নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই লেখাটা আমার হবু শ্বাশুড়ি আম্মাকে উৎসর্গ করা !!
হ্যাঁ, আমি একটা মেয়ে এবং আমি কালো। অনেকে ভদ্রতা করে বলে শ্যামলা। তো
আমি কালো জন্য কি আমাকে সারা ক্ষণ প্রমাণ করতে হবে যে, কালো হয়েছি তো কি হয়েছে, আমার চোখ মায়াময় কিংবা আমার হাসিতে মুক্তো ঝরে কিংবা আমি লেখাপড়ায় ভালো হয়ে আমার কালোত্ব পুষিয়ে দেব!
থামেন, কোন কিছু দিয়েই পুষিয়ে দেয়া যাবে না যে আমার গায়ের রং কালো।
আমার গায়ের রং কালো, জেনেটিকালি কালো। আমার মায়ের গায়ের রং তীব্র সাদা, আর বাবারটা তীব্র কালো। মেন্ডেলের বংশগতির সূত্র মানলে আমার ফিনোটাইপ কালোই হবে, ‘প্রচ্ছন্ন কালো’ এবং জিনোটাইপ হবে মিক্সড অর্থ্যাৎ সাদা এবং কালো জীনগুলো আমার প্রতিটি কোষে পাশাপাশি বিরাজ করবে। সুতরাং আমার গায়ের রং “কালো” সেটা আমার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য এবং কোন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী/ হোয়াইটেনিং ক্রিম/ সাবান/ পাউডার মেখে সেটা সাদা হবে না।
সেটা সাদা করার ইচ্ছাও আমার নাই। আমার মনেও থাকেনা যে আমি কালো। তবে মনে করিয়ে দেয়ার লোকের অভাব হয় না। এই যেমন, অনেকদিন পরে দেখা, আরে তুই তো কালো হয়ে গেছিস, যত্ন নিস না ত্বকের ! এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিউটি টিপস দেয়ার লোকেরও অভাব হয় না। ভাই আমি বিউটি টিপস চাই না, আমি এমনিতেই সুন্দর, তোমার চোখে না হোক আমার চোখে। ওই চকচকে গহনা বা চটকদার পোষাকে ধুয়ে আমি পানি খাই না, আমার বহুত কাজ করার আছে এই পৃথিবীর সাড়ে সাতশ কোটি মানুষের জন্য।
যাক গে, শুরুতেই বলেছি এই লেখাটা আমার হবু শ্বাশুড়ি আম্মাকে উৎসর্গ করা!! সেই বেচারি (পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি তার অসহায়ত্ব কল্পনা করে) এক বহিরাগত মানুষের কাছে কেন তার ফর্সা ছেলে আমার মত কালো মেয়েকে পছন্দ করে সেই ব্যাখ্যা দিচ্ছিলো। আমার সামনে না, আমি ঘটনা শুনেছি অন্য কারো মুখে। সেই বহিরাগত মানুষের প্রশ্ন ছিলো, “আপনার ছেলে আর মেয়ে পাইলো নাহ”। বেচারী হবু শ্বাশুড়ি আম্মা তখন আমাকে ডিফেন্ড করার জন্য আমি কেমন জুয়েল ছাত্রী, কত ভালো চাকুরি করি সেই সবের বর্ণনা দেয়া শুরু করলো। ধন্যবাদ হবু শ্বাশুড়ি আম্মা, তবে আমি আপনার সাথে একমত নই। দুঃখিত। এবং যদিও জেনেটিকালি ৭৫/২৫ সম্ভাবনা আছে, তারপরও আপনার নাতি পুতি সাদা সাদা বা তথাকথিত আপনার ছেলে মেয়ের মতো সুন্দর হবে সেই গ্যারেন্টি আমি দিচ্ছি না। এক কথায় আমি গুষ্টিই কিলাই। আমার ছেলে/মেয়ে আমার মত হবে, সেইটাই আমি ভাবি। তবে সেইগুলি মাকাল ফল হবে না, সেইটা আমার বিশ্বাস। আমার এডুকেশনাল কোয়ালিটি, আমার বেটার জব এসব কোন কিছুই আমার গায়ের রং কালো থেকে সাদা করবে না, এমন কি আমি পিএইচডি করলেও কালোই থাকবো সাদা না যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি সেটা স্বাভাবিক দেখেন।
