![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তার নামটা মনে পড়ছে নাহ, কিন্তু তাকে এখনও মাঝে মাঝে মনে পড়ে। মনে পড়লে খুবই কষ্ট হয়।
একদিন আমি আর শুভ্র বিকেলের দিকে রমনাপার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রায়ই যেতাম আগে। আমরা কিছুক্ষন হেটে একটা বেঞ্চে বসে গল্প করতে করতে বেশকিছুক্ষন সময় কাটলো।
একটা রোগা ছেলে, ৮-১০ বছর বয়সী, চকলেট বিক্রি করে, বসে বসে চকলেট নিয়ে খেলছিল। শুভ্র ছেলেকে ডাকল, এই পিচ্চি?
ছেলেটি উৎসুকের সাথে এসে জিজ্ঞেস করলো, চকলেট কিনবেন?
শুভ্রের কেনার কোন ইচ্ছে ছিলো নাহ, তারপরও এক প্যাকেট কিনলো। ছেলেটি প্রায় চলে যাচ্ছিল, কিন্তু শুভ্র ডেকে জিজ্ঞেস করলো, ‘তোমার নাম কি?’ (উত্তরটা মনে নেই)
সে আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘মা-বাবা কি করে?’
-বাপে তো মায়েরে থুইয়্যা চইলা গেছে। পরে মাডাও অসুখে মইরা গেছে।
শুনেই দেখলাম শুভ্রের হাসি-খুশি মুখটা মলিন হয়ে গেছে।
কার সাথে থাকো? কোথাও তো থাকো, তাই নাহ??
-জে নানি আছে। বাড়িতে বাড়িতে কাম কইরা যা কামায়, তাই দিয়া মোরে লইয়্যা রায়ের বাজার বস্তিত থাহে। মোরে পছন করে নাহ, তয় হ্যার দোষ নাই, হ্যায় যা কামায়, তাই দিয়াতো নিজেই চলতে পারে নাহ। আমি চকলেট বেইচ্যা যা পাই, তাও হ্যারে দিয়া মিলাইয়্যা মিলাইয়্যা চলি।
এতো দূর থেকে আসো, তাহলে দুপুরে খাও কোথায়?
- হক্কাল বেলা খাইয়্যা আটতে আটতে চইল্যা আয়ি। দুপুরে মজ্জিদে খাওন দ্যায়।
মসজিদে তো প্রতিদিন রাধে নাহ, তখন কি করো?
- হেইদিন কিছু খাই না।
দুই-তিনদিন যখন রাধে নাহ, তখন??
-তহন মাজে মইধ্যে দুই-তিন টেহা খাই।
কেনো, চকলেট বেঁচে কিছু তো পাও, ওখান থেকে খেতে পারো নাহ?
- কিন্তু হেই টেকা নানিরে গুইন্যা গুইন্যা দেই।
ছেলেটার সাথে কিছুক্ষন আগে বেশ বড় একটি মেয়ে দূরে দাঁড়িয়ে ছিলো। আমি তাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এই মেয়েটা তোমার কে হয়?
- হ্যায় আর হ্যার ভাইয়েও আমার লগে চকলেট বেঁচে, ফুল ও বেঁচে।
বিঃদ্রঃ বৈচিত্রময় নির্মম জীবন-জীবিকা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
হেডস্যার বলেছেন: