নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃত চারী

Ctrl+C Ctrl+V

অযথা অকারণ

অযথা অকারণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন কিংবদন্তী চিত্রনায়ক রাজ রাজ্জাক :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

>নায়ক রাজ-রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । স্কুলে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু । এরপর ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে পাড়ি জমান রাজ-রাজ্জাক । এখানে এসে তিনি নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন । ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগর লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে রূপায়নের মধ্য দিয়ে নিজের অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দেন ।

>পরবর্তী সময়ে তিনি ‘ডাক বাবু’, ‘কার বউ’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রের পাশ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পর নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়ক রাজের যাত্রা জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।

> অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রঃ আবির্ভাব, ময়নামতি, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেয়া, পীচ ঢালা পথ, টাকা আনা পাই, দ্বীপ নেভে নাই, অশ্রু দিয়ে লেখা, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, অনন্ত প্রেম, অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, দুই পয়সার আলতা, বাবা কেন চাকর।

>প্রযোজক হিসেবে নায়ক রাজের যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ ছবিটি প্রযোজনার মধ্যদিয়ে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতা’র সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়ক রাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই চলচ্চিত্রটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে।

>নায়ক রাজ রাজ্জাকের নায়ক হিসেবে সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিলো শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।

>বুড়ো বয়সেও নায়ক রাজ রাজ্জাক কিছু চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অসামান্য অভিনয়ে করেছেন। যেমনঃ জজসাহেব, বাবা কেন চাকর, বাপ বেটার লড়াই!

>নায়ক রাজ রাজ্জাক এর আগে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অধীনে ‘আজীবন সম্মাননা’ এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। যেসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে জহিরুল হকের ‘কী যে করি’, আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’ , মহিউদ্দীনের ‘বড় ভালোলোক ছিলো’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘চন্দ্রনাথ’ এবং রহিম নেওয়াজের ‘যোগাযোগ’। এই পাঁচটি চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে যথাক্রমে অভিনয় করেছেন ববিতা, অঞ্জনা, অঞ্জু, দোয়েল ও শবনম।

>বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান। এরপর চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন ।এছাড়া এই মাধ্যমে প্রায় সব পুরস্কারই তার ঝুলিতে রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.