সুতরাং সেটা স্বাভাবিক দেখেন। এই স্বাভাবিক কথাটাই কেউ মেনে নেই যা জন্যই তৃতীয় বিশ্বের ঘরে ঘরে বর্ণবাদ চলে এবং চলে আসছে। অনেকে এই বর্ণবাদের উৎস দেখেন উপনিবেশিকতার বিকাশের হাত ধরে। কিন্তু বিষয় হলো, প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও এর অস্তিত্ব দেখা যায়। রাধা কৃষ্ণের প্রেমেও রাধার রূপের যে বর্ণনা তাতে রাধা অতীব সুন্দরী এবং ফর্সা। দেবী দুর্গার রূপতো এই যুগেও সমাদৃত। আর সীতা! সেটা ভুমিকায় গেলে এই প্রবন্ধ প্রয়োজনের চেয়ে বড় হয়ে যাবে। তবে ‘কালী’ দেবীত্বের একটু ভূমিকা করতে চাই, কেননা কালো মেয়েদের সাথে কালী দেবীর একটা তুলনা চলে আসে। কালীর একটা রূপ তীব্র রাগ, ক্রোধ আর প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ যেটাকে কিনা নারীবাদী স্কলারশীপে একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যেমন কালীর স্বরুপ নারীর আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক। তবে কালো মেয়েরা কালীর সাথে বেশি যায় এইটা মানতে আমি নারাজ। তারপর আসেন, মধ্যপ্রাচ্যে। ইসলাম ধর্মেও রূপবতীদের আলাদা মর্যাদা আছে, ১ অন্যান্য ধর্ম নিয়ে আমার বিশেষ জানাশোনা নেই, থাকলে উল্লেখ করা যেত। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো, ধর্মগ্রন্থ, কাব্য/সাহিত্য সবখানেই যদি এই ফর্সা কালো নিয়ে এত কথা উল্লেখ থাকে, তাহলে উপনিবেশিকতার উপর দায় চাপানোর দরকার আছে কি? আসলে এইটা আমাদের মনের ভিতর গেথে থাকা কাঁটা বর্ণবাদের কাঁটা যেইটা আমাদের কোন ধর্মকেই নিরপেক্ষ হয়ে উঠতে দেয় নি। কোন ধর্মের মহাপুরুষই এই বিতর্কের উর্দ্ধে উঠতে পারেন নাই, আমরাতো কোন ছার ! সুতরাং বর্ণবাদের উৎস উপনিবেশবাদ বলে গালমন্দ করার কিছুই না, বরং এই বিষয়টা হিসটোরিকাল। এখন আবার প্রশ্ন উঠবে, আগে তো কালোরাই সুন্দর ছিলো যতদিন কালোদের হাতে ক্ষমতা ছিলো। ভাই থামেন, সে কেবলই ইতিহাস, কালোরা কবে সুন্দর ছিলো আর কবে তাদের ক্ষমতা বেশি ছিলো সেটা আলোচনায় না আসাই ভালো, কেননা সে ইতিহাস বর্তমানকে প্রভাবিত করছে না।
আসল আলোচনায় ফেরত আসি, “আমি কালো”। তো? কালোত্ব পুষিয়ে দেয়ার জন্য আমার জন্ম হয় নাই, আমার কোয়ালিটি গুলো আমার গায়ের রং থেকে আসে নাই, আমি প্রতিনিয়ত প্রমাণ করতে নারাজ যে, ফ্রেশই সুন্দর বা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশনের সাহায্য বিয়ের আগেই আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এইসব হ্যান ত্যান চিন্তা করে আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে আমি রাজি না। মধ্যবিত্ত সংসারে জন্মেছি জন্য পুতুল পুতুল সেজে বিবাহ করার বাসনা আমার নাই। আমার ইচ্ছে হলে আমি সাজতে পারি, নাচতে পারি, ফ্রেশ থাকতে পারি বা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশনের সাহায্য না নিয়েও মেধার জোড়ে, পরিশ্রমের জোড়ে প্রতিষ্ঠিতও হতে পারি। আমার ইচ্ছে হলে শাড়ি পরতে পারি, ইচ্ছে হলে ফতুয়া বা শার্ট।
সব কিছুই আমার চয়েস, আমার সিদ্ধান্ত!
