নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি...!

অগ্নি সারথি

একটা বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে, আমি প্রান্তিক জনতার কথা বলতে এসেছি.......!

অগ্নি সারথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মাৎস্যন্যায়ম\'!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬



ডিসক্লেইমারঃ এই লেখায় কোনভাবেই ‘মাৎস্যন্যায়’ পূর্ববর্তী,পরবর্তী অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয় নাই। যদি কেউ ‘মাৎস্যন্যায়’কে কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে ফেলেন তবে তা হবে কাকতালীয় মাত্র যার সাথে লেখকের কোথাও কোন ধরনের লেনা-দেনা কিংবা সম্পর্ক নেই। লেখার উদ্দেশ্য শুধুই জনমনের ‘মাৎস্যন্যায়’ সংক্রান্ত কৌতুহল নিবারন। আর কিছুই না।

বলতে গেলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শতকে দুর্ধর্ষ হুন জাতি ও মালবের যশোবর্মণের আক্রমণের ফলে ষষ্ঠ শতকের শুরুর দিকে গুপ্ত শাসনের সমাপ্তি ঘটলে পুরো উত্তর ভারতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজবংশের উদ্ভব হয়। যার ধারাবাহিকতায় বাংলা দেশেও বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটো স্বাধীন রাজ্য তৈরি হয়। ৬০০ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের পতন ঘটলেও, স্বাধীন রাজ্য হিসেবে গৌড়কে গুপ্ত রাজা শশাংক টিকিয়ে রাখেন। ধারনা করা হয় শশাংক ছিলেন মহাসেনগুপ্তের একজন ‘মহাসামন্ত’ এবং তাঁর পুত্র অথবা তার ভাইয়ের ছেলে, যার রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল মেদিনীপুর, উড়িষ্যার উৎকল (উত্তর উড়িষ্যা) ও কঙ্গোদ (দক্ষিণ উড়িষ্যা), বিহারের মগধ, কামরুপ (আসাম) এবং পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত। মোটামুটি ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে শশাংক মৃত্যুবরন করেন।

শশাঙ্ক মৃত্যু-পরবর্তী প্রায় একশত বছর স্থায়ী এবং যোগ্য শাসকের অভাবে বাংলায় চরম অস্থিতিশীল এবং অরাজক শাসন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছিল বলে ইতহাস সাক্ষ্য দেয়। সেসময় দেশটি অনেকগুলো ছোট ছোট রাজ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং রাজ্যগুলোর পারস্পরিক যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হতে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বিধানে সক্ষম কোন শক্তির উপস্থিতি তো ছিলই না বরং দৈহিক এবং অবাধ্য শক্তির উত্থান হয়েছিল ব্যাপক এবং খুব খারাপ ভাবে। স্বাধীন ও সার্বভৌম সামন্ত প্রভুরা নৈরাজ্য সৃষ্টিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করা শুরু করে। যার প্রধান ভুক্তভোগী ছিল সাধারন জনতা। আইন কানুনের এমন সর্বনেশে অবস্থায় জন-মানুষের অবস্থা হয়েছিল ত্রাহি-ত্রাহি। দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার উঠেছিল চরমে, ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম অধোগতি দেখা দেয়। বাড়তে থাকে অভাব আর হাহাকার। আর এই অরাজক অবস্থাটাই বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত যেখানে রুপক অর্থে জলার অপেক্ষাকৃত বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট মাছ গ্রাস করে ফেলার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বয়ান রয়েছে। কৌটিল্য অর্থশাস্ত্রে ‘মাৎস্যন্যায়ম’ কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ‘যখন দন্ডদানের আইন স্থগিত বা অকার্যকর থাকে তখন এমন অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয় যা মাছের রাজ্য সম্পর্কে প্রচলিত প্রবচনের মধ্যে পরিস্ফুট।’
কথিত আছে যে, দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ অরাজকতার ফলে জনগণের দু:খ-কষ্টের আর সীমা ছিল না। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা একমত হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একজন ‘রাজা’ নির্বাচিত করেন। কিন্তু ‘নির্বাচিত রাজা’ রাতে এক কুৎসিত নাগ রাক্ষসী কর্তৃক নিহত হন। এরপর প্রতি রাতেই একজন করে ‘নির্বাচিত রাজা’ নিহত হতে থাকেন। এভাবে বেশ কিছু বছর কেটে গেল। অবশেষে একদিন চুন্ডাদেবীর এক ভক্ত এক বাড়িতে এসে দেখে সে বাড়ির সকলেরই মন খুব খারাপ। কারণ, ঐদিন ‘নির্বাচিত’ রাজা হবার ভার পড়েছে ঐ বাড়িরই এক ছেলের উপর। আগন্তুক ঐ ছেলের পরিবর্তে নিজে রাজা হতে রাজি হন। পরবর্তী সকালে তিনি রাজা ‘নির্বাচিত’ হন। সে রাত্রে নাগ রাক্ষুসী এলে তিনি চুন্ডাদেবীর মহিমাযুক্ত লাঠির আঘাতে রাক্ষুসীকে মেরে ফেলেন। পরের দিন তাকে জীবিত দেখে সকলেই আশ্চর্য হয়। পরপর সাতদিন তিনি এভাবে রাজা ‘নির্বাচিত’ হন। অবশেষে তাঁর অদ্ভুত যোগ্যতার জন্য জনগণ তাঁকে স্থায়ীভাবে রাজা রূপে ‘নির্বাচিত’ করে।
গোপাল(পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা) কিভাবে ক্ষমতায় আসেন তা নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও পাল আমলের অনেক পন্ডিতই মনে করেন যে ‘বেপরোয়া ও স্বেচ্ছাচারী লোকদের পরাভূত করা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থার বিনাশকল্পে জনতাই গোপালকে রাজা নির্বাচিত করেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর পর-ই তিনি একশত বছর ধরে চলে আসা ‘মাৎস্যন্যায়মে’র অবসান ঘটান, যারা ‘মাৎস্যন্যায়’ অবস্থার সৃষ্টি করেছিল তাদের সমূলে উৎপাটন করেন এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। জনতা গোপালকে রাজা মনোনীত করুক অথবা না করুক তবে ‘মাৎস্যন্যায়’ সমূলে উৎপাটনের মধ্য দিয়ে তিনি যে বাংলার জন-প্রিয় রাজা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ছিলেন তা আর বলতে অপেক্ষা রাখেনা।
‘মাৎস্যন্যায়মে’র উপরোক্ত ইতিহাসটি বাঙ্গালী জাতির চরম ধৈর্য্য এবং সহনশীলতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষ ‘কুট-কৌশলে’র ইতিহাস। যেখানে ‘আগামী দিনটি হয়তোবা সুন্দর হয়ে ফিরে আসবে তাদের জীবনে’ এই ভাবনা থেকে তারা সহ্য করেই গিয়েছিলেন পুরো একশতটি বছর। পরবর্তীতে কোন লড়াই-সংগ্রাম নয় বরং একজন যোগ্য নেতা নির্বাচন অথবা যোগ্য নেতার পেছনে দাঁড়িয়ে ‘মাৎস্যন্যায়মে’র বিনাশ দেখে হাতে তালি দিয়েছিলেন। বাঙ্গালী জাতটা মনে হয় এমনই………

তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, উইকিপিডিয়া, ইতিহাস পুনর্পাঠ, ব্লগ এবং অন্যান্য।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাৎস্যন্যায়মে’র উপরোক্ত ইতিহাসটি বাঙ্গালী জাতির চরম ধৈর্য্য এবং সহনশীলতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষ ‘কুট-কৌশলে’র ইতিহাস। যেখানে ‘আগামী দিনটি হয়তোবা সুন্দর হয়ে ফিরে আসবে তাদের জীবনে’ এই ভাবনা থেকে তারা সহ্য করেই গিয়েছিলেন পুরো একশতটি বছর। পরবর্তীতে কোন লড়াই-সংগ্রাম নয় বরং একজন যোগ্য নেতা নির্বাচন অথবা যোগ্য নেতার পেছনে দাঁড়িয়ে ‘মাৎস্যন্যায়মে’র বিনাশ দেখে হাতে তালি দিয়েছিলেন। বাঙ্গালী জাতটা মনে হয় এমনই………


সেই থেকে এই!!!!

আজো কি ধৈয্যের পরীক্ষার শেষ হয় নাই! আর কত পরীক্ষা নেবে প্রভৃ! এবার কৃপা কর!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু। আর কোন উত্তর দিব না তবে,

ডিসক্লেইমারঃ এই লেখায় কোনভাবেই ‘মাৎস্যন্যায়’ পূর্ববর্তী,পরবর্তী অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয় নাই। যদি কেউ ‘মাৎস্যন্যায়’কে কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে ফেলেন তবে তা হবে কাকতালীয় মাত্র যার সাথে লেখকের কোথাও কোন ধরনের লেনা-দেনা কিংবা সম্পর্ক নেই। লেখার উদ্দেশ্য শুধুই জনমনের ‘মাৎস্যন্যায়’ সংক্রান্ত কৌতুহল নিবারন। আর কিছুই না।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গোপালের ব্যাপারটা মজার| তবে সেবার যেমন শত বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে যোগ্য রাজার জন্য, এখন হয়ত করতে হবে গনতন্ত্রের জন্য

