল্য এদের দেখলে মনে হয় বস্তিতেই এদের জন্ম হয়েছে। কোন রকম সভ্যতা বা শিক্ষার আলো এদের জীবনে যে স্পর্শ করে নি এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। এদের মধ্যে একজন বলছিল, “ আমিও তো তিনটা ফুটাইছি, একটার গ্লাস ভাংছি তাইলে আমার টেকা কই?” আরোকজন ছেলে ওর সাথে এঁড়ে তর্ক করছিল। “তুইতো হালার পুত আগুন দেছ নাই, আগুনতো দিছি আমি। তুই আমার হমান টেকা পাইবি কেমতে?” সত্যি বলতে আমার কান গরম হয়ে গেল। বলে কি? এদিকে আমার স্ত্রী তাড়াতাড়ি ওখান থেকে সটকে পড়ার জন্য আমাকে বারবার তাগাদা দিচ্ছিল। কিন্ত আমি ততক্ষনে ভাবছিলাম অন্য কথা। এদেরকে পুলিশে দিলে কেমন হয়! আমি ধীরে ধীরে ঐ জায়গা থেকে সটকে পরলাম। চোখ আমার তখন হাতিরঝিলের চারপাশে একটা পুলিশের খোজে ঘুর ঘুর করছে। কিন্তু কোথায় পুলিশ? ততক্ষনে এরা সবাই মুহুর্ত এর মধ্যেই যেন উধাও হয়ে গেল। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। দেশটা তাহলে এতদুর পর্যন্ত চলে গেছে?
সত্যি ধিক্কার জানাই বাংলাদেশের এই তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলোকে যারা মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে খেলছেন। হরতালের নামে সম্পদ ভাংচুর এখন যেন একটি ছেলেখেলায় পরিনত হয়েছে। ছোট বাচ্চা যেমন রাগ করে দুধের বোতল ভেঙে ফেলে ঠিক একই কায়দায় হরতাল নামধারীরা বাস, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। জ্যান্ত মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে পিশাচের হাসি হাসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন একটি দেশ। কারো দয়া দাক্ষিন্যে এই দেশের জন্ম হয় নি। এর জন্য ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত দিতে হয়েছে। আড়াই লক্ষ মা বোনের ইজ্জত দিতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশ কে নিয়ে এখন স্পষ্ট একটা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশটাকে আরেকটা আফগানিস্থান বানানোর বিভিন্ন রকম তৎপরতা চলছে।দুঃখজন হলেও সত্য যে আমাদের প্রধান বিরোধীদলও জামাত শিবিরদের সাথে এই নাশকতা কর্মকান্ডে যোগ দিয়েছেন। শুধু মাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি তাদের অতিতের সব রকম আদর্শ-টাদর্শ খুইয়ে বসেছে। এই কথা ভাবতেও কেমন জানি লাগে। ”দেশের উপরে দল?” সে জন্য মানুষের মৃত্যু, বাসে ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতার জন্য এখন লোক ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে? আর এসব ঘটনা ঘটছে আমাদের এই তথাকথিত সভ্য সমাজের ঠিক নাকের ডগার সামনেই!! সত্যি সেলুকাস!!
দেশের জনগণ, দেশের সম্পদ রক্ষা করতে দেশটির বর্তমান শাসক আ.লীগ কোন ভাবেই এর দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত নয়। দেশের প্রতিটা মানুষের জানমালের হেফাজত করারা দায়িত্ব সরকারের। এখন সরকারকে শক্তিশালী হতে হবে। প্রয়োজনে হাইকোর্ট এর রীট বেড় করে আইন করে হরতাল বন্ধ করতে হবে। হরতালের নামে যারা নাশকতা করছে তাদের কে ধরে জেলে না দিয়ে মোবাইল কোর্ট এর তাৎক্ষনিক সাজা দিতে হবে। প্রয়োজেন এর জন্য স্পেশলা ট্রাইবুনাল বসাতে হবে। সরকার যদি এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স না দেখায় তাহলে সরকারকেই হয়তো যথাসময়ে এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে। সেকারনেই যারা নাশকতা করে এর সংঘবদ্ধ দল ও তাদের হোতাদের কে খুজে বেড় করে এর উপযুক্ত শাস্তি সরকারকে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ কে নিয়ে নাটক করার অধিকার কারো নেই। এই দেশের একছত্র অধিকার এই দেশের জনগণ। জনগণকে নিয়ে এই কানামাছি খেলার কোনা অধিকার আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর নেই।
’হরতাল’ হতে পারে রাজনৈতিক একটি হাতিয়ার। তবে যেহেতু হরতাল মানেই নাশকতা, জ্বালও পোরাও তাই বাংলাদেশ থেকে আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ করা উচিৎ। মানুষের জীবন ও জান মালের হেফাজতের জন্য আইনের যথাযথ কঠোর নিয়ম কানুন প্রয়োগ না করলে এর জন্য আমাদের কেই মূল্য দিতে হবে।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
আদনান সৈয়দ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোষ্টটার জন্য। আপনার কথার সাথে একমত। দেখুন আমি বাংলাদেশের বাইরে অনেকদিন থাকার কারনে হয়ত বিষয়টা আমার চোখে এভাব পরছে। তারপরো "সিটিজেন রাইট" বলে কি কিছুই নেই? আমাদের এখন কিন্তু প্রতিবাদ করার সময় এসেছে। এসব নষ্টামি আর কত?