আমি কালো মেয়ে সত্য, আমার গায়ের রং অস্বীকার করার সামর্থ্য আমি কেন স্বয়ং ঈশ্বরেরও নাই। সুতরাং আমি কালো, এটাই সত্য, এটাই স্বাভাবিক। আপনি সাদা সেটাও সত্য, সেটাও স্বাভাবিক।
সুতরাং মেয়ে তুমি কালো, এইটা বাদ দেন।
সূত্রঃ
১। বুখারী শরীফ বই ৬৭, হাদীস ২৮ (http://sunnah.com/bukhari/67)
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২২
আফিফা আফরিন বলেছেন: হুম। আমারও বিরক্তি লাগে
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
মীর সজিব বলেছেন: কালো সাদা
সাদা কালো
এই দুটি শব্দ নিয়ে যে মানুষের কত মাথা ব্যাথা আল্লাহ ও জানেন না।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ধন্যবাদ বোন । আপনার লেখাটি কয়েকবার পড়তে হোল । আপনার লেখাটিতে বেশ প্রচ্ছন্ন ভাবেই ঊঠে এসেছে আপনি কতটা প্রতিবাদী । সেই সাথে আপনার দূর্বলতার দিকটিও উঠে এসেছে । আপনি যেহেতু বলেছেন আপনার হবু শ্বাশুড়ি, তাই বলছি সব কিছু আবার চিন্তা করে দেখুন আপনি এই পথে পা বাড়াবেন কিনা । শ্বশুড় বাড়ি কিন্তু ভয়ানক একটি জায়গা যদি সেখানে প্রতিবাদী হন । আমি আপনাকে নেগেটিভ কিছু বলছি না, এখন যুগ ও সমাজ অনেক বদলেছে । অনেকেই এখন আর গায়ের রঙ নিয়ে মাথা ঘামায় না । তৃতীয় যে ব্যক্তির কথা বললেন এরকম ব্যক্তি সবসময়ই থাকবে, এরাই ফাতনা ফাসাদ সৃষ্টি কারী । এদের সংস্পর্শ থেকে এক হাজার মাইল দূরে থাকাই উত্তম । সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন বইটিতে একটি লাইন আছে -"তালাও ঠিক আছে, চাবিও ঠিক আছে, কিন্তু এই তালার জন্য এই চাবি না" । জীবনটা যাতে এমন না হয় । শুভ কামনা রইল ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৬
আফিফা আফরিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। যুগ ও সমাজ অনেক বদলেছে সত্য তবে আমরা কতটুকু বদলেছি সেটা ভাববার বিষয়
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩
সিজোফ্রেনিক সাইকোপ্যাথ বলেছেন: কালো ধলো বাহিরে কেবল ভেতরে সবাই সমান রাঙ্গা
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৭
আফিফা আফরিন বলেছেন:
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ভালো লেখছেন ৷
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৮
আফিফা আফরিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১১
নরাধম বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে। কিন্তু আপনি কাল/ফর্সা থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করছেন কিন্তু আবার সুন্দর/অসুন্দর ডাইকটমিতে আটকে গেছেন। যেখানে সবাই ফর্সা/সাদা, সেখানে কিন্তু সুন্দর/অসুন্দরের আলাদা ডাইকটমি আছে, সেখানে সার্জারি/বটক্স কিসব করে ফিগার ঠিক রাখা আর সুন্দর থাকার নিয়মিত চেষ্টা চলে, চেহারার সেক্সিনেস আনার জন্য ঠোঁট বড় করা হয়, কোমর ছোট করা হয়, পশ্চাদদেশ বড় করা হয় আরো কত কি। মূলত সমস্যাটা কাল/ফর্সার চেয়ে সুন্দর/অসুন্দরের ডাইকটমিতে। আপনার সেখানে আপত্তি দেখছিনা। সমস্যার মূলে যেতে হবে, ভাসাভাসা ভাবে চিন্তা করলে লাভ হবে মনে হয় না। এখানে সমস্যার মূল হচ্ছে সুন্দরের প্রতি মানুষের পক্ষপাতিত্ব।
তবে আমার মূল আপত্তি আপনার কমেন্ট, "ইসলাম ধর্মেও রূপবতীদের (অবশ্যই ফর্সা) আলাদা মর্যাদা আছে, অন্যান্য ধর্ম নিয়ে আমার বিশেষ জানাশোনা নেই, থাকলে উল্লেখ করা যেত।"
আপনি কি দয়া করে বলবেন এটা কোথায় পাইছেন আপনি? কোরানে কি এরকম ফর্সা মেয়েদেরকে কোথাও ফেইভার করা হয়েছে? হাদিসে কোথাও বলা হয়েছে সুন্দর হলে সব মাফ? দয়া করে রেফারেন্স দিবেন। আমি এখনও এরকম কিছু পাইনি, আপনি পেয়ে থাকলে জানা দরকার।
ধন্যবাদ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯
আফিফা আফরিন বলেছেন: এই লিঙ্কটা দেখুনঃ http://sunnah.com/bukhari/67
বুখারী শরীফের Book 67, Hadith 28 অনুসারে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, একজন নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা যায়, নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম।
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:২৭
[ ওঁরাও মাহাতো ] বলেছেন: Be happy.