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ রাখাল।

ডিসক্লেইমারঃ এই লেখায় কোনভাবেই ‘মাৎস্যন্যায়’ পূর্ববর্তী,পরবর্তী অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয় নাই। যদি কেউ ‘মাৎস্যন্যায়’কে কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে ফেলেন তবে তা হবে কাকতালীয় মাত্র যার সাথে লেখকের কোথাও কোন ধরনের লেনা-দেনা কিংবা সম্পর্ক নেই। লেখার উদ্দেশ্য শুধুই জনমনের ‘মাৎস্যন্যায়’ সংক্রান্ত কৌতুহল নিবারন। আর কিছুই না।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

নিমগ্ন বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গোপালের ব্যাপারটা মজার| তবে সেবার যেমন শত বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে যোগ্য রাজার জন্য, এখন হয়ত করতে হবে গনতন্ত্রের জন্য


আমারও মনে হয় আরো একশো বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ রাখাল।
ডিসক্লেইমারঃ এই লেখায় কোনভাবেই ‘মাৎস্যন্যায়’ পূর্ববর্তী,পরবর্তী অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয় নাই। যদি কেউ ‘মাৎস্যন্যায়’কে কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে ফেলেন তবে তা হবে কাকতালীয় মাত্র যার সাথে লেখকের কোথাও কোন ধরনের লেনা-দেনা কিংবা সম্পর্ক নেই। লেখার উদ্দেশ্য শুধুই জনমনের ‘মাৎস্যন্যায়’ সংক্রান্ত কৌতুহল নিবারন। আর কিছুই না।


লেখক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ নিমগ্ন।
ডিসক্লেইমারঃ এই লেখায় কোনভাবেই ‘মাৎস্যন্যায়’ পূর্ববর্তী,পরবর্তী অথবা সাম্প্রতিক কোন ঘটনাকে নির্দেশ করা হয় নাই। যদি কেউ ‘মাৎস্যন্যায়’কে কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে ফেলেন তবে তা হবে কাকতালীয় মাত্র যার সাথে লেখকের কোথাও কোন ধরনের লেনা-দেনা কিংবা সম্পর্ক নেই। লেখার উদ্দেশ্য শুধুই জনমনের ‘মাৎস্যন্যায়’ সংক্রান্ত কৌতুহল নিবারন। আর কিছুই না।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

রমিত বলেছেন: চমৎকার লেখা!
এই বিষয়ে আমিও কিছু লিখেছিলাম।
গোপালের দাদা ছিলেন একজন দার্শনিক, বাবা ছিলেন জেনারেল। গোপাল নিজেও সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি গণভোটে নির্বাচিত একজন রাজা ছিলেন।
শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: তথ্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রমিত ভাই।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: ইতিহাসের মুগ্ধ অনুভবের উপর চমৎকার ভালোলাগার পোষ্ট- অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় অগ্নি সারথি
প্রোফাইল পিকচারে আগের আগুনটা নিভিয়ে ফেলেছেন-নাকি?এখনকারটা সাদাকালো - আগুন না থাকলেও দ্রোহটা ঠিকই আছে ...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। আপাতত হালকা চিপার মধ্যে ভাই, তবে ঠিকই ধরেছেন দ্রোহ নামক ছাইচাপা আগুনটা এখনো ফুলকি দিয়ে উঠতে চায়। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো পোস্ট। রমিত ভাইয়ের পোস্টগুলোতেও দেখতে পারেন, আরও খুটিনাটি ব্যহাপার তুলে আনছিলেন। ইতিহাস সবসমুয়ই উপভোগ্য একটা বিষয়।

শুভকামনা রইলো। :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: রমিত ভাইয়ের পোস্টগুলো পড়ব বলে ভেবে রেখেছি। সময় করে নেই একটু। ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্ট ।পড়তে ভাল লাগলো ।+

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ঐতিহাসিক পোষ্ট।

আমি নামগুলো নিয়ে কনফিউজড। চুন্ডাদেবী??? মানে কী এই শব্দের?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: খুব সংক্ষিপ্ত করতে চেয়েছি পোস্টটি তাই সকল কিছুর বিস্তারিত বয়ান সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ক্ষমা করবেন।
চুন্ডা দেবী হলেন বৌদ্ধ ধর্মের একজন দেবী।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিক্ষা নেয়ার পাশাপাশি ইতিহাস উপভোগ করারও বিষয় , আফসোস আমরা শুধু উপভোগই করি !!!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: লিটন ভাই। কি কমু আর। থাউক না কই। ডরাই।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেককিছুই জানা গেলো । ধন্যবাদ ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আপনাকেও স্বাগত সাধু।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সুমন কর বলেছেন: মাৎস্যন্যায়ম-- সম্পর্কে হালকা জানলাম।

দৌঁড়ের উপর আছি....

