![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদনান সৈয়দ। জন্ম : ঢাকা। পেশাঃ ফাইনানসিয়াল এনালিষ্ট এবং প্রফেশনাল বিজনেস প্লানার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমবিএ। নেশা: লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। মেইল: [email protected]
আমাদের উপমহাদেশ বা ইউরোপ-আমেরিকা বলে কোন কথা নেই। গোটা পৃথিবীই এখন সামন্তবাদীদের দখলে। মানুষের যেমন শ্রেনী বিভাজন হয়েছে ঠিক তেমনি তাদের কাজও বিভিন্ন শ্রেনীতে বিভক্ত হয়েছে। যারা শ্রমিক শ্রেনীর তার মজুরী(ওয়েজ) পাচ্ছেন আর যারা সাহেব সুবা তারা বেতন(সেলারী) পাচ্ছেন। পশ্চিমারা অবশ্য ভদ্রভাবে বিষয়টাতে একটা শৈল্পিক মাত্রা যোগ করার চেষ্টা করেছেন। তারা বলছেন হোয়াইট কলার জব আর ব্লু কলার জব। খুভ সাভাবিক ভাবেই হোয়াইট কলাররা বেতন পাচ্ছেন। আর ব্লু কলারধারীরা মজুরী পাচ্ছেন। এখন কথা হল এই হোয়াইট আর ব্লু কে নির্ধারন করেছেন? বিষয়টা নিঃসন্দেহে অনেক গভীরের । তবে সোজা দাগে শ্রমিকরা মজুরী পান তাদের ঘন্টা প্রতি কাজের বিনিময়ে। আর যারা শ্রমিক নন তারা বেতন পান মাসিক,বাৎসরিক/পাক্ষিক ভিত্তিতে। প্রশ্ন আসতে পারে যারা শ্রম দেন তারাইত শ্রমিক? কেউ হয়তো কায়িক পরিশ্রম করেন অথবা কেউ মগজ খাটান। তারপরও এত বিভাজন কেন? বিষয়টা খোদ কার্ল মার্কসও সমাধান দিতে পারেন না। আমরা মানুষরাই কিন্তু মানুষদের শোষন করছি, অবহেলা করছি,অপমান করছি। কেন করছি এর উত্তর মানুষকেই দিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে শ্রমিকদরে ত্রাহি দশা। এদের সামাজিক কোন মূল্য নেই, রাষ্ট্রে এরা অবহেলিত এমনকি নূন্যতম মজুরী বলে যে একটা বস্তু আছে সেখোক থেকেও তারা বঞ্চিত। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১২২ ধারায় বলা হয়েছে, “ কোন মজুরী কাল এক মাসের উধে হবে না। আবার ১২৩ ধারায় বলা হয়েছে ”কোন শ্রমিকের যে মজুরীকাল সম্পকে তাহার মজুরী প্রদেয় হয় সেই কাল শেষ হওয়ার পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাহার মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে”। এইবার বুঝেন!! সেদিনও দেখলাম সাভার রানা প্লাজার সামনে ৪ মাসের বেতন নিতে শ্রমিকের লম্বা লাইন !!! আমি বাংলাদেশে শ্রমিকদরে অধিকার নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। এদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা যে কত খারাপা তা কল্পনাও করা যায় না। আমাদের এই হতদরিদ্র শ্রমিকরা সব দিক থেকেই বঞ্চিত। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সব ক্ষেত্রেই এরা চরম বৈষম্যের শিকার। এর জন্য যে আমরা তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরাই দায়ী তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। চলুন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাই। শ্রমিকদরে প্রতি শ্রদ্ধা করতে শিখি। তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের জন্য সামাজিক বিপ্লব ঘটাই। কাজটা কি খুব কঠিন? শুধু প্রয়োজন আত্বসচেতনতা আর মানুষের প্রতি ভালোবাসার মনোবৃত্তি চর্চা। আপনার আদর মাখা হাতটা মানুষের জন্য বাড়িয়ে দিন।
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
আদনান সৈয়দ বলেছেন: ধন্যবাদ জাকি ৬৪২ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে একমত। আমি দীর্ঘিদন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত ছিলাম। আমি আপনার মতই সাপ্তাহিক পেমেন্ট কে সমর্থন করি। কিন্তু আমি যে কথাটা বলতে চেয়েছি তা হল শ্রমিকের সামাজিক ডিগনিটি। এদের প্রতি শ্রদ্ধাবধ। বাংলাদেশে এর প্রচুর অভাব।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
zaki642 বলেছেন: “বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১২২ ধারায় বলা হয়েছে, “ কোন মজুরী কাল এক মাসের উধে হবে না।“--- মাসিক বেতন আমার কাছে প্রহসনমুলক মনে হয়। আমি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সাপ্তাহিক মজুরির পক্ষে। তাতে বেতন বা মজুরি পেতে দেরি হয় না এবং সহজেই শ্রমিকরা জব পরিবর্তন বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে।
আমার বাবা কাপড় উৎপাদন ব্যবসায়ী। সেখানে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি দেয়া হয়। আবার, স্টাফদের সাপ্তাহিক বেতন দেয়া হয়। চিন্তা করেন, একটি মফস্বল এরিয়ায় ঐসব শ্রমিদের মজুরি একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশী। থাকার জায়গাটাও ফ্রি দেয়া হয়। দুপুরে দেড় ঘণ্টার বিরতি, কাজ চলে রাত এগারটা পর্যন্ত। কাজের পরিবেশ গার্মেন্টসের চেয়ে ভালো। কাজও সহজ। ইলেক্ট্রিক মেশিনে কাজ করতে হয়। সাপ্তাহিক ছুটি একদিন। শুধু আমার বাবা না, ঐ এলাকার ঐ শিল্পে এরকম নিয়ম অন্তত ৫০ বছর আগে থেকে প্রচলিত যখন গার্মেন্টস শিল্পের জন্মও হয় নাই।
আমার কথা হল, আমরা ছোট ব্যাবসায়িরা শ্রমিকদের এসব সুযোগসুবিধা দিতে পারলে ঐসব বিগফিস গার্মেন্টস ব্যবসায়িরা কেন পারে না! কারণ, আমরা ৫০ বছর ধরে ব্যাবসা করে ঐ সব বিগফিসদের ধারের কাছেও পৌছাতে পারি নাই। আমরা পারি নাই শ্রমিকদের শ্রম শোষণ করতে, বিগফিসদের মতো শ্রমিকদের গিলে খেতে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এ ধরণের লেখার জন্য।