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৪০
জুবাইদুর আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ বোন
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৫০
শেলী বলেছেন: আপা আমিও কালো। আপনাকে আর কতটুকু স হ্য করতে হয়েছে,আমাকে বাপের বাড়ি থেকেো অনেক কথা শুনতে হয়েছে,কিন্তু সে সময় ইসলামই আমাকে সান্তনা দিয়েছে। আপনার পুরা লিখাটাই আমার ভাল লেগেছে। শুধু হয়ত ইসলামে সুন্দরী মেয়েদের বর্ননাটুকু ছাড়া। যেখানে বিয়ের নিয়ত হিসাবে বলা হয়েছে তাকওয়াধারী মেয়ে বা ছেলে দেখতে,আল্লাহ র কাছে তারই মর্যাদা বেশী বলা হয়েছে যার তাকওয়া বেশী, যেখানে একজন কালো বা সাদা ,আরব বা অনারবের দাম নেই,বিদায় হজ্জের ভাষনে বলা হয়েছে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
আফিফা আফরিন বলেছেন: প্রথমত ধন্যবাদ। দ্বিতীয়ত আপনি আমার বক্তব্যে আঘাত পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি। এখানে আমি শুধু প্রত্যেক ধর্মের ইন্টারপ্রিটেশন গুলো আমাদের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করে সেটা বলার চেষ্টা করেছি। ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মকে ছোট করে দেখা আমার উদ্দেশ্য না। আবারো আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
যোবায়ে৫ বলেছেন: ইসলাম ধর্মেও রূপবতীদের (অবশ্যই
ফর্সা) আলাদা মর্যাদা আছে,.... দয়া করে রেফারেন্স দিবেন.
০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
আফিফা আফরিন বলেছেন: এই লিঙ্কটা দেখুনঃ http://sunnah.com/bukhari/67
বুখারী শরীফের Book 67, Hadith 28 অনুসারে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, একজন নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা যায়, নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
নতুন বলেছেন: প্রতিটি মানুষই ইউনিক... সতন্ত্র তার সত্তা..
কালো বলে কাউকে নিচু ভাবা অবশ্যই মূখ`তা...
আশা করি সমাজে মানুষের চিন্তা ভাবনা বদলাবে...
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আফিফা আফরিন বলেছেন: আশাবাদী আমিও, কোন না কোন দিন আমরা অবশ্যই বদলাবো
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
নিষ্কর্মা বলেছেন: আমার ধারণা আমাদের গাত্র বর্ণ অতীত কালে অনেক কালো ছিল, সে সময়ে সাদা গায়ের রঙের মানুষ দেখলেই আমরা দেবতা হিসাবে মান্য করেছি। তারপরে সাহেবদের দেখে আমাদের গাত্রবর্ণের ব্যাপারে খুঁতখুতানি বেড়েছে। হিন্দুদের ভেতর থেকে তা গড়িয়েছে মুসলমানদের ভেতরে। এখন তা একটা সামাজিক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। সে জন্যই আপনার ভাবি শ্বাশুড়ির প্রতি সমবেদনা থাকল।
এমন একটা লেখা লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
আফিফা আফরিন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
রায়হান চৌঃ বলেছেন: বাস্তবতার ছোঁয়া... অনেক ভালো হয়েছে.....
আমি ও বলি গায়ের রং সুন্দর হলেই মানুষ সুন্দর হয় না আবার কালো হলেই মানুষ কালো হয়না....সুন্দর হতে হলে মানুষকে সাধনা করতে হয়, ধৈর্য ধারণ করতে হয়.....
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
আফিফা আফরিন বলেছেন:
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
বৃতি বলেছেন: শাদা আর কালো বর্ণের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আগের থেকে অনেকটা বদলেছে বলে মনে করি। তবে এই ব্যাপারটা উভয়পাক্ষিক- মেয়েরাও তথাকথিত সুন্দর (!!!!) ছেলেকে প্রায়োরিটি দেয়।
বক্তব্য ভালো লাগলো
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪২
আফিফা আফরিন বলেছেন: হতে পারে," মেয়েরাও তথাকথিত সুন্দর (!!!!) ছেলেকে প্রায়োরিটি দেয়" তবে এখানে আমি বৈষম্যের কথা বলার চেষ্টা করেছি, একটা মেয়ে কালো হলে তাকে যত যন্ত্রনার মদ্য দিয়ে যেতে হয় একটা ছেলেকে ততটা হয় না
১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
কাবিল বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।
@ নরাধম এবং যোবায়ে ৫ যে কমেন্টে আপত্তি করেছে আমিও একমত।
আপনি হাদিসের রেফারেন্সও দিয়েছেন।
বুখারী শরীফের Book 67, Hadith 28 অনুসারে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, একজন নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা যায়, নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম।
এই রেফারেন্সটা আমি যথাযথ যুক্তি বলে মনে করি না।
কারন, সাদা, ফর্সা আর সৌন্দর্য্য এক নয় ।
কিছু কাল মানুষের চেহারায় এমন সৌন্দর্য্য আছে যা ফর্সা মানুষকে হার মানায়। হাদিসটির যুক্তি হল ফর্সা নয় বরং তার আখলাক, ধর্ম এবং সৌন্দর্য্য বুঝিয়েছে।
এছারাও আমি মানুষের বাহিরে নয় তার অন্তরের সৌন্দর্য্যকে বেশি প্রাধান্য দিই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৭
আফিফা আফরিন বলেছেন: প্রতমত ধন্যবাদ।
প্লিজ @পাবনার পাগলকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যটি দেখুন।
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
ঋত্বিক বলেছেন: নারী হবে লাস্যম্যয়ী মৃদু ভাষিণী ত্বন্বী
স্নিগ্ধ যাহার নয়ন দুটি চিত্তে হবে বহ্নি
অনঘ সম্পূর্ণা সে তনুমধ্য কামিনী
ঈষৎ কৃষ গাত্রবর্ণা চপলা হরিণী ।
আর এ কেমন নারী !
কোথায় তাহার লাস্য সে যে তাণ্ডবপ্রিয়া ভারি
স্থুলবুদ্ধি চন্ডিকা তবু বেশ বাকপটু
অবিন্যস্ত শৃঙ্গারবেশ সবই দৃষ্টিকটু ।
দীর্ঘকায়া নারী তবু চিত্ত তাহার হীন
নিঠুর হৃদয় ভার্যা এ এক অদ্যিতীয়া দীন
নাহি মমতা নাহি প্রেম নাহি তব ভক্তি
মধুর বাক্য শুনিলে পর তদ্দন্ডে কটুক্তি ।
তবু যেন, ছিল না এ মন্দ স্বভাব
ছিল শুধু কৈশরে স্নেহের অভাব
শত ঘৃণা লাঞ্ছনা বিদীর্ন শ্রেয়সী
পারিত সে হতে আজ কাহারো প্রেয়সী ।
১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
বিদগ্ধ বলেছেন:
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে, মুক্তবেণী পিঠের 'পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
কাবিল বলেছেন: @ মীর সজিব বলেছেন: কালো সাদা
সাদা কালো
এই দুটি শব্দ নিয়ে যে মানুষের কত মাথা ব্যাথা আল্লাহ ও জানেন না।
আল্লাহ ও জানেন না! উপরিউক্ত মন্তব্যের এই উক্তিটি কোরআনের সঙ্গে পরস্পরের বিরোধী।
কোরআনে অনেক আয়াতের শেষে আছে আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে জানেন।
রেফারেন্স- সূরা আল-বাকারাহ- আয়াত- ২৪৪
আল্লাহ্র পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
আফিফা আফরিন বলেছেন: ভাই এটা একটা কথার কথা নিশ্চয়ই কোন কিছুই তাঁহার অগোচরে নয়
১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১০
বিবেক বিবাগী বলেছেন: আমি এক কালো মেয়েকে ভালোবাসি (বা ভালোবাসার চেষ্টা করি) বলে বাসায় প্রায়ই এই গায়ের রঙ বিষয়ক তর্ক শুরু হয় বাবা মা-র সাথে। আব্বু আম্মুর কথা হল, কালো কালো নাতি পুতি তারা দেখতে চায় না। পরে তর্ক করছিলাম, আমার সন্তান কেমন হবে, সেটা নির্ধারণ করার অধিকার তাদের চেয়ে আমার বেশি। পরে আব্বু বললো যে আমার বিয়েতে তাহলে এটেন্ড করবে না, যদি কালো মেয়ে বিয়ে করি। এরকম রেসিজম সমাজের পরতে পরতে আছে। আমাদের বাবা মা-ই এরকম রেসিস্ট। জানি না ভবিষ্যতে কি হবে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা ভাবতেই খুব মন খারাপ লাগতে শুরু করে। শুধু এটুকু ভাবি, কখনও আমার সন্তান হলে তার স্পাউজ কালো কি সাদা, এসব নিয়ে ভাববো না, মানুষ হিসেবে কতটা ভালো, সেটা জাজ করার চেষ্টা করবো।
আপনার জন্য একটিই কথা, আপনি কখনো মন খারাপ করবেন না। যারা আপনাকে কালো বলে ছোট মনে করবে, বুঝতেই পারছেন, তাদের মানসিকতা নিচু, আর যার মানসিকতা নিচু, তাদের মতামতকে মূল্য দেবার কিছু নেই। ভালো থাকবেন, এই প্রত্যাশাই রইলো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
আফিফা আফরিন বলেছেন: আপনার দুঃখটা বুঝতে পারছি। বিশ্বাস করেন, আপনি যদি স্বর্গের অপ্সরীকেও পছন্দ করেন তবুও কোন না কোন খুত বের করঃ(আপনার আশে পাশের মানুষের জন্য কোন সমস্যা না। একটা মেয়েকে যে কত রকম মাপ জোকের বিষয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয় আপনি সম্ভবত আমার হবু বরের মত সমস্যায় আছেন ! আমার হবু বরের ডিফেন্ড করার যায়গা হলো, আমি ইউনিভার্সিটিতে আমার ফ্যাকাল্টির সর্বোচ্চ গ্রেডধারী। আমি ওকে এইটা নিয়ে কম বকা দেই নি। কিন্তু ওর কথা হলো প্লিজ এইটা যেহেতু পাবলিক খায়, খেতে দাও; পরে দেখা যাবে আপনার সঙ্গীর কিন্তু সবচেয়ে বড় আস্থার যায়গা আপনাকেই হতে হবে, আপনি শক্ত হলে এইগুলা মোকাবেলা করা কোন ব্যাপার না। কিন্তু কিছুতেই মেনে নেয়ার বা মানিয়ে নিতে বলবেন না, বরং আপনার বাবা মা যে ভুল সেই যায়গাটা ওনাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। ও হ্যা, আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকলো
২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০১
রিহানা সাবা খান বলেছেন: আমাদের সমাজের একটা ট্রাডিশন হয়ে গেছে এই ধরনের পরিস্থিতিভেদে নাক শিটকানো। কেউ জানেতে চাই না এর পেছনের জেনেটিক্স কারন গুলা।
২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:২১
পাবনার পাগল বলেছেন: শুরুতেই জানায় মনের আঙিনা থেকে আদ্র ভালোবাসা । মনে করি, আপনার সময়োপযোগী এবং চির চমৎকার লিখাটি সামুতে ভাস্কর্য হয়ে থাকবে । অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে ।
*তবে একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি, (ভুল ধরা নয়, সমালোচনা ) সেটি হল, আপনি বলেছেন, "ইসলাম ধর্মেও রূপবতীদের (অবশ্যই ফর্সা) আলাদা মর্যাদা আছে, ১ অন্যান্য ধর্ম নিয়ে আমার বিশেষ জানাশোনা নেই, থাকলে উল্লেখ করা যেত।"
এখানে, (বুখারী শরীফের Book 67, Hadith 28 অনুসারে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, একজন নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা যায়, নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম।) আপনি যে অনুবাদটি করেছেন তা সঠিক নয় । উক্ত হাদিসটি আমি অনেক আগেই পড়িয়াছি । এবং এর সামঞ্জস্যপূর্ণ হাদিসও পড়েছি ।
বুখারী শরীফের Book 67, Hadith 28 এর অনুবাদ হবে এমন, "একজন নারীকে চারটি কারণে (সাধারণত) বিয়ে করা হয় (বিয়ে করা যায় নয়), নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম । (কিন্তু এমন করবেনা), তোমরা (বিয়ের জন্য) ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার দাও । (তোমরা যদি ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার না দাও,) নচেৎ, অবশ্যই তোমাদের দুই হাত ধূলায় ধূসরিত হবে ।"
সুতারাং, মহানবী (সাঃ) এখানে শুধু সৌন্দর্য নয়, চারটি বিষয়ের কোনটিকেই প্রাধান্য দিতে নিষেধ করেছেন ।
#এর সামঞ্জস্যপূর্ণ সহীহ মুসলিম এবং মিশকাত এর আরেকটি হাদিসঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মানুষ সাধারণত নারীদের মাঝে চারটি গুণ দেখে বিবাহ করে, তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। (কিন্তু এমন করবেনা), তোমরা বিয়ের জন্য ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার দাও। তোমরা যদি ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার না দাও, তাহলে অবশ্যই তোমাদের দুই হাত ধূলায় ধূসরিত হবে (অর্থাৎ, নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের জন্য মন্দ ও অকল্যান ডেকে আনবে)।
__সহীহ মুসলিম, মিশকাত । হাদিস নং ৩০৯০, ‘বিবাহ’ অধ্যায় ।
আমার জানামতে, ইসলাম ধর্ম বর্ণকে কখনই প্রাধান্য দেয় না । সেটা মেয়ে বা ছেলে উভয়ের ক্ষেত্রেই । (ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন কিন্তু বেলাল (রাঃ) । যিনি নিগ্র ছিলেন । )
পরিশেষে, ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: নতুন বলেছেন: প্রতিটি মানুষই ইউনিক... সতন্ত্র তার সত্তা..
কালো বলে কাউকে নিচু ভাবা অবশ্যই মূখ`তা...
আশা করি সমাজে মানুষের চিন্তা ভাবনা বদলাবে...
২৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধুর! কালো ফর্সার যুগ শেষ। আমরা মানুষ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৫
আফিফা আফরিন বলেছেন: ভাই যুগ শেষ হইলেতো কথাই ছিলো
২৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
সোহেল মাহমুদ বলেছেন:
আপনার কথাগুলো মরমে আঘাত হানল। কালো বা ফর্সা নিয়ে কোন ভেদাভেদ কার্ম নয়। আমরা মানুষ।
কর্ম বা গুণেই আমাদের পরিচয়। কালো বা ফর্সা আসলে সৌন্দর্য নয় সৌন্দর্য হচ্ছে গুনে। কারন ফর্সা ত্বকের জন্য আমাদের কোন হাত নেই এটা সৃষ্টিকর্তা ও জেনেটিক প্রদত্ত। তাই এই সৌন্দর্য মূল্যহীন।
ধন্যবাদ বোন । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
২৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০২
আনাস মাহমুদ বলেছেন: কাল বা সাদা কোন বিষয় না আসল হচ্ছে মেয়েদের চরিত্র।
২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০
মো. ইব্রাহীম হুসাইন বলেছেন: অনেক ভালো লেখা , আমি জানি তুই ভালো লিখতে পারিস , কিন্তু লিখিস না
২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যাটা ঠিক করে নিন অনুগ্রহপূর্বক। হয়তো অসাবধানতাবশত সাড়ে সাত কোটি লিখেছেন।
আর ইসলাম ধর্মের কথা বলতে গিয়ে হাদিস হিসেবে যা উপস্থাপন করলেন তাতে সৌন্দর্য একটা পয়েন্ট...