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: এইডাও পারতাম সিরিজ আকারে চালাতে কিন্তু ইচ্ছে হল না আর নিজেও হালকা দৌড়ের উপ্রে। ভাল থাকুন সুমন।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ওই যে কইছিলাম না ইতিহাস সবাই সৃষ্টি করতে পারেনা আবার কেউ কেউ নিজেয় ইতিহাস হয় ;) ;) ;) .................... দারুন লাগল পোষ্ট।।+++++++++++++++++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলেই হক কথা লিমন ভাই। ধইন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বর্তমান যুগ মাৎসন্যায় থেকে কম কি?

(পোস্ট ভালো হৈছে। +)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: কিছু কমু না। ধইন্যবাদ।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


৬০০ শতাব্দী ও ২০১৫ সালের মাঝে সবকিছুর ডেফিনেশন ও গুরুত্ব বদলে গেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হয়তো বা। জানিনা। বলব না।

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন:




সেই ‘মাৎস্যন্যায়’ যুগ থেকে এখনও উত্তরন ঘটেনি আমাদের ।
তবে চুন্ডাদেবীর মহিমাযুক্ত লাঠি আর নেই , গঙ্গার জলে বিসর্জন দিয়ে ফেলেছি অনেক আগেই । এখন "ভোট" নামের অসুরীয় সীল-দন্ডে মহিমা নেই, কালিমা লেপন আছে ......................

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: কিচ্ছু করার নাই। স্বামী বিদেশ। :P :P :P :P

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সমস্যা হলো আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না। ইতিহাস খুব কপচাই একসময় চিলে কান নেয়ার মতো ইতিহাসের অবস্থা হয় কিন্তু আমাদের শিক্ষা হয়না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: একশ বছরে আগে আর হইতাসেনা ভাই।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

বাসার বলেছেন: চমৎকার লেখা!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ বাসার। সারথি'র ব্লগে স্বাগতম।

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

আলোরিকা বলেছেন: History repeats itself ...............ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ! ইতিহাসও ক্মপিউটারাইজড নাকি মানে ডিজিটাল ;)

অতঃপর সেদেশের সকলে সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল টাইপ নতুন ইতিহাস হলে কি ক্ষতি ?! তারপর repeat করুক যত খুশী :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: চলুক রিপিটেশন। হাতি তালি দিতে হলে আমি আছি। আর কিচ্ছুতে নাই। সারথি'র ব্লগে স্বাগতম আলোরিকা।

২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

ইতিাহাস পাঠ আমার শিক্ষা জীবনে তেমন পড়তে হয়নি কিন্তু তারপরও আমার খুবই ক্লান্ত লাগতো ইতিহাস পড়তে ।
আজ আপনার পোস্ট পড়া শুরু করতে গিয়েও মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে মন্তব্য করলে তো পড়েই করতে হবে :(

অবশ্য পড়ে ভালো লেগেছে এই কারণে যে নতুন একটা টার্ম জানলাম । মাছদের ব্যাপারটা তো জানাই ছিল কিন্তু "মাৎসন্যায়ম" শব্দটা সম্পর্কে পরিচিত ছিলাম না ।

লেখায় কৌটিল্য'জির উপস্থিতি আগ্রহকে শেষ পর্যন্ত পড়তে ত্বরান্বিত করেছে।
রাজা গোপাল সম্ভবত তার রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ করেছিলেন...আমার ঠিক মনে নেই আপনি হয়তো বলতে পারবেন ।


+++++++++++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: ধন্যবাদ আরজুপানি। ইতিাহাস পাঠ বরাবর ই এক ঘেয়ে একটা বিষয়, আমারো বেশ বিরক্ত লাগে যদিও "মাৎসন্যায়ম" কে সংক্ষেপে রুপ দিতে বিস্তর বিস্তর পড়তে হয়েছে।
রাজা গোপাল তথা পাল বংশের অনেক বিষয়ের সঠিক প্রমান পত্রাদী না থাকার কারনে সকল কিছু সঠিক ভাবে বলা যায় না তবে এটা জানা যায় যে গোপাল তার রাজ্যে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন। এটা অনেকের মতে ধর্মীয় আবার অনেকের মতে তাদের গ্রামীন অর্থনীতির সাথে প্রচন্ড ভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিল।

২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা ইতিহাস নিয়ে জানলাম । পড়তে বেশ ভাল লেগেছে । গোপালকে স্যালুট ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: :)

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এ ধরণের ইতিহাস পড়তে গেলে আমার খুব ভালো লাগে বটে তবে নামগুলোতে তালগোল পাঁকিয়ে যায়। 'মাৎস্যন্যায়ম'! এর ব্যাপারটি পড়ে রাঘব বোয়াল কথাটি মাথায় ঘুরছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হা হা হা। রাঘব বোয়াল টার্মটা এখানে খুউব যৌক্তিক কিন্তু ময়ূরাক্ষী । ভাল থাকবেন, শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.