![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Road to Perdition
Director: Sam Mendes
IMdb rating: 7.7
গল্পের শুরুঃ ফিল্মটি গড়ে উঠেছে ১৯৩১ সালের পটভূমির উপর ভিত্তি করে। মাইকেল জুলিভান একজন হিটম্যান রুনির জন্য কাজ করতেন। রুনির জন্য মানুষ খুন করাও তার কাজেরই একটা অংশ ছিল। বাবাহারা মাইকেল জুলিভান এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জুলিভানের ১২ বছরের ছেলে এক পর্যায়ে বাবাকে দেখে বন্দুক হাতে আর জেনে ফেলে বাবার সব কৃতকর্মের কথা। হয়তবা কোনো এক সময় বাবাকে সে ঘৃণা ও করতে শুরু করে। রুনির ছেলে কনর এবং তর সাথে জুলিভানের অন্তঃকলহ থেকে শুরু হয় জুলিভান এর টিকে থাকার লড়াই। এই লড়াইয়ে তার সাথে থাকে তার ১২ বছর বয়সী ছেলে মাইকেল জুলিভান জুনিয়র। এভাবেই এগোতে থাকে গল্প।
গল্পের মাঝে বিচরণঃ ফিল্মটির বৈশিষ্ট্য হল এর অত্যন্ত সুন্দর উপস্থাপনা। মাঝখানে দর্শক হিসেবে আপনার মনে হতে পারে যে ফিল্মটি খুবই স্লো, কিন্তু ফিল্মের শেষে আপনি জানতে পারবেন, সেই স্লো সময়টুকু আপনাকে দেয়া হয়েছে গল্পের ভেতরে ঢোকার জন্য। ১৯৩১ এর মাফিয়া থ্রিল এবং পলিটিক্সের সাথে এই ফিল্মে যুক্ত হয়েছে এক বাবা আর তার ছেলের ভালবাসা। যা কখনই প্রকাশ করা হয়না। ঠিক যেমনটা ঘটে আমাদের জীবনেও। একটি অ্যাকশন সিকোয়েন্স আছে ফিল্মটিতে। এর থেকে ভালো করে একটা ক্লাসিক অ্যাকশন ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হতো না। সর্বশেষে দেখা যাবে একটা অসম্ভব সুন্দর ক্লাইমেক্স। এর থেকে পারফেক্ট ক্লাইমেক্স হয়তো দেয়া যেত না। ক্লাইমেক্সে একটা পর্যায় আসবে, যখন আপনার মনে হবে যেন আপনি এখানেই থেকে যেতে চান। আপনি জানবেনও না কিন্তু আপনি ততক্ষনে গল্পের মাঝে ঢুকে গিয়েছেন।
অবশেষেঃ ফিল্মের সাউন্ডট্রাকগুলো অসম্ভব ভালো লাগার মতন। প্রত্যেকটি সাউন্ডট্রাকই সুন্দর এবং পটভূমির সাথে দারুনভাবে মিলে যায়। ক্যামেরার কাজ যথাযথই হয়েছে, যেটাকে বলে eye soothing. তবে লং শটগুলো আর ওয়াইডএঙ্গেল এর কাজগুলো চোখে লাগার মত। ক্যামেরার ব্যাপ্তি আপনাকে অনেকটাই গল্পের ভেতরে ঢুকে যেতে সহায়তা করবে। সবশেষে বলব, বেশ ভালো ফিল্ম। আমি খালি ভাবছি, এতদিন না দেখে থাকলাম কিভাবে? অনেকেই হয়তোবা আগেই দেখে ফেলেছেন। তবে যারা দেখেননি, তাদের জন্য মাস্ট ওয়াচ।
©somewhere in net ltd.