এখানে আপনি সৌন্দর্যের সঙ্গে গায়ের রংকে গুলিয়ে ফেলছেন।
অনুগ্রহকরে পবিত্র কোরআনের বা হাদিসের কোন অংশকে ভুলভাবে উপস্থাপন না করতে অনুরোধ করছি।
আপনার জন্যে শুভকামনা রইল।
২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
মিতক্ষরা বলেছেন: কালো তা সে যতই কালো হোক,
দেখেছি তার কালো হরিন চোখ।
মজার বিষয় কি জানেন, পশ্চিমে গায়ের রংকে মানুষ ততটা গুরুত্ব দেয় না যতটা গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশে। এর কারন সম্ভবত পোশাক হীনতা। স্থূলকায়ারা ভয়ংকর সাদা হলেও সৌন্দর্যের কাতারে একেবারে পেছনের দিকে।
ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪
মিতক্ষরা বলেছেন: "মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, একজন নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা যায়, নারীর সম্পদ, পারিবারিক মর্যাদা, তার সৌন্দর্য্য এবং ধর্ম।"
হঠাৎ করে এখানে ইসলামকে টেনে আনলেন কেন? আপনি হাদীসের ঠিক ব্যখা করছেন না।
সমাজে মানুষ বিয়ের সময় সাধারনত নারীর চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। তার সম্পদ, তার সৌন্দর্য, তার বংশকূল এবং তার দ্বীনদারীত্ব। কিন্তু আল্লাহর রাসুল (সা) মুসলিমদের বললেন, তারা যেন দ্বীনদারীকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেয়। এই হল হাদীসের ব্যাখা। আল্লাহর রাসুল (সা) মুসলিমদের এটা বলেন নি যে তোমরা ঐ চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিও। বরং বলেছেন, তোমরা দ্বীনদারীকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিও।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
আফিফা আফরিন বলেছেন: @পাবনার পাগলকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি পড়ুন। আর আমি শুধু হাদীস নিয়ে বলি নাই, বরং মহাভারত থেকে শুরু করে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনও টেনে এনেছি এটা বোঝানোর জন্য যে, তৃতীয় বিশ্বের বর্ণবাদের উৎস উপনিবেশবাদের সাথে যুক্ত না, বরং বিষয়টা হিসটোরিকাল এখানে হাদীসের প্রকৃত ব্যাখ্যার চাইতে প্রচলিত ধারণা বোঝা বেশি জরুরী।
৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৫
আফিফা আফরিন বলেছেন: @পাবনার পাগল,
প্রথমত আমার স্বল্প জ্ঞানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এই লিখাটা আসলে কোন গবেষণামূলক পোষ্ট না। এখানে আমি ইন জেনারেল কতগুলো বিষয়কে প্রশ্ন করার চেষ্টা করেছি। তার মাঝে ধর্ম যেহেতু সবচেয়ে বড় মিডিয়ার ভূমিকা পালন করে, সেহেতু সেটাও এসেছে। হাদীসের ব্যাখ্যা বা ভুল ব্যাখ্যার চাইতে এখানে প্রচলিত ধারনাকে তুলে এনে প্রশ্ন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি বুঝতে পারবেন ।
৩১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০২
সুলতানা রহমান বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে
৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯
পাবনার পাগল বলেছেন: @আফিফা আফরিন
৩৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০৪
নরাধম বলেছেন:
হাদিসটার ব্যাখ্যা ভুল ছিল সেটা বুঝতে পেরেছেন সেটাই বড় কথা। আমাদেরকে ইসলাম আসলেই কি বলেছে আর লোকে কি মনে করে সেটা পার্থক্য করতে হবে, নাহয় ভুল ধারণাগুলো পারপিচুয়েইট হয়েযাবে সমাজে।
লেখার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
ইলুসন বলেছেন: খুবই ভাল লাগল। আমার এই জিনিষটাই খারাপ লাগে। কালো হলে তাকে পদে পদে যোগ্যতা প্রমাণ কেন দিতে হবে! গায়ের রঙ কালো ফর্সা এসব সম্পূর্ণ জেনেটিক ব্যাপার। এগুলোকে আমরা এমন বানিয়েছি যে বিরক্তি ধরে গেছে এসব কথার উপরে।