নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফিফা আফরিন

আফিফা আফরিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাশরাফি, আই লাভ ইউ!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১

আজকে ভারত জিতুক!

একজন প্রবল ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন’ এই মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষের মুখে এই কথা শুনে থমকে গেলাম! এমন না যে সে পাকিস্তান বিদ্বেষী!! আই মিন,পাকিস্তান শুনলেই তার গায়ে ফোস্কা পরে এমন না!! কিন্তু ভারতীয় পণ্য (সেটা শাড়ি থেকে সূঁচ যাই হোক না কেন) দেখলে সর্বোচ্চভাবে এড়িয়ে যায়!! এই পাগলে কয় কি!

আবারো বললো, আমি চাই আজকে ভারত জিতুক! তারপর নিজে নিজে বলছে, আজকে ভারত জিতলে পয়েন্ট নিয়া ঝামেলা থাকবে না; বাংলাদেশের জন্য ফাইনালে উঠার সমীকরণ সহজ হবে!

খেলা আমি শুধু দেখিই, টুকটাক বুঝি, বোদ্ধা না। দেখি এই পাগল মানুষটার সাথে! যার প্রত্যাশা বাংলাদেশ ‘খেলুক’ (হার জিত বিষয় না)। জিতলে খুশি হয়, হারলে মন খারাপ করে; কিন্তু ম্যাচ শেষে সমালোচনার ধারে কাছে নাই। তার মতে সব সময় সবকিছু ক্লিক করে না। কিন্ত প্লেয়ারদের গা ছাড়া ভাব (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঢিলা) থাকলে মন খারাপ করে।

যেহেতু বাসায় আমরা দুইজন প্রাণী, সুতরাং সুখ দুঃখের ভাগাভাগিটাও আমাদের দুজনের মধ্যেই। এই ভাগাভাগির মধ্যে একদিন মাশরাফি ঢুকে পরে। আমি একাধারে মাশরাফি পড়ি, টেলিভিশনের স্ক্রীনে চোখ বুলাই; আর ওর মুখের অভিব্যক্তিগুলো মাপি। সে চোখ কখনো জ্বলে, তখন আমি চট করে টেলিভিশনের স্ক্রীনে ফিরে যাই (বলাই বাহুল্য তখন বিজ্ঞাপন শুরু হয়) কখনো ভ্রু কুঁচকে তাকায়; কখনো শূণ্য চোখে তাকিয়ে থাকে। ওর চোখ শূন্য থাকা মানে খেলা স্বাভাবিকভাবে আগাচ্ছে! তখন আমি দেবব্রতদার বয়ানে মাশরাফিকে আবিষ্কার করতে মন দেই। এর মাঝে তাসকিন দুই একটা বল পচা লাইন আপে করে, সৌম্য ধরা ক্যাচ মাটিতে ফেলে দেয়; সাকিব তো আঙ্গুল ফসকে ম্যাচ প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেয় এবং ও ভ্রু কুঁচকে খেলার দিকে তাকায় থাকে! এমন পরিস্থিতিতে আগে তেমন একটা রাগ হতো না। এখন হয়। একটু বেশিই হয়। যখন একটা ধুঁকতে থাকা মানুষ শক্ত হাতে দলটা ধরে রাখতে সর্বস্ব উজাড় করে দিচ্ছে তখন সৌম্যের বা সাকিবের ক্যাচ মিস করাটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়। ফাঁসি দিয়ে দেয়ার মত অন্যায় না হলেও তীর্যক বাক্যে আহত করতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু করি না। মাশরাফি যেভাবে শান্ত থাকে, সেভাবে শান্ত না থাকতে ইচ্ছা করলেও শান্ত থাকি।
ওহ; তুই তো এমনে মাশরাফির প্রেমে পড়ে যাবি! আমি বলি যাবো কি; গেছি তোহ! যেনতেন প্রেম না, হাটুঁর লিগামেন্ট দিয়া দিতে পারি, এমন প্রেম! সে খেলায় মন দেয়, আমি মাশরাফিতে মন দেই।

খেলা একসময় শেষ হয়। শেষে পুরস্কার নিতে মাশরাফি আসে না, আসে অন্য কেউ। বুঝি, এই একদিনের পুরস্কার নিতে মাশারাফির জন্ম না। মাশরাফি হয়তো ব্রায়ান লারা না, কিন্তু এই বাংলাদেশে মাশরাফি বলতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মানুষের অভাব নেই। এতগুলা মানুষের ভালোবাসাই হয়তো ওর দস্যিপনার পুরস্কার!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.