আপনার দেয়া লিংকটা পড়ে খুবই উপকৃত হয়েছি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আর হ্যাঁ, ভালো থাকবেন।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
অপরিচিত অতিথি বলেছেন: aitai bd te chole astase
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন:
আদনান সৈয়দ,
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর উত্তরের জন্যে ।
বাইরে থেকে ঘুরে এসেছেন । সেখানের দৃশ্যপট দেখে আমাদের দেশের সাথে মেলাতে যাবেন না । দুঃখই পাবেন শুধু।
একটি কঠিন দ্বায়িত্বপূর্ণ কাজে পরামর্শক হিসেবে আপনি নিয়োজিত আছেন । সেখানে দেখবেন, আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেনী এই রাজনীতির ফাঁদে পরে কি করে নিজেরাই নিজেদেরই শত্রু হয়ে ওঠে । কারন এরা শ্রমের হাতিয়ারকেই ধংশ করে ফেলে নিমেশেই ।
এই দেশে "সিটিজেন রাইটস" চান আপনি ? আপনি কি একজন সিটিজেন মানে "জনগণ" বলে নিজেকে মনে করেন ? যারা দেশ চালান তারা তো আপনাকে "সিটিজেন" বা "জনগণ" হিসাবেই ধরেন না । খুব কঠিন সত্য বলে ফেললাম হিউমার করে । আপনার দুঃখ বোধের প্রতি একাত্মতা জানিয়েই একথা লিখলাম আর এই দুঃখের কারনটি ও নীচের লিংকে দিলাম -
Click This Link
দেখে নিলে খুশি হবো । প্রসঙ্গক্রমেই লিংকটি দিতে হলো ।
বিশ্বাস করি, এই নষ্টামীর গোড়া আপনার মতো তরুনরাই একদিন তুলে ফেলবেন । হয়তো দিন সমাগত । কারন এটি আমাদেরই দেশ । এখানেই আমাদের জন্ম, এখানেই আমাদের মরন .......
ভালো থাকবেন আপনি ও । শুভেচ্ছান্তে ।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আদনান সৈয়দ বলেছেন: আহমেদ জী এস, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবস্থা খুব নাজুক। আমাদের সুন্দর ঝকঝকে তকতকে কিছু আইন আছে। কিন্তু আইনর কোন প্রয়োগ নেই। বাংলাদেশে ২০০৬ শ্রম আইন এর পুস্তকটা যখন হাতে নেই তখন মনে খুব সাহস জোগায়। মনে হয় এই আইন দিয়েই হয়তো আমাদের নির্যাতিত শ্রমিকদের কে বাঁচানো যাবে। কিন্তু এখন দেখছি সমস্যা আরো গভীরে। আপনার কথার সাথে একমত। একদিনে এই সমস্যা যাবে না। নষ্টমির শেকড়টা উপরে ফেলা না পর্যন্ত আমদের মুক্তি নেই। তবে দিন বদলাবে। আমরা অবশ্যই আশাবাদী। আমার এ পর্যন্ত মনে হয়েছে আমাদের সবচেয়ে বড় অভাব হল দেশটায় আইনের কোন শাষন নেই। তারপর মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা। যেখানে দেশের চেয়ে বড় স্বার্থ হল দল। যাইহোক, আমরা আমাদের মত চেষ্ট করে যাব। এ হল নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিপ্লব। এত ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে যে রাষ্ট্রের জন্ম সে দেশটি বিশ্বের সর্বত্র বুকি উচিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়াবেই দাড়াবে। এ আমার বিশ্বাস।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আদনান সৈয়দ,
অবাক হবার কিছু নেই এই ঘটনায় । আপনি হয়তো নেহাত রাজনীতি বিমুখ বলেই আমাদের রাজনীতির হালচাল জানেননা তাই অবাক হয়ে বিবেকের তাড়নায় পোষ্টটি দিয়েছেন ।
হরতাল বন্ধ করবে কে? সব দলেরইতো "হরতাল" লাগবেই লাগবে, আজ না হোক কাল। যেমন তাদের “ভোট” লাগবে । তাই সারা বছর চুলোচুলি করা প্রধান দু’টি দল সহ সকল রাজনৈতিক দলগুলো মিলে নির্বাচনী ব্যালট পেপার থেকে “ না” ভোট তুলে দিয়েছে । একই কারনে হরতাল বন্ধ করবেনা । তাইনা ?
ভাল করে খেয়াল করুন । দেখবেন হরতাল আহবানকারী দল বলবে, হরতাল আমাদের রাজনৈতিক অধিকার । কিন্তু সে অধিকার কি তাকে সন্ত্রাস করার লাইসেন্স দেয় ? এ বিষয়ে তারা মোটেও কিছু বলেন না । সব দোষ পুলিশের ঘাড়ে চাপান । যেহেতু আপনি "লেবার ষ্টাডিজ" বিষয়ে অভিজ্ঞ তাই আর বড় করে আপনাকে এই সব কূট-ক্যাচাল কেন করা হয় তার ব্যাখ্যা দিলাম না ।
নীচে একটা লিঙ্ক দিলাম, তা থেকে ভাবনার কিছু খোরাক পেলেও পেতে পারেন ।
Click This Link
ধন্যবাদ বিষয়টি সকলের গোচরে আনার জন্